Ajker Patrika

প্রশাসনের ওপর হামলা, ইলিশ রক্ষায় বড় চ্যালেঞ্জ

খান রফিক, বরিশাল
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১১: ৪৪
প্রশাসনের ওপর হামলা, ইলিশ রক্ষায় বড় চ্যালেঞ্জ

মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সাত দিনে পার হলেও জেলে নামধারী ‘সশস্ত্র দস্যুদের’ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বরিশালের নদ-নদীতে একের পর এক মার খাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। বিশেষ করে জেলার মেঘনায় ঘেরা হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে নির্বিচার মা ইলিশ নিধন চলছে। রাত হলেই দুর্বৃত্তরা একসঙ্গে ৪০-৫০ জন ট্রলারে চড়ে হামলা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর। গত দুই দিনে এমন অন্তত তিনটি ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই উপজেলায় অন্তত দুই ডজন স্পট ঝুঁকিপূর্ণ। এসব স্পটে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের শেল্টারে ইলিশ নিধন করছে জেলেরা। তবে প্রশাসন জানিয়েছে, অভিযান জোরদার করলেও দস্যুরা শাখা নদীতে ঢুকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, আগুন নিক্ষেপ এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করছে।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টায় হিজলার ধুলখোলা ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে প্রশাসনের অভিযানকালে হাইমচর, রায়পুর ও হিজলার মিলিত স্থান মেঘনা নদীতে প্রশাসনের ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ সদস্য, কোস্ট গার্ড ও উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তাদের নিয়ে যৌথ অভিযান চলাকালে হঠাৎ মধ্যরাতে তিনটি ফাইটার বোটে ৪০-৫০ জন দস্যু এ হামলা চালায়। তারা ইটপাটকেল ও আগুন নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় তাদের তিনটি বোটের ক্ষতি হয় এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন। অবশ্য ঘটনাস্থল থেকে ৩৫ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ৩৪ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। অন্যদিকে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে হিজলা উপজেলার হিজলা-গৌরবদী ইউপির ওরাকল, জানপুর নামক স্থানে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন র‍্যাব ও মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এ সময় ১১ জনকে আটক করা হয়।

স্থানীয় তথ্যমতে, হিজলার অন্তত এক ডজন স্পটে মা ইলিশ নিধনের মহোৎসব চলছে; বিশেষ করে হিজলা-গৌরবদী ইউপির জানপুর ৩ নম্বর ঘাট, চরকিল্লা বাজারসংলগ্ন মেঘনা, জানপুর সাতপাড়া, পুরাতন হিজলা মন্দিরসংলগ্ন, অন্তর্বাম, উরাকুল, ধুলখোলা ইউপির ৭ নম্বর ঘাট, ধুলখোলা রাস্তার মাথা, ধুলখোলার আলীগঞ্জ, বড়জালিয়া ইউপির বোম্বাই শহর, প্রেমবাজার নদীর পাড়, বাউশিয়া মাছঘাট এলাকায় রাত নামলেই ট্রলারে করে মাছ ধরছে জেলেরা। তবে এসব স্থানে যখন প্রশাসন অভিযান চালায়, তখন জেলেরা শক্তিশালী ট্রলারে করে শাখা নদীতে প্রবেশ করে। অভিযোগ রয়েছে, ৫ আগস্টের পর হিজলার সব মাছঘাট বিএনপি নেতারা দখল করায় তাঁদের ইশারায় চলছে ইলিশ নিধন।

জানতে চাইলে হিজলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাজিব রায় বলেন, ‘তারা কয়েকটি দলে যুক্ত হয়ে রামদা, লোহার রড নিয়ে হামলা করে। রাতে বড় ট্রলার নিয়ে বেশি তৎপরতা দেখায়। তাদের পাঁচটি টিম এখন মেঘনায় রয়েছে। এর আগে প্রশাসন ও র‍্যাবের ওপর দুই দফায় হামলা হয়েছে। তাঁরা চেষ্টা করছেন মেঘনা দস্যুমুক্ত করতে।’

এদিকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা মেহেন্দীগঞ্জের চিত্রও একই। সেখানকার কালাবদর, মেঘনা, গজারিয়া নদীতে মা ইলিশ নিধন চলছে দেদার। প্রশাসন দেখলে জেলেরা হামলা করছে। বিশেষ করে কালাবদরের দড়িরচর খাজুরিয়া এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে দস্যুরা। সেখানেও স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রচ্ছায়ায় ইলিশ নিধনের অভিযোগ রয়েছে। দড়িরচর খাজুরিয়া ছাড়াও উলানিয়া দক্ষিণের মেঘনা নদীর শাখায়, শ্রীপুর ও বাউশিয়ায় মা ইলিশ নিধন চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এদিকে গত শুক্রবার সকালে উপজেলার কাজিরহাট থানার ঘোড়াঘাট এলাকায় গজারিয়া নদীর পাড়ে ইলিশ ধরা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে আহত হন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুল মীরসহ সাত-আটজন।

সার্বিক বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস একাধিক হামলার কথা স্বীকার করে বলেন, এর মধ্যেই তাঁদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে যৌথ অভিযানে সাত-আটটি টিম তৎপর রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মাস্টার্সের সনদ জাল: কলেজের সভাপতির পদ হারালেন সবুজ খাঁন

ভোলা প্রতিনিধি
মো. সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন। ছবি: সংগৃহীত
মো. সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন। ছবি: সংগৃহীত

‎মাস্টার্সের সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির পদ হারালেন মো. সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবুজ খাঁনের সভাপতির পদ বাতিল করে নতুন সভাপতি মনোনয়নের নির্দেশ দিয়েছে।‎

‎মো. সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন দক্ষিণ আইচা থানাধীন চরমানিকা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আলী মিয়ার ছেলে।‎

স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, সবুজ খাঁন চলতি বছরের ২০ এপ্রিল ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে প্রাপ্ত মাস্টার্স ডিগ্রির সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে দক্ষিণ আইচা কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব েনন। তবে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে গত ১ নভেম্বর জনৈক ব্যক্তির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ সনদ যাচাই কার্যক্রম শুরু করে।‎

‎সূত্র আরও জানায়, যাচাই শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এ কে এম শামসুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সবুজ খাঁনের দাখিল করা সনদে কোনো ক্রমিক নম্বর নেই, কোর্স কোডে অসংগতি রয়েছে এবং স্বাক্ষর ও তারিখেও গরমিল পাওয়া গেছে। এসব কারণে সনদ দুটিকে জাল হিসেবে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।‎

‎বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে তা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরে আসে। পরে গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে কলেজ পরিদর্শক মো. আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার স্বাক্ষরিত এক লিখিত নির্দেশনায় দক্ষিণ আইচা কলেজের অধ্যক্ষকে অবহিত করা হয়। সেই নির্দেশনায় বলা হয়, মো. সিরাজুল ইসলামের মাস্টার্স সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর সভাপতির দায়িত্ব আর বৈধ নয়। ফলে শূন্য ঘোষিত পদে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য মাস্টার্স ডিগ্রিধারী যোগ্য তিনজন প্রার্থীর নাম শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।‎

‎এই আদেশ প্রকাশের পর কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।‎

‎কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির পদ থেকে সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁনের অব্যাহতিপত্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেইলে পাওয়ার কথা স্বীকার করে দক্ষিণ আইচা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, কলেজের সভাপতির সঙ্গে আলাপ করে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমন একটি কথা শুনেছি। এখনো অফিশিয়ালি কোনো চিঠি পাইনি। তবে আমি এর প্রতিবাদ করব। প্রয়োজনে আইনি লড়াই করব।’ তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলেও জানান সবুজ খাঁন।

সবুজ খাঁন নিজেকে থানা বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচয় দিলেও দলের কোনো সাংগঠনিক পদে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চেক ডিজঅনারের মামলা: ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কয়েদির মৃত্যু

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কয়েদি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।

ওই কয়েদির নাম বিমল কুমার দাস (৬২)। কয়েদি নম্বর ২৫২৫। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার কদমতলী আমিরাবাদ গ্রামের গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি একটি চেক ডিজঅনার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের জেল সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, একটি চেক ডিজঅনার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন। তিনি মাদারীপুর কারাগারে ছিলেন। ওই হাজতি ডায়াবেটিসসহ বয়সের বিভিন্ন রোগে  ভুগছিলেন। মাদারীপুর কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ২৩ ডিসেম্বর তাঁকে মাদারীপুর কারাগার থেকে ফরিদপুর কারাগারে আনা হয়। ফরিদপুরে আসামাত্রই তাঁকে হাসপাতালের প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।

জেল সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, আগামীকাল শুক্রবার (আজ) সকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির স্মরণে ঝালকাঠিতে গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠি শহরের মিনি পার্কের পশ্চিম পাশে গ্রাফিতি আঁকা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝালকাঠি শহরের মিনি পার্কের পশ্চিম পাশে গ্রাফিতি আঁকা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝালকাঠিতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির স্মরণে দেয়াললিখন ও গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। ঝালকাঠি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে শহীদ হাদির আদর্শ ও লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে এবং তাঁর হত্যার দ্রুত বিচারের দাবিকে আরও জোরালো করতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দিনব্যাপী ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের সামনে দেয়ালে গ্রাফিতি আঁকা হয়। এর আগের দিন রাতে পৌর শহরের মিনি পার্কের পশ্চিম পাশে গ্রাফিতি আঁকা হয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তরুণ শিল্পী ও স্বেচ্ছাসেবকেরা এতে অংশ নেন।

আয়োজকেরা জানান, কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ঝালকাঠি সরকারি কলেজ, সরকারি উচ্চবিদ্যালয়সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ দেয়ালে পর্যায়ক্রমে গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন হবে। এই উদ্যোগ স্থানীয় তরুণসমাজের মধ্যে প্রতিবাদী চেতনা জাগাবে এবং ন্যায়বিচারের আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করেন আয়োজকেরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝালকাঠি জেলা কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, ‘এই গ্রাফিতি শুধু স্মরণ নয়, এটি প্রতিবাদ ও ন্যায়বিচারের আহ্বান। শহীদ ওসমান হাদির আদর্শ ও হত্যার বিচারের দাবিকে আমরা দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিতে চাই। বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর উদ্বোধন করলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর আজ বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর আজ বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

সীমান্ত বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে দেশের ২৪তম স্থলবন্দর হিসেবে ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দরটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর চালুর মাধ্যমে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। এ বন্দর সিলেট অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আরও গতিশীল করবে এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর শুধু বাণিজ্যিক কার্যক্রমেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং পুরো অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এ স্থলবন্দর চালুর ফলে স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নত হবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক ও টেকসই পরিবর্তন সূচিত হবে।

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব নূরুন্নাহার চৌধুরী বলেন, ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করবে।

সিলেট জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেন, ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর চালুর ফলে স্থানীয় অর্থনীতি, যোগাযোগব্যবস্থা এবং সীমান্ত এলাকার সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

উদ্বোধন শেষে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা ও অবকাঠামো পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মান্নানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত