শাহাদাৎ হোসেন, তালতলী (বরগুনা)
২০ কাঠা ধানী জমি ও গোয়ালের দুটি গরু বিক্রি করে দুই বছর আগে কচুপাত্রা বাজারে একটি দোকান খুলেছিলেন মো. জামাল। সরকারি জমিতে অবৈধ দোকান তোলার অভিযোগে সেই দোকান গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বরগুনা জেলা প্রশাসন। দোকান হারিয়ে তিনি এখন পথে পথে ঘুরছেন।মো. জামাল শুধু একা নন, তার মতো এমন আরো ১২৩ জন ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের বাড়িঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। তাদের দোকান গুলো দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসছেন এই ব্যবসায়ীরা।
গত বুধবার , তালতলী ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) মো. কাওসার হোসেনের নেতৃত্বে বরগুনার তালতলী উপজেলা কচুপাত্রা বাজারের সংযোগ সড়কের দুই পাশে বাস করা ব্যবসায়ীদের ঘরবাড়ি ও দোকান উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর আহম্মদ।
দোকান হারানো ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, একটি কুচক্রী মহল এসব ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের জন্য উঠে পড়ে লেগে ছিল। অবশেষে তারা সফল হয়েছে। তাদের এই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি টাকা। জমি বিক্রি করে ব্যাংক ও বিভিন্ন সংস্থা থেকে থেকে ঋণ নিয়ে আমরা ব্যবসা করতেন । এই দোকানের আয় থেকেই তাদের সংসারের যাবতীয় সব খরচ মিটতো। জীবনের শেষ সম্বল হারানোয় এখন তারা নিঃস্ব।
১২ বছর ধরে এখানে দোকান চালিয়ে আসা মুদি ব্যবসায়ী সুমিত সাজ্জাল জানান, প্রতিবছর ১০ লক্ষ টাকায় এই বাজারের নিলাম হয়। ইজারদারকে প্রতি রবিবার ৫০ টাকা করে খাজনা দিতে হতো।সরকার এখান থেকে রাজস্বও পায়। অথচ ছয় মাস সময় সময় না দিয়েই আমাদের দোকান গুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কচুপাত্রা বাজারের খালের দুই পাড়ে কয়দিন আগেও সারি সারি দোকান ছিল। কিন্তু এখন আছে শুধু ধ্বংসাবশেষ। স্থানীয়দের মাঝে এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাছাড়া দ্রুত পূর্নবাসনের দাবিও জানাচ্ছেন তারা ।
সরকারের কাছে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে কচুপাত্রা বাজার কমিটির সভাপতি সেলিম মৃধা বলেন, শতবর্ষী এই বাজারের খালের দুই পাড়ের ১২৩ টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে এখানকার ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা করা না হলে তারা না খেয়ে মরবে।
তবে, কচুপাত্রা খালকে দূষণমুক্ত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তালতলীর ইউএনও মো. কাওসার হোসেন। তিনি আজকের পাত্রিকাকে বলেন, কচুপাত্রা বাজারের ১৬৮ শতাংশ ভূমি দখলমুক্ত করেতেই ১২৩ টি বিভিন্ন পাঁকা/কাঁচা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।এতে খালের স্বাভাবিক প্রবাহমানতা ফিরে আসবে । দখলদারদের বারবার নোটিশ দিলেও তারা এখান থেকে সরে জায়নি। তাই অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে।
২০ কাঠা ধানী জমি ও গোয়ালের দুটি গরু বিক্রি করে দুই বছর আগে কচুপাত্রা বাজারে একটি দোকান খুলেছিলেন মো. জামাল। সরকারি জমিতে অবৈধ দোকান তোলার অভিযোগে সেই দোকান গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বরগুনা জেলা প্রশাসন। দোকান হারিয়ে তিনি এখন পথে পথে ঘুরছেন।মো. জামাল শুধু একা নন, তার মতো এমন আরো ১২৩ জন ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের বাড়িঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। তাদের দোকান গুলো দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসছেন এই ব্যবসায়ীরা।
গত বুধবার , তালতলী ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) মো. কাওসার হোসেনের নেতৃত্বে বরগুনার তালতলী উপজেলা কচুপাত্রা বাজারের সংযোগ সড়কের দুই পাশে বাস করা ব্যবসায়ীদের ঘরবাড়ি ও দোকান উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর আহম্মদ।
দোকান হারানো ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, একটি কুচক্রী মহল এসব ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের জন্য উঠে পড়ে লেগে ছিল। অবশেষে তারা সফল হয়েছে। তাদের এই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি টাকা। জমি বিক্রি করে ব্যাংক ও বিভিন্ন সংস্থা থেকে থেকে ঋণ নিয়ে আমরা ব্যবসা করতেন । এই দোকানের আয় থেকেই তাদের সংসারের যাবতীয় সব খরচ মিটতো। জীবনের শেষ সম্বল হারানোয় এখন তারা নিঃস্ব।
১২ বছর ধরে এখানে দোকান চালিয়ে আসা মুদি ব্যবসায়ী সুমিত সাজ্জাল জানান, প্রতিবছর ১০ লক্ষ টাকায় এই বাজারের নিলাম হয়। ইজারদারকে প্রতি রবিবার ৫০ টাকা করে খাজনা দিতে হতো।সরকার এখান থেকে রাজস্বও পায়। অথচ ছয় মাস সময় সময় না দিয়েই আমাদের দোকান গুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কচুপাত্রা বাজারের খালের দুই পাড়ে কয়দিন আগেও সারি সারি দোকান ছিল। কিন্তু এখন আছে শুধু ধ্বংসাবশেষ। স্থানীয়দের মাঝে এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাছাড়া দ্রুত পূর্নবাসনের দাবিও জানাচ্ছেন তারা ।
সরকারের কাছে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে কচুপাত্রা বাজার কমিটির সভাপতি সেলিম মৃধা বলেন, শতবর্ষী এই বাজারের খালের দুই পাড়ের ১২৩ টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে এখানকার ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা করা না হলে তারা না খেয়ে মরবে।
তবে, কচুপাত্রা খালকে দূষণমুক্ত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তালতলীর ইউএনও মো. কাওসার হোসেন। তিনি আজকের পাত্রিকাকে বলেন, কচুপাত্রা বাজারের ১৬৮ শতাংশ ভূমি দখলমুক্ত করেতেই ১২৩ টি বিভিন্ন পাঁকা/কাঁচা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।এতে খালের স্বাভাবিক প্রবাহমানতা ফিরে আসবে । দখলদারদের বারবার নোটিশ দিলেও তারা এখান থেকে সরে জায়নি। তাই অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে।
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে আনা কম্বলসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে ৫টার দিকে কলসিন্দুর-দুধনই সড়কের দেউলা সেতু এলাকা থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। এ সময় একটি করে প্রাইভেট কার ও কাভার্ড ভ্যান, ১৫০টি কম্বল, ছয়টি মোবাইল ফোন ও ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
৪ মিনিট আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে কথা-কাটাকাটির জেরে এক কম্পিউটার ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টেনে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে অপর এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার থানা রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১২ মিনিট আগেফরিদপুরে পুত্রবধূকে ধর্ষণের দায়ে গণি খা (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এই রায় দেন।
১৮ মিনিট আগেনেত্রকোনায় ৩১ দফা রূপরেখা তুলে ধরে জনসংযোগ কর্মসূচি চালিয়েছে বিএনপি।
১৯ মিনিট আগে