আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলী উপজেলার বাসিন্দা শ্যাম কর্মকার। পরিবার নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলতো তাঁর সংসার। প্রথমে বড় ছেলে পরে ছোট ছেলে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ছেলের চিকিৎসায় সর্বস্ব হারিয়ে ফেলেন তিনি। শুরু হয় মানবেতর জীবন। আশি ঊর্ধ্বে এই বৃদ্ধ সবকিছু হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এমন অবস্থায় তাঁর দুই পুত্রবধূ ঢাল হয়ে দাঁড়ান। কাঁধে তুলে নেন সংসারের ভার। শ্বশুর ও স্বামীর গড়া কামারের ব্যবসা শুরু করেন। সংগ্রামী দুই নারী কামার কাজ করে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
২০১০ সালে পৌর শহরের সদর রোডের শ্যাম কর্মকারের বড় ছেলে আশীষ কর্মকার মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হন। দুই বছর ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ২০১২ সালে মারা যান। বিধবা ঝুমা কর্মকার স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে বৃদ্ধ শ্বশুর ও দেবর অসীম কর্মকারের পাশাপাশি কামারের কাজ করেন। কিছুদিন পরই ফুসফুস ক্যানসারের আক্রান্ত হন অসীম কর্মকার। পাঁচ বছর ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর তিনিও মারা যান। বিধবা হন পুতুল রানী কর্মকার।
এদিকে দুই ছেলে হারানোর শোকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন শ্যাম কর্মকার। প্রায় বন্ধ হয়ে যায় তাঁদের কামার শিল্প। এমন মুহূর্তে দুই পুত্রবধূ ঝুমা রানী কর্মকার ও পুতুল রানী কর্মকার স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে কামার শিল্পের হাল ধরেন। দিন-রাত অদম্য পরিশ্রম করে চালিয়ে যার কর্মযজ্ঞ। যুদ্ধ করেন আগুন ও লোহার সঙ্গে। প্রতিদিন দা, বটি, কুঠার, হাতুড়ি, চাকুসহ লোহার জিনিসপত্র তৈরি করেন। বলতে গেলে আগুন ও লোহার সঙ্গে গড়ে উঠেছে গভীর মিতালি।
ঝুমা কর্মকার ও পুতুল রানী কর্মকার জানান, আগুন ও লোহার মিতালিতে কামারশালায় মত্ত তাঁরা। এ কাজ করেই তাঁদের পরিবারের সাত সদস্যের সংসার চলে। বয়সের ভারে শ্বশুর চোখে কম দেখেন। তাঁর সারা শরীরের ফোসকা পড়ে চামড়া উঠে যাচ্ছে। বৃদ্ধ শ্বশুর ও শাশুড়ির চিকিৎসা ভরন-পোষণ, তাঁদের দুই সন্তান অন্তু কর্মকার ও অন্তরা কর্মকারের লেখাপড়া এমনকি ননদের দেখভাল চলে এ কাজের অর্জিত অর্থ দিয়ে। বর্তমানে কোরবানি উপলক্ষে এখন ব্যস্ত তাঁরা। পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি তারাও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন। সরকারি সহযোগিতা পেলে তারা আরও এগিয়ে যেতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এই দুই নারী কামার।
পুতুল রানী ও ঝুমা রানী কর্মকার বলেন, আমার শ্বশুরের দুই ছেলে মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা কাজে লেগে পড়ি। দিন রাত লোহা ও আগুনের সঙ্গে যুদ্ধ করে যাচ্ছি।
তারা আক্ষেপ করে বলেন, কী আর করা সংসার তো চালাতে হবে। বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি তাদের চিকিৎসাসহ ও দুই সন্তানের লেখাপড়া। যতই কষ্ট হোক স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে চেষ্টা করব। আমরা মিলে মিশে কাজ করি। স্বামী ছাড়া কষ্ট হলেও জীবনতো চালাতে হবে।
ঝুমা রানী কর্মকার বলেন, ‘যত দিন শক্তি, সামর্থ্য আছে তত দিন স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে অদম্য চেষ্টা চালিয়ে যাব। এখান থেকে সরে যাব না। কষ্টের জীবনে সরকারি সহযোগিতা পেলে কামার শিল্পটাকে আরও বেগবান করা যেত।’
বৃদ্ধ শ্যাম কর্মকার কান্নাজনিত কণ্ঠে বলেন, ‘চোহে দেহি না। হারা শরীরে ফোসকা পইরা চামড়া ওডে। দুই বিধবা পোলার বউ লোয়ার (লোহা) কাম হরে সংসার চালায়। কাম কম, সংসার চালাইতে কষ্ট অয়। সরকারি সাহায্য পাইলে ভালো অইতো।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, দুই নারী কামারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হবে।

বরগুনার আমতলী উপজেলার বাসিন্দা শ্যাম কর্মকার। পরিবার নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলতো তাঁর সংসার। প্রথমে বড় ছেলে পরে ছোট ছেলে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ছেলের চিকিৎসায় সর্বস্ব হারিয়ে ফেলেন তিনি। শুরু হয় মানবেতর জীবন। আশি ঊর্ধ্বে এই বৃদ্ধ সবকিছু হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এমন অবস্থায় তাঁর দুই পুত্রবধূ ঢাল হয়ে দাঁড়ান। কাঁধে তুলে নেন সংসারের ভার। শ্বশুর ও স্বামীর গড়া কামারের ব্যবসা শুরু করেন। সংগ্রামী দুই নারী কামার কাজ করে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
২০১০ সালে পৌর শহরের সদর রোডের শ্যাম কর্মকারের বড় ছেলে আশীষ কর্মকার মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হন। দুই বছর ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ২০১২ সালে মারা যান। বিধবা ঝুমা কর্মকার স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে বৃদ্ধ শ্বশুর ও দেবর অসীম কর্মকারের পাশাপাশি কামারের কাজ করেন। কিছুদিন পরই ফুসফুস ক্যানসারের আক্রান্ত হন অসীম কর্মকার। পাঁচ বছর ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর তিনিও মারা যান। বিধবা হন পুতুল রানী কর্মকার।
এদিকে দুই ছেলে হারানোর শোকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন শ্যাম কর্মকার। প্রায় বন্ধ হয়ে যায় তাঁদের কামার শিল্প। এমন মুহূর্তে দুই পুত্রবধূ ঝুমা রানী কর্মকার ও পুতুল রানী কর্মকার স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে কামার শিল্পের হাল ধরেন। দিন-রাত অদম্য পরিশ্রম করে চালিয়ে যার কর্মযজ্ঞ। যুদ্ধ করেন আগুন ও লোহার সঙ্গে। প্রতিদিন দা, বটি, কুঠার, হাতুড়ি, চাকুসহ লোহার জিনিসপত্র তৈরি করেন। বলতে গেলে আগুন ও লোহার সঙ্গে গড়ে উঠেছে গভীর মিতালি।
ঝুমা কর্মকার ও পুতুল রানী কর্মকার জানান, আগুন ও লোহার মিতালিতে কামারশালায় মত্ত তাঁরা। এ কাজ করেই তাঁদের পরিবারের সাত সদস্যের সংসার চলে। বয়সের ভারে শ্বশুর চোখে কম দেখেন। তাঁর সারা শরীরের ফোসকা পড়ে চামড়া উঠে যাচ্ছে। বৃদ্ধ শ্বশুর ও শাশুড়ির চিকিৎসা ভরন-পোষণ, তাঁদের দুই সন্তান অন্তু কর্মকার ও অন্তরা কর্মকারের লেখাপড়া এমনকি ননদের দেখভাল চলে এ কাজের অর্জিত অর্থ দিয়ে। বর্তমানে কোরবানি উপলক্ষে এখন ব্যস্ত তাঁরা। পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি তারাও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন। সরকারি সহযোগিতা পেলে তারা আরও এগিয়ে যেতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এই দুই নারী কামার।
পুতুল রানী ও ঝুমা রানী কর্মকার বলেন, আমার শ্বশুরের দুই ছেলে মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা কাজে লেগে পড়ি। দিন রাত লোহা ও আগুনের সঙ্গে যুদ্ধ করে যাচ্ছি।
তারা আক্ষেপ করে বলেন, কী আর করা সংসার তো চালাতে হবে। বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি তাদের চিকিৎসাসহ ও দুই সন্তানের লেখাপড়া। যতই কষ্ট হোক স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে চেষ্টা করব। আমরা মিলে মিশে কাজ করি। স্বামী ছাড়া কষ্ট হলেও জীবনতো চালাতে হবে।
ঝুমা রানী কর্মকার বলেন, ‘যত দিন শক্তি, সামর্থ্য আছে তত দিন স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে অদম্য চেষ্টা চালিয়ে যাব। এখান থেকে সরে যাব না। কষ্টের জীবনে সরকারি সহযোগিতা পেলে কামার শিল্পটাকে আরও বেগবান করা যেত।’
বৃদ্ধ শ্যাম কর্মকার কান্নাজনিত কণ্ঠে বলেন, ‘চোহে দেহি না। হারা শরীরে ফোসকা পইরা চামড়া ওডে। দুই বিধবা পোলার বউ লোয়ার (লোহা) কাম হরে সংসার চালায়। কাম কম, সংসার চালাইতে কষ্ট অয়। সরকারি সাহায্য পাইলে ভালো অইতো।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, দুই নারী কামারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হবে।
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলী উপজেলার বাসিন্দা শ্যাম কর্মকার। পরিবার নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলতো তাঁর সংসার। প্রথমে বড় ছেলে পরে ছোট ছেলে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ছেলের চিকিৎসায় সর্বস্ব হারিয়ে ফেলেন তিনি। শুরু হয় মানবেতর জীবন। আশি ঊর্ধ্বে এই বৃদ্ধ সবকিছু হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এমন অবস্থায় তাঁর দুই পুত্রবধূ ঢাল হয়ে দাঁড়ান। কাঁধে তুলে নেন সংসারের ভার। শ্বশুর ও স্বামীর গড়া কামারের ব্যবসা শুরু করেন। সংগ্রামী দুই নারী কামার কাজ করে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
২০১০ সালে পৌর শহরের সদর রোডের শ্যাম কর্মকারের বড় ছেলে আশীষ কর্মকার মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হন। দুই বছর ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ২০১২ সালে মারা যান। বিধবা ঝুমা কর্মকার স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে বৃদ্ধ শ্বশুর ও দেবর অসীম কর্মকারের পাশাপাশি কামারের কাজ করেন। কিছুদিন পরই ফুসফুস ক্যানসারের আক্রান্ত হন অসীম কর্মকার। পাঁচ বছর ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর তিনিও মারা যান। বিধবা হন পুতুল রানী কর্মকার।
এদিকে দুই ছেলে হারানোর শোকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন শ্যাম কর্মকার। প্রায় বন্ধ হয়ে যায় তাঁদের কামার শিল্প। এমন মুহূর্তে দুই পুত্রবধূ ঝুমা রানী কর্মকার ও পুতুল রানী কর্মকার স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে কামার শিল্পের হাল ধরেন। দিন-রাত অদম্য পরিশ্রম করে চালিয়ে যার কর্মযজ্ঞ। যুদ্ধ করেন আগুন ও লোহার সঙ্গে। প্রতিদিন দা, বটি, কুঠার, হাতুড়ি, চাকুসহ লোহার জিনিসপত্র তৈরি করেন। বলতে গেলে আগুন ও লোহার সঙ্গে গড়ে উঠেছে গভীর মিতালি।
ঝুমা কর্মকার ও পুতুল রানী কর্মকার জানান, আগুন ও লোহার মিতালিতে কামারশালায় মত্ত তাঁরা। এ কাজ করেই তাঁদের পরিবারের সাত সদস্যের সংসার চলে। বয়সের ভারে শ্বশুর চোখে কম দেখেন। তাঁর সারা শরীরের ফোসকা পড়ে চামড়া উঠে যাচ্ছে। বৃদ্ধ শ্বশুর ও শাশুড়ির চিকিৎসা ভরন-পোষণ, তাঁদের দুই সন্তান অন্তু কর্মকার ও অন্তরা কর্মকারের লেখাপড়া এমনকি ননদের দেখভাল চলে এ কাজের অর্জিত অর্থ দিয়ে। বর্তমানে কোরবানি উপলক্ষে এখন ব্যস্ত তাঁরা। পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি তারাও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন। সরকারি সহযোগিতা পেলে তারা আরও এগিয়ে যেতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এই দুই নারী কামার।
পুতুল রানী ও ঝুমা রানী কর্মকার বলেন, আমার শ্বশুরের দুই ছেলে মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা কাজে লেগে পড়ি। দিন রাত লোহা ও আগুনের সঙ্গে যুদ্ধ করে যাচ্ছি।
তারা আক্ষেপ করে বলেন, কী আর করা সংসার তো চালাতে হবে। বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি তাদের চিকিৎসাসহ ও দুই সন্তানের লেখাপড়া। যতই কষ্ট হোক স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে চেষ্টা করব। আমরা মিলে মিশে কাজ করি। স্বামী ছাড়া কষ্ট হলেও জীবনতো চালাতে হবে।
ঝুমা রানী কর্মকার বলেন, ‘যত দিন শক্তি, সামর্থ্য আছে তত দিন স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে অদম্য চেষ্টা চালিয়ে যাব। এখান থেকে সরে যাব না। কষ্টের জীবনে সরকারি সহযোগিতা পেলে কামার শিল্পটাকে আরও বেগবান করা যেত।’
বৃদ্ধ শ্যাম কর্মকার কান্নাজনিত কণ্ঠে বলেন, ‘চোহে দেহি না। হারা শরীরে ফোসকা পইরা চামড়া ওডে। দুই বিধবা পোলার বউ লোয়ার (লোহা) কাম হরে সংসার চালায়। কাম কম, সংসার চালাইতে কষ্ট অয়। সরকারি সাহায্য পাইলে ভালো অইতো।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, দুই নারী কামারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হবে।

বরগুনার আমতলী উপজেলার বাসিন্দা শ্যাম কর্মকার। পরিবার নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলতো তাঁর সংসার। প্রথমে বড় ছেলে পরে ছোট ছেলে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ছেলের চিকিৎসায় সর্বস্ব হারিয়ে ফেলেন তিনি। শুরু হয় মানবেতর জীবন। আশি ঊর্ধ্বে এই বৃদ্ধ সবকিছু হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এমন অবস্থায় তাঁর দুই পুত্রবধূ ঢাল হয়ে দাঁড়ান। কাঁধে তুলে নেন সংসারের ভার। শ্বশুর ও স্বামীর গড়া কামারের ব্যবসা শুরু করেন। সংগ্রামী দুই নারী কামার কাজ করে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
২০১০ সালে পৌর শহরের সদর রোডের শ্যাম কর্মকারের বড় ছেলে আশীষ কর্মকার মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হন। দুই বছর ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ২০১২ সালে মারা যান। বিধবা ঝুমা কর্মকার স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে বৃদ্ধ শ্বশুর ও দেবর অসীম কর্মকারের পাশাপাশি কামারের কাজ করেন। কিছুদিন পরই ফুসফুস ক্যানসারের আক্রান্ত হন অসীম কর্মকার। পাঁচ বছর ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর তিনিও মারা যান। বিধবা হন পুতুল রানী কর্মকার।
এদিকে দুই ছেলে হারানোর শোকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন শ্যাম কর্মকার। প্রায় বন্ধ হয়ে যায় তাঁদের কামার শিল্প। এমন মুহূর্তে দুই পুত্রবধূ ঝুমা রানী কর্মকার ও পুতুল রানী কর্মকার স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে কামার শিল্পের হাল ধরেন। দিন-রাত অদম্য পরিশ্রম করে চালিয়ে যার কর্মযজ্ঞ। যুদ্ধ করেন আগুন ও লোহার সঙ্গে। প্রতিদিন দা, বটি, কুঠার, হাতুড়ি, চাকুসহ লোহার জিনিসপত্র তৈরি করেন। বলতে গেলে আগুন ও লোহার সঙ্গে গড়ে উঠেছে গভীর মিতালি।
ঝুমা কর্মকার ও পুতুল রানী কর্মকার জানান, আগুন ও লোহার মিতালিতে কামারশালায় মত্ত তাঁরা। এ কাজ করেই তাঁদের পরিবারের সাত সদস্যের সংসার চলে। বয়সের ভারে শ্বশুর চোখে কম দেখেন। তাঁর সারা শরীরের ফোসকা পড়ে চামড়া উঠে যাচ্ছে। বৃদ্ধ শ্বশুর ও শাশুড়ির চিকিৎসা ভরন-পোষণ, তাঁদের দুই সন্তান অন্তু কর্মকার ও অন্তরা কর্মকারের লেখাপড়া এমনকি ননদের দেখভাল চলে এ কাজের অর্জিত অর্থ দিয়ে। বর্তমানে কোরবানি উপলক্ষে এখন ব্যস্ত তাঁরা। পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি তারাও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন। সরকারি সহযোগিতা পেলে তারা আরও এগিয়ে যেতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এই দুই নারী কামার।
পুতুল রানী ও ঝুমা রানী কর্মকার বলেন, আমার শ্বশুরের দুই ছেলে মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা কাজে লেগে পড়ি। দিন রাত লোহা ও আগুনের সঙ্গে যুদ্ধ করে যাচ্ছি।
তারা আক্ষেপ করে বলেন, কী আর করা সংসার তো চালাতে হবে। বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি তাদের চিকিৎসাসহ ও দুই সন্তানের লেখাপড়া। যতই কষ্ট হোক স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে চেষ্টা করব। আমরা মিলে মিশে কাজ করি। স্বামী ছাড়া কষ্ট হলেও জীবনতো চালাতে হবে।
ঝুমা রানী কর্মকার বলেন, ‘যত দিন শক্তি, সামর্থ্য আছে তত দিন স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে অদম্য চেষ্টা চালিয়ে যাব। এখান থেকে সরে যাব না। কষ্টের জীবনে সরকারি সহযোগিতা পেলে কামার শিল্পটাকে আরও বেগবান করা যেত।’
বৃদ্ধ শ্যাম কর্মকার কান্নাজনিত কণ্ঠে বলেন, ‘চোহে দেহি না। হারা শরীরে ফোসকা পইরা চামড়া ওডে। দুই বিধবা পোলার বউ লোয়ার (লোহা) কাম হরে সংসার চালায়। কাম কম, সংসার চালাইতে কষ্ট অয়। সরকারি সাহায্য পাইলে ভালো অইতো।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, দুই নারী কামারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হবে।

সিনিয়র সাংবাদিক ও টকশোর আলোচিত মুখ আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন।
৫ মিনিট আগে
চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
২৯ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।
৩৮ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সিনিয়র সাংবাদিক ও টকশোর আলোচিত মুখ আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন।
আনিস আলমগীরকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না— এ বিষয়ে জানতে আজ রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানাব। তাঁর সঙ্গে এখনো কথা বলিনি, আমি ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলব, তারপর বিস্তারিত বলতে পারব।’
এর আগে, রাত ৮টার আগে ধানমন্ডির একটি জিম থেকে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি সদস্যরা গিয়ে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি (রাত ৯ টা) ডিবি কার্যালয়ে ছিলেন।
সাংবাদিক আনিস আলমগীর দৈনিক আজকের কাগজসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কাজ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে টেলিভিশন টকশোতে নানা বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় ছিলেন তিনি।

সিনিয়র সাংবাদিক ও টকশোর আলোচিত মুখ আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন।
আনিস আলমগীরকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না— এ বিষয়ে জানতে আজ রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানাব। তাঁর সঙ্গে এখনো কথা বলিনি, আমি ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলব, তারপর বিস্তারিত বলতে পারব।’
এর আগে, রাত ৮টার আগে ধানমন্ডির একটি জিম থেকে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি সদস্যরা গিয়ে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি (রাত ৯ টা) ডিবি কার্যালয়ে ছিলেন।
সাংবাদিক আনিস আলমগীর দৈনিক আজকের কাগজসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কাজ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে টেলিভিশন টকশোতে নানা বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় ছিলেন তিনি।

আশি ঊর্ধ্ব এই বৃদ্ধ সবকিছু হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এমন অবস্থায় তাঁর দুই পুত্রবধূ ঢাল হয়ে দাঁড়ান। কাঁধে তুলে নেন সংসারের ভার। শ্বশুর ও স্বামীর গড়া কামারের ব্যবসা শুরু করেন। সংগ্রামী দুই নারী কামার কাজ করে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
২৬ জুন ২০২৩
চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
২৯ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।
৩৮ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের দুই সপ্তাহ পর আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
এর আগে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে নগরের মেরিনার্স রোডের ইয়াকুবনগর লইট্টাঘাটা এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭। পরে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিনু বৈদ্যর ছেলে রুবেল বৈদ্য (৩১) ও পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ মালিয়ারার রতন নাথের ছেলে রাজু নাথ (৩৮)।
গত ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার কাছে লালদীঘি মোড়ে সাইকেল চালিয়ে বাসায় ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে খুন হন ইসমাইল। পুলিশ প্রথমে ঘটনাটি ছিনতাই হিসেবে ধারণা করে। পরে তদন্তে পরিকল্পিত হত্যার তথ্য পায়। পুলিশের হাতে আসা একটি সিসিটিভি ফুটেজে মোটরসাইকেলে থাকা তিন যুবককে হত্যায় অংশ নিতে দেখা গেছে।
এ ঘটনায় পরদিন কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে নিহত ইসমাইলের স্ত্রী নাহিদা আক্তারের করা মামলায় পুলিশ মনির হোসেন ওরফে নয়ন নামের একজনকে গ্রেপ্তার দেখায়।
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপকমিশনার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ফুটপাতের দোকান নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মূলত ভাড়াটে খুনি দিয়ে মো. ইসমাইলকে হত্যা করা হয়েছে। এই খুনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে থাকা সরাসরি যে তিনজনের জড়িত থাকার তথ্য ছিল, সবাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। খুনে ব্যবহৃত টিপ ছুরি ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
আলমগীর হোসেন আরও বলেন, ‘ঘটনার পর ইসমাইলের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনটি মনির হোসেন নামের যাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়, তাঁকে আমরা প্রথমেই গ্রেপ্তার করি। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনের অন্যতম আসামি তিনি। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
গ্রেপ্তার তিনজন মূলত ভাড়াটে খুনি হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে দাবি করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের মধ্যে রাজুর বিরুদ্ধে তিনটি ও রুবেল বৈদ্যর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। ডাকাতি, দস্যুতা ও খুনের অভিযোগে এসব মামলা হয়েছিল।
আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ইসমাইলের সঙ্গে ফুটপাতের দোকান নিয়ে যাঁর সঙ্গে বিরোধ ছিল, মূলত তিনিই খুনিদের ভাড়া করেছিলেন। ওই ব্যক্তিসহ আরও দুজনের বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে আমরা এখন তাঁদের নাম প্রকাশ করছি না।’

চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের দুই সপ্তাহ পর আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
এর আগে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে নগরের মেরিনার্স রোডের ইয়াকুবনগর লইট্টাঘাটা এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭। পরে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিনু বৈদ্যর ছেলে রুবেল বৈদ্য (৩১) ও পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ মালিয়ারার রতন নাথের ছেলে রাজু নাথ (৩৮)।
গত ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার কাছে লালদীঘি মোড়ে সাইকেল চালিয়ে বাসায় ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে খুন হন ইসমাইল। পুলিশ প্রথমে ঘটনাটি ছিনতাই হিসেবে ধারণা করে। পরে তদন্তে পরিকল্পিত হত্যার তথ্য পায়। পুলিশের হাতে আসা একটি সিসিটিভি ফুটেজে মোটরসাইকেলে থাকা তিন যুবককে হত্যায় অংশ নিতে দেখা গেছে।
এ ঘটনায় পরদিন কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে নিহত ইসমাইলের স্ত্রী নাহিদা আক্তারের করা মামলায় পুলিশ মনির হোসেন ওরফে নয়ন নামের একজনকে গ্রেপ্তার দেখায়।
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপকমিশনার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ফুটপাতের দোকান নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মূলত ভাড়াটে খুনি দিয়ে মো. ইসমাইলকে হত্যা করা হয়েছে। এই খুনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে থাকা সরাসরি যে তিনজনের জড়িত থাকার তথ্য ছিল, সবাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। খুনে ব্যবহৃত টিপ ছুরি ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
আলমগীর হোসেন আরও বলেন, ‘ঘটনার পর ইসমাইলের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনটি মনির হোসেন নামের যাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়, তাঁকে আমরা প্রথমেই গ্রেপ্তার করি। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনের অন্যতম আসামি তিনি। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
গ্রেপ্তার তিনজন মূলত ভাড়াটে খুনি হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে দাবি করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের মধ্যে রাজুর বিরুদ্ধে তিনটি ও রুবেল বৈদ্যর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। ডাকাতি, দস্যুতা ও খুনের অভিযোগে এসব মামলা হয়েছিল।
আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ইসমাইলের সঙ্গে ফুটপাতের দোকান নিয়ে যাঁর সঙ্গে বিরোধ ছিল, মূলত তিনিই খুনিদের ভাড়া করেছিলেন। ওই ব্যক্তিসহ আরও দুজনের বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে আমরা এখন তাঁদের নাম প্রকাশ করছি না।’

আশি ঊর্ধ্ব এই বৃদ্ধ সবকিছু হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এমন অবস্থায় তাঁর দুই পুত্রবধূ ঢাল হয়ে দাঁড়ান। কাঁধে তুলে নেন সংসারের ভার। শ্বশুর ও স্বামীর গড়া কামারের ব্যবসা শুরু করেন। সংগ্রামী দুই নারী কামার কাজ করে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
২৬ জুন ২০২৩
সিনিয়র সাংবাদিক ও টকশোর আলোচিত মুখ আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন।
৫ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।
৩৮ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেরাজবাড়ী প্রতিনিধি

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।
নিহত শামীম রেজা কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামের আলমগীর ফকিরের ছেলে।

শামীমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কান্না-আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। প্রতিবেশীরা শামীমের বাবা, ভাইকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। শামীমের মা ও স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
শামীমের চাচা আনিস জানান, তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে শামীম সবার বড়। ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দেন তিনি। গত ৭ নভেম্বর তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে সুদানে গিয়েছিলেন।
শামীমের ছোট ভাই সোহান ফকির বলেন, ‘গতকাল টেলিভিশনে সুদানের ঘটনার খবর দেখার পর থেকেই আমরা ভীষণ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ভাইয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। রাত ১২টার পর আমরা নিশ্চিত হই ভাই আর নেই। গত শুক্রবার সে বাড়িতে ভিডিও কলে কথা বলেছিল।’
বাবা আলমগীর ফকির কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘শুক্রবারও কথা বলেছি। শামীম তখন বলল, আব্বু তুমি ভালো থেকো আমি ডিউটিতে যাব। আমার ছেলেকে এনে দাও তোমরা। ’
স্থানীয় মাসুদ, শাহজাহান, মাহবুব বিশ্বাস বলেন, ‘এই মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর শামীমের পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েছেন। শামীম ছিল তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তাঁর পরিবার এখন কীভাবে চলবে? আমরা এলাকাবাসী দাবি জানাই, শামীমের লাশ যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনে। সেই সঙ্গে শামীমের ছোট ভাই সোহানকে যেন একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় সরকার।’
কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘নিহত শামীমের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। মরদেহ আসার বিষয়ে এখন পর্যন্ত যেটা জানতে পেরেছি, আগামী ১৭ তারিখে আসবে। তবে এখনো নিশ্চিত না। আশা করি, আগামীকাল সঠিক তথ্য জানতে পারব।’
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় শামীমসহ ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন।

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।
নিহত শামীম রেজা কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামের আলমগীর ফকিরের ছেলে।

শামীমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কান্না-আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। প্রতিবেশীরা শামীমের বাবা, ভাইকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। শামীমের মা ও স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
শামীমের চাচা আনিস জানান, তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে শামীম সবার বড়। ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দেন তিনি। গত ৭ নভেম্বর তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে সুদানে গিয়েছিলেন।
শামীমের ছোট ভাই সোহান ফকির বলেন, ‘গতকাল টেলিভিশনে সুদানের ঘটনার খবর দেখার পর থেকেই আমরা ভীষণ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ভাইয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। রাত ১২টার পর আমরা নিশ্চিত হই ভাই আর নেই। গত শুক্রবার সে বাড়িতে ভিডিও কলে কথা বলেছিল।’
বাবা আলমগীর ফকির কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘শুক্রবারও কথা বলেছি। শামীম তখন বলল, আব্বু তুমি ভালো থেকো আমি ডিউটিতে যাব। আমার ছেলেকে এনে দাও তোমরা। ’
স্থানীয় মাসুদ, শাহজাহান, মাহবুব বিশ্বাস বলেন, ‘এই মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর শামীমের পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েছেন। শামীম ছিল তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তাঁর পরিবার এখন কীভাবে চলবে? আমরা এলাকাবাসী দাবি জানাই, শামীমের লাশ যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনে। সেই সঙ্গে শামীমের ছোট ভাই সোহানকে যেন একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় সরকার।’
কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘নিহত শামীমের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। মরদেহ আসার বিষয়ে এখন পর্যন্ত যেটা জানতে পেরেছি, আগামী ১৭ তারিখে আসবে। তবে এখনো নিশ্চিত না। আশা করি, আগামীকাল সঠিক তথ্য জানতে পারব।’
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় শামীমসহ ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন।

আশি ঊর্ধ্ব এই বৃদ্ধ সবকিছু হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এমন অবস্থায় তাঁর দুই পুত্রবধূ ঢাল হয়ে দাঁড়ান। কাঁধে তুলে নেন সংসারের ভার। শ্বশুর ও স্বামীর গড়া কামারের ব্যবসা শুরু করেন। সংগ্রামী দুই নারী কামার কাজ করে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
২৬ জুন ২০২৩
সিনিয়র সাংবাদিক ও টকশোর আলোচিত মুখ আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন।
৫ মিনিট আগে
চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
২৯ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, বিকেলে শহীদ অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলা থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সেখানে যান। এ সময় ওয়াশরুমের ভেতরে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে যায়।
পুলিশের ভাষ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট অডিটরিয়ামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে ওই ভবনে মানুষের তেমন চলাচল ছিল না।
এদিকে লাশ উদ্ধারের পর মমতা খাতুন নামে এক নারী ঘটনাস্থলে এসে দাবি করেন, উদ্ধার হওয়া লাশটি তাঁর বাবার। তিনি জানান, তাঁর বাবা প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর আর তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. এনায়েতুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। লাশটির পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, বিকেলে শহীদ অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলা থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সেখানে যান। এ সময় ওয়াশরুমের ভেতরে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে যায়।
পুলিশের ভাষ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট অডিটরিয়ামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে ওই ভবনে মানুষের তেমন চলাচল ছিল না।
এদিকে লাশ উদ্ধারের পর মমতা খাতুন নামে এক নারী ঘটনাস্থলে এসে দাবি করেন, উদ্ধার হওয়া লাশটি তাঁর বাবার। তিনি জানান, তাঁর বাবা প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর আর তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. এনায়েতুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। লাশটির পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

আশি ঊর্ধ্ব এই বৃদ্ধ সবকিছু হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এমন অবস্থায় তাঁর দুই পুত্রবধূ ঢাল হয়ে দাঁড়ান। কাঁধে তুলে নেন সংসারের ভার। শ্বশুর ও স্বামীর গড়া কামারের ব্যবসা শুরু করেন। সংগ্রামী দুই নারী কামার কাজ করে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
২৬ জুন ২০২৩
সিনিয়র সাংবাদিক ও টকশোর আলোচিত মুখ আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন।
৫ মিনিট আগে
চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
২৯ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।
৩৮ মিনিট আগে