Ajker Patrika

মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কবি মোহাম্মদ রফিক

বাগেরহাট প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২৩, ১৭: ৪২
মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কবি মোহাম্মদ রফিক

বাগেরহাট সদরের বেমরতা ইউনিয়নের চিতলী-বৈটপুর গ্রামে মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি মোহাম্মদ রফিক (৮০)। আজ সোমবার বেলা ১১টায় চিতলী-বৈটপুর এলাকায় উদ্দীপন বদর সামছু বিদ্যানিকেতনে জানাজা শেষে কবির লাশ দাফন করা হয়। এর আগে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে কবির মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ, কবির বোনজামাই শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আমিনুল হক, বোন গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সেলিনা পারভীন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সবিতা ইয়াসমিন, কবির ভাই প্রকৌশলী মো. শফিক, ছোট ছেলে অধ্যাপক ড. শুদ্ধসত্ত্ব রফিক, লেখক অধ্যাপক প্রশান্ত মৃধা, সামছউদ্দিন নাহার ট্রাস্টের প্রধান সমন্বয়ক সুব্রত কুমার মুখার্জিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও কবির গুণগ্রাহীরা কবির শেষ বিদায়ের সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রিয় কবিকে হারিয়ে শোকাহত তাঁর স্বজনেরা। কবির ভাই প্রকৌশলী মো. শফিক বলেন, ‘আমাদের আট ভাইবোনের মধ্যে রফিক ভাই সবার বড় ছিলেন। তিনি শুধু আমাদের বড় ভাই ছিলেন না, সবার অভিভাবক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা অভিভাবকশূন্য হলাম।’ ষাটের দশকে ছাত্র আন্দোলন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে এবং স্বাধীন বাংলাদেশে আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে কাব্যিক রসদ জুগিয়ে স্মরণীয় হয়ে আছেন কবি মোহাম্মদ রফিক।

মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কবি মোহাম্মদ রফিকজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘স্যার একজন নিরহংকার মানুষ ছিলেন। দেশের জন্য তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দেশের জন্য তাঁর কলম চলত সব সময়। স্যারের অবদান ভোলার নয়।’

কবি মোহাম্মদ রফিক ১৯৪৩ সালের ২৩ অক্টোবর বাগেরহাট সদরের বেমরতা ইউনিয়নের বৈটপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা সামছউদ্দিন আহমদ এবং মা রেশাতুন নাহারের আট সন্তানের মধ্যে মোহাম্মদ রফিক ছিলেন বড়। মোহাম্মদ রফিকের শৈশব কাটে বাগেরহাটে। ম্যাট্রিক পাস করে ঢাকার নটর ডেম কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হন। কিন্তু পরে ঢাকা কলেজে মানবিক বিভাগে চলে যান। ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন মোহাম্মদ রফিক। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি পাকিস্তানের সামরিক শাসনবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হন।

পাকিস্তানের সামরিক আদালত মোহাম্মদ রফিককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। কিন্তু এমএ পরীক্ষার জন্য তিনি ছাড়া পান। ১৯৭১ সালে তিনি প্রথমে মুক্তিযুদ্ধের ১ নম্বর সেক্টরের কর্মকর্তা হিসেবে এবং পরে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে কাজ করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতা করার পর তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। তিনি দীর্ঘ সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান ছিলেন।

মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কবি মোহাম্মদ রফিক২০০৯ সালের ২৯ জুন অবসরে যান মোহাম্মদ রফিক। অবসরের পর রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বসবাস করতেন। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। গত সপ্তাহে ছোট ছেলে অধ্যাপক ড. শুদ্ধসত্ত্ব রফিকের সঙ্গে কবি গ্রামের বাড়ি আসেন। গতকাল রোববার সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তখন প্রথমে বাগেরহাট এবং পরে বরিশালে নেওয়া হয়। বরিশালের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে বিভিন্ন পরীক্ষার পর কবির হার্টের সমস্যাসহ বেশ কিছু শারীরিক জটিলতা ধরা পড়লে চিকিৎসকেরা ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেন। সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যরা কবিকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলে পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।

কবি মোহাম্মদ রফিক। ছবি: সংগৃহীত১৯৭০ সালে মোহাম্মদ রফিকের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ প্রকাশিত হয়। ১৯৭৬ সালে প্রকাশ পায় তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘ধুলার সংসারে এই মাটি’। মোহাম্মদ রফিক একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, প্রথম আলো বর্ষসেরা গ্রন্থ পুরস্কার, জেমকন সাহিত্য পুরস্কারসহ বিভিন্ন স্বীকৃতি ও পুরস্কার অর্জন করেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে ‘কপিলা’, ‘খোলা কবিতা, ‘গাওদিয়া’, ‘মানব পদাবলী’, ‘আত্মরক্ষার প্রতিবেদন’ উল্লেখযোগ্য।

কবি ঢাকায় থাকলেও এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নয়নে পৈতৃক ভিটায় সব ভাইবোন মিলে সামছউদ্দিন-নাহার ট্রাস্ট নামে একটি বেসরকারি সংস্থা গড়ে তুলেছিলেন। কবি মোহাম্মদ রফিক ছিলেন সামছউদ্দিন-নাহার ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি আমৃত্যু এর সদস্য ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিএনপি নেতার দিঘিতে বিষপ্রয়োগ, অভিযোগ দলীয় প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
বিষ প্রয়োগের কারণে মাছ মরে ভেসে ওঠে। ছবি: সংগৃহীত
বিষ প্রয়োগের কারণে মাছ মরে ভেসে ওঠে। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের বিএনপির প্রার্থী ডি এম জিয়াউর রহমান জিয়ার সমর্থকদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দিঘিতে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলা বিএনপির সদস্য ও গোবিন্দাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের দিঘিতে বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিঘিটি গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন এলাকায়। ৩৫ বিঘা আয়তনের ওই দিঘিতে বিষ প্রয়োগের কারণে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি হাবিবুর রহমানের। তাঁর অভিযোগ, ডি এম জিয়াউর রহমানের অনুসারীরা দিঘিতে বিষ দিয়েছেন।

গতকাল বাগমারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডি এম জিয়াউর রহমানকে এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব অধ্যাপক কামাল হোসেন। হাবিবুর রহমান অধ্যাপক কামাল হোসেনের অনুসারী।

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত অধ্যাপক কামাল হোসেনের অনুসারী। রাজনৈতিক কারণে আমার দিঘিতে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলা হয়েছে। মনোনয়ন ঘোষণার পর রাতেই বিষ প্রয়োগ করা হয়। সকালে মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকলে পাহারাদার বিষয়টি লক্ষ করে আমাকে জানান। বেলা যত বাড়ছে, মাছ তত বেশি ভেসে উঠছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার দিঘির পাশেই বিল। বিলের মাছচাষি খুরশেদ, রফিক, সাইফুল, সাইদুরসহ কয়েকজনকে গতকালই জিয়ার সমর্থক আয়নাল, রেজাউল, শহিদুল মেম্বার ও আব্দুল হুমকি দেয় এই বলে যে, ‘‘আমাদের সঙ্গে থাকলে না, এখন যেন পুকুর থেকে মাছ মারা না হয়।’’ এরপর রাতেই আমার দিঘিতে বিষ দেওয়া হয়েছে। বিলে তো আমার দিঘি না। আমার ক্ষতিটা করল কেন? বিষয়টা পুলিশকে জানিয়েছি। দেখি, পুলিশ কী ব্যবস্থা নেয়।’

জানতে চাইলে ডি এম জিয়াউর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ শুনে আমি লোক পাঠিয়েছিলাম। দিঘির মাছ মরেনি। হাবিবুর নিজে নিজে বিষ দিয়েছেন। এমন বিষ যে ছোট মাছ মারা যাবে, বড় মাছ মরবে না। সে রকম ছোট ছোট কিছু মাছ মরেছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। মাছ যদি মারা যায়, আমি নিজে তাকে ক্ষতিপূরণ দেব।’

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘হাবিবুর রহমান মৌখিকভাবে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। দিঘি দেখতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা ফিরলে বিস্তারিত বলা যাবে। এ নিয়ে কোনো অভিযোগ হলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানির মামলা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
জামায়াত নেতা জাহিদুল ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
জামায়াত নেতা জাহিদুল ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের রেজিস্ট্রার ও সহকারী অধ্যাপক ড. নাহরিন ইসলাম খানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে সিরাজগঞ্জ সদর আমলি আদালতে দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় মামলাটি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলাকারীর আইনজীবী সিরাজগঞ্জ জজ আদালতের অ্যাডভোকেট আবু তালেব আকন্দ।

এজাহারে জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ৫ আগস্ট ২০২৪ আওয়ামী সরকার পতনের পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা কোনো ধরনের ভাঙচুর বা আর্থিক ক্ষতিসাধন করেননি। ফলে সাধারণ জনগণসহ আওয়ামী লীগের অনেক সমর্থকও তাদের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন। তিনি আসন্ন সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন এবং জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। এমন অবস্থায় একটি মহল অসৎ উদ্দেশ্যে তাঁকে ও জামায়াতে ইসলামীকে নির্বাচনে পরাজিত করার লক্ষ্যে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে মানহানিকর বক্তব্য প্রচার করেছে।

এজাহারে জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ঘটনার তারিখে ও সময়ে গাজী টিভির ‘রেইনবো নেশন বনাম ধর্মীয় কার্ড, টাইমলাইন বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে সঞ্চালক কাজী জেসিনের পরিচালনায় ড. নাহরিন ইসলাম খান বলেন, ‘জামায়াতের সিরাজগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি বলেছেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের স্ত্রীদের প্রতি জামায়াতের হক। ড. নাহরিন ইসলাম খানের এ বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, কুরুচিপূর্ণ ও জামায়াত ইসলামীর নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থী দাবি করে এজাহারে জাহিদুল ইসলাম বলেন, তিনি কখনো এমন বক্তব্য দেননি। এ মিথ্যা মন্তব্যের মাধ্যমে আসামি তাঁর ও তাঁর দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন এবং দেশ-বিদেশে জামায়াতপন্থী মানুষকে মর্মাহত করেছেন। এ ঘটনায় দলীয় নেতাদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে মামলা করতে দেরি হয়েছে বলে এজাহারে জানান জাহিদুল ইসলাম।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে উদ্দেশ্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যে মন্তব্য করেছেন সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও কুরুচিপূর্ণ। আমি কখনো এমন কথা বলিনি। এতে আমার ব্যক্তিগত মর্যাদা এবং জামায়াতে ইসলামীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এজন্য আমি মামলাটি করেছি।’

সিরাজগঞ্জ জজ আদালতের অ্যাডভোকেট আবু তালেব আকন্দ বলেন, ‘আমরা আদালতে ভিডিও ক্লিপসহ সব প্রমাণ উপস্থাপন করেছি। আদালত প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে মামলাটির পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য বিবেচনায় নিয়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের যমুনা অভিমুখী মিছিলে পুলিশের বাধা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার এক দফা দাবি নিয়ে যমুনার অভিমুখে যেতে চাইলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন শিক্ষকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার এক দফা দাবি নিয়ে যমুনার অভিমুখে যেতে চাইলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন শিক্ষকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার এক দফা দাবি নিয়ে শিক্ষকেরা যমুনার অভিমুখে যাত্রা করলে পথেই আটকে দিয়েছে পুলিশ। আজ দুপুর ৩টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে পল্টন ঘুরে যমুনার অভিমুখে মিছিল নিয়ে যাত্রা করেন শিক্ষকেরা। মিছিলটি সাড়ে ৩টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাত্রা করলে কদম ফোয়ারার সামনে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় সেখানেই বসে পড়েন শিক্ষকেরা।

প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশের মুখোমুখি অবস্থান করতে দেখা গেছে নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের। দাবি আদায় না হলে প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া র হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। ‘নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে শিক্ষকেরা এই কর্মসূচি পালন করছেন।

স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার এক দফা দাবি নিয়ে যমুনার অভিমুখে যেতে চাইলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন শিক্ষকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার এক দফা দাবি নিয়ে যমুনার অভিমুখে যেতে চাইলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন শিক্ষকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

শিক্ষকেরা জানান, দীর্ঘদিন আগে স্বীকৃতি পেলেও তাঁদের প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত হয়নি। ফলে শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

অবিলম্বে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, অথচ সেই শিক্ষকদের জীবন আজ অনিশ্চয়তার মধ্যে।

শিক্ষকেরা আরও ঘোষণা দেন, দ্রুত দাবি না মানলে তাঁরা অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচির পথে যাবেন।

সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া বলেন, ‘প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে —এটাই আমাদের প্রত্যাশা। ফ্যাসিবাদের কিছু দোসর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এই দোসরদের চিহ্নিত করে, প্রত্যাহার করে অবিলম্বে আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দিন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪২
ট্রাকের চাপায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন সিএনজি অটোরিকশার পাঁচ আরোহী। ছবি: আজকের পত্রিকা
ট্রাকের চাপায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন সিএনজি অটোরিকশার পাঁচ আরোহী। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বসুরহাট-কবিরহাট সড়কে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অটোরিকশাটি ট্রাকের নিচে ঢুকে চালকসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নোয়াখালী সরকারি কলেজের দুই শিক্ষার্থী রয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক শাহ আলম, নোয়াখালী কলেজের ছাত্র তানিম হাসান ও ছাত্রী ইসরাত জাহান, বিবি কুলসুম, জান্নাত ও সুমন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারের উদ্দেশে জেলা শহর মাইজদী থেকে একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছেড়ে যায়। অটোরিকশাটি কবিরহাট পৌর এলাকার কবিরহাট-বসুরহাট সড়কের ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার নতুন ভবনের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। অটোরিকশাটি ট্রাকের নিচে ঢুকে যায়। এতে অটোরিকশার তিনজন ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত তিনজনকে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে একজন ও হাসপাতালে নিলে আরও একজন যাত্রী মারা যান।

এ ঘটনায় আহত একজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর পর তিনিও মারা যান। ঘটনার পরপর ট্রাকটি জব্দ করেছেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে কবিরহাট থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালান।

কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘটনাস্থলে তিনজন, কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর দুজন ও নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও একজন মারা যান।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালান। অটোরিকশাটিতে থাকা চালকসহ ছয়জনই মারা গেছেন। গাড়ি দুটি থানায় আনা হয়েছে। ঘটনার পরপর ট্রাকচালক পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত