প্রতিনিধি, মোংলা (বাগেরহাট)
করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর গতকাল থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে সুন্দরবন। কিন্তু বন বিভাগ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানার যে শর্ত দেওয়া হয় ঘুরতে আসা পর্যটকেরা তা মানছেন না।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, করোনা মহামারির কারণে চলতি বছরের ৩ এপ্রিল থেকে সুন্দরবন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ। করোনা সংক্রমণ কমে আসায় দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস পর গত ২৯ আগস্ট মন্ত্রণালয়ের এক সভায় বনের অভ্যন্তরে দর্শনার্থীদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় বন বিভাগ। তবে পর্যটকদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ বেশ কিছু শর্তও জুড়ে দেয় বন বিভাগ। তার মধ্যে ছিল বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বনের অভ্যন্তরে সর্বোচ্চ ২৫ জনের গ্রুপে ভ্রমণ এবং পর্যটনবাহী নৌযানগুলোতে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক পর্যটক পরিবহন। এসব নিয়ম অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির কথাও জানিয়েছিল বন বিভাগ।
তবে গতকাল থেকে সুন্দরবন ভ্রমণের সময় এ শর্ত মানেননি পর্যটকেরা। ভ্রমণে বন বিভাগ ওই সব শর্ত জুড়ে দিলেও কোন কাজ হয়নি। গতকাল সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ৯০ শতাংশ দর্শনার্থীদের মুখে ছিল না মাস্ক, এমনকি সামাজিক দূরত্বও মানেননি তারা। আর পর্যটক এসেছে পুরো নৌযান ভর্তি হয়ে। তবে নিয়মভঙ্গকারী কোনো পর্যটকদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি বন বিভাগকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পূর্ব সুন্দরবনের করমজল পর্যটন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, আমরা সুন্দরবন ভ্রমণে পর্যটকদের সুনির্দিষ্ট কিছু নীতিমালা দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা তা মানছেন না। পর্যটকদের আমরা নানা ভাবে সচেতন করতে চেষ্টা চালাচ্ছি। নৌযান থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদেরকে মাস্ক ব্যবহার করতে নির্দেশ দিই। তারপরও তারা সচেতন হয়নি। তিনি দাবি করেন, আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।
স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যারা সুন্দরবন ভ্রমণে এসেছেন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বেলায়েত হোসেন বলেন, প্রথম দু’একদিন পর্যটকদের আমরা সচেতন ও সতর্ক করে দিচ্ছি। এরপরেও যারা স্বাস্থ্যবিধি ও অন্যান্য নিয়ম অনুসরণ করবেন না তাদের বিরুদ্ধে আমরা সিওআর মামলা দিয়ে জরিমানা করব।
বগুড়া, বাগেরহাট ও মেহেরপুর থেকে দল বেঁধে সুন্দরবন দেখতে আসা বেশ কয়েকজন পর্যটকের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। লিপি আক্তার, সালমান শেখ, অপু রায়হানসহ অনেকেরই এই প্রথম সুন্দরবনে আসা। লকডাউনে ঘরবন্দী জীবনের অবসান ঘটাতে এখানে এসে খুব ভালো লেগেছে তাদের। বাংলাদেশে এত সুন্দর 'সুন্দরবন' আছে তা তাদের কাছে পরম বিস্ময়। মাস্ক পরছেন না কেন বা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে ঘুরছেন কেন এম প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, জীবনে প্রথমবার এসেছি। তাই আমরা অনেক মুগ্ধতা নিয়ে বিশে^র অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছি। আর এ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের সময় কি এত নিয়মকানুন মনে থাকে?
করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর গতকাল থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে সুন্দরবন। কিন্তু বন বিভাগ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানার যে শর্ত দেওয়া হয় ঘুরতে আসা পর্যটকেরা তা মানছেন না।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, করোনা মহামারির কারণে চলতি বছরের ৩ এপ্রিল থেকে সুন্দরবন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ। করোনা সংক্রমণ কমে আসায় দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস পর গত ২৯ আগস্ট মন্ত্রণালয়ের এক সভায় বনের অভ্যন্তরে দর্শনার্থীদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় বন বিভাগ। তবে পর্যটকদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ বেশ কিছু শর্তও জুড়ে দেয় বন বিভাগ। তার মধ্যে ছিল বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বনের অভ্যন্তরে সর্বোচ্চ ২৫ জনের গ্রুপে ভ্রমণ এবং পর্যটনবাহী নৌযানগুলোতে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক পর্যটক পরিবহন। এসব নিয়ম অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির কথাও জানিয়েছিল বন বিভাগ।
তবে গতকাল থেকে সুন্দরবন ভ্রমণের সময় এ শর্ত মানেননি পর্যটকেরা। ভ্রমণে বন বিভাগ ওই সব শর্ত জুড়ে দিলেও কোন কাজ হয়নি। গতকাল সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ৯০ শতাংশ দর্শনার্থীদের মুখে ছিল না মাস্ক, এমনকি সামাজিক দূরত্বও মানেননি তারা। আর পর্যটক এসেছে পুরো নৌযান ভর্তি হয়ে। তবে নিয়মভঙ্গকারী কোনো পর্যটকদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি বন বিভাগকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পূর্ব সুন্দরবনের করমজল পর্যটন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, আমরা সুন্দরবন ভ্রমণে পর্যটকদের সুনির্দিষ্ট কিছু নীতিমালা দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা তা মানছেন না। পর্যটকদের আমরা নানা ভাবে সচেতন করতে চেষ্টা চালাচ্ছি। নৌযান থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদেরকে মাস্ক ব্যবহার করতে নির্দেশ দিই। তারপরও তারা সচেতন হয়নি। তিনি দাবি করেন, আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।
স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যারা সুন্দরবন ভ্রমণে এসেছেন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বেলায়েত হোসেন বলেন, প্রথম দু’একদিন পর্যটকদের আমরা সচেতন ও সতর্ক করে দিচ্ছি। এরপরেও যারা স্বাস্থ্যবিধি ও অন্যান্য নিয়ম অনুসরণ করবেন না তাদের বিরুদ্ধে আমরা সিওআর মামলা দিয়ে জরিমানা করব।
বগুড়া, বাগেরহাট ও মেহেরপুর থেকে দল বেঁধে সুন্দরবন দেখতে আসা বেশ কয়েকজন পর্যটকের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। লিপি আক্তার, সালমান শেখ, অপু রায়হানসহ অনেকেরই এই প্রথম সুন্দরবনে আসা। লকডাউনে ঘরবন্দী জীবনের অবসান ঘটাতে এখানে এসে খুব ভালো লেগেছে তাদের। বাংলাদেশে এত সুন্দর 'সুন্দরবন' আছে তা তাদের কাছে পরম বিস্ময়। মাস্ক পরছেন না কেন বা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে ঘুরছেন কেন এম প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, জীবনে প্রথমবার এসেছি। তাই আমরা অনেক মুগ্ধতা নিয়ে বিশে^র অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছি। আর এ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের সময় কি এত নিয়মকানুন মনে থাকে?
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলের দরবারে হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর তৌহিদী জনতা মিছিল নিয়ে এসে দরবার শরীফে হামলা চালালে, নুরাল পাগলের ভক্তরা এর পাল্টা জবাব দেয়। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং প্রায় অর্ধশত মানুষ আহত হয়। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা...
১২ মিনিট আগেআরেক স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম বলেন, "সে একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ। সবাই তাকে ভয় পায়। মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধের সঙ্গে সে জড়িত। সে প্রকাশ্যে চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। পরে জনতা ধাওয়া করলে সে পালিয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ জনতা তার বাড়ি ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে, কিন্তু পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে...
৩৪ মিনিট আগেযশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে ইমরান হোসেন নামে যশোর জেলা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ ঘোষিত) এক নেতাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। ধারণা করা হচ্ছে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি সীমান্তে অবস্থান করছিলেন। শুক্রবার (৫ সেপ্টম্বর) রাত ৮টার দিকে স্থানীয় জনতা তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আটক ইমরান যশোর..
১ ঘণ্টা আগেউপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ফকিরহাট উপজেলার আটটি ইউনিয়নে বর্তমানে ১০ হেক্টর জমিতে ৮০ জন কৃষক মাছের ঘেরে অমৌসুমী তরমুজ চাষ করেছেন। কৃষকদের বীজ, সার, প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়েছে কৃষি বিভাগ। মাছের ঘেরের আইলের ওপর গাছ রোপন ও ঘেরে পানির ওপর মাচা হওয়ায় বাড়তি জমি নষ্ট...
১ ঘণ্টা আগে