নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশকদের হতাশা আরেক ধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে সরকারের লকডাউন সিদ্ধান্ত। করোনা সংক্রমণের উর্ধ্বগতির কারণে আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন দিতে যাচ্ছে সরকার। এমন ঘোষণায় এবারের একুশে বইমেলার বাকি দিনগুলো নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন প্রকাশক ও স্টল মালিকরা। প্রকাশকরা বলছেন বাংলা একাডেমির কাছে তারা ক্ষতিপূরণ চাইবেন। অন্যদিকে বাংলা একাডেমি মেলা চলবে কিনা এবং বন্ধ হলে স্টল মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানাচ্ছে না।
তবে মেলার বিষয়ে আগামীকাল রবিবার সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছে বাংলা একাডেমি।
এ বিষয়ে আজ শনিবার (৩ এপ্রিল) গ্রন্থপ্রকাশের কর্ণধার মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, লকডাউন হলে তো মেলা বন্ধ হওয়ারই কথা। আমরা এমনিতেই এ বছর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি৷ মেলা বন্ধ হলে ক্ষতির অংকটা আরও বাড়বে। বাংলা একাডেমির কাছে আমরা ক্ষতিপূরণের প্রত্যাশা করছি।
শিশু গ্রন্থকুটিরের কর্ণধার মুনিরুজ্জামান বলেন, আমাদের এক মাসের জন্য স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এখন তার আগেই যদি মেলা বন্ধ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে তো আমাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত৷ টাকা ফেরত না দিলেও বাংলা একাডেমি যদি বলে যে, পরবর্তীতে মেলায় স্টল মালিকদের থেকে ৫০ শতাংশ অর্থ কম রাখা হবে তাহলেও আমরা খুশি।'
একের পর এক বাধা আর নানা অনিশ্চয়তা পেরিয়ে গত ১৮ মার্চ শুরু হয় অমর একুশে গ্রন্থমেলা- ২০২১। কিন্তু মেলা শুরু হলেও পাঠকখড়া কাটছিল না কিছুতেই। যখন মেলা কিছুটা জমে উঠতে শুরু করে তখনই বাংলা একাডেমি মেলার সময় কমিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত করে। এ নিয়ে প্রকাশক ও বাংলা একাডেমির মধ্যে এক ধরনের বিরোধ চলছিল। প্রকাশকরা বিকেল চারটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত মেলার সময় নির্ধারণের আবেদন করেছিলেন। তবে সেই আবেদনের কোনো সুরাহা হওয়ার আগেই লকডাউনের ঘোষণা এলো। এতে এ বছরের বইমেলার ভবিষ্যতের উপর 'ফুল স্টপ' পড়লো বলে মনে করছেন প্রকাশকেরা।
মেলার ভবিষ্যত প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমির সহকারী পরিচালক মোস্তফা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লকডাউনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকার কথা। বইমেলাও এর বাইরে নয়। তবে আমরা সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। সরকার যেমন নির্দেশনা দেবে আমরা সেটাই করবো।'
মেলা বন্ধ হলে স্টল মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা কামাল বলেন, এবার তো এমনিতেই অন্যান্যবারের চেয়ে অর্ধেক দামে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি এবং প্রকাশকদের দুর্দশার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই এটা করা হয়েছিল। এরপরও যদি প্রকাশকরা ক্ষতিপূরণ চান সেটা ভেবে দেখা হবে৷
আজ শনিবার যে নতুন বইগুলো এসেছে
শনিবার ছুটির দিনে মেলায় ১৪৪ টি নতুন বই এসেছে। এ নিয়ে মেলায় মোট ২ হাজার ১১৩টি নতুন বই এলো। এদিন গ্রন্থ উন্মোচিত হয়েছে ১৪টি বইয়ের। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ডা. অপূর্ব পণ্ডিতের 'বঙ্গবন্ধুর স্বাস্থ্যসেবা' (গ্রন্থিক), জি কে গোরার 'মন ভালো নেই' (অমর প্রকাশনী), মহিউদ্দিন আহমেদের 'বঙ্গবন্ধুকে যেমন দেখেছি' (অমর প্রকাশনী), আমানুল্লাহ আমানের 'বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ' (মুক্তদেশ)।
প্রকাশকদের হতাশা আরেক ধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে সরকারের লকডাউন সিদ্ধান্ত। করোনা সংক্রমণের উর্ধ্বগতির কারণে আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন দিতে যাচ্ছে সরকার। এমন ঘোষণায় এবারের একুশে বইমেলার বাকি দিনগুলো নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন প্রকাশক ও স্টল মালিকরা। প্রকাশকরা বলছেন বাংলা একাডেমির কাছে তারা ক্ষতিপূরণ চাইবেন। অন্যদিকে বাংলা একাডেমি মেলা চলবে কিনা এবং বন্ধ হলে স্টল মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানাচ্ছে না।
তবে মেলার বিষয়ে আগামীকাল রবিবার সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছে বাংলা একাডেমি।
এ বিষয়ে আজ শনিবার (৩ এপ্রিল) গ্রন্থপ্রকাশের কর্ণধার মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, লকডাউন হলে তো মেলা বন্ধ হওয়ারই কথা। আমরা এমনিতেই এ বছর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি৷ মেলা বন্ধ হলে ক্ষতির অংকটা আরও বাড়বে। বাংলা একাডেমির কাছে আমরা ক্ষতিপূরণের প্রত্যাশা করছি।
শিশু গ্রন্থকুটিরের কর্ণধার মুনিরুজ্জামান বলেন, আমাদের এক মাসের জন্য স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এখন তার আগেই যদি মেলা বন্ধ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে তো আমাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত৷ টাকা ফেরত না দিলেও বাংলা একাডেমি যদি বলে যে, পরবর্তীতে মেলায় স্টল মালিকদের থেকে ৫০ শতাংশ অর্থ কম রাখা হবে তাহলেও আমরা খুশি।'
একের পর এক বাধা আর নানা অনিশ্চয়তা পেরিয়ে গত ১৮ মার্চ শুরু হয় অমর একুশে গ্রন্থমেলা- ২০২১। কিন্তু মেলা শুরু হলেও পাঠকখড়া কাটছিল না কিছুতেই। যখন মেলা কিছুটা জমে উঠতে শুরু করে তখনই বাংলা একাডেমি মেলার সময় কমিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত করে। এ নিয়ে প্রকাশক ও বাংলা একাডেমির মধ্যে এক ধরনের বিরোধ চলছিল। প্রকাশকরা বিকেল চারটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত মেলার সময় নির্ধারণের আবেদন করেছিলেন। তবে সেই আবেদনের কোনো সুরাহা হওয়ার আগেই লকডাউনের ঘোষণা এলো। এতে এ বছরের বইমেলার ভবিষ্যতের উপর 'ফুল স্টপ' পড়লো বলে মনে করছেন প্রকাশকেরা।
মেলার ভবিষ্যত প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমির সহকারী পরিচালক মোস্তফা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লকডাউনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকার কথা। বইমেলাও এর বাইরে নয়। তবে আমরা সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। সরকার যেমন নির্দেশনা দেবে আমরা সেটাই করবো।'
মেলা বন্ধ হলে স্টল মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা কামাল বলেন, এবার তো এমনিতেই অন্যান্যবারের চেয়ে অর্ধেক দামে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি এবং প্রকাশকদের দুর্দশার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই এটা করা হয়েছিল। এরপরও যদি প্রকাশকরা ক্ষতিপূরণ চান সেটা ভেবে দেখা হবে৷
আজ শনিবার যে নতুন বইগুলো এসেছে
শনিবার ছুটির দিনে মেলায় ১৪৪ টি নতুন বই এসেছে। এ নিয়ে মেলায় মোট ২ হাজার ১১৩টি নতুন বই এলো। এদিন গ্রন্থ উন্মোচিত হয়েছে ১৪টি বইয়ের। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ডা. অপূর্ব পণ্ডিতের 'বঙ্গবন্ধুর স্বাস্থ্যসেবা' (গ্রন্থিক), জি কে গোরার 'মন ভালো নেই' (অমর প্রকাশনী), মহিউদ্দিন আহমেদের 'বঙ্গবন্ধুকে যেমন দেখেছি' (অমর প্রকাশনী), আমানুল্লাহ আমানের 'বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ' (মুক্তদেশ)।
জানা যায়, জনদুর্ভোগ কমাতে গত ১৬ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুর দুই পাশে দুটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এতে সেতুর ওপর সব ধরনের দোকানপাট ও যানবাহন রাখা নিষেধ বলে সতর্ক করা হয়। ২০১১ সালে নির্মিত এই নতুন সেতুতে যানজট এড়াতে একসময় ট্রাফিক পুলিশ রাখা হলেও কয়েক মাস পর তাদের তুলে নেওয়া হয়।
১৫ মিনিট আগে২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে পর্যন্ত রফিকুল আলমকে বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। সেই সময় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নদভীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ও ব্যবসা ছিল। অভিযোগ আছে, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি ওইসব নেতাদের সঙ্গে মিলে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুরানো জাহাজের সরঞ্জাম বিক্রির দুটি দোকান ও একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের দোকানসহ মোট তিনটি দোকান পুড়ে গেছে। এ ছাড়া, মার্কেটের আরও কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মাদামবিবিরহাট চেয়ারম্যান
১ ঘণ্টা আগেচিঠি ছাড়াও বিদেশ অথবা দেশে আপনজনের কাছে টাকা পাঠাতে একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম এটি। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে ই-মেইল, অনলাইন আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবাদে এই পোস্ট অফিসের গুরুত্ব এখন আর নেই বললেই চলে। তবু এখনো এই পোস্ট অফিসে জীবনবীমা, সঞ্চয়পত্রের টাকা জামানত রাখা কিংবা জরুরি কাগজপত্র পাঠাতে নির্ভরযোগ্য
১ ঘণ্টা আগে