অনলাইন ডেস্ক
আজ ১১ এপ্রিল, প্রয়াত ফরাসি সাহিত্যিক জর্জ দুহামেলের মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৬৬ সালের এই দিনে তিনি পৃথিবীকে বিদায় জানান। ১৮৮৪ সালে জন্মগ্রহণ করা জর্জ দুহামেল একাধারে ছিলেন কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও চিকিৎসক। তাঁর লেখনীতে ছিল যুদ্ধবিরোধী ও মানবতাবাদের বার্তা।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে চিকিৎসক হিসেবে সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রের ভয়াবহতা দেখার অভিজ্ঞতা তাঁর সাহিত্যে গভীর ছাপ ফেলেছে। তাঁর সবচেয়ে স্মরণীয় কাজগুলোর একটি হলো, ক্রোনিক দে পাসকুয়ের (Chronique des Pasquier)। এটি দশ খণ্ডের এক মহাকাব্যিক উপন্যাস সিরিজ, যা একটি ফরাসি মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্পের মধ্য দিয়ে গোটা ফ্রান্সের সামাজিক-রাজনৈতিক বিবর্তনকে তুলে ধরে। এ ছাড়া ভিয়ে দে মার্তায়াখস (Vie des martyrs) এবং সিভিলাইজেশনও তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি। এ দুই সৃষ্টির মধ্য দিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন। অর্জন করেন গ্র্যান্ড প্রিক্স ডে লিটারেচার।
জর্জ দুহামেলের সাহিত্যজগৎ শব্দের আর্তনাদ ও আশা, বেদনার এবং মমতার। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য ২৭ বার মনোনীত হয়েছিলেন এই সাহিত্যিক! তবে দুর্ভাগ্যবশত পুরস্কারটি পাননি।
২৭ বার নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়া যেকোনো লেখকের জন্য বিরল কীর্তি। কিন্তু দুহামেল এতবার মনোনীত হয়ে একবারও কেন পেলেন না এই পুরস্কার? সাহিত্য বিশ্লেষকেরা বলেন, এর পেছনে থাকতে পারে বেশ কিছু কারণ। অনেকের মতে, তাঁর বিজ্ঞান ও যান্ত্রিক সভ্যতার কট্টর সমালোচক হওয়া একটি বড় কারণ। এ ছাড়া আলবেয়ার কামু, জ্যঁ পল সার্ত্রে, টমাস মান, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের মতো মহারথী তাঁর সমসাময়িক। তাঁদের কাজ ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি বিপ্লবাত্মক, দার্শনিক বা রাজনৈতিক দিক থেকে স্পষ্টতর। দুহামেল ছিলেন সেই তুলনায় অনেক বেশি নীরব ও মানবিক, যা কমিটির চোখে অপেক্ষাকৃত ‘নিখাদ সাহিত্য’ হলেও কম ‘সাহসী’ বা ‘সময়ের প্রতীক’ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকতে পারে।
জর্জ দুহামেল ১৮৮৪ সালের ৩০ জুন প্যারিসের জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার আর্থিকভাবে খুব একটা সচ্ছল ছিল না। তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান। সব মিলিয়ে তাঁর শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি খুব একটা সুখকর নয়; যা তাঁর আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস লে নতেয়্যাখ দু হ্যাভখ (Le Notaire du Havre) এ ফুটে ওঠে।
নানা প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে ১৯০২ সালে ব্যাকালোরিয়েট (স্কুলজীবনের শেষ পরীক্ষা) পাস করেন দুহামেল। চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চাও চালিয়ে যান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগে পর্যন্ত তিনি শিল্প-সাহিত্যবিষয়ক বিভিন্ন কাজ করে গেছেন। ১৯০৬ সালে শার্ল ভিলদ্রাকের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করেন ল্য আবায়ে দে খ্যাতেইল (l’Abbaye de Créteil) নামের একটি শিল্পগোষ্ঠী।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে সেনাবাহিনীতে সার্জন হিসেবে যোগ দেন দুহামেল। সেই অভিজ্ঞতা নিয়েই তিনি লেখেন ভিয়ে দে মার্তায়াখস (Vie des martyrs) এবং সিভিলাইজেশন।
আজ ১১ এপ্রিল, প্রয়াত ফরাসি সাহিত্যিক জর্জ দুহামেলের মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৬৬ সালের এই দিনে তিনি পৃথিবীকে বিদায় জানান। ১৮৮৪ সালে জন্মগ্রহণ করা জর্জ দুহামেল একাধারে ছিলেন কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও চিকিৎসক। তাঁর লেখনীতে ছিল যুদ্ধবিরোধী ও মানবতাবাদের বার্তা।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে চিকিৎসক হিসেবে সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রের ভয়াবহতা দেখার অভিজ্ঞতা তাঁর সাহিত্যে গভীর ছাপ ফেলেছে। তাঁর সবচেয়ে স্মরণীয় কাজগুলোর একটি হলো, ক্রোনিক দে পাসকুয়ের (Chronique des Pasquier)। এটি দশ খণ্ডের এক মহাকাব্যিক উপন্যাস সিরিজ, যা একটি ফরাসি মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্পের মধ্য দিয়ে গোটা ফ্রান্সের সামাজিক-রাজনৈতিক বিবর্তনকে তুলে ধরে। এ ছাড়া ভিয়ে দে মার্তায়াখস (Vie des martyrs) এবং সিভিলাইজেশনও তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি। এ দুই সৃষ্টির মধ্য দিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন। অর্জন করেন গ্র্যান্ড প্রিক্স ডে লিটারেচার।
জর্জ দুহামেলের সাহিত্যজগৎ শব্দের আর্তনাদ ও আশা, বেদনার এবং মমতার। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য ২৭ বার মনোনীত হয়েছিলেন এই সাহিত্যিক! তবে দুর্ভাগ্যবশত পুরস্কারটি পাননি।
২৭ বার নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়া যেকোনো লেখকের জন্য বিরল কীর্তি। কিন্তু দুহামেল এতবার মনোনীত হয়ে একবারও কেন পেলেন না এই পুরস্কার? সাহিত্য বিশ্লেষকেরা বলেন, এর পেছনে থাকতে পারে বেশ কিছু কারণ। অনেকের মতে, তাঁর বিজ্ঞান ও যান্ত্রিক সভ্যতার কট্টর সমালোচক হওয়া একটি বড় কারণ। এ ছাড়া আলবেয়ার কামু, জ্যঁ পল সার্ত্রে, টমাস মান, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের মতো মহারথী তাঁর সমসাময়িক। তাঁদের কাজ ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি বিপ্লবাত্মক, দার্শনিক বা রাজনৈতিক দিক থেকে স্পষ্টতর। দুহামেল ছিলেন সেই তুলনায় অনেক বেশি নীরব ও মানবিক, যা কমিটির চোখে অপেক্ষাকৃত ‘নিখাদ সাহিত্য’ হলেও কম ‘সাহসী’ বা ‘সময়ের প্রতীক’ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকতে পারে।
জর্জ দুহামেল ১৮৮৪ সালের ৩০ জুন প্যারিসের জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার আর্থিকভাবে খুব একটা সচ্ছল ছিল না। তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান। সব মিলিয়ে তাঁর শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি খুব একটা সুখকর নয়; যা তাঁর আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস লে নতেয়্যাখ দু হ্যাভখ (Le Notaire du Havre) এ ফুটে ওঠে।
নানা প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে ১৯০২ সালে ব্যাকালোরিয়েট (স্কুলজীবনের শেষ পরীক্ষা) পাস করেন দুহামেল। চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চাও চালিয়ে যান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগে পর্যন্ত তিনি শিল্প-সাহিত্যবিষয়ক বিভিন্ন কাজ করে গেছেন। ১৯০৬ সালে শার্ল ভিলদ্রাকের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করেন ল্য আবায়ে দে খ্যাতেইল (l’Abbaye de Créteil) নামের একটি শিল্পগোষ্ঠী।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে সেনাবাহিনীতে সার্জন হিসেবে যোগ দেন দুহামেল। সেই অভিজ্ঞতা নিয়েই তিনি লেখেন ভিয়ে দে মার্তায়াখস (Vie des martyrs) এবং সিভিলাইজেশন।
জার্মানিতে নির্বাসিত বাংলাদেশের প্রখ্যাত কবি দাউদ হায়দার বার্লিনের শ্যোনেবের্গ ক্লিনিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ১টায়) তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। কবি বার্লিনের...
২ দিন আগেধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে আগামীকাল শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে আলোকচিত্রী সাংবাদিক, গবেষক সাহাদাত পারভেজ সম্পাদিত ‘আলোকচিত্রপুরাণ’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। বইটি প্রকাশ করেছে কথাপ্রকাশ।
৫ দিন আগেনোবেলজয়ী পেরুভিয়ান সাহিত্যিক মারিও বার্গাস যোসা শুধু কথাসাহিত্যের জন্যই নন, মানবিকতা ও বিশ্ব রাজনীতির প্রতি গভীর মনোযোগের জন্যও পরিচিত। বাংলাদেশে এসিড হামলার শিকার নারীদের নিয়ে তাঁর লেখা হৃদয়বিদারক প্রবন্ধ ‘Weaker sex’ প্রমাণ করে, কীভাবে যোসার কলম ছুঁয়ে গিয়েছিল বাংলার পীড়িত নারীদের কান্না ও সংগ্রাম।
১৫ দিন আগেনোবেলজয়ী পেরুভিয়ান সাহিত্যিক মারিও বার্গাস যোসা মারা গেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার পেরুর রাজধানী লিমায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তাঁর ছেলে আলভারো বার্গাস যোসা মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
১৫ দিন আগে