আহমেদ রিয়াজ
বাইরে থেকে হঠাৎ হাঁক শুনতে পেল চালাকু, ‘চালাকু! ও চালাকু!’
বারান্দায় ছুটে গেল চালাকু। দোতলা থেকে উঁকি মারল রাস্তায়। ছোটমামা! কালো হয়ে গেল চালাকুর মুখ। ছোটমামাকে ও একটুও পছন্দ করে না। কেন? ছোটমামার মতো কিপটে ও দ্বিতীয়টা দেখেনি।
চালাকুর সঙ্গেও কম কিপটেমি করেননি। মামার জামায় পকেট নেই। এমনকি তাঁর প্যান্টেও কখনো পকেট খুঁজে পায়নি চালাকু। পকেট থাকলেই পকেটে টাকা রাখতে হবে। টাকা থাকলেই খরচ করতে হবে। আর খরচই যদি করে, তবে কিপটেমি করবে কী করে?
জীবন্ত কিংবদন্তি কিপটে হিসেবে অন্য কিপটেদের কাছে আদর্শ ছোটমামা।
ছোটমামাকে না দেখার ভান করে সটকে পড়তে চেয়েছিল চালাকু। কিন্তু ছোটমামার ছোট ছোট চোখজোড়ায় বাজপাখির মতো তীক্ষ্ণ দৃষ্টি। সেই দৃষ্টিতে ধরা পড়ে গেল চালাকু। তাড়া দিলেন মামা, ‘হাঁ করে তাকিয়ে আছিস কেন? বুবুর কাছ থেকে অটোরিকশার ভাড়াটা নিয়ে আয়।’
ততক্ষণে চালাকুর পেছনে মা এসে হাজির। মা কিন্তু ছোটমামার কিপটেমিতে কিছু মনে করেন না; বরং মায়ের উদারতার সুযোগ সুদে-আসলে আদায় করে নেন ছোটমামা।
অটোভাড়া নিয়ে চটপট নিচে নামল চালাকু। সঙ্গে মামি আর মামাতো ভাই রবিন। ওদের চালাকুদের ঘরে পাঠিয়ে দিলেন মামা।
নিচে নেমে অটোরিকশার মিটারের দিকে তাকাল চালাকু। কিন্তু এ কী! ভাড়া দেখাচ্ছে ২০০ টাকা। অথচ মামা ৫০০ টাকা চাইলেন কেন? চালাকু বুঝল, আসল ২০০ টাকার সঙ্গে ৩০০ টাকা সুদও আদায় করে নিয়েছেন ছোটমামা।
চা খাওয়ার জন্য ১০টা টাকা চেয়েছিল অটোচালক। এটিএম বুথের কাছে চাইলেও মেশিন থেকে দু-চার টাকা বেরোলেও হয়তো বেরোতে পারত। ছোটমামার হাত ফসকে একটা কয়েনও বেরোল না। কিছুক্ষণ ঘ্যান ঘ্যান করে চলে গেল অটোচালক।
মামার মুখে বিজয়ীর মুচকি হাসি। মামাকে নিয়ে ঘরে ঢুকল চালাকু। আর ঘরে ঢুকেই রবিনের কান্নার আওয়াজ শুনতে পেল। ‘অ্যাঁ... অ্যাঁ... অ্যাঁ...’
হাহাকার করে উঠলেন মা, ‘কী হলো ফুফুমণি!’
রবিন কেবল উচ্চারণ করল, ‘চিপস...’
বাকিটা ছোটমামাই বলে দিলেন, ‘সেই তখন থেকে ও আলুর চিপস খাওয়ার বায়না ধরেছে বুবু। আমি বলেছি, ফুফুর বাড়িতে গিয়ে খাস।’
মা হেসে রবিনকে কোলে তুলে নিলেন। আদর করে মাথায় হাত বোলালেন। তারপর হাঁক দিলেন, ‘চালাকু!’
ছুটে এল চালাকু। মা বললেন, ‘রবিনকে নিয়ে দোকানে যা। ওকে আলুর চিপস কিনে দে!’
বলেই চালাকুর এক হাতে রবিন আরেক হাতে ১০০ টাকার একটা নোট ধরিয়ে দিলেন মা। আড়চোখে দেখেছে চালাকু, ওই নোটের দিকে তাকিয়ে মামার চোখ চকচক করছে।
রাগে গা জ্বলতে লাগল চালাকুর। মনে মনে বলল, আমার নাম চালাকু খান। দ্যাখো না কী করি!
তবে মুখে কিছু বলল না। রবিনকে নিয়ে বেরিয়ে গেল।
একটা দোকানের সামনে এল চালাকু। বলল, ‘আপনার দোকানে আলুর চিপস আছে?’
দোকানদার অবাক হয়ে চালাকুর দিকে তাকালেন। তারপর বললেন, ‘নেই।’
রবিনকে বলল চালাকু, ‘শুনেছ রবিন? এই দোকানে আলুর চিপস নেই।’
রবিন বলল, ‘তাহলে আরেকটা দোকানে চলো!’
আরেকটা দোকানের সামনে এল চালাকু। জানতে চাইল, ‘আপনার দোকানে আলুর চিপস আছে?’
এই দোকানিও অবাক হয়ে চালাকুর দিকে তাকিয়ে রইলেন কিছুক্ষণ। যেন জীবনে কখনো আলুর চিপসের নামই শোনেননি। জবাব দিলেন, ‘নেই।’
‘শুনেছ রবিন! এই দোকানেও চিপস নেই।’
রবিন বলল, ‘তাহলে আরেকটা দোকানে চলো!’
আরও একটা দোকানে গেল চালাকু, ‘আলুর চিপস আছে?’
এই দোকান থেকেও জবাব পেল, ‘নেই।’
এবার রবিনের দিকে তাকিয়ে চালাকু বলল, ‘দেখেছ! আমাদের এখানকার দোকানগুলোয় আলুর চিপস বিক্রি হয় না।’
তারপর মুচকি মুচকি হাসতে লাগল।
আর রবিন? রবিনও মুচকি হেসে বলল, ‘তোমাদের এখানে
বুঝি কাঁচা সবজির দোকানে আলুর চিপস বিক্রি হয়?’
বাইরে থেকে হঠাৎ হাঁক শুনতে পেল চালাকু, ‘চালাকু! ও চালাকু!’
বারান্দায় ছুটে গেল চালাকু। দোতলা থেকে উঁকি মারল রাস্তায়। ছোটমামা! কালো হয়ে গেল চালাকুর মুখ। ছোটমামাকে ও একটুও পছন্দ করে না। কেন? ছোটমামার মতো কিপটে ও দ্বিতীয়টা দেখেনি।
চালাকুর সঙ্গেও কম কিপটেমি করেননি। মামার জামায় পকেট নেই। এমনকি তাঁর প্যান্টেও কখনো পকেট খুঁজে পায়নি চালাকু। পকেট থাকলেই পকেটে টাকা রাখতে হবে। টাকা থাকলেই খরচ করতে হবে। আর খরচই যদি করে, তবে কিপটেমি করবে কী করে?
জীবন্ত কিংবদন্তি কিপটে হিসেবে অন্য কিপটেদের কাছে আদর্শ ছোটমামা।
ছোটমামাকে না দেখার ভান করে সটকে পড়তে চেয়েছিল চালাকু। কিন্তু ছোটমামার ছোট ছোট চোখজোড়ায় বাজপাখির মতো তীক্ষ্ণ দৃষ্টি। সেই দৃষ্টিতে ধরা পড়ে গেল চালাকু। তাড়া দিলেন মামা, ‘হাঁ করে তাকিয়ে আছিস কেন? বুবুর কাছ থেকে অটোরিকশার ভাড়াটা নিয়ে আয়।’
ততক্ষণে চালাকুর পেছনে মা এসে হাজির। মা কিন্তু ছোটমামার কিপটেমিতে কিছু মনে করেন না; বরং মায়ের উদারতার সুযোগ সুদে-আসলে আদায় করে নেন ছোটমামা।
অটোভাড়া নিয়ে চটপট নিচে নামল চালাকু। সঙ্গে মামি আর মামাতো ভাই রবিন। ওদের চালাকুদের ঘরে পাঠিয়ে দিলেন মামা।
নিচে নেমে অটোরিকশার মিটারের দিকে তাকাল চালাকু। কিন্তু এ কী! ভাড়া দেখাচ্ছে ২০০ টাকা। অথচ মামা ৫০০ টাকা চাইলেন কেন? চালাকু বুঝল, আসল ২০০ টাকার সঙ্গে ৩০০ টাকা সুদও আদায় করে নিয়েছেন ছোটমামা।
চা খাওয়ার জন্য ১০টা টাকা চেয়েছিল অটোচালক। এটিএম বুথের কাছে চাইলেও মেশিন থেকে দু-চার টাকা বেরোলেও হয়তো বেরোতে পারত। ছোটমামার হাত ফসকে একটা কয়েনও বেরোল না। কিছুক্ষণ ঘ্যান ঘ্যান করে চলে গেল অটোচালক।
মামার মুখে বিজয়ীর মুচকি হাসি। মামাকে নিয়ে ঘরে ঢুকল চালাকু। আর ঘরে ঢুকেই রবিনের কান্নার আওয়াজ শুনতে পেল। ‘অ্যাঁ... অ্যাঁ... অ্যাঁ...’
হাহাকার করে উঠলেন মা, ‘কী হলো ফুফুমণি!’
রবিন কেবল উচ্চারণ করল, ‘চিপস...’
বাকিটা ছোটমামাই বলে দিলেন, ‘সেই তখন থেকে ও আলুর চিপস খাওয়ার বায়না ধরেছে বুবু। আমি বলেছি, ফুফুর বাড়িতে গিয়ে খাস।’
মা হেসে রবিনকে কোলে তুলে নিলেন। আদর করে মাথায় হাত বোলালেন। তারপর হাঁক দিলেন, ‘চালাকু!’
ছুটে এল চালাকু। মা বললেন, ‘রবিনকে নিয়ে দোকানে যা। ওকে আলুর চিপস কিনে দে!’
বলেই চালাকুর এক হাতে রবিন আরেক হাতে ১০০ টাকার একটা নোট ধরিয়ে দিলেন মা। আড়চোখে দেখেছে চালাকু, ওই নোটের দিকে তাকিয়ে মামার চোখ চকচক করছে।
রাগে গা জ্বলতে লাগল চালাকুর। মনে মনে বলল, আমার নাম চালাকু খান। দ্যাখো না কী করি!
তবে মুখে কিছু বলল না। রবিনকে নিয়ে বেরিয়ে গেল।
একটা দোকানের সামনে এল চালাকু। বলল, ‘আপনার দোকানে আলুর চিপস আছে?’
দোকানদার অবাক হয়ে চালাকুর দিকে তাকালেন। তারপর বললেন, ‘নেই।’
রবিনকে বলল চালাকু, ‘শুনেছ রবিন? এই দোকানে আলুর চিপস নেই।’
রবিন বলল, ‘তাহলে আরেকটা দোকানে চলো!’
আরেকটা দোকানের সামনে এল চালাকু। জানতে চাইল, ‘আপনার দোকানে আলুর চিপস আছে?’
এই দোকানিও অবাক হয়ে চালাকুর দিকে তাকিয়ে রইলেন কিছুক্ষণ। যেন জীবনে কখনো আলুর চিপসের নামই শোনেননি। জবাব দিলেন, ‘নেই।’
‘শুনেছ রবিন! এই দোকানেও চিপস নেই।’
রবিন বলল, ‘তাহলে আরেকটা দোকানে চলো!’
আরও একটা দোকানে গেল চালাকু, ‘আলুর চিপস আছে?’
এই দোকান থেকেও জবাব পেল, ‘নেই।’
এবার রবিনের দিকে তাকিয়ে চালাকু বলল, ‘দেখেছ! আমাদের এখানকার দোকানগুলোয় আলুর চিপস বিক্রি হয় না।’
তারপর মুচকি মুচকি হাসতে লাগল।
আর রবিন? রবিনও মুচকি হেসে বলল, ‘তোমাদের এখানে
বুঝি কাঁচা সবজির দোকানে আলুর চিপস বিক্রি হয়?’
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ ‘সাম্যবাদী’ প্রকাশের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত হলো বিশেষ সংকলন গ্রন্থ ‘গাহি সাম্যের গান’। আজ শনিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আইয়ের মুস্তাফা মনোয়ার স্টুডিওতে হয়ে গেল গ্রন্থটির প্রকাশনা উৎসব।
৫ দিন আগেগতবছরের আন্দোলন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল সারা বিশ্বের প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে। প্রবাসীরা নানা জায়গা থেকে একাত্মতা প্রকাশ করেছিলেন, কেউ সরাসরি আন্দোলনে যোগ দিতে দেশে এসেছিলেন, কেউ বা বিদেশ থেকেই আর্থিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সহায়তা দিয়ে আন্দোলনকে শক্তিশালী করেছিলেন। প্রবাসীদের এমন ভূমিকা
১৭ দিন আগেচোখ মেলে দেখি সাদা পরী আকাশি রঙের খাম হাতে দাঁড়িয়ে আছে। সামনে বিস্তীর্ণ জলরাশি। সমুদ্র পাড়ের বেঞ্চে শরীর এলিয়ে শুয়ে আছি। হাতে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর “সাঁতারু ও জলকন্যা”। সমুদ্রের ঢেউ এর আছড়ে পড়ার শব্দ আর ঝিরি ঝিরি বাতাসে খুব বেশিক্ষণ বইটার দিকে তাকিয়ে থাকতে পারিনি।
২৫ দিন আগেবাংলা সাহিত্যের শক্তিমান কবি মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদের স্মৃতিকে সম্মান জানাতে গুলশানে নির্মিত ‘কবি আল মাহমুদ পাঠাগার’ উদ্বোধন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ পার্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পাঠাগারটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
২৬ আগস্ট ২০২৫