জাহাঙ্গীর আলম
২০২১ সালের জুলাইয়ে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েস হত্যার পর থেকে হাইতি রাজনৈতিক অচলাবস্থা এবং ব্যাপক গ্যাং সহিংসতায় একেবারে পঙ্গু হয়ে গেছে। সরকারি পরিষেবা ভেঙে পড়েছে, কলেরা ছড়িয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে হাইতিতে আগের বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপের কারণে বহু ভোগান্তির অভিজ্ঞতার পরও কিছু হাইতিয়ান এখন বিদেশি সৈন্যদের ওপর ভরসা করতে বাধ্য হচ্ছেন।
হাইতির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি, যিনি মোয়েস হত্যাকাণ্ডের পর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, তিনি প্রভাবশালী বিদেশি শক্তির সমর্থন উপভোগ করছেন। তবে কঠোর হাইতিয়ান প্রতিরোধের মুখোমুখিও হচ্ছেন।
ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বিরোধী রাজনীতিবিদ মন্টানা অ্যাকর্ড ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা হেনরির শাসনের বিরোধিতা করছেন। নির্বাচনে একটি রূপান্তরের অঙ্গীকার ছিল, কিন্তু ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতার কারণে ভোট হয়নি। হেনরি নির্বাচন কমিশনও ভেঙে দিয়েছেন।
শত শত গ্যাং দেশের অর্ধেকেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা রাস্তা অবরোধ করে এবং সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে, মানুষকে ভীতি প্রদর্শনের অস্ত্র হিসেবে ধর্ষণকে ব্যবহার করে রাজধানী পোর্ট-আ-প্রিন্স প্রায় অচল করে দিয়েছে।
সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী জোট জি৯-এর নেতৃত্বে আছেন কুখ্যাত গ্যাং লিডার জিমি ‘বারবিকিউ’ চেরিজিয়ার। হাইতির গ্যাংগুলো কয়েক দশক ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, প্রায়শই রাজনীতিকদের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যদিও মোয়েস হত্যার পর থেকে তাদের ক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয়ে গেছে।
গত ছয় মাসে সমস্যাগুলো চরম আকার ধারণ করেছে। জুলাইয়ে পোর্ট-আ-প্রিন্সের কাছের বস্তি সিটি সোলেইলের দখল নিয়ে জি৯ এবং অন্য একটি গ্যাংয়ের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে ২০০ জনেরও বেশি প্রাণ হারায়।
দুই মাস পরে হেনরি জ্বালানি ভর্তুকি প্রত্যাহার করেন, যার ফলে দাম বেড়ে গণবিক্ষোভের সৃষ্টি হয়, এতে যোগ দেয় গ্যাং সদস্যরা। জি৯ একটি প্রধান পেট্রোলিয়াম টার্মিনাল দখল করে। এতে প্রায় পুরো দেশ জ্বালানির ঘাটতিতে পড়ে। এর প্রভাব পড়ে অন্যান্য জিনিসের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহব্যবস্থায়।
গ্যাং নেতা চেরিজিয়ার ওই সময় বলেছিলেন, হেনরি পদত্যাগ কলেই তিনি টার্মিনাল ছেড়ে দেবেন। যদিও হাইতিয়ান পুলিশ বাহিনী কয়েক মাস পরে এটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়।
ফলে হাইতিতে মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে। অর্ধেক জনসংখ্যা ৪৫ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন এবং প্রায় ২০ হাজার অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্বাস্থ্য ক্লিনিকগুলোতে পৌঁছাতে বাধাগ্রস্ত হয়েছেন সহায়তাকর্মীরা এবং বিশুদ্ধ পানির অভাবে কলেরা ফিরে এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অক্টোবরের শুরু থেকে ডিসেম্বরের শুরু পর্যন্ত ১৩ হাজারের বেশি মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ২৮৩ জন। তবে সঠিক পরিসংখ্যান হয়তো আরও বড়।
এই চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হয়ে হেনরি অক্টোবরে বিদেশি সামরিক সহায়তার আহ্বান জানান। এ ধরনের যেকোনো মিশনের কাজ হবে ঘনবসতিপূর্ণ শহুরে অঞ্চলে যুবক এবং শিশু-কিশোরদের গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কমিয়ে আনা।
রাজনৈতিক বিরোধিতাও রয়েছে: লবিস্ট মন্টানা গ্রুপ মূলত যেকোনো মিশনের বিরোধিতা করে, বিশ্বাস করে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী তাঁর ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে বৈদেশিক শক্তিকে ব্যবহার করবেন। বাইরের শক্তির কাছে দীর্ঘদিন পরাধীন থাকা এবং পূর্ববর্তী বিদেশি মিশনগুলোর রেকর্ড ভালো না। এ কারণে হাইতিয়ানরা বিদেশিদের ব্যাপারে সতর্ক। এর পরও ক্রমবর্ধমানসংখ্যক মানুষ, বিশেষ করে যেসব এলাকায় সবচেয়ে বেশি গ্যাং সহিংসতা হয়, তাঁরা নিছক হতাশা থেকে বিদেশি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
চেরিজিয়ারের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বর্তমান ও প্রাক্তন শীর্ষ রাজনীতিকের ওপর মার্কিন ও কানাডিয়ান নিষেধাজ্ঞা হাইতিয়ান অভিজাতদের একটা বার্তা দিয়েছে। গ্যাংগুলোর সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের প্রকৃতি নির্ধারণে হয়তো তাঁরা চিন্তা করবেন।
তবে অল্প কিছু দেশই হাইতিতে সেনা মোতায়েনে এগিয়ে আসছে। হেনরি ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীরা এ ধরনের একটি মিশনের ভূমিকা এবং একটি পরিবর্তনের রোডম্যাপে (রূপরেখা) যদি একমত হন, সেক্ষেত্রে বিদেশি হস্তক্ষেপ হাইতির জন্য ভালো হতে পারে বলে আশা করা যায়। অন্তত বিদেশি সেনা আগমন এবং অভিযানের হুমকি গ্যাংদের প্রধান সড়কগুলোর নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে এবং রাজধানীতে তাদের অবরুদ্ধ করতে পারে।
২০২১ সালের জুলাইয়ে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েস হত্যার পর থেকে হাইতি রাজনৈতিক অচলাবস্থা এবং ব্যাপক গ্যাং সহিংসতায় একেবারে পঙ্গু হয়ে গেছে। সরকারি পরিষেবা ভেঙে পড়েছে, কলেরা ছড়িয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে হাইতিতে আগের বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপের কারণে বহু ভোগান্তির অভিজ্ঞতার পরও কিছু হাইতিয়ান এখন বিদেশি সৈন্যদের ওপর ভরসা করতে বাধ্য হচ্ছেন।
হাইতির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি, যিনি মোয়েস হত্যাকাণ্ডের পর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, তিনি প্রভাবশালী বিদেশি শক্তির সমর্থন উপভোগ করছেন। তবে কঠোর হাইতিয়ান প্রতিরোধের মুখোমুখিও হচ্ছেন।
ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বিরোধী রাজনীতিবিদ মন্টানা অ্যাকর্ড ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা হেনরির শাসনের বিরোধিতা করছেন। নির্বাচনে একটি রূপান্তরের অঙ্গীকার ছিল, কিন্তু ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতার কারণে ভোট হয়নি। হেনরি নির্বাচন কমিশনও ভেঙে দিয়েছেন।
শত শত গ্যাং দেশের অর্ধেকেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা রাস্তা অবরোধ করে এবং সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে, মানুষকে ভীতি প্রদর্শনের অস্ত্র হিসেবে ধর্ষণকে ব্যবহার করে রাজধানী পোর্ট-আ-প্রিন্স প্রায় অচল করে দিয়েছে।
সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী জোট জি৯-এর নেতৃত্বে আছেন কুখ্যাত গ্যাং লিডার জিমি ‘বারবিকিউ’ চেরিজিয়ার। হাইতির গ্যাংগুলো কয়েক দশক ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, প্রায়শই রাজনীতিকদের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যদিও মোয়েস হত্যার পর থেকে তাদের ক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয়ে গেছে।
গত ছয় মাসে সমস্যাগুলো চরম আকার ধারণ করেছে। জুলাইয়ে পোর্ট-আ-প্রিন্সের কাছের বস্তি সিটি সোলেইলের দখল নিয়ে জি৯ এবং অন্য একটি গ্যাংয়ের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে ২০০ জনেরও বেশি প্রাণ হারায়।
দুই মাস পরে হেনরি জ্বালানি ভর্তুকি প্রত্যাহার করেন, যার ফলে দাম বেড়ে গণবিক্ষোভের সৃষ্টি হয়, এতে যোগ দেয় গ্যাং সদস্যরা। জি৯ একটি প্রধান পেট্রোলিয়াম টার্মিনাল দখল করে। এতে প্রায় পুরো দেশ জ্বালানির ঘাটতিতে পড়ে। এর প্রভাব পড়ে অন্যান্য জিনিসের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহব্যবস্থায়।
গ্যাং নেতা চেরিজিয়ার ওই সময় বলেছিলেন, হেনরি পদত্যাগ কলেই তিনি টার্মিনাল ছেড়ে দেবেন। যদিও হাইতিয়ান পুলিশ বাহিনী কয়েক মাস পরে এটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়।
ফলে হাইতিতে মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে। অর্ধেক জনসংখ্যা ৪৫ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন এবং প্রায় ২০ হাজার অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্বাস্থ্য ক্লিনিকগুলোতে পৌঁছাতে বাধাগ্রস্ত হয়েছেন সহায়তাকর্মীরা এবং বিশুদ্ধ পানির অভাবে কলেরা ফিরে এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অক্টোবরের শুরু থেকে ডিসেম্বরের শুরু পর্যন্ত ১৩ হাজারের বেশি মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ২৮৩ জন। তবে সঠিক পরিসংখ্যান হয়তো আরও বড়।
এই চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হয়ে হেনরি অক্টোবরে বিদেশি সামরিক সহায়তার আহ্বান জানান। এ ধরনের যেকোনো মিশনের কাজ হবে ঘনবসতিপূর্ণ শহুরে অঞ্চলে যুবক এবং শিশু-কিশোরদের গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কমিয়ে আনা।
রাজনৈতিক বিরোধিতাও রয়েছে: লবিস্ট মন্টানা গ্রুপ মূলত যেকোনো মিশনের বিরোধিতা করে, বিশ্বাস করে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী তাঁর ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে বৈদেশিক শক্তিকে ব্যবহার করবেন। বাইরের শক্তির কাছে দীর্ঘদিন পরাধীন থাকা এবং পূর্ববর্তী বিদেশি মিশনগুলোর রেকর্ড ভালো না। এ কারণে হাইতিয়ানরা বিদেশিদের ব্যাপারে সতর্ক। এর পরও ক্রমবর্ধমানসংখ্যক মানুষ, বিশেষ করে যেসব এলাকায় সবচেয়ে বেশি গ্যাং সহিংসতা হয়, তাঁরা নিছক হতাশা থেকে বিদেশি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
চেরিজিয়ারের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বর্তমান ও প্রাক্তন শীর্ষ রাজনীতিকের ওপর মার্কিন ও কানাডিয়ান নিষেধাজ্ঞা হাইতিয়ান অভিজাতদের একটা বার্তা দিয়েছে। গ্যাংগুলোর সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের প্রকৃতি নির্ধারণে হয়তো তাঁরা চিন্তা করবেন।
তবে অল্প কিছু দেশই হাইতিতে সেনা মোতায়েনে এগিয়ে আসছে। হেনরি ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীরা এ ধরনের একটি মিশনের ভূমিকা এবং একটি পরিবর্তনের রোডম্যাপে (রূপরেখা) যদি একমত হন, সেক্ষেত্রে বিদেশি হস্তক্ষেপ হাইতির জন্য ভালো হতে পারে বলে আশা করা যায়। অন্তত বিদেশি সেনা আগমন এবং অভিযানের হুমকি গ্যাংদের প্রধান সড়কগুলোর নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে এবং রাজধানীতে তাদের অবরুদ্ধ করতে পারে।
বিশ্বজুড়েই ছাত্র ইউনিয়নগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগকারী গোষ্ঠী হিসেবে কাজ করে। ইতিহাস বলে, এই ছাত্ররাই সরকারকে দায়বদ্ধ করে তোলে এবং তরুণদের অধিকার রক্ষা করে। বাংলাদেশে অনেক ছাত্র নেতা পরবর্তীকালে মূলধারার রাজনীতিতে প্রবেশ...
২ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনার পতনের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন ও বাংলাদেশের এক নতুন ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতির আশায় হাজারো মানুষ গত সপ্তাহে ঢাকায় জড়ো হয়েছিলেন। বর্ষাস্নাত দিনটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে নেতা, অধিকারকর্মীদের উপস্থিতিতে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক ‘নয়া বাংলাদেশের’ ঘোষণাপত্র উন্মোচন করেছেন।
১ দিন আগেমিয়ানমারে জান্তা বাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। সেই ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে গত ২৪ জুলাই মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর...
১ দিন আগে১৫৮ বছর আগে মাত্র ৭২ লাখ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আলাস্কা বিক্রি করে দিয়েছিল রাশিয়া। আর ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানসূত্র খুঁজতে সেখানেই বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প-পুতিন। মার্কিন মুল্লুকের এত সব জৌলুস এলাকা বাদ দিয়ে কেন এই হিমশীতল অঙ্গরাজ্য আলাস্কাকে বেছে নেওয়া হলো? এর পেছনে রহস্য কী?
২ দিন আগে