ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির মাধ্যমে মার্কিন রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বের মোড়ল পরিচয় ম্লান করে একতরফা মার্কিন কৌশল নিয়েছিলেন ট্রাম্প। আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়া, বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করা ও বিশ্বজুড়ে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি কমানোর চেষ্টা— এসব ছিল সেই কৌশলের অংশ। ট্রাম্পের তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপে বড় পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও সামরিক কৌশলের ক্ষেত্রে তাঁর শাসন নানামুখী প্রভাব ফেলবে।
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নতুন রূপ
‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির মাধ্যমে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের চিরাচরিত দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন ট্রাম্প। দায়িত্বের নামে ‘মোড়লিপনা’ দেখাতে অন্যান্য দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয় কমানোর চেষ্টা করে ট্রাম্প একতরফা কৌশল গ্রহণ করেছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে তাঁর এই নীতি আরও জোরালো হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাঁরা বলছেন, চীন ও রাশিয়ার মতো রাষ্ট্রগুলির বিরুদ্ধে শক্তিপ্রদর্শন অব্যাহত রেখে বাকি বিশ্বে প্রতিযোগিতামূলক কৌশল গ্রহণ করতে পারেন তিনি। ফরেন অ্যাফেয়ার্সের এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ‘ট্রাম্পের প্রশাসন সম্ভবত বিশ্বজুড়ে কৌশলগত ক্ষমতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নিতে পারে, যেখানে মার্কিন প্রভাব বজায় রাখতে সামরিক শক্তির সঙ্গে একতরফা কূটনীতির মেলবন্ধন ঘটতে পারে।’
যুদ্ধের কৌশল: কম সেনা উপস্থিতি, শক্তিশালী আক্রমণাত্মক কৌশল
প্রথম মেয়াদে মধ্যপ্রাচ্য ও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কৌশল নিয়েছিলেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদেও তিনি বিদেশে সেনা পাঠানোর পরিবর্তে মিত্র দেশগুলোকে সমর্থন দিতে পারেন। তবে ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে’ মার্কিন যুদ্ধ, চীনের সামরিক উত্থান ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে কৌশলগত চাপ বাড়াতে পারেন তিনি। দ্য আটলান্টিকের এক নিবন্ধে বলা হয়, ‘বিদেশে সেনাবাহিনীর সংখ্যা কমানোর পক্ষে ছিলেন ট্রাম্প। তবে তাঁর সরকার মূলত বিশ্বের বিভিন্ন অংশে অস্ত্র সরবরাহ ও কৌশলগত সহযোগিতার মাধ্যমে মার্কিন সামরিক শক্তি বাড়াতে চেয়েছিল।’
এছাড়া সাইবার যুদ্ধ ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে মার্কিন সামরিক শক্তির আধিপত্য বাড়ানোর জন্য নতুন কৌশল ব্যবহার করতে পারেন ট্রাম্প। এটি বিশ্বব্যাপী মার্কিন আধিপত্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। ওয়াশিংটনের পোস্টের মতে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ‘সাইবার যুদ্ধ’ ও ‘তথ্য যুদ্ধ’ বেশি গুরুত্ব পেতে পারে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত আধিপত্য বজায় থাকবে।
বাণিজ্য সম্পর্ক: চীন ও ইউরোপের সাথে তীব্র শুল্কযুদ্ধ
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করে তুলেছিল। বিশেষ করে চীন ও ইউরোপের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে বহু উচ্চাভিলাষী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন তিনি। তার শাসনে বাণিজ্য সম্পর্কের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল— চীনের বিরুদ্ধে ২ হাজার কোটি ডলারের শুল্ক আরোপ ও ইউরোপের সঙ্গে বিভিন্ন বাণিজ্য চুক্তি পরিবর্তন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্রুকিংস ইন্সটিটিউশনের মতে, ‘ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে চীনকে লক্ষ্য করে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারেন এবং মার্কিন বাণিজ্য নীতির একতরফা পরিবর্তন অব্যাহত রাখতে পারেন।’
মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্কের এই নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পৃথিবীজুড়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে চীনের মতো অন্য দেশগুলোতে বড় প্রভাব পড়তে পারে। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে বিশেষত চীনকে লক্ষ্যবস্তু করার মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতা তীব্র হতে পারে। ট্রাম্পের কৌশল বিশ্ব বাণিজ্যে এক নতুন ধরনের মুক্ত আবহ সৃষ্টি করবে, যেখানে শুধুমাত্র মার্কিন স্বার্থ প্রাধান্য পাবে।
সামরিক বাহিনী ও বাণিজ্য সম্পর্কের ভবিষ্যত
দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প হয়তো নিজ দেশের সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করবেন। তার পাশাপাশি মিত্র রাষ্ট্রগুলোকে অস্ত্র সরবরাহ ও কৌশলগত সমর্থন দেবেন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র হিসেবে চীন ও রাশিয়া মার্কিন কৌশলকে চ্যালেঞ্জ করবে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন জটিলতা সৃষ্টি হবে। ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের এক প্রতিবেদন বলছে, ‘চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পেলে, মার্কিন বাণিজ্য নীতি আরও একতরফা ও আক্রমণাত্মক হতে পারে।’
বৈশ্বিক ক্ষমতার পুনর্বিন্যাস
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ নতুন রূপ নিতে পারে, যেখানে একতরফা কূটনীতি ও অর্থনৈতিক শক্তির মাধ্যমে অন্য রাষ্ট্রগুলির উপর মার্কিন আধিপত্য বজায় রাখা হবে। চীন ও রাশিয়া এর প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করতে থাকবে এবং ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে মার্কিন সম্পর্কের মধ্যেও উত্তেজনা তৈরি হতে পারে। দ্য ডিপ্লোম্যাট এক নিবন্ধে বলেছে, ‘যেহেতু চীন ও রাশিয়া মার্কিন কৌশল ঠেকানোর চেষ্টা করবে, তাই ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে বিশ্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও সামরিক উত্তেজনা বেড়ে যেতে পারে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে, যেখানে সামরিক শক্তি, বাণিজ্য সম্পর্ক ও কূটনৈতিক কৌশলের মাধ্যমে বিশ্বে মার্কিন প্রভাব বজায় রাখার চেষ্টা আরও তীব্র হবে। যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের মধ্যে তীব্রতা বাড়াতে এবং বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে মার্কিন অবস্থান সুসংহত করতে নতুন পদক্ষেপ নিতে পারেন ট্রাম্প। তবে এই কৌশল বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে চীন ও রাশিয়াসহ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রের সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়তে পারে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির মাধ্যমে মার্কিন রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বের মোড়ল পরিচয় ম্লান করে একতরফা মার্কিন কৌশল নিয়েছিলেন ট্রাম্প। আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়া, বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করা ও বিশ্বজুড়ে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি কমানোর চেষ্টা— এসব ছিল সেই কৌশলের অংশ। ট্রাম্পের তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপে বড় পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও সামরিক কৌশলের ক্ষেত্রে তাঁর শাসন নানামুখী প্রভাব ফেলবে।
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নতুন রূপ
‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির মাধ্যমে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের চিরাচরিত দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন ট্রাম্প। দায়িত্বের নামে ‘মোড়লিপনা’ দেখাতে অন্যান্য দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয় কমানোর চেষ্টা করে ট্রাম্প একতরফা কৌশল গ্রহণ করেছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে তাঁর এই নীতি আরও জোরালো হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাঁরা বলছেন, চীন ও রাশিয়ার মতো রাষ্ট্রগুলির বিরুদ্ধে শক্তিপ্রদর্শন অব্যাহত রেখে বাকি বিশ্বে প্রতিযোগিতামূলক কৌশল গ্রহণ করতে পারেন তিনি। ফরেন অ্যাফেয়ার্সের এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ‘ট্রাম্পের প্রশাসন সম্ভবত বিশ্বজুড়ে কৌশলগত ক্ষমতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নিতে পারে, যেখানে মার্কিন প্রভাব বজায় রাখতে সামরিক শক্তির সঙ্গে একতরফা কূটনীতির মেলবন্ধন ঘটতে পারে।’
যুদ্ধের কৌশল: কম সেনা উপস্থিতি, শক্তিশালী আক্রমণাত্মক কৌশল
প্রথম মেয়াদে মধ্যপ্রাচ্য ও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কৌশল নিয়েছিলেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদেও তিনি বিদেশে সেনা পাঠানোর পরিবর্তে মিত্র দেশগুলোকে সমর্থন দিতে পারেন। তবে ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে’ মার্কিন যুদ্ধ, চীনের সামরিক উত্থান ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে কৌশলগত চাপ বাড়াতে পারেন তিনি। দ্য আটলান্টিকের এক নিবন্ধে বলা হয়, ‘বিদেশে সেনাবাহিনীর সংখ্যা কমানোর পক্ষে ছিলেন ট্রাম্প। তবে তাঁর সরকার মূলত বিশ্বের বিভিন্ন অংশে অস্ত্র সরবরাহ ও কৌশলগত সহযোগিতার মাধ্যমে মার্কিন সামরিক শক্তি বাড়াতে চেয়েছিল।’
এছাড়া সাইবার যুদ্ধ ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে মার্কিন সামরিক শক্তির আধিপত্য বাড়ানোর জন্য নতুন কৌশল ব্যবহার করতে পারেন ট্রাম্প। এটি বিশ্বব্যাপী মার্কিন আধিপত্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। ওয়াশিংটনের পোস্টের মতে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ‘সাইবার যুদ্ধ’ ও ‘তথ্য যুদ্ধ’ বেশি গুরুত্ব পেতে পারে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত আধিপত্য বজায় থাকবে।
বাণিজ্য সম্পর্ক: চীন ও ইউরোপের সাথে তীব্র শুল্কযুদ্ধ
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করে তুলেছিল। বিশেষ করে চীন ও ইউরোপের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে বহু উচ্চাভিলাষী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন তিনি। তার শাসনে বাণিজ্য সম্পর্কের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল— চীনের বিরুদ্ধে ২ হাজার কোটি ডলারের শুল্ক আরোপ ও ইউরোপের সঙ্গে বিভিন্ন বাণিজ্য চুক্তি পরিবর্তন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্রুকিংস ইন্সটিটিউশনের মতে, ‘ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে চীনকে লক্ষ্য করে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারেন এবং মার্কিন বাণিজ্য নীতির একতরফা পরিবর্তন অব্যাহত রাখতে পারেন।’
মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্কের এই নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পৃথিবীজুড়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে চীনের মতো অন্য দেশগুলোতে বড় প্রভাব পড়তে পারে। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে বিশেষত চীনকে লক্ষ্যবস্তু করার মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতা তীব্র হতে পারে। ট্রাম্পের কৌশল বিশ্ব বাণিজ্যে এক নতুন ধরনের মুক্ত আবহ সৃষ্টি করবে, যেখানে শুধুমাত্র মার্কিন স্বার্থ প্রাধান্য পাবে।
সামরিক বাহিনী ও বাণিজ্য সম্পর্কের ভবিষ্যত
দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প হয়তো নিজ দেশের সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করবেন। তার পাশাপাশি মিত্র রাষ্ট্রগুলোকে অস্ত্র সরবরাহ ও কৌশলগত সমর্থন দেবেন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র হিসেবে চীন ও রাশিয়া মার্কিন কৌশলকে চ্যালেঞ্জ করবে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন জটিলতা সৃষ্টি হবে। ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের এক প্রতিবেদন বলছে, ‘চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পেলে, মার্কিন বাণিজ্য নীতি আরও একতরফা ও আক্রমণাত্মক হতে পারে।’
বৈশ্বিক ক্ষমতার পুনর্বিন্যাস
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ নতুন রূপ নিতে পারে, যেখানে একতরফা কূটনীতি ও অর্থনৈতিক শক্তির মাধ্যমে অন্য রাষ্ট্রগুলির উপর মার্কিন আধিপত্য বজায় রাখা হবে। চীন ও রাশিয়া এর প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করতে থাকবে এবং ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে মার্কিন সম্পর্কের মধ্যেও উত্তেজনা তৈরি হতে পারে। দ্য ডিপ্লোম্যাট এক নিবন্ধে বলেছে, ‘যেহেতু চীন ও রাশিয়া মার্কিন কৌশল ঠেকানোর চেষ্টা করবে, তাই ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে বিশ্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও সামরিক উত্তেজনা বেড়ে যেতে পারে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে, যেখানে সামরিক শক্তি, বাণিজ্য সম্পর্ক ও কূটনৈতিক কৌশলের মাধ্যমে বিশ্বে মার্কিন প্রভাব বজায় রাখার চেষ্টা আরও তীব্র হবে। যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের মধ্যে তীব্রতা বাড়াতে এবং বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে মার্কিন অবস্থান সুসংহত করতে নতুন পদক্ষেপ নিতে পারেন ট্রাম্প। তবে এই কৌশল বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে চীন ও রাশিয়াসহ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রের সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়তে পারে।
ভারতীয় নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২৬ পর্যটক নিহত হওয়ার দুই সপ্তাহ পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছে। কেবল তাই নয়, এর আগে ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে দেশটির বিরুদ্ধে ব্যাপক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেভারত ও পাকিস্তান—দুই প্রতিবেশী পারমাণবিক শক্তিধর দেশ বর্তমানে এমন এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মুখোমুখি, যা সহজে ভয়াবহ যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। ভারতের কাশ্মীরে গত মাসে (এপ্রিল) ঘটে যাওয়া নৃশংস হামলায় ২৫ জন ভারতীয় পর্যটক এবং এক গাইড নিহত হওয়ার পর থেকে অঞ্চলটিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল...
২১ ঘণ্টা আগেকাশ্মীর হলো একটি নানান জাতিগোষ্ঠীতে ভরপুর হিমালয়ের অঞ্চল। এই অঞ্চলটি হ্রদ, উপত্যকা এবং বরফে ঢাকা পাহাড়ের সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান কাশ্মীর অঞ্চল নিয়ে এখন পর্যন্ত দুটি যুদ্ধ এবং একাধিকবার সীমিত সংঘাতে জড়িয়েছে। কিন্তু কেন এই অঞ্চল নিয়ে তাদের বিরোধ
১ দিন আগেভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে গড়াল। এরই মধ্যে পাকিস্তানে ২৬ ও ভারতে ৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) তুমুল গোলাগুলির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে অন্তত তিনটি যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।
১ দিন আগে