Ajker Patrika

গোতাবায়া চলেই গেলে শ্রীলঙ্কায় কী হবে

আপডেট : ১১ জুলাই ২০২২, ১৮: ৩৪
গোতাবায়া চলেই গেলে শ্রীলঙ্কায় কী হবে

ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি পদত্যাগে প্রস্তুত। এর পরপরই মুখ খোলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তিনি জানান, ১৩ জুলাই পদ ছেড়ে দেবেন। এখন প্রশ্ন উঠছে, গোতাবায়া যদি শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেই ফেলেন, তখন কী হবে শ্রীলঙ্কায়? 

এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। এক প্রতিবেদনে শ্রীলঙ্কার সংবিধানে বর্ণিত বিভিন্ন বিধি নিয়ে আলোচনা করেছে এনডিটিভি। প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করলে দেশটিতে সাংবিধানিকভাবে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। 

প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করলে শ্রীলঙ্কায় কী হবে?
দেশটির সংবিধান অনুসারে, যদি মেয়াদকাল পূর্ণ না করেই পদত্যাগ করেন প্রেসিডেন্ট, তবে পার্লামেন্টের বর্তমান সদস্যদের মধ্য থেকে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পূর্বসূরির মেয়াদের বাকিটা সময় দায়িত্ব পালন করে যাবেন। 

কত দ্রুত এই প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে?
বর্তমান প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ করার এক মাসের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। এমন নির্দেশনাই আছে শ্রীলঙ্কার সংবিধানে। 

প্রক্রিয়াটি কীভাবে সম্পন্ন হবে?
প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের তিন দিনের মধ্যে পার্লামেন্টের অধিবেশন ডাকতে হবে। ওই অধিবেশনে পার্লামেন্টের মহাসচিব আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের খবর সদস্যদের জানাবেন। যদি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য একাধিক ব্যক্তি মনোনয়ন পান, তবে গোপন ব্যালটে পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোট দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, যিনি কিনা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করবেন। 

নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগের সময়টায় কী হবে?
শ্রীলঙ্কার সংবিধান অনুসারে, ক্ষমতার দিক থেকে প্রেসিডেন্টের পরই প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান। প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করলে প্রধানমন্ত্রীই ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রয়োজনে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যদের নিয়োগ দিতে পারেন। তবে সমস্যা হলো, শ্রীলঙ্কার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেও পদত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। এখন গোতাবায়া ও রনিল—দুজনেই যদি পদত্যাগ করে বসেন, তবে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে। 

প্রসঙ্গত, চরম অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভের মুখে এর আগে সরে যেতে হয়েছিল দীর্ঘদিনের প্রধানমন্ত্রী এবং গোতাবায়া রাজাপক্ষের ভাই মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে। জনদাবির মুখে তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন রনিল বিক্রমাসিংহে। কিন্তু প্রেসিডেন্টের গদি আঁকড়ে ছিলেন গোতাবায়া রাজাপক্ষে। 

এমন পরিস্থিতিতেই জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খাদ্যসংকট চরমে পৌঁছায়। ফলে আবারও পথে নামে মানুষ। শনিবার বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো। সারা দেশ থেকে বিক্ষোভকারীরা এসে জড়ো হয় শহরটিতে। সরকারবিরোধী র‍্যালি ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের একপর্যায়ে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়ে তারা। চলমান অচলাবস্থার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে ও প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে পদত্যাগে সম্মতির বিষয়টি জানান। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

ঢাবিতে পাঁচ প্যানেলে ভোটের যুদ্ধ

দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এনসিপির মাহিন সরকারকে বহিষ্কার

যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকারকে বহিষ্কারের কারণ জানাল এনসিপি

আদালতে আসামির স্বীকারোক্তি—১০ লাখ টাকা লোন দেয়নি বলে ব্যাংকে চুরির সিদ্ধান্ত নিই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত