সম্পাদকীয়
আতাউস সামাদ ছিলেন বস্তুনিষ্ঠ, অনুসন্ধানী সাংবাদিক এবং সম্পাদক। তিনি ১৯৩৭ সালের ১৬ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের সতের দরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শৈশব কেটেছে জলপাইগুড়ি, সিলেট, বরিশাল, রাজশাহী ও ঢাকায়।
আতাউস সামাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন তিনি ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের প্রচার সম্পাদক ছিলেন।
তাঁর সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি হয় ১৯৫৬ সালে ‘সচিত্র সন্ধানী’ পত্রিকার মাধ্যমে। এরপর তিনি ‘দৈনিক আজাদ’ পত্রিকায় সহসম্পাদক পদে যোগ দিয়ে পরবর্তী সময়ে এই পত্রিকার রিপোর্টার হন। ১৯৬২ সালে তিনি ‘পাকিস্তান অবজারভার’ পত্রিকায় যোগ দেন এবং ১৯৬৯ সালে প্রধান প্রতিবেদক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। ১৯৭০-৭১ সময়কালে তিনি করাচির ‘দি সান’ পত্রিকার পূর্ব পাকিস্তান শাখার ব্যুরো চিফ ছিলেন। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যোগ দেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস)। তিনি দিল্লিতে বাসসের বিশেষ প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ টাইমস-এর বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর তিনি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে যোগ দিয়ে সেখানে প্রায় এক যুগ কাজ করেন। সাহসী সাংবাদিকতার কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল এরশাদ সরকার।
২০ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেন আতাউস সামাদ। তিনি দৈনিক ‘আমার দেশ’ পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক এবং এনটিভির প্রধান নির্বাহী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ছিলেন সাপ্তাহিক ‘এখন’ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক।
তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও রাজনৈতিক ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম রিপোর্টগুলো হয়েছে তাঁর নৈপুণ্যেই। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মওলানা ভাসানীর মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সাংবাদিক হিসেবে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অনস্বীকার্য।
দীর্ঘ সাংবাদিক জীবনে তিনি নিয়মিত নিবন্ধ, প্রবন্ধ ও কলাম লিখেছেন। তাঁর লেখা ‘এ কালের বয়ান’ বইটি পেয়েছে পাঠকপ্রিয়তা।
আতাউস সামাদ ২০১২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
আতাউস সামাদ ছিলেন বস্তুনিষ্ঠ, অনুসন্ধানী সাংবাদিক এবং সম্পাদক। তিনি ১৯৩৭ সালের ১৬ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের সতের দরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শৈশব কেটেছে জলপাইগুড়ি, সিলেট, বরিশাল, রাজশাহী ও ঢাকায়।
আতাউস সামাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন তিনি ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের প্রচার সম্পাদক ছিলেন।
তাঁর সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি হয় ১৯৫৬ সালে ‘সচিত্র সন্ধানী’ পত্রিকার মাধ্যমে। এরপর তিনি ‘দৈনিক আজাদ’ পত্রিকায় সহসম্পাদক পদে যোগ দিয়ে পরবর্তী সময়ে এই পত্রিকার রিপোর্টার হন। ১৯৬২ সালে তিনি ‘পাকিস্তান অবজারভার’ পত্রিকায় যোগ দেন এবং ১৯৬৯ সালে প্রধান প্রতিবেদক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। ১৯৭০-৭১ সময়কালে তিনি করাচির ‘দি সান’ পত্রিকার পূর্ব পাকিস্তান শাখার ব্যুরো চিফ ছিলেন। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যোগ দেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস)। তিনি দিল্লিতে বাসসের বিশেষ প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ টাইমস-এর বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর তিনি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে যোগ দিয়ে সেখানে প্রায় এক যুগ কাজ করেন। সাহসী সাংবাদিকতার কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল এরশাদ সরকার।
২০ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেন আতাউস সামাদ। তিনি দৈনিক ‘আমার দেশ’ পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক এবং এনটিভির প্রধান নির্বাহী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ছিলেন সাপ্তাহিক ‘এখন’ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক।
তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও রাজনৈতিক ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম রিপোর্টগুলো হয়েছে তাঁর নৈপুণ্যেই। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মওলানা ভাসানীর মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সাংবাদিক হিসেবে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অনস্বীকার্য।
দীর্ঘ সাংবাদিক জীবনে তিনি নিয়মিত নিবন্ধ, প্রবন্ধ ও কলাম লিখেছেন। তাঁর লেখা ‘এ কালের বয়ান’ বইটি পেয়েছে পাঠকপ্রিয়তা।
আতাউস সামাদ ২০১২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টানটান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
১২ ঘণ্টা আগেযতীন স্যারকে নিয়ে কথা বলতে বসলে মনে হয়, কথাগুলো শুধু লেখা নয়—এ যেন হৃদয়ের ভেতরের কিছু টুকরো তুলে ধরা। দুপুরে হঠাৎ এক সুহৃদ ফোন করে বলল, ‘শুনেছ? যতীন স্যার নেই!’—মুহূর্তেই আমার বুক কেঁপে উঠল। মনে হলো, জীবনের এক অমূল্য আশ্রয় হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি।
২ দিন আগেএকটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
৪ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
৮ দিন আগে