সম্পাদকীয়
ড. কাজী মোতাহার হোসেনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বলা হতো ‘ফান্ডামেন্টালিস্ট’। সবকিছু গোড়া থেকে ধরতেন বলেই এই নাম। তিনি বিশ্বাস করতেন, ভিত পাকা না হলে বিল্ডিং মজবুত হয় না। সামান্য ভুল হলেও সমালোচনাসহ তা ধরিয়ে দেওয়াই সংগত।
তিনি পড়াতেনও নিজের মতো করে। নিজের সন্তানদেরও কোনো ছাড় দিতেন না। একবার তাঁর বড় মেয়ে ক্লাস ফাইভের ছাত্রী যোবায়দা মির্যা স্কুলে যায়নি। স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী ক্লাসে কেউ অনুপস্থিত থাকলে পরদিন কারণ জানিয়ে দরখাস্ত না করলে স্কুলে ক্লাস করতে দেওয়া হতো না। যোবায়দা তার আব্বুর কাছে গেলেন দরখাস্তের আশায়। কাজী মোতাহার হোসেন মিষ্টি হেসে ঘাড় কাত করে বললেন, ‘তা তুই একটা নিজে লিখে আন, আমি দেখে ঠিক করে দেব।’
মহা সমস্যায় পড়লেন যোবায়দা। ক্লাস ফাইভের বিদ্যার ওপর নির্ভর করে ইংরেজিতে লিখে ফেললেন দরখাস্ত। কাজী সাহেব তা পড়ে তো মহা খুশি। বললেন, ‘এই তো তুই নিজেই পারিস। যথাসম্ভব নিজের কাজ নিজে করা ভালো।’ বলে সেই দরখাস্তের ওপরই কাউন্টার সাইন করে দিলেন। তখন ক্লাস টিচার সেটা দেখালেন প্রিন্সিপালকে। তখন থেকে নিয়ম হলো শিক্ষার্থীরাই দরখাস্ত লিখবে, গার্জেনকে দিয়ে সই করিয়ে আনবে।
একবার যোবায়দাকে স্কুল টিচার এক পৃষ্ঠা হাতের লেখা দিয়েছেন: ‘চাঁদ শোভে নীল আকাশে’।
প্রথম কয়েকটা লাইন তো ঠিকই লিখলেন তিনি। তারপর থেকে লিখতে লাগলেন, ‘চাঁদ শো ভেনীল আকাশে’। বারবার।
সেটা জেনে কাজী মোতাহার হোসেন মেয়েকে বললেন, ‘বল তো, এই বাক্যটির মানে: নিত্যসা ফতেনা দিয়ামা জিলেভা লথাকে।’
যোবায়দা পারল না। তখন কাজী সাহেব বললেন, ‘নিত্য সাফ তেনা দিয়া মাজিলে ভাল থাকে। মানে লণ্ঠনের কথা বলা হচ্ছে।’
কোনো কিছু না বলেই তিনি মেয়ের হাতের লেখা খাতার ভুলটা এভাবেই ধরিয়ে দিলেন।
সূত্র: যোবায়দা মির্যা, সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি, পৃষ্ঠা ৩৬-৩৭
ড. কাজী মোতাহার হোসেনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বলা হতো ‘ফান্ডামেন্টালিস্ট’। সবকিছু গোড়া থেকে ধরতেন বলেই এই নাম। তিনি বিশ্বাস করতেন, ভিত পাকা না হলে বিল্ডিং মজবুত হয় না। সামান্য ভুল হলেও সমালোচনাসহ তা ধরিয়ে দেওয়াই সংগত।
তিনি পড়াতেনও নিজের মতো করে। নিজের সন্তানদেরও কোনো ছাড় দিতেন না। একবার তাঁর বড় মেয়ে ক্লাস ফাইভের ছাত্রী যোবায়দা মির্যা স্কুলে যায়নি। স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী ক্লাসে কেউ অনুপস্থিত থাকলে পরদিন কারণ জানিয়ে দরখাস্ত না করলে স্কুলে ক্লাস করতে দেওয়া হতো না। যোবায়দা তার আব্বুর কাছে গেলেন দরখাস্তের আশায়। কাজী মোতাহার হোসেন মিষ্টি হেসে ঘাড় কাত করে বললেন, ‘তা তুই একটা নিজে লিখে আন, আমি দেখে ঠিক করে দেব।’
মহা সমস্যায় পড়লেন যোবায়দা। ক্লাস ফাইভের বিদ্যার ওপর নির্ভর করে ইংরেজিতে লিখে ফেললেন দরখাস্ত। কাজী সাহেব তা পড়ে তো মহা খুশি। বললেন, ‘এই তো তুই নিজেই পারিস। যথাসম্ভব নিজের কাজ নিজে করা ভালো।’ বলে সেই দরখাস্তের ওপরই কাউন্টার সাইন করে দিলেন। তখন ক্লাস টিচার সেটা দেখালেন প্রিন্সিপালকে। তখন থেকে নিয়ম হলো শিক্ষার্থীরাই দরখাস্ত লিখবে, গার্জেনকে দিয়ে সই করিয়ে আনবে।
একবার যোবায়দাকে স্কুল টিচার এক পৃষ্ঠা হাতের লেখা দিয়েছেন: ‘চাঁদ শোভে নীল আকাশে’।
প্রথম কয়েকটা লাইন তো ঠিকই লিখলেন তিনি। তারপর থেকে লিখতে লাগলেন, ‘চাঁদ শো ভেনীল আকাশে’। বারবার।
সেটা জেনে কাজী মোতাহার হোসেন মেয়েকে বললেন, ‘বল তো, এই বাক্যটির মানে: নিত্যসা ফতেনা দিয়ামা জিলেভা লথাকে।’
যোবায়দা পারল না। তখন কাজী সাহেব বললেন, ‘নিত্য সাফ তেনা দিয়া মাজিলে ভাল থাকে। মানে লণ্ঠনের কথা বলা হচ্ছে।’
কোনো কিছু না বলেই তিনি মেয়ের হাতের লেখা খাতার ভুলটা এভাবেই ধরিয়ে দিলেন।
সূত্র: যোবায়দা মির্যা, সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি, পৃষ্ঠা ৩৬-৩৭
১৬৫৫ সালে গৌড়ীয় রীতিতে রাজবাড়ির বালিয়াকান্দী উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামে জোড় বাংলা মন্দির ও বিগ্রহ নির্মাণ করেন রাজা সীতারাম রায়। দুটো মন্দির পাশাপাশি নির্মাণ করা হয় বলে এর এমন নাম। স্থানীয়দের মতে, রাজা সীতারাম বেলগাছিতে সোনায় গড়া মূর্তি দিয়ে দুর্গাপূজা করতে...
২ দিন আগে১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৬ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
১৩ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২৩ দিন আগে