আজকের পত্রিকা ডেস্ক
সৈয়দ মুজতবা আলী প্যারিসে গেছেন পড়াশোনা করতে। এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ান। নানা কিছুর সঙ্গে পরিচিত হন। রাস্তার ধারে শিল্পীদের দেখেন। একসময় আবিষ্কার করেন এই শিল্পীরাও দুভাগে বিভক্ত। এদের এক ভাগ ফুটপাতের রেলিংয়ের ওপর সাজিয়ে রাখেন তাঁদের চিত্রকর্ম। কেউ যদি কোনো ছবি সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে তিনি তাঁর ছবির আদ্যোপান্ত শুনিয়ে দেন।
ছবি বিক্রি হবে–এ রকম আশা তাঁরা খুব একটা করেন না। যদি বিক্রি হয়েই যায়, তাহলে তিনি ক্রেতার কানে কানে বলে দেন: ‘এই ছবি কিনে আপনি একেবারে ঠকেননি। কোনো একদিন এই ছবি দেখার জন্য সারা পৃথিবীর মানুষ আপনার দোরগোড়ায় ধরনা দেবে।’ ছবি বিক্রি না হলে উপোস করে মরাই তাঁর নিয়তি।
আরেক দল চিত্রকর আরও হতভাগা। রং বা ক্যানভাস কেনার পয়সা তাঁদের নেই। রঙিন খড়ি দিয়ে তাঁরা ফুটপাতে ছবি আঁকেন। বেছে নেন নির্জন ফুটপাত। তার পাশে তাঁর হ্যাটটা থাকে চিত করে পাতা। কেউ দয়া করে যদি টাকা দেন, তাহলেই এঁরা খেতে পান।
প্যারিসেরই এক রাস্তায় শতচ্ছিন্ন কোট-পাতলুন পরে এক লোক বেহালা বাজাচ্ছিলেন। বেহালায় বাজছিল ভাটিয়ালি সুর। বাঙালি! তাঁকে কফি খাওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন মুজতবা আলী। লোকটা পাত্তাই দিলেন না। যখন হতাশ হয়ে ফিরে আসবেন, তখনই লোকটা হ্যাট তুলে নিয়ে সঙ্গ নিলেন তাঁর। চা না কফি খাবেন–এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বললেন, ‘আবসাৎ’! আবসাৎ হলো কড়া মদ।
এক পাত্র না, আরও কয়েক পাত্র খাওয়ার পরই শুধু তাঁর মুখে কথা ফুটল। প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের নানা আর্টিস্টের নাম করে তিনি নানা কথা বলতে লাগলেন। বাদ গেল না নানা যুগের নানা লেখকের কথাও। এ রকম একজন মানুষ ফুটপাতে বেহালা বাজাচ্ছেন আর কড়া মদ গিলে চলেছেন, এটা ভেবে খুবই অবাক হয়েছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। তবে তাঁর সম্পর্কে আর কিছুই জানতে পারেননি তিনি।
সূত্র: কিসের সন্ধানে, সৈয়দ মুজতবা আলী রচনাবলী ১, পৃষ্ঠা: ৪৯-৫৪
সৈয়দ মুজতবা আলী প্যারিসে গেছেন পড়াশোনা করতে। এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ান। নানা কিছুর সঙ্গে পরিচিত হন। রাস্তার ধারে শিল্পীদের দেখেন। একসময় আবিষ্কার করেন এই শিল্পীরাও দুভাগে বিভক্ত। এদের এক ভাগ ফুটপাতের রেলিংয়ের ওপর সাজিয়ে রাখেন তাঁদের চিত্রকর্ম। কেউ যদি কোনো ছবি সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে তিনি তাঁর ছবির আদ্যোপান্ত শুনিয়ে দেন।
ছবি বিক্রি হবে–এ রকম আশা তাঁরা খুব একটা করেন না। যদি বিক্রি হয়েই যায়, তাহলে তিনি ক্রেতার কানে কানে বলে দেন: ‘এই ছবি কিনে আপনি একেবারে ঠকেননি। কোনো একদিন এই ছবি দেখার জন্য সারা পৃথিবীর মানুষ আপনার দোরগোড়ায় ধরনা দেবে।’ ছবি বিক্রি না হলে উপোস করে মরাই তাঁর নিয়তি।
আরেক দল চিত্রকর আরও হতভাগা। রং বা ক্যানভাস কেনার পয়সা তাঁদের নেই। রঙিন খড়ি দিয়ে তাঁরা ফুটপাতে ছবি আঁকেন। বেছে নেন নির্জন ফুটপাত। তার পাশে তাঁর হ্যাটটা থাকে চিত করে পাতা। কেউ দয়া করে যদি টাকা দেন, তাহলেই এঁরা খেতে পান।
প্যারিসেরই এক রাস্তায় শতচ্ছিন্ন কোট-পাতলুন পরে এক লোক বেহালা বাজাচ্ছিলেন। বেহালায় বাজছিল ভাটিয়ালি সুর। বাঙালি! তাঁকে কফি খাওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন মুজতবা আলী। লোকটা পাত্তাই দিলেন না। যখন হতাশ হয়ে ফিরে আসবেন, তখনই লোকটা হ্যাট তুলে নিয়ে সঙ্গ নিলেন তাঁর। চা না কফি খাবেন–এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বললেন, ‘আবসাৎ’! আবসাৎ হলো কড়া মদ।
এক পাত্র না, আরও কয়েক পাত্র খাওয়ার পরই শুধু তাঁর মুখে কথা ফুটল। প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের নানা আর্টিস্টের নাম করে তিনি নানা কথা বলতে লাগলেন। বাদ গেল না নানা যুগের নানা লেখকের কথাও। এ রকম একজন মানুষ ফুটপাতে বেহালা বাজাচ্ছেন আর কড়া মদ গিলে চলেছেন, এটা ভেবে খুবই অবাক হয়েছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। তবে তাঁর সম্পর্কে আর কিছুই জানতে পারেননি তিনি।
সূত্র: কিসের সন্ধানে, সৈয়দ মুজতবা আলী রচনাবলী ১, পৃষ্ঠা: ৪৯-৫৪
১৬৫৫ সালে গৌড়ীয় রীতিতে রাজবাড়ির বালিয়াকান্দী উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামে জোড় বাংলা মন্দির ও বিগ্রহ নির্মাণ করেন রাজা সীতারাম রায়। দুটো মন্দির পাশাপাশি নির্মাণ করা হয় বলে এর এমন নাম। স্থানীয়দের মতে, রাজা সীতারাম বেলগাছিতে সোনায় গড়া মূর্তি দিয়ে দুর্গাপূজা করতে...
২ দিন আগে১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৬ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
১৩ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২৩ দিন আগে