সম্পাদকীয়
জসীমউদ্দীন যখন পড়াশোনা করছেন, তখন মুসলমান ছাত্ররা পড়াশোনায় পিছিয়ে ছিল। হিন্দু শিক্ষার্থীরাই মূলত পড়াশোনায় আলো ছড়াচ্ছিল। ফরিদপুরে হিতৈষী স্কুলে ক্লাস ফোর শেষ করে ফাইভে উঠলে তাঁর বাবা তাঁকে ফরিদপুর জিলা স্কুলে ভর্তি করানোর কথা ভাবলেন।
জিলা স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে সাতটি আসন খালি আছে। তাতে দরখাস্ত পড়েছে প্রায় ১০০টি। ফলে তাদের মধ্যে জসীমউদ্দীনের জায়গা হওয়া একেবারেই সম্ভব নয়।
তখন ফরিদপুরে মুসলমানদের একচ্ছত্র নেতা ছিলেন খান বাহাদুর গনি মিয়া। মোক্তারি করে প্রচুর টাকা আয় করেছেন তিনি।
মুসলমানদের কেউ তাঁর সাহায্যের জন্য গেলে তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন। নিজে ইংরেজি জানতেন না। বলতেন, ভালো ভালো কথা ইংরেজিতে লিখে আনতে। তিনি সই করে দেবেন।
এবার ঘটনা শুনে তিনি বললেন, যে মুসলমান ছয়জন ছাত্র জিলা স্কুলের ক্লাস ফাইভে ভর্তির জন্য আবেদন করেছে, তাদের ভর্তির ব্যবস্থা তিনি করে দেবেন। এ কথা বলে তিনি ছেলে ছয়জনের নাম লিখে চলে গেলেন ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের কাছে। বললেন, ‘সরকারি স্কুলের
৯৫ জন ছাত্রই হিন্দু। আমার এই ছয়জন ছাত্রকে ভর্তি করার হুকুম দিন।’ ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব লিখে দিলেন, ‘এদের ভর্তি করো।’
এই চিঠি নিয়ে গেলেন স্কুলের হেডমাস্টারের কাছে। হেডমাস্টার অবাক হয়ে বললেন, ‘ছেলেরা সবাই একসঙ্গে পরীক্ষা দিক। যারা ভালো করবে, তাদের ভর্তি করব।’
খান বাহাদুর বললেন, ‘গোটা মুসলিম সমাজ অজ্ঞানতার অন্ধকারে পড়ে আছে। হিন্দুরা অগ্রসর জাতি, মুসলমানদের টেনে তুলতে হবে। নইলে এই প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে ভর্তি হতে হলে দুই শ বছরেও সমতা আসবে না।’
হেডমাস্টার সাহেব চাইলেন চারটি হিন্দু আর তিনটি মুসলমান ছেলেকে ভর্তি করাতে। কিন্তু তাতে ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ লঙ্ঘিত হয় বলায় তিনি ছয়জন মুসলমান ছাত্রকে ভর্তি করাতে রাজি হলেন। জসীমউদ্দীন ভর্তি হলেন ফরিদপুর জিলা স্কুলে।
সূত্র: জসীমউদ্দীন, জীবনকথা, পৃষ্ঠা ১৯৩-১৯৪
জসীমউদ্দীন যখন পড়াশোনা করছেন, তখন মুসলমান ছাত্ররা পড়াশোনায় পিছিয়ে ছিল। হিন্দু শিক্ষার্থীরাই মূলত পড়াশোনায় আলো ছড়াচ্ছিল। ফরিদপুরে হিতৈষী স্কুলে ক্লাস ফোর শেষ করে ফাইভে উঠলে তাঁর বাবা তাঁকে ফরিদপুর জিলা স্কুলে ভর্তি করানোর কথা ভাবলেন।
জিলা স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে সাতটি আসন খালি আছে। তাতে দরখাস্ত পড়েছে প্রায় ১০০টি। ফলে তাদের মধ্যে জসীমউদ্দীনের জায়গা হওয়া একেবারেই সম্ভব নয়।
তখন ফরিদপুরে মুসলমানদের একচ্ছত্র নেতা ছিলেন খান বাহাদুর গনি মিয়া। মোক্তারি করে প্রচুর টাকা আয় করেছেন তিনি।
মুসলমানদের কেউ তাঁর সাহায্যের জন্য গেলে তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন। নিজে ইংরেজি জানতেন না। বলতেন, ভালো ভালো কথা ইংরেজিতে লিখে আনতে। তিনি সই করে দেবেন।
এবার ঘটনা শুনে তিনি বললেন, যে মুসলমান ছয়জন ছাত্র জিলা স্কুলের ক্লাস ফাইভে ভর্তির জন্য আবেদন করেছে, তাদের ভর্তির ব্যবস্থা তিনি করে দেবেন। এ কথা বলে তিনি ছেলে ছয়জনের নাম লিখে চলে গেলেন ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের কাছে। বললেন, ‘সরকারি স্কুলের
৯৫ জন ছাত্রই হিন্দু। আমার এই ছয়জন ছাত্রকে ভর্তি করার হুকুম দিন।’ ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব লিখে দিলেন, ‘এদের ভর্তি করো।’
এই চিঠি নিয়ে গেলেন স্কুলের হেডমাস্টারের কাছে। হেডমাস্টার অবাক হয়ে বললেন, ‘ছেলেরা সবাই একসঙ্গে পরীক্ষা দিক। যারা ভালো করবে, তাদের ভর্তি করব।’
খান বাহাদুর বললেন, ‘গোটা মুসলিম সমাজ অজ্ঞানতার অন্ধকারে পড়ে আছে। হিন্দুরা অগ্রসর জাতি, মুসলমানদের টেনে তুলতে হবে। নইলে এই প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে ভর্তি হতে হলে দুই শ বছরেও সমতা আসবে না।’
হেডমাস্টার সাহেব চাইলেন চারটি হিন্দু আর তিনটি মুসলমান ছেলেকে ভর্তি করাতে। কিন্তু তাতে ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ লঙ্ঘিত হয় বলায় তিনি ছয়জন মুসলমান ছাত্রকে ভর্তি করাতে রাজি হলেন। জসীমউদ্দীন ভর্তি হলেন ফরিদপুর জিলা স্কুলে।
সূত্র: জসীমউদ্দীন, জীবনকথা, পৃষ্ঠা ১৯৩-১৯৪
বিশ্বখ্যাত ইংরেজি ভাষার অভিধান কেমব্রিজ ডিকশনারিতে এ বছর যুক্ত হয়েছে ৬ হাজারের বেশি নতুন শব্দ। যার বেশির ভাগই জেন-জি’দের। এসব শব্দের মধ্যে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহৃত স্ল্যাং বা অমার্জিত শব্দ যেমন ‘স্কিবিডি’, ‘ট্র্যাডওয়াইফ’, ‘ব্রোলিগার্কি’ এবং ‘ডেলুলু’ রয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেগত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টানটান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
৪ দিন আগেযতীন স্যারকে নিয়ে কথা বলতে বসলে মনে হয়, কথাগুলো শুধু লেখা নয়—এ যেন হৃদয়ের ভেতরের কিছু টুকরো তুলে ধরা। দুপুরে হঠাৎ এক সুহৃদ ফোন করে বলল, ‘শুনেছ? যতীন স্যার নেই!’—মুহূর্তেই আমার বুক কেঁপে উঠল। মনে হলো, জীবনের এক অমূল্য আশ্রয় হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি।
৫ দিন আগেএকটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
৭ দিন আগে