সম্পাদকীয়
কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার আজও দুই বাংলায় সমান জনপ্রিয়। তিনি জন্মেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ার্সের গয়েরকাটায়, ১৯৪৪ সালের ১০ মার্চ। তাঁর শৈশব কেটেছে সেখানকার চা-বাগানে। ভবানী মাস্টারের পাঠশালায় তাঁর প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু হয়। এরপর জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তারপর তিনি কলকাতায় চলে যান ১৯৬০ সালে।
কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে সমরেশ বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
সমরেশ মজুমদারের সাহিত্যিক জীবন শুরু হয় ‘দেশ’ পত্রিকা দিয়ে। এই পত্রিকার মাধ্যমে তাঁর সংযোগ ঘটে বিখ্যাত সাহিত্যিক বিমল কর, কিংবদন্তি সাংবাদিক রমাপদ চৌধুরী এবং সাগরময় ঘোষের সঙ্গে। মূলত তাঁদের উৎসাহ ও পরামর্শে তিনি লেখালেখির জমিনে পদার্পণ করেন। এই মানুষগুলোর সান্নিধ্য তাঁর লেখার বোধ ও অন্তর্দৃষ্টিকে কীভাবে তৈরি করেছিল, তা বোঝা যায় ‘উত্তরাধিকার’ উপন্যাসটি লেখার প্রেক্ষাপট থেকে। তাঁর কাছ থেকে সাগরময় ঘোষ চেয়েছেন ধারাবাহিক উপন্যাস। সঙ্গে পরামর্শ দিয়েছেন, ‘নিজেকে নিয়ে লেখো। তবে তোমার জীবনী নিয়ে আগ্রহী নই। জীবনে যাঁদের দেখেছ, তাঁদের নিয়ে গল্প তৈরি করো।’
এই পরামর্শটা তিনি মাথায় রেখেছিলেন বলে, তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস চতুষ্টয়ে দেখা যায়, ‘গর্ভধারিণী’তে বামপন্থী, দক্ষিণপন্থী রাজনীতিকে নিজস্ব আঙ্গিকে বর্ণনা করেছেন। আবার নারীকেও ভাবেন ও দেখেন নিজের মতো করে। তাই ‘কালবেলা’ উপন্যাসের মাধবীলতাকে ৪২ বছর ধরে ভাবিয়েছিল দুটি অপমান—একটি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রাষ্ট্রীয় অত্যাচার, অন্যটি জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে অনিমেষের দেওয়া বিয়ের প্রস্তাব।
আবার ‘সাতকাহন’-এ চা-বাগানে বড় হওয়া দীপাবলির ব্যক্তিজীবনের লড়াই ও আত্মপ্রতিষ্ঠা আমাদের সমাজের বহু নারীর কথা মূর্ত করে। সেই সঙ্গে নির্মোহভাবে দেশের অর্থনীতির ফোঁপরা অবস্থাটাকে দেখতে ও দেখাতে পারেন ‘দৌড়’ উপন্যাসের বিকাশ চরিত্রটির মধ্যে। আর ‘মৌষলকাল’ উপন্যাসে তুলে ধরেন চারপাশে মূল্যবৃদ্ধি, জনতার দীর্ঘশ্বাসের বয়ান।
এই জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক ২০২৩ সালের ৮ মে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার আজও দুই বাংলায় সমান জনপ্রিয়। তিনি জন্মেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ার্সের গয়েরকাটায়, ১৯৪৪ সালের ১০ মার্চ। তাঁর শৈশব কেটেছে সেখানকার চা-বাগানে। ভবানী মাস্টারের পাঠশালায় তাঁর প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু হয়। এরপর জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তারপর তিনি কলকাতায় চলে যান ১৯৬০ সালে।
কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে সমরেশ বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
সমরেশ মজুমদারের সাহিত্যিক জীবন শুরু হয় ‘দেশ’ পত্রিকা দিয়ে। এই পত্রিকার মাধ্যমে তাঁর সংযোগ ঘটে বিখ্যাত সাহিত্যিক বিমল কর, কিংবদন্তি সাংবাদিক রমাপদ চৌধুরী এবং সাগরময় ঘোষের সঙ্গে। মূলত তাঁদের উৎসাহ ও পরামর্শে তিনি লেখালেখির জমিনে পদার্পণ করেন। এই মানুষগুলোর সান্নিধ্য তাঁর লেখার বোধ ও অন্তর্দৃষ্টিকে কীভাবে তৈরি করেছিল, তা বোঝা যায় ‘উত্তরাধিকার’ উপন্যাসটি লেখার প্রেক্ষাপট থেকে। তাঁর কাছ থেকে সাগরময় ঘোষ চেয়েছেন ধারাবাহিক উপন্যাস। সঙ্গে পরামর্শ দিয়েছেন, ‘নিজেকে নিয়ে লেখো। তবে তোমার জীবনী নিয়ে আগ্রহী নই। জীবনে যাঁদের দেখেছ, তাঁদের নিয়ে গল্প তৈরি করো।’
এই পরামর্শটা তিনি মাথায় রেখেছিলেন বলে, তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস চতুষ্টয়ে দেখা যায়, ‘গর্ভধারিণী’তে বামপন্থী, দক্ষিণপন্থী রাজনীতিকে নিজস্ব আঙ্গিকে বর্ণনা করেছেন। আবার নারীকেও ভাবেন ও দেখেন নিজের মতো করে। তাই ‘কালবেলা’ উপন্যাসের মাধবীলতাকে ৪২ বছর ধরে ভাবিয়েছিল দুটি অপমান—একটি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রাষ্ট্রীয় অত্যাচার, অন্যটি জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে অনিমেষের দেওয়া বিয়ের প্রস্তাব।
আবার ‘সাতকাহন’-এ চা-বাগানে বড় হওয়া দীপাবলির ব্যক্তিজীবনের লড়াই ও আত্মপ্রতিষ্ঠা আমাদের সমাজের বহু নারীর কথা মূর্ত করে। সেই সঙ্গে নির্মোহভাবে দেশের অর্থনীতির ফোঁপরা অবস্থাটাকে দেখতে ও দেখাতে পারেন ‘দৌড়’ উপন্যাসের বিকাশ চরিত্রটির মধ্যে। আর ‘মৌষলকাল’ উপন্যাসে তুলে ধরেন চারপাশে মূল্যবৃদ্ধি, জনতার দীর্ঘশ্বাসের বয়ান।
এই জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক ২০২৩ সালের ৮ মে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলাদেশের অ্যাংলিংকান সম্প্রদায় উপাসনার জন্য নির্মাণ করেছিল সেন্ট থমাস ক্যাথেড্রাল চার্চ। ১৮১৯ সালে শেষ হয় এর নির্মাণকাজ। ঢাকা কারাগারের কয়েদিরা নাকি এটির নির্মাণে শ্রম দিয়েছিল। কলকাতার বিশপ রেজিনাল্ড হেবার ১৮২৪ সালের ১০ জুলাই ঢাকায় এসে উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত এই গির্জাটির।
১ ঘণ্টা আগেআজ বিশ্ব নৃত্য দিবস। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর সহযোগী সংস্থা আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট-আইটিআই ১৯৮২ সালে ২৯ এপ্রিলকে বিশ্ব নৃত্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। মূলত নৃত্যশিল্পের বিকাশ ও বিশ্বব্যাপী নৃত্যপ্রেমীদের একত্রিত করাই এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য। ২৯ এপ্রিল আধুনিক
১৬ ঘণ্টা আগেদুপুরের খাবারের বিরতির পর তাঁরা আবার কাজ শুরু করেন। সন্ধ্যা ৭টায় কাজ শেষ হলে সিপির চীনা ও আইরিশ শ্রমিকেরা এক দিনে ১০ মাইল ৫৬ ফুট (১৬.১১১ কিলোমিটার) রেলপথ বসানোর অনন্য রেকর্ড গড়েন।
২ দিন আগেআলীর এই সিদ্ধান্তে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। কেউ কেউ আলীর অবস্থানের প্রশংসা করেন, আবার কেউ কেউ তাঁকে আখ্যায়িত করেন বিশ্বাসঘাতক। তাঁকে বক্সিং রিংয়ে নিষিদ্ধ করা হয়, কেড়ে নেওয়া হয় অর্জিত শিরোপা। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনে ফেডারেল সরকারের বিচার বিভাগ।
২ দিন আগে