সম্পাদকীয়
আমেরিকান সাংবাদিক-লেখক জন হাওয়ার্ড গ্রিফিন ১৯৬১ সালে যখন ‘আমার মতো কালো’ বইটি প্রকাশ করলেন, তখন পাঠকমহলে হইচই পড়ে গেল। আমেরিকার দক্ষিণ অংশের রাজ্যগুলোয় ছদ্মবেশে গিয়ে যা দেখেছেন, তারই বর্ণনা এই বই।
কেউ ভাবতে পারে, এ আর নতুন কী? যে কেউ তো যেকোনো দেশে ছদ্মবেশে গিয়ে সেখানকার নাড়ি-নক্ষত্র জেনে এসে বই লিখতে পারে। জি না, ব্যাপারটা এত সহজ নয়। দুই মাস লুইজিয়ানা, মিসিসিপি, জর্জিয়া, আলাবামায় তিনি গিয়েছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ ছদ্মবেশে। কৃষ্ণাঙ্গরা এই রাজ্যগুলোয় কেমনভাবে কাটাচ্ছে জীবন, সেটা জানাই ছিল তাঁর আরাধ্য। ফল হিসেবে আমরা পেয়ে গেলাম ১৮৮ পৃষ্ঠার এক ডায়েরি, এই ভ্রমণকালেই যা দামি সম্বল হয়ে উঠেছিল গ্রিফিনের।
সে সময় যুক্তরাষ্ট্রে তুমুল শক্তি নিয়ে বর্ণবাদ টিকে ছিল, বিশেষ করে দক্ষিণের রাজ্যগুলোয়। গ্রিফিনকে যেন শ্বেতাঙ্গ বলে চেনা না যায়, তা নিশ্চিত করতে তিনি গায়ের চামড়ার রং বদলে ফেলেন। পরিচিত এক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্যে গ্রিফিন দীর্ঘ সময়ের জন্য নিলেন মেথোক্সালেন, অক্সোরালেনের ডোজ, অতিবেগুনি বাতির নিচে বসে থাকলেন দিনে ১৫ ঘণ্টা। আর তাতে তাঁর চামড়ার রং কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের মতো হয়ে গেল। এমনকি তাঁর কাছের বন্ধুরাও তাঁকে আর চিনতে পারলেন না।
দক্ষিণের রাজ্যগুলোয় পৌঁছে গ্রিফিন দেখলেন সাদারা কীভাবে অত্যাচার করছে কালোদের। লুইজিয়ানায় কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের কেউ কেউ চুপিচুপি বললেন, গোটা লুইজিয়ানায় কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য গোসল করার মতো একটু জায়গা খুঁজে পাওয়া কঠিন।
একবার কোথাও যাওয়ার সময় তিনি বাসের সিটে বসে ছিলেন। একজন শ্বেতাঙ্গিনীকে বাসে উঠতে দেখে আসন ছেড়ে দিতেই সেই নারী তাকে গালাগাল করতে শুরু করে দিলেন, যেন আসন ছেড়ে দেওয়ার স্পর্ধাও কৃষ্ণাঙ্গদের দেখাতে নেই।
বইটি প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রিফিন চলে আসেন আলোচনায়। তবে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের ওপর মৃত্যুর হুমকি নেমে আসায় নিজের রাজ্য টেক্সাসে আর থাকতে পারেননি গ্রিফিন, তাঁকে চলে যেতে হয় মেক্সিকোয়।
সূত্র: ই-ফাক্ত ডট রু
আমেরিকান সাংবাদিক-লেখক জন হাওয়ার্ড গ্রিফিন ১৯৬১ সালে যখন ‘আমার মতো কালো’ বইটি প্রকাশ করলেন, তখন পাঠকমহলে হইচই পড়ে গেল। আমেরিকার দক্ষিণ অংশের রাজ্যগুলোয় ছদ্মবেশে গিয়ে যা দেখেছেন, তারই বর্ণনা এই বই।
কেউ ভাবতে পারে, এ আর নতুন কী? যে কেউ তো যেকোনো দেশে ছদ্মবেশে গিয়ে সেখানকার নাড়ি-নক্ষত্র জেনে এসে বই লিখতে পারে। জি না, ব্যাপারটা এত সহজ নয়। দুই মাস লুইজিয়ানা, মিসিসিপি, জর্জিয়া, আলাবামায় তিনি গিয়েছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ ছদ্মবেশে। কৃষ্ণাঙ্গরা এই রাজ্যগুলোয় কেমনভাবে কাটাচ্ছে জীবন, সেটা জানাই ছিল তাঁর আরাধ্য। ফল হিসেবে আমরা পেয়ে গেলাম ১৮৮ পৃষ্ঠার এক ডায়েরি, এই ভ্রমণকালেই যা দামি সম্বল হয়ে উঠেছিল গ্রিফিনের।
সে সময় যুক্তরাষ্ট্রে তুমুল শক্তি নিয়ে বর্ণবাদ টিকে ছিল, বিশেষ করে দক্ষিণের রাজ্যগুলোয়। গ্রিফিনকে যেন শ্বেতাঙ্গ বলে চেনা না যায়, তা নিশ্চিত করতে তিনি গায়ের চামড়ার রং বদলে ফেলেন। পরিচিত এক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্যে গ্রিফিন দীর্ঘ সময়ের জন্য নিলেন মেথোক্সালেন, অক্সোরালেনের ডোজ, অতিবেগুনি বাতির নিচে বসে থাকলেন দিনে ১৫ ঘণ্টা। আর তাতে তাঁর চামড়ার রং কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের মতো হয়ে গেল। এমনকি তাঁর কাছের বন্ধুরাও তাঁকে আর চিনতে পারলেন না।
দক্ষিণের রাজ্যগুলোয় পৌঁছে গ্রিফিন দেখলেন সাদারা কীভাবে অত্যাচার করছে কালোদের। লুইজিয়ানায় কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের কেউ কেউ চুপিচুপি বললেন, গোটা লুইজিয়ানায় কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য গোসল করার মতো একটু জায়গা খুঁজে পাওয়া কঠিন।
একবার কোথাও যাওয়ার সময় তিনি বাসের সিটে বসে ছিলেন। একজন শ্বেতাঙ্গিনীকে বাসে উঠতে দেখে আসন ছেড়ে দিতেই সেই নারী তাকে গালাগাল করতে শুরু করে দিলেন, যেন আসন ছেড়ে দেওয়ার স্পর্ধাও কৃষ্ণাঙ্গদের দেখাতে নেই।
বইটি প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রিফিন চলে আসেন আলোচনায়। তবে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের ওপর মৃত্যুর হুমকি নেমে আসায় নিজের রাজ্য টেক্সাসে আর থাকতে পারেননি গ্রিফিন, তাঁকে চলে যেতে হয় মেক্সিকোয়।
সূত্র: ই-ফাক্ত ডট রু
বিশ্বখ্যাত ইংরেজি ভাষার অভিধান কেমব্রিজ ডিকশনারিতে এ বছর যুক্ত হয়েছে ৬ হাজারের বেশি নতুন শব্দ। যার বেশির ভাগই জেন-জি’দের। এসব শব্দের মধ্যে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহৃত স্ল্যাং বা অমার্জিত শব্দ যেমন ‘স্কিবিডি’, ‘ট্র্যাডওয়াইফ’, ‘ব্রোলিগার্কি’ এবং ‘ডেলুলু’ রয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেগত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টানটান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
৪ দিন আগেযতীন স্যারকে নিয়ে কথা বলতে বসলে মনে হয়, কথাগুলো শুধু লেখা নয়—এ যেন হৃদয়ের ভেতরের কিছু টুকরো তুলে ধরা। দুপুরে হঠাৎ এক সুহৃদ ফোন করে বলল, ‘শুনেছ? যতীন স্যার নেই!’—মুহূর্তেই আমার বুক কেঁপে উঠল। মনে হলো, জীবনের এক অমূল্য আশ্রয় হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি।
৫ দিন আগেএকটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
৭ দিন আগে