রজত কান্তি রায়
সংবাদটা বেদনাদায়ক ও শোকের। হাসান আজিজুল হক আর নেই—এ শোক সামলাতে সময় লাগবে।
আমরা যারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, তাদের অনেকের কাছে হাসান আজিজুল হক ছিলেন কাছ থেকে দেখা প্রথম ‘সাহিত্যিক’, যাঁর নাম পরীক্ষার জন্য মুখস্থ করতে হতো। শিক্ষার্থীরা বলত, হাসান স্যারের জীবনী মুখস্থ কর। এক নম্বর পাবেই। ভর্তি পরীক্ষায় একটি নম্বর যথেষ্ট বটে। এত বড় একজন লেখক, যাঁর নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় কোনো না কোনোভাবে এক নম্বরের সঙ্গে যুক্ত, তাঁকে দেখা যেত মতিহারের সবুজ চত্বরে হেঁটে বেড়াতে। তাঁর বিষয়ে ভয় মিশ্রিত শ্রদ্ধা ছিল আমাদের। বহুবার রাস্তায় দেখা হয়েছে। দেখেই চোখ নামিয়ে নিয়েছি আমরা। পাশ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছি মাথা নিচু করে। আমাদের বিস্ময় কাটত না। ভাবতাম ‘আত্মজা ও একটি করবী গাছ’-এর লেখক আমাদের ক্যাম্পাসে হেঁটে বেড়াচ্ছেন!
বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ওপরের ক্লাসে উঠি, তখন বিভিন্ন কাজকর্মে তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়। বিশেষ করে, আমরা যারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক, গান, কবিতার সংগঠন করতাম, তাদের সঙ্গে হাসান আজিজুল হকের যোগাযোগ ছিল নিয়মিত। বার্ষিক অনুষ্ঠান হোক, আর নাটক বা গানের অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে হোক হাসান আজিজুল হক ছিলেন কাছের মানুষ, প্রথম পছন্দ। সম্ভবত এ ধরনের সংগঠনগুলোর মাধ্যমে তিনি তরুণদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চাইতেন। তাদের চিন্তাচেতনা বুঝতে চাইতেন। তরুণেরাও তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাইত হয়তো এক বিশাল ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে। হয়তো ‘আত্মজা ও একটি করবী গাছ’-এর লেখকের কাছ থেকে সাহিত্যর অনুরণন পেতে। দ্ব্যর্থহীনভাবে স্বীকার করতে হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আকাশ ছোঁয়া গগনশিরীষ গাছগুলোর প্রেক্ষাপটে হাসান আজিজুল হককে যখন দেখতাম, তখন আমাদেরও ইচ্ছে করত বরেন্দ্রভূমির ওঁরাওদের নিয়ে গল্প লিখতে। তাঁর কত শত ছাত্রের মনে তিনি এ আগ্রহ তৈরি করে দিয়েছিলেন, তার হিসেব কেউ রাখেনি।
যখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, আজ থেকে ঠিক বিশ বছর আগে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতির অবস্থা খুব সুবিধার ছিল না। প্রগতিশীল শিক্ষকেরা বেশ কোণঠাসা। বেশ কয়েকজন শিক্ষক হত্যার শিকার হয়েছেন। তেমন সময়ে হাসান আজিজুল হক কোনো সংগঠনের কোনো অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মাইকে বলে চলেছেন মুক্তির কথা, গণতন্ত্রের কথা। আমরা অনুপ্রাণিত হতাম সেসবে।
আজ এসবই মনে পড়ছে। মনে পড়ছে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পেছনের আমবাগানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাসান আজিজুল হক ছাত্রদের বলছেন—‘প্রতিক্রিয়াশীলতা মেনে নিও না। আমরা বড়রা পচে গেছি। তোমরা দাঁড়াও।’
সংবাদটা বেদনাদায়ক ও শোকের। হাসান আজিজুল হক আর নেই—এ শোক সামলাতে সময় লাগবে।
আমরা যারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, তাদের অনেকের কাছে হাসান আজিজুল হক ছিলেন কাছ থেকে দেখা প্রথম ‘সাহিত্যিক’, যাঁর নাম পরীক্ষার জন্য মুখস্থ করতে হতো। শিক্ষার্থীরা বলত, হাসান স্যারের জীবনী মুখস্থ কর। এক নম্বর পাবেই। ভর্তি পরীক্ষায় একটি নম্বর যথেষ্ট বটে। এত বড় একজন লেখক, যাঁর নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় কোনো না কোনোভাবে এক নম্বরের সঙ্গে যুক্ত, তাঁকে দেখা যেত মতিহারের সবুজ চত্বরে হেঁটে বেড়াতে। তাঁর বিষয়ে ভয় মিশ্রিত শ্রদ্ধা ছিল আমাদের। বহুবার রাস্তায় দেখা হয়েছে। দেখেই চোখ নামিয়ে নিয়েছি আমরা। পাশ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছি মাথা নিচু করে। আমাদের বিস্ময় কাটত না। ভাবতাম ‘আত্মজা ও একটি করবী গাছ’-এর লেখক আমাদের ক্যাম্পাসে হেঁটে বেড়াচ্ছেন!
বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ওপরের ক্লাসে উঠি, তখন বিভিন্ন কাজকর্মে তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়। বিশেষ করে, আমরা যারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক, গান, কবিতার সংগঠন করতাম, তাদের সঙ্গে হাসান আজিজুল হকের যোগাযোগ ছিল নিয়মিত। বার্ষিক অনুষ্ঠান হোক, আর নাটক বা গানের অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে হোক হাসান আজিজুল হক ছিলেন কাছের মানুষ, প্রথম পছন্দ। সম্ভবত এ ধরনের সংগঠনগুলোর মাধ্যমে তিনি তরুণদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চাইতেন। তাদের চিন্তাচেতনা বুঝতে চাইতেন। তরুণেরাও তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাইত হয়তো এক বিশাল ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে। হয়তো ‘আত্মজা ও একটি করবী গাছ’-এর লেখকের কাছ থেকে সাহিত্যর অনুরণন পেতে। দ্ব্যর্থহীনভাবে স্বীকার করতে হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আকাশ ছোঁয়া গগনশিরীষ গাছগুলোর প্রেক্ষাপটে হাসান আজিজুল হককে যখন দেখতাম, তখন আমাদেরও ইচ্ছে করত বরেন্দ্রভূমির ওঁরাওদের নিয়ে গল্প লিখতে। তাঁর কত শত ছাত্রের মনে তিনি এ আগ্রহ তৈরি করে দিয়েছিলেন, তার হিসেব কেউ রাখেনি।
যখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, আজ থেকে ঠিক বিশ বছর আগে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতির অবস্থা খুব সুবিধার ছিল না। প্রগতিশীল শিক্ষকেরা বেশ কোণঠাসা। বেশ কয়েকজন শিক্ষক হত্যার শিকার হয়েছেন। তেমন সময়ে হাসান আজিজুল হক কোনো সংগঠনের কোনো অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মাইকে বলে চলেছেন মুক্তির কথা, গণতন্ত্রের কথা। আমরা অনুপ্রাণিত হতাম সেসবে।
আজ এসবই মনে পড়ছে। মনে পড়ছে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পেছনের আমবাগানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাসান আজিজুল হক ছাত্রদের বলছেন—‘প্রতিক্রিয়াশীলতা মেনে নিও না। আমরা বড়রা পচে গেছি। তোমরা দাঁড়াও।’
১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
২ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
৮ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
১৯ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
২৩ দিন আগে