
প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট তিনি। দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্টদের তালিকা করলেও সেখানে অনায়াসে জায়গা হয়ে যায় তাঁর। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৭৩২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আসেন জর্জ ওয়াশিংটন।
ভার্জিনিয়ার ওয়েস্টমোরল্যান্ড কাউন্টিতে জন্ম ওয়াশিংটনের। অগাস্টিন ও ম্যারি বল ওয়াশিংটনের ছয় সন্তানের মধ্যে প্রথম তিনি। স্বাভাবিকভাবেই শুরুতে অনুগত ব্রিটিশ সেনা ছিলেন। তবে একপর্যায়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আমেরিকানদের বিপ্লবে কন্টিনেন্টাল আর্মির নেতৃত্ব দেন। নতুন গঠিত দেশের প্রথম প্রেসিডেন্টও হন তিনি। তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন অনেকেই।
ওয়াশিংটন তাঁর অসাধারণ যোগ্যতার কারণে কম বয়সেই খ্যাতি অর্জন করেন। ১৭ বছর বয়সে শেনানডোয়াহ উপত্যকায় জরিপকারী হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু করেন। ১৭৫২ সালে, বিশ বছর বয়সে তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ফ্রেঞ্চ অ্যান্ড ইন্ডিয়ান ওয়রে কর্নেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এ সময় উত্তপ্ত পরিবেশে মাথা ঠান্ডা রাখার এবং কঠোর শৃঙ্খলার জন্য খ্যাতি অর্জন করেন। ফরাসিদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের হয়ে সে যুদ্ধে তিনি দারুণভাবে গুলি এড়িয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন। যে ঘোড়ার ওপর সওয়ার হয়েছিলেন সেটি গুলিবিদ্ধ হলেও রেহাই পান তিনি। এমনকি ফরাসিদের হাতে বন্দীও হয়েছিলেন।
যুদ্ধ শেষ হলে, ওয়াশিংটন সেনাবাহিনী ছেড়ে ভার্জিনিয়ায় চলে আসেন। উদ্দেশ্য বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া মাউন্ট ভার্নন নামের বাগানটি পরিচালনা করা।
১৭৫৯ সালে মার্থা ড্যানড্রিজ কাস্টিস নামের এক ধনী বিধবাকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির কোনো সন্তান না হলেও মার্থার প্রথম পক্ষের ছেলে ও মেয়েকে দত্তক নেন তিনি। তবে ভার্জিনিয়া থাকা অবস্থাতেই ধীরে ধীরে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েন। শিগগিরই কন্টিনেন্টাল কংগ্রেসে যোগ দেন।
১৭৭৫ সালে কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস সর্বসম্মতিক্রমে ওয়াশিংটনকে নতুন কন্টিনেন্টাল সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বেছে নেয়। সামরিক বাহিনীর ওপর বেসামরিক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিতে জোর দেন তিনি। পাশাপাশি একজন নেতার সহজাত গুণাবলি তাঁর মধ্যে ছিল।
ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাফল্যের বড় উপাদান ছিল গেরিলা যুদ্ধে তাঁর দক্ষতা। আক্রমণ করে পালিয়ে আসার বিষয়টি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীকে বিপদে ফেলে দেয়। ওয়াশিংটন প্রায় যতগুলি যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন প্রায় ততগুলিতে হেরেছিলেন। তবে ট্রেন্টন, প্রিন্সটন এবং ইয়র্কটাউনে তার সাফল্যগুলি কন্টিনেন্টাল সেনাবাহিনী এবং নতুন একটি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হয়েছিল। যুদ্ধের সময় তিনি নেতৃত্ব দেওয়ায় যে দক্ষতা দেখিয়েছিলেন তার কারণে, কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস ওয়াশিংটনকে ১৭৮৯ সালে প্রথম আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে।
ছয় ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা আমেরিকান ইতিহাসের এ মহানায়ক অনেক ক্ষেত্রেই ছিলেন একজন সাধারণ মানুষ। ক্রিকেট ও ফক্স-হান্টিং বা শিয়াল শিকার পছন্দ করেন। তাঁর প্রিয় খাবারের মধ্যে ছিল আনারস, ব্রাজিল নাট প্রভৃতি।
উদ্যমী রাজনৈতিক নেতা ওয়াশিংটন একটি নতুন জাতিকে একতাবদ্ধ রাখতে বড় ভূমিকা রাখেন। তিনি তাঁর প্রশাসনে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্টদের জন্য অলিখিত একটি আচরণের নির্ধারণের বিষয়ে গভীরভাবে সচেতন ছিলেন। তবে দুই মেয়াদের পর বয়স হয়ে যাওয়া, ক্লান্তি এবং দুষ্ট দলীয় রাজনীতিতে বিরক্ত ওয়াশিংটন ১৭৯৬ সালে অবসরে যান।
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছাড়ার পর মাউন্ট ভার্ননে ফিরে আসেন ওয়াশিংটন। এ সময় গ্রামীণ জীবনের প্রতি অনুরক্ত ওয়াশিংটন সাধারণ জীবন কাটাতে থাকেন এবং একটি সফল হুইস্কি কারখানা পরিচালনা করেন। ভার্জিনিয়া প্ল্যান্টার শ্রেণির একজন সদস্য ওয়াশিংটন ক্রীতদাসদের মালিকানা নিয়ে ক্রমেই বিব্রত হয়ে পড়ছিলেন। প্রকাশ্যে দাসপ্রথার ধীরে ধীরে বিলুপ্তি প্রচার করেছিলেন। তাঁর উইলে, তিনি মার্থার মৃত্যুর পর তাঁদের ক্রীতদাস শ্রমিকদের মুক্ত করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন।
১৭৯৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর গুরুতর শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতায় মারা যান ওয়াশিংটন। তিনি বিনীতভাবে তাঁর উইলে নিজেকে চিহ্নিত করেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট ভার্ননের একজন নাগরিক জর্জ ওয়াশিংটন হিসেবে।
সূত্র: হিস্টরি ডট কম

প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট তিনি। দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্টদের তালিকা করলেও সেখানে অনায়াসে জায়গা হয়ে যায় তাঁর। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৭৩২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আসেন জর্জ ওয়াশিংটন।
ভার্জিনিয়ার ওয়েস্টমোরল্যান্ড কাউন্টিতে জন্ম ওয়াশিংটনের। অগাস্টিন ও ম্যারি বল ওয়াশিংটনের ছয় সন্তানের মধ্যে প্রথম তিনি। স্বাভাবিকভাবেই শুরুতে অনুগত ব্রিটিশ সেনা ছিলেন। তবে একপর্যায়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আমেরিকানদের বিপ্লবে কন্টিনেন্টাল আর্মির নেতৃত্ব দেন। নতুন গঠিত দেশের প্রথম প্রেসিডেন্টও হন তিনি। তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন অনেকেই।
ওয়াশিংটন তাঁর অসাধারণ যোগ্যতার কারণে কম বয়সেই খ্যাতি অর্জন করেন। ১৭ বছর বয়সে শেনানডোয়াহ উপত্যকায় জরিপকারী হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু করেন। ১৭৫২ সালে, বিশ বছর বয়সে তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ফ্রেঞ্চ অ্যান্ড ইন্ডিয়ান ওয়রে কর্নেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এ সময় উত্তপ্ত পরিবেশে মাথা ঠান্ডা রাখার এবং কঠোর শৃঙ্খলার জন্য খ্যাতি অর্জন করেন। ফরাসিদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের হয়ে সে যুদ্ধে তিনি দারুণভাবে গুলি এড়িয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন। যে ঘোড়ার ওপর সওয়ার হয়েছিলেন সেটি গুলিবিদ্ধ হলেও রেহাই পান তিনি। এমনকি ফরাসিদের হাতে বন্দীও হয়েছিলেন।
যুদ্ধ শেষ হলে, ওয়াশিংটন সেনাবাহিনী ছেড়ে ভার্জিনিয়ায় চলে আসেন। উদ্দেশ্য বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া মাউন্ট ভার্নন নামের বাগানটি পরিচালনা করা।
১৭৫৯ সালে মার্থা ড্যানড্রিজ কাস্টিস নামের এক ধনী বিধবাকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির কোনো সন্তান না হলেও মার্থার প্রথম পক্ষের ছেলে ও মেয়েকে দত্তক নেন তিনি। তবে ভার্জিনিয়া থাকা অবস্থাতেই ধীরে ধীরে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েন। শিগগিরই কন্টিনেন্টাল কংগ্রেসে যোগ দেন।
১৭৭৫ সালে কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস সর্বসম্মতিক্রমে ওয়াশিংটনকে নতুন কন্টিনেন্টাল সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বেছে নেয়। সামরিক বাহিনীর ওপর বেসামরিক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিতে জোর দেন তিনি। পাশাপাশি একজন নেতার সহজাত গুণাবলি তাঁর মধ্যে ছিল।
ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাফল্যের বড় উপাদান ছিল গেরিলা যুদ্ধে তাঁর দক্ষতা। আক্রমণ করে পালিয়ে আসার বিষয়টি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীকে বিপদে ফেলে দেয়। ওয়াশিংটন প্রায় যতগুলি যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন প্রায় ততগুলিতে হেরেছিলেন। তবে ট্রেন্টন, প্রিন্সটন এবং ইয়র্কটাউনে তার সাফল্যগুলি কন্টিনেন্টাল সেনাবাহিনী এবং নতুন একটি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হয়েছিল। যুদ্ধের সময় তিনি নেতৃত্ব দেওয়ায় যে দক্ষতা দেখিয়েছিলেন তার কারণে, কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস ওয়াশিংটনকে ১৭৮৯ সালে প্রথম আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে।
ছয় ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা আমেরিকান ইতিহাসের এ মহানায়ক অনেক ক্ষেত্রেই ছিলেন একজন সাধারণ মানুষ। ক্রিকেট ও ফক্স-হান্টিং বা শিয়াল শিকার পছন্দ করেন। তাঁর প্রিয় খাবারের মধ্যে ছিল আনারস, ব্রাজিল নাট প্রভৃতি।
উদ্যমী রাজনৈতিক নেতা ওয়াশিংটন একটি নতুন জাতিকে একতাবদ্ধ রাখতে বড় ভূমিকা রাখেন। তিনি তাঁর প্রশাসনে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্টদের জন্য অলিখিত একটি আচরণের নির্ধারণের বিষয়ে গভীরভাবে সচেতন ছিলেন। তবে দুই মেয়াদের পর বয়স হয়ে যাওয়া, ক্লান্তি এবং দুষ্ট দলীয় রাজনীতিতে বিরক্ত ওয়াশিংটন ১৭৯৬ সালে অবসরে যান।
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছাড়ার পর মাউন্ট ভার্ননে ফিরে আসেন ওয়াশিংটন। এ সময় গ্রামীণ জীবনের প্রতি অনুরক্ত ওয়াশিংটন সাধারণ জীবন কাটাতে থাকেন এবং একটি সফল হুইস্কি কারখানা পরিচালনা করেন। ভার্জিনিয়া প্ল্যান্টার শ্রেণির একজন সদস্য ওয়াশিংটন ক্রীতদাসদের মালিকানা নিয়ে ক্রমেই বিব্রত হয়ে পড়ছিলেন। প্রকাশ্যে দাসপ্রথার ধীরে ধীরে বিলুপ্তি প্রচার করেছিলেন। তাঁর উইলে, তিনি মার্থার মৃত্যুর পর তাঁদের ক্রীতদাস শ্রমিকদের মুক্ত করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন।
১৭৯৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর গুরুতর শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতায় মারা যান ওয়াশিংটন। তিনি বিনীতভাবে তাঁর উইলে নিজেকে চিহ্নিত করেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট ভার্ননের একজন নাগরিক জর্জ ওয়াশিংটন হিসেবে।
সূত্র: হিস্টরি ডট কম

প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট তিনি। দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্টদের তালিকা করলেও সেখানে অনায়াসে জায়গা হয়ে যায় তাঁর। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৭৩২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আসেন জর্জ ওয়াশিংটন।
ভার্জিনিয়ার ওয়েস্টমোরল্যান্ড কাউন্টিতে জন্ম ওয়াশিংটনের। অগাস্টিন ও ম্যারি বল ওয়াশিংটনের ছয় সন্তানের মধ্যে প্রথম তিনি। স্বাভাবিকভাবেই শুরুতে অনুগত ব্রিটিশ সেনা ছিলেন। তবে একপর্যায়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আমেরিকানদের বিপ্লবে কন্টিনেন্টাল আর্মির নেতৃত্ব দেন। নতুন গঠিত দেশের প্রথম প্রেসিডেন্টও হন তিনি। তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন অনেকেই।
ওয়াশিংটন তাঁর অসাধারণ যোগ্যতার কারণে কম বয়সেই খ্যাতি অর্জন করেন। ১৭ বছর বয়সে শেনানডোয়াহ উপত্যকায় জরিপকারী হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু করেন। ১৭৫২ সালে, বিশ বছর বয়সে তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ফ্রেঞ্চ অ্যান্ড ইন্ডিয়ান ওয়রে কর্নেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এ সময় উত্তপ্ত পরিবেশে মাথা ঠান্ডা রাখার এবং কঠোর শৃঙ্খলার জন্য খ্যাতি অর্জন করেন। ফরাসিদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের হয়ে সে যুদ্ধে তিনি দারুণভাবে গুলি এড়িয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন। যে ঘোড়ার ওপর সওয়ার হয়েছিলেন সেটি গুলিবিদ্ধ হলেও রেহাই পান তিনি। এমনকি ফরাসিদের হাতে বন্দীও হয়েছিলেন।
যুদ্ধ শেষ হলে, ওয়াশিংটন সেনাবাহিনী ছেড়ে ভার্জিনিয়ায় চলে আসেন। উদ্দেশ্য বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া মাউন্ট ভার্নন নামের বাগানটি পরিচালনা করা।
১৭৫৯ সালে মার্থা ড্যানড্রিজ কাস্টিস নামের এক ধনী বিধবাকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির কোনো সন্তান না হলেও মার্থার প্রথম পক্ষের ছেলে ও মেয়েকে দত্তক নেন তিনি। তবে ভার্জিনিয়া থাকা অবস্থাতেই ধীরে ধীরে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েন। শিগগিরই কন্টিনেন্টাল কংগ্রেসে যোগ দেন।
১৭৭৫ সালে কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস সর্বসম্মতিক্রমে ওয়াশিংটনকে নতুন কন্টিনেন্টাল সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বেছে নেয়। সামরিক বাহিনীর ওপর বেসামরিক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিতে জোর দেন তিনি। পাশাপাশি একজন নেতার সহজাত গুণাবলি তাঁর মধ্যে ছিল।
ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাফল্যের বড় উপাদান ছিল গেরিলা যুদ্ধে তাঁর দক্ষতা। আক্রমণ করে পালিয়ে আসার বিষয়টি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীকে বিপদে ফেলে দেয়। ওয়াশিংটন প্রায় যতগুলি যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন প্রায় ততগুলিতে হেরেছিলেন। তবে ট্রেন্টন, প্রিন্সটন এবং ইয়র্কটাউনে তার সাফল্যগুলি কন্টিনেন্টাল সেনাবাহিনী এবং নতুন একটি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হয়েছিল। যুদ্ধের সময় তিনি নেতৃত্ব দেওয়ায় যে দক্ষতা দেখিয়েছিলেন তার কারণে, কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস ওয়াশিংটনকে ১৭৮৯ সালে প্রথম আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে।
ছয় ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা আমেরিকান ইতিহাসের এ মহানায়ক অনেক ক্ষেত্রেই ছিলেন একজন সাধারণ মানুষ। ক্রিকেট ও ফক্স-হান্টিং বা শিয়াল শিকার পছন্দ করেন। তাঁর প্রিয় খাবারের মধ্যে ছিল আনারস, ব্রাজিল নাট প্রভৃতি।
উদ্যমী রাজনৈতিক নেতা ওয়াশিংটন একটি নতুন জাতিকে একতাবদ্ধ রাখতে বড় ভূমিকা রাখেন। তিনি তাঁর প্রশাসনে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্টদের জন্য অলিখিত একটি আচরণের নির্ধারণের বিষয়ে গভীরভাবে সচেতন ছিলেন। তবে দুই মেয়াদের পর বয়স হয়ে যাওয়া, ক্লান্তি এবং দুষ্ট দলীয় রাজনীতিতে বিরক্ত ওয়াশিংটন ১৭৯৬ সালে অবসরে যান।
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছাড়ার পর মাউন্ট ভার্ননে ফিরে আসেন ওয়াশিংটন। এ সময় গ্রামীণ জীবনের প্রতি অনুরক্ত ওয়াশিংটন সাধারণ জীবন কাটাতে থাকেন এবং একটি সফল হুইস্কি কারখানা পরিচালনা করেন। ভার্জিনিয়া প্ল্যান্টার শ্রেণির একজন সদস্য ওয়াশিংটন ক্রীতদাসদের মালিকানা নিয়ে ক্রমেই বিব্রত হয়ে পড়ছিলেন। প্রকাশ্যে দাসপ্রথার ধীরে ধীরে বিলুপ্তি প্রচার করেছিলেন। তাঁর উইলে, তিনি মার্থার মৃত্যুর পর তাঁদের ক্রীতদাস শ্রমিকদের মুক্ত করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন।
১৭৯৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর গুরুতর শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতায় মারা যান ওয়াশিংটন। তিনি বিনীতভাবে তাঁর উইলে নিজেকে চিহ্নিত করেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট ভার্ননের একজন নাগরিক জর্জ ওয়াশিংটন হিসেবে।
সূত্র: হিস্টরি ডট কম

প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট তিনি। দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্টদের তালিকা করলেও সেখানে অনায়াসে জায়গা হয়ে যায় তাঁর। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৭৩২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আসেন জর্জ ওয়াশিংটন।
ভার্জিনিয়ার ওয়েস্টমোরল্যান্ড কাউন্টিতে জন্ম ওয়াশিংটনের। অগাস্টিন ও ম্যারি বল ওয়াশিংটনের ছয় সন্তানের মধ্যে প্রথম তিনি। স্বাভাবিকভাবেই শুরুতে অনুগত ব্রিটিশ সেনা ছিলেন। তবে একপর্যায়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আমেরিকানদের বিপ্লবে কন্টিনেন্টাল আর্মির নেতৃত্ব দেন। নতুন গঠিত দেশের প্রথম প্রেসিডেন্টও হন তিনি। তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন অনেকেই।
ওয়াশিংটন তাঁর অসাধারণ যোগ্যতার কারণে কম বয়সেই খ্যাতি অর্জন করেন। ১৭ বছর বয়সে শেনানডোয়াহ উপত্যকায় জরিপকারী হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু করেন। ১৭৫২ সালে, বিশ বছর বয়সে তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ফ্রেঞ্চ অ্যান্ড ইন্ডিয়ান ওয়রে কর্নেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এ সময় উত্তপ্ত পরিবেশে মাথা ঠান্ডা রাখার এবং কঠোর শৃঙ্খলার জন্য খ্যাতি অর্জন করেন। ফরাসিদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের হয়ে সে যুদ্ধে তিনি দারুণভাবে গুলি এড়িয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন। যে ঘোড়ার ওপর সওয়ার হয়েছিলেন সেটি গুলিবিদ্ধ হলেও রেহাই পান তিনি। এমনকি ফরাসিদের হাতে বন্দীও হয়েছিলেন।
যুদ্ধ শেষ হলে, ওয়াশিংটন সেনাবাহিনী ছেড়ে ভার্জিনিয়ায় চলে আসেন। উদ্দেশ্য বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া মাউন্ট ভার্নন নামের বাগানটি পরিচালনা করা।
১৭৫৯ সালে মার্থা ড্যানড্রিজ কাস্টিস নামের এক ধনী বিধবাকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির কোনো সন্তান না হলেও মার্থার প্রথম পক্ষের ছেলে ও মেয়েকে দত্তক নেন তিনি। তবে ভার্জিনিয়া থাকা অবস্থাতেই ধীরে ধীরে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েন। শিগগিরই কন্টিনেন্টাল কংগ্রেসে যোগ দেন।
১৭৭৫ সালে কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস সর্বসম্মতিক্রমে ওয়াশিংটনকে নতুন কন্টিনেন্টাল সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বেছে নেয়। সামরিক বাহিনীর ওপর বেসামরিক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিতে জোর দেন তিনি। পাশাপাশি একজন নেতার সহজাত গুণাবলি তাঁর মধ্যে ছিল।
ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাফল্যের বড় উপাদান ছিল গেরিলা যুদ্ধে তাঁর দক্ষতা। আক্রমণ করে পালিয়ে আসার বিষয়টি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীকে বিপদে ফেলে দেয়। ওয়াশিংটন প্রায় যতগুলি যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন প্রায় ততগুলিতে হেরেছিলেন। তবে ট্রেন্টন, প্রিন্সটন এবং ইয়র্কটাউনে তার সাফল্যগুলি কন্টিনেন্টাল সেনাবাহিনী এবং নতুন একটি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হয়েছিল। যুদ্ধের সময় তিনি নেতৃত্ব দেওয়ায় যে দক্ষতা দেখিয়েছিলেন তার কারণে, কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস ওয়াশিংটনকে ১৭৮৯ সালে প্রথম আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে।
ছয় ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা আমেরিকান ইতিহাসের এ মহানায়ক অনেক ক্ষেত্রেই ছিলেন একজন সাধারণ মানুষ। ক্রিকেট ও ফক্স-হান্টিং বা শিয়াল শিকার পছন্দ করেন। তাঁর প্রিয় খাবারের মধ্যে ছিল আনারস, ব্রাজিল নাট প্রভৃতি।
উদ্যমী রাজনৈতিক নেতা ওয়াশিংটন একটি নতুন জাতিকে একতাবদ্ধ রাখতে বড় ভূমিকা রাখেন। তিনি তাঁর প্রশাসনে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্টদের জন্য অলিখিত একটি আচরণের নির্ধারণের বিষয়ে গভীরভাবে সচেতন ছিলেন। তবে দুই মেয়াদের পর বয়স হয়ে যাওয়া, ক্লান্তি এবং দুষ্ট দলীয় রাজনীতিতে বিরক্ত ওয়াশিংটন ১৭৯৬ সালে অবসরে যান।
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছাড়ার পর মাউন্ট ভার্ননে ফিরে আসেন ওয়াশিংটন। এ সময় গ্রামীণ জীবনের প্রতি অনুরক্ত ওয়াশিংটন সাধারণ জীবন কাটাতে থাকেন এবং একটি সফল হুইস্কি কারখানা পরিচালনা করেন। ভার্জিনিয়া প্ল্যান্টার শ্রেণির একজন সদস্য ওয়াশিংটন ক্রীতদাসদের মালিকানা নিয়ে ক্রমেই বিব্রত হয়ে পড়ছিলেন। প্রকাশ্যে দাসপ্রথার ধীরে ধীরে বিলুপ্তি প্রচার করেছিলেন। তাঁর উইলে, তিনি মার্থার মৃত্যুর পর তাঁদের ক্রীতদাস শ্রমিকদের মুক্ত করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন।
১৭৯৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর গুরুতর শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতায় মারা যান ওয়াশিংটন। তিনি বিনীতভাবে তাঁর উইলে নিজেকে চিহ্নিত করেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট ভার্ননের একজন নাগরিক জর্জ ওয়াশিংটন হিসেবে।
সূত্র: হিস্টরি ডট কম

মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল...
১ দিন আগে
সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
২ দিন আগে
বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
৮ দিন আগে
...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
৯ দিন আগেসম্পাদকীয়

মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল পাশবিক হত্যাযজ্ঞ। ঢাকার গাবতলীর পাশের তুরাগ নদের উত্তর পারেই সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের ইসাকাবাদ গ্রাম অবস্থিত। গ্রামটি থেকে স্পষ্ট দেখা যেত গাবতলী সেতু। সেই গ্রামেরই বয়স্ক এক ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা করেছেন এভাবে, প্রতিদিন রাতের বেলা মিলিটারি আর বিহারিরা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে করে এই সেতুতে মানুষদের নিয়ে আসত। রাত গভীর হলে সেতুর দুই পাশের বাতি নিভিয়ে গুলি চালানো হতো। পুরো যুদ্ধের সময় এখানে এমন রাত ছিল না, যে রাতের বেলা সেখানে লাশ ফেলানো হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পাঁচ দশকের বেশি সময় পার হলেও এখনো এ জায়গাকে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল পাশবিক হত্যাযজ্ঞ। ঢাকার গাবতলীর পাশের তুরাগ নদের উত্তর পারেই সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের ইসাকাবাদ গ্রাম অবস্থিত। গ্রামটি থেকে স্পষ্ট দেখা যেত গাবতলী সেতু। সেই গ্রামেরই বয়স্ক এক ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা করেছেন এভাবে, প্রতিদিন রাতের বেলা মিলিটারি আর বিহারিরা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে করে এই সেতুতে মানুষদের নিয়ে আসত। রাত গভীর হলে সেতুর দুই পাশের বাতি নিভিয়ে গুলি চালানো হতো। পুরো যুদ্ধের সময় এখানে এমন রাত ছিল না, যে রাতের বেলা সেখানে লাশ ফেলানো হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পাঁচ দশকের বেশি সময় পার হলেও এখনো এ জায়গাকে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। ছবি: সংগৃহীত

প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট তিনি। দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্টদের তালিকা করলেও সেখানে অনায়াসে জায়গা হয়ে যায় তাঁর। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৭৩২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আসেন জর্জ ওয়াশিংটন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
২ দিন আগে
বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
৮ দিন আগে
...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
৯ দিন আগেসম্পাদকীয়

সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
অনেক লেখকই আছেন যাঁরা খুব ধর্মপ্রাণ, কেউবা আবার কমিউনিস্ট ৷ হিউম্যানিস্ট লেখক যেমন আছেন, তেমনই আছেন অথোরিটারিয়ান লেখক।
তবে সে যা-ই হোক, ভালো সাহিত্যিকের মধ্যে দুটো কমিটমেন্ট থাকতেই হবে—সততা আর স্টাইলের দক্ষতা। নিজের কাছেই যে-লেখক অসৎ, যা লেখেন তা যদি তিনি নিজেই না বিশ্বাস করেন, তাহলে সেই লেখকের পতন অনিবার্য।
কোনো লেখক আবার যদি নিজের ভাষার ঐশ্বর্যকে ছেঁকে তুলতে ব্যর্থ হন, একজন সংগীতশিল্পীকে ঠিক যেভাবে তাঁর যন্ত্রটিকে নিজের বশে আনতে হয়, ভাষার ক্ষেত্রেও তেমনটা যদি কোনো লেখক করতে না পারেন, তাহলে একজন সাংবাদিক ছাড়া আর কিছুই হতে পারবেন না তিনি। সত্য এবং স্টাইল—একজন সাহিত্যিকের বেসিক কমিটমেন্ট হলো শুধু এই দুটো।
সূত্র: সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছিল ‘বাংলাদেশ টুডে’ পত্রিকার মার্চ, ১৯৮৪ সংখ্যায়, সাক্ষাৎকার গ্রহীতা সেরাজুল ইসলাম কাদির, অনুবাদক নীলাজ্জ দাস, শিবনারায়ণ রায়ের সাক্ষাৎকার সংগ্রহ, পৃষ্ঠা-২৭।

সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
অনেক লেখকই আছেন যাঁরা খুব ধর্মপ্রাণ, কেউবা আবার কমিউনিস্ট ৷ হিউম্যানিস্ট লেখক যেমন আছেন, তেমনই আছেন অথোরিটারিয়ান লেখক।
তবে সে যা-ই হোক, ভালো সাহিত্যিকের মধ্যে দুটো কমিটমেন্ট থাকতেই হবে—সততা আর স্টাইলের দক্ষতা। নিজের কাছেই যে-লেখক অসৎ, যা লেখেন তা যদি তিনি নিজেই না বিশ্বাস করেন, তাহলে সেই লেখকের পতন অনিবার্য।
কোনো লেখক আবার যদি নিজের ভাষার ঐশ্বর্যকে ছেঁকে তুলতে ব্যর্থ হন, একজন সংগীতশিল্পীকে ঠিক যেভাবে তাঁর যন্ত্রটিকে নিজের বশে আনতে হয়, ভাষার ক্ষেত্রেও তেমনটা যদি কোনো লেখক করতে না পারেন, তাহলে একজন সাংবাদিক ছাড়া আর কিছুই হতে পারবেন না তিনি। সত্য এবং স্টাইল—একজন সাহিত্যিকের বেসিক কমিটমেন্ট হলো শুধু এই দুটো।
সূত্র: সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছিল ‘বাংলাদেশ টুডে’ পত্রিকার মার্চ, ১৯৮৪ সংখ্যায়, সাক্ষাৎকার গ্রহীতা সেরাজুল ইসলাম কাদির, অনুবাদক নীলাজ্জ দাস, শিবনারায়ণ রায়ের সাক্ষাৎকার সংগ্রহ, পৃষ্ঠা-২৭।

প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট তিনি। দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্টদের তালিকা করলেও সেখানে অনায়াসে জায়গা হয়ে যায় তাঁর। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৭৩২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আসেন জর্জ ওয়াশিংটন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল...
১ দিন আগে
বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
৮ দিন আগে
...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
৯ দিন আগেসম্পাদকীয়

বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে। প্রায় ৫০০ বছর আগে বদ্রী নারায়ণের যোশী মঠের সন্ন্যাসী গোপাল গিরি ঢাকায় এসে রমনায় প্রথমে একটি আখড়া স্থাপন করেন। তখন এ আখড়াটি কাঠঘর নামে পরিচিত ছিল।
পরে সম্ভবত ১৭ শতকের প্রথম দিকে এ স্থানেই হরিচরণ গিরি মূল মন্দিরটি নির্মাণ করেন। কালীবাড়ি মন্দিরটি ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়। তারা মন্দির ও আশ্রমটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মন্দিরের সেবায়েতসহ প্রায় ১০০ সন্ন্যাসী, ভক্ত এবং সেখানে বসবাসরত সাধারণ মানুষ নিহত হন। যদিও এখন বধ্যভূমির কোনো চিহ্ন নেই। তবে সেটাকে বধ্যভূমি হিসেবে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে। প্রায় ৫০০ বছর আগে বদ্রী নারায়ণের যোশী মঠের সন্ন্যাসী গোপাল গিরি ঢাকায় এসে রমনায় প্রথমে একটি আখড়া স্থাপন করেন। তখন এ আখড়াটি কাঠঘর নামে পরিচিত ছিল।
পরে সম্ভবত ১৭ শতকের প্রথম দিকে এ স্থানেই হরিচরণ গিরি মূল মন্দিরটি নির্মাণ করেন। কালীবাড়ি মন্দিরটি ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়। তারা মন্দির ও আশ্রমটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মন্দিরের সেবায়েতসহ প্রায় ১০০ সন্ন্যাসী, ভক্ত এবং সেখানে বসবাসরত সাধারণ মানুষ নিহত হন। যদিও এখন বধ্যভূমির কোনো চিহ্ন নেই। তবে সেটাকে বধ্যভূমি হিসেবে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। ছবি: সংগৃহীত

প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট তিনি। দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্টদের তালিকা করলেও সেখানে অনায়াসে জায়গা হয়ে যায় তাঁর। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৭৩২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আসেন জর্জ ওয়াশিংটন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল...
১ দিন আগে
সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
২ দিন আগে
...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
৯ দিন আগেসম্পাদকীয়

...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
এগুলো নিয়ে কোনো বিতর্ক আছে বলে মনে করি না। কিন্তু বর্তমানে এটা কী হচ্ছে? যদি বলি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সঠিক পথে এগোচ্ছে না, তাহলে সেই না এগোনোর কারণটা কী, তা নিয়ে কেন অর্থপূর্ণ আলোচনা হচ্ছে না? আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন আকারেই উত্থাপন করছি। আমাদের অর্জন অনেক। আজ আমাদের গার্মেন্টসশিল্প বিশ্বে তৃতীয়। আমরা খুব দ্রুত দ্বিতীয় বা প্রথমের কাতারে চলে যাব। আমাদের লাখ লাখ ছেলে-মেয়ে বিদেশে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। প্রতিবছর কৃষির উৎপাদন বাড়ছে। কিন্তু এসবের পরেও কী হচ্ছে? বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
... পাকিস্তানিদের কথা আর কী বলব! আক্ষরিক অর্থেই তারা তখন আমাদের পা ধরেছিল। ‘তোমরা এদের ছেড়ে দাও, আমরা নিজের দেশে নিয়ে গিয়ে এদের বিচার করব।’ ১৯৫ জনকে আমরা চিহ্নিত করি তখন। বঙ্গবন্ধু তখন রাশিয়াতে ছিলেন, তারা সেখানে বঙ্গবন্ধুর কাছে লোক পাঠিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে বলেছে, ‘আপনারা যদি এ বিচার করেন তাহলে ভুট্টোর কল্লা থাকবে না। আমাদের কাছে ফেরত দিন, আমরা এদের বিচার করব।’ এটা সে সময় ‘লন্ডন টাইমস’-এ প্রকাশিত হয়েছে। একেবারে তারা আন্ডারটেকিং দিয়েছে, ‘ছেড়ে দিন, আমরা বিচার করব। আর কোনো সাক্ষী লাগলে তোমাদের ডেকে পাঠানো হবে।’ শিল্পকলা একাডেমির যে বিল্ডিং ভেঙে এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট হয়েছে, ওই বিল্ডিংয়ে ভর্তি ছিল স্টেটমেন্টগুলো। এগুলো কী হয়েছে, কে গুম করেছে, আমি জানি না। এর মধ্যে অনেক সরকার এসেছে, গেছে। তবে আমরা খুব পরিশ্রম করেই এগুলো সংগ্রহ করেছিলাম।
সূত্র: শারমিনুর নাহার কর্তৃক ড. কামাল হোসেনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ; ‘সময় সমাজ ও রাজনীতির ভাষ্য’, পৃষ্ঠা: ৩১-৩২।

...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
এগুলো নিয়ে কোনো বিতর্ক আছে বলে মনে করি না। কিন্তু বর্তমানে এটা কী হচ্ছে? যদি বলি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সঠিক পথে এগোচ্ছে না, তাহলে সেই না এগোনোর কারণটা কী, তা নিয়ে কেন অর্থপূর্ণ আলোচনা হচ্ছে না? আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন আকারেই উত্থাপন করছি। আমাদের অর্জন অনেক। আজ আমাদের গার্মেন্টসশিল্প বিশ্বে তৃতীয়। আমরা খুব দ্রুত দ্বিতীয় বা প্রথমের কাতারে চলে যাব। আমাদের লাখ লাখ ছেলে-মেয়ে বিদেশে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। প্রতিবছর কৃষির উৎপাদন বাড়ছে। কিন্তু এসবের পরেও কী হচ্ছে? বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
... পাকিস্তানিদের কথা আর কী বলব! আক্ষরিক অর্থেই তারা তখন আমাদের পা ধরেছিল। ‘তোমরা এদের ছেড়ে দাও, আমরা নিজের দেশে নিয়ে গিয়ে এদের বিচার করব।’ ১৯৫ জনকে আমরা চিহ্নিত করি তখন। বঙ্গবন্ধু তখন রাশিয়াতে ছিলেন, তারা সেখানে বঙ্গবন্ধুর কাছে লোক পাঠিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে বলেছে, ‘আপনারা যদি এ বিচার করেন তাহলে ভুট্টোর কল্লা থাকবে না। আমাদের কাছে ফেরত দিন, আমরা এদের বিচার করব।’ এটা সে সময় ‘লন্ডন টাইমস’-এ প্রকাশিত হয়েছে। একেবারে তারা আন্ডারটেকিং দিয়েছে, ‘ছেড়ে দিন, আমরা বিচার করব। আর কোনো সাক্ষী লাগলে তোমাদের ডেকে পাঠানো হবে।’ শিল্পকলা একাডেমির যে বিল্ডিং ভেঙে এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট হয়েছে, ওই বিল্ডিংয়ে ভর্তি ছিল স্টেটমেন্টগুলো। এগুলো কী হয়েছে, কে গুম করেছে, আমি জানি না। এর মধ্যে অনেক সরকার এসেছে, গেছে। তবে আমরা খুব পরিশ্রম করেই এগুলো সংগ্রহ করেছিলাম।
সূত্র: শারমিনুর নাহার কর্তৃক ড. কামাল হোসেনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ; ‘সময় সমাজ ও রাজনীতির ভাষ্য’, পৃষ্ঠা: ৩১-৩২।

প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট তিনি। দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্টদের তালিকা করলেও সেখানে অনায়াসে জায়গা হয়ে যায় তাঁর। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৭৩২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আসেন জর্জ ওয়াশিংটন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল...
১ দিন আগে
সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
২ দিন আগে
বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
৮ দিন আগে