অনলাইন ডেস্ক
আপনার কাছে কি বলার মতো কোনো গল্প আছে? থাকলে বলে ফেলুন। কারণ, আজ মুখোমুখি বসে আড্ডাচ্ছলে গল্প বলার দিন। কর্মব্যস্ত জীবনে প্রতিদিন তো কত গল্পই তৈরি হয়! কখনো তা হাসির, কখনো আবেগের, কখনো অনুপ্রেরণার, কখনো বিষাদের। কিন্তু সময়, সুযোগ ও উপযুক্ত শ্রোতার অভাবে সেই গল্পগুলো কখনো বলা হয়ে ওঠে না। আজ সেই সব গল্প প্রিয়জনকে শোনানোরই দিন। পশ্চিমা বিশ্বে প্রতিবছর আজকের এই দিনে (২৭ এপ্রিল) নানা আয়োজনে উদ্যাপিত হয় গল্প বলা দিবস বা ‘টেল অ্যা স্টোরি ডে’।
‘গল্প বলা দিবস’ মূলত এমন একটি দিন, যেদিন কাছে বসে গল্প বলাকে উদ্যাপন করা হয়। মূলত ব্যস্ত সময়ের মধ্যে পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটানোর একটা সুন্দর আবহ তৈরি করে এই দিন, যেখানে গল্প বলা এবং শোনা থাকে মূল উদ্দেশ্য—তা হতে পারে বই থেকে পড়ে শোনানো, নিজের জীবনের গল্প কিংবা কল্পনাপ্রসূত কোনো কাহিনিও। তা ছাড়া, পারিবারিক পুরোনো স্মৃতি নতুন করে শোনানোর আসরও জমে এই দিনে। এ আড্ডায় ছোট-বড় সব সদস্যের অংশগ্রহণ থাকে।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পরিবার তো বটেই, স্কুল, গ্রন্থাগার এমনকি অফিসেও এদিন নানা আয়োজন হয়। শিশুদের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি, বড়দের জন্যও এটি স্মৃতি রোমন্থনের এক দারুণ সুযোগ হয়ে ওঠে।
‘টেল অ্যা স্টোরি ডে’র উৎপত্তি নিয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। এর সূচনার সুনির্দিষ্ট ইতিহাস অস্পষ্ট। তবে ধারণা করা হয়, উনিশ শতকের শেষ দিকে কিংবা বিশ শতকের শুরুতে পশ্চিমা বিশ্বে গল্প বলার প্রাচীন ঐতিহ্য নতুনভাবে উদ্যাপন করতে দিবসটি চালু হয়। মানুষের মধ্যে সৃজনশীলতা, মানবিক সংযোগ এবং গল্প বলার এই পুরোনো রীতি ধরে রাখার লক্ষ্যে দিনটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
প্রাচীনকালে মানুষের জ্ঞান, সংস্কৃতি ও অনুভূতির বিনিময়ের একমাত্র মাধ্যমই ছিল গল্প বলা। বর্ণ বা হরফ উদ্ভাবনের আগে মুখে মুখে গল্প বলার মধ্য দিয়ে যেভাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ইতিহাস প্রবাহিত হয়েছিল, টেল অ্যা স্টোরি ডে সেটিকেই স্মরণ করিয়ে দেয়।
প্রযুক্তির উন্নয়নে যোগাযোগের মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। ফলে আগের রীতিতে মানুষ আর গল্প বলে না। আধুনিক মানুষ মূলত প্রয়োজনের বাইরে যোগাযোগ করতে তেমন আগ্রহী নয়।
আজকাল বিনোদনের জন্য বই পড়া, নাটক ও সিনেমায় নতুন গল্পের অভিজ্ঞতা নেওয়া হয়। কিন্তু সশরীরের আড্ডায় গল্প যেমন বিনোদনের মাধ্যম, তেমনি এটি মানসিক বিকাশ ঘটায়, সৃজনশীলতা বাড়ায় এবং মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সহানুভূতি তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
তাহলে কীভাবে উদ্যাপন করছেন আজকের এই বিশেষ দিন? আশপাশের মানুষকে আজই একটি গল্প শোনান—হতে পারে আপনার শৈশবের কোনো মজার অভিজ্ঞতা বা প্রিয় কোনো সাহিত্যিকের লেখা গল্প। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি ছোট গল্প বলার আসর করতে পারেন বা প্রিয় বন্ধুকে ফোন করে কিছুক্ষণ গল্প করতে পারেন। গল্প বলা দিবস উপলক্ষে প্রিয় কাউকে বইও উপহার দিতে পারেন আজ। আবার কাছের কারও কাছ থেকে চেয়ে নিতে পারেন নিজের পছন্দের কোনো বইও!
আপনার কাছে কি বলার মতো কোনো গল্প আছে? থাকলে বলে ফেলুন। কারণ, আজ মুখোমুখি বসে আড্ডাচ্ছলে গল্প বলার দিন। কর্মব্যস্ত জীবনে প্রতিদিন তো কত গল্পই তৈরি হয়! কখনো তা হাসির, কখনো আবেগের, কখনো অনুপ্রেরণার, কখনো বিষাদের। কিন্তু সময়, সুযোগ ও উপযুক্ত শ্রোতার অভাবে সেই গল্পগুলো কখনো বলা হয়ে ওঠে না। আজ সেই সব গল্প প্রিয়জনকে শোনানোরই দিন। পশ্চিমা বিশ্বে প্রতিবছর আজকের এই দিনে (২৭ এপ্রিল) নানা আয়োজনে উদ্যাপিত হয় গল্প বলা দিবস বা ‘টেল অ্যা স্টোরি ডে’।
‘গল্প বলা দিবস’ মূলত এমন একটি দিন, যেদিন কাছে বসে গল্প বলাকে উদ্যাপন করা হয়। মূলত ব্যস্ত সময়ের মধ্যে পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটানোর একটা সুন্দর আবহ তৈরি করে এই দিন, যেখানে গল্প বলা এবং শোনা থাকে মূল উদ্দেশ্য—তা হতে পারে বই থেকে পড়ে শোনানো, নিজের জীবনের গল্প কিংবা কল্পনাপ্রসূত কোনো কাহিনিও। তা ছাড়া, পারিবারিক পুরোনো স্মৃতি নতুন করে শোনানোর আসরও জমে এই দিনে। এ আড্ডায় ছোট-বড় সব সদস্যের অংশগ্রহণ থাকে।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পরিবার তো বটেই, স্কুল, গ্রন্থাগার এমনকি অফিসেও এদিন নানা আয়োজন হয়। শিশুদের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি, বড়দের জন্যও এটি স্মৃতি রোমন্থনের এক দারুণ সুযোগ হয়ে ওঠে।
‘টেল অ্যা স্টোরি ডে’র উৎপত্তি নিয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। এর সূচনার সুনির্দিষ্ট ইতিহাস অস্পষ্ট। তবে ধারণা করা হয়, উনিশ শতকের শেষ দিকে কিংবা বিশ শতকের শুরুতে পশ্চিমা বিশ্বে গল্প বলার প্রাচীন ঐতিহ্য নতুনভাবে উদ্যাপন করতে দিবসটি চালু হয়। মানুষের মধ্যে সৃজনশীলতা, মানবিক সংযোগ এবং গল্প বলার এই পুরোনো রীতি ধরে রাখার লক্ষ্যে দিনটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
প্রাচীনকালে মানুষের জ্ঞান, সংস্কৃতি ও অনুভূতির বিনিময়ের একমাত্র মাধ্যমই ছিল গল্প বলা। বর্ণ বা হরফ উদ্ভাবনের আগে মুখে মুখে গল্প বলার মধ্য দিয়ে যেভাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ইতিহাস প্রবাহিত হয়েছিল, টেল অ্যা স্টোরি ডে সেটিকেই স্মরণ করিয়ে দেয়।
প্রযুক্তির উন্নয়নে যোগাযোগের মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। ফলে আগের রীতিতে মানুষ আর গল্প বলে না। আধুনিক মানুষ মূলত প্রয়োজনের বাইরে যোগাযোগ করতে তেমন আগ্রহী নয়।
আজকাল বিনোদনের জন্য বই পড়া, নাটক ও সিনেমায় নতুন গল্পের অভিজ্ঞতা নেওয়া হয়। কিন্তু সশরীরের আড্ডায় গল্প যেমন বিনোদনের মাধ্যম, তেমনি এটি মানসিক বিকাশ ঘটায়, সৃজনশীলতা বাড়ায় এবং মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সহানুভূতি তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
তাহলে কীভাবে উদ্যাপন করছেন আজকের এই বিশেষ দিন? আশপাশের মানুষকে আজই একটি গল্প শোনান—হতে পারে আপনার শৈশবের কোনো মজার অভিজ্ঞতা বা প্রিয় কোনো সাহিত্যিকের লেখা গল্প। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি ছোট গল্প বলার আসর করতে পারেন বা প্রিয় বন্ধুকে ফোন করে কিছুক্ষণ গল্প করতে পারেন। গল্প বলা দিবস উপলক্ষে প্রিয় কাউকে বইও উপহার দিতে পারেন আজ। আবার কাছের কারও কাছ থেকে চেয়ে নিতে পারেন নিজের পছন্দের কোনো বইও!
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
২ দিন আগেবাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
২ দিন আগেযুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
৩ দিন আগেইতিহাসের অন্যতম দীর্ঘ ও নির্মম সংঘাত ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধ। এই যুদ্ধের প্রতিটি দিন ভয়, মৃত্যু এবং সাহসিকতার এক করুণ প্রতিচ্ছবি। ঠিক এই কঠিন বাস্তবতার মাঝে ভিয়তনামের যুদ্ধের ছবি তুলতে লাগল কিশোর ফটোসাংবাদিক লু মান হং ওরফে জিমি।
৪ দিন আগে