হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বাঙালির স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাবক। যদিও সেটা বিভিন্ন কারণে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। বাংলার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ১৯৪৭ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে অবিভক্ত এবং স্বাধীন বাংলার ধারণার প্রস্তাব তুলে ধরেন। ব্রিটিশ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন ভারতবর্ষ বিভক্ত করে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে ভাগ করার পরিকল্পনা করছিলেন। তখন তিনি এ প্রস্তাব দেন। বাংলা, আসাম ও বিহার অঞ্চলের কয়েকটি জেলা নিয়ে ‘বৃহৎ বাংলা’ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের আকাঙ্ক্ষা ছিল তাঁর। পূর্ব বাংলায় মুসলিম লীগের অনেক নেতা এর বিপক্ষে ছিলেন।
ভারত বিভক্তির পর থেকে মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে অন্যতম প্রতিবাদী নেতা ছিলেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, তিনি পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর প্রচেষ্টায় ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হয়।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পরে বাঙালির যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ও বিকাশ ঘটে, সে ক্ষেত্রেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণেই ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয় এবং এই ফ্রন্ট নির্বাচনে অবিস্মরণীয় বিজয় অর্জন করে।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে শহীদ সোহরাওয়ার্দীর যে অসাধারণ প্রভাব ছিল, তা স্পষ্ট হয় ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটিতে। এই বইয়ে অনেকের মতো সবচেয়ে বেশি কথা এসেছে সোহরাওয়ার্দীকে নিয়ে। বইটিতে বঙ্গবন্ধু তাঁকে ‘শহীদ সাহেব’ বলে সম্বোধন করেছেন।
সোহরাওয়ার্দী ছিলেন একাধারে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে আসার প্রেরণা, রাজনৈতিক পরামর্শদাতা এবং নেতা।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের খ্যাতনামা বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দীর কনিষ্ঠ সন্তান।
গণতন্ত্রের এই মানসপুত্র ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতে একটি হোটেল কক্ষে নিঃসঙ্গ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকার সুপ্রিম কোর্টের পাশে তিন নেতার মাজারে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বাঙালির স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাবক। যদিও সেটা বিভিন্ন কারণে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। বাংলার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ১৯৪৭ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে অবিভক্ত এবং স্বাধীন বাংলার ধারণার প্রস্তাব তুলে ধরেন। ব্রিটিশ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন ভারতবর্ষ বিভক্ত করে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে ভাগ করার পরিকল্পনা করছিলেন। তখন তিনি এ প্রস্তাব দেন। বাংলা, আসাম ও বিহার অঞ্চলের কয়েকটি জেলা নিয়ে ‘বৃহৎ বাংলা’ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের আকাঙ্ক্ষা ছিল তাঁর। পূর্ব বাংলায় মুসলিম লীগের অনেক নেতা এর বিপক্ষে ছিলেন।
ভারত বিভক্তির পর থেকে মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে অন্যতম প্রতিবাদী নেতা ছিলেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, তিনি পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর প্রচেষ্টায় ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হয়।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পরে বাঙালির যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ও বিকাশ ঘটে, সে ক্ষেত্রেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণেই ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয় এবং এই ফ্রন্ট নির্বাচনে অবিস্মরণীয় বিজয় অর্জন করে।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে শহীদ সোহরাওয়ার্দীর যে অসাধারণ প্রভাব ছিল, তা স্পষ্ট হয় ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটিতে। এই বইয়ে অনেকের মতো সবচেয়ে বেশি কথা এসেছে সোহরাওয়ার্দীকে নিয়ে। বইটিতে বঙ্গবন্ধু তাঁকে ‘শহীদ সাহেব’ বলে সম্বোধন করেছেন।
সোহরাওয়ার্দী ছিলেন একাধারে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে আসার প্রেরণা, রাজনৈতিক পরামর্শদাতা এবং নেতা।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের খ্যাতনামা বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দীর কনিষ্ঠ সন্তান।
গণতন্ত্রের এই মানসপুত্র ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতে একটি হোটেল কক্ষে নিঃসঙ্গ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকার সুপ্রিম কোর্টের পাশে তিন নেতার মাজারে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।
১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
২ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
৮ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
১৯ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
২৩ দিন আগে