সম্পাদকীয়
কেমন ছিলেন কবি বিনয় মজুমদার, তা নিয়ে রয়েছে নানা কথা। বিনয়কে সবাই চিনেছে তাঁর কবিতায়। ‘ভালোবাসা দিতে পারি, তোমরা কি গ্রহণে সক্ষম?’—কী অসাধারণ উচ্চারণ!
তাঁকে নিয়ে যে গল্পগুলো ছড়িয়ে আছে নানা জায়গায়, তা থেকেই কিছু কথা বলা যাক। তখন শক্তি চট্টোপাধ্যায় আর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘যুগলবন্দী’ বইটি বের হয়েছে। প্রেসিডেন্সি কলেজে বিনয়কে নিয়ে তথ্যচিত্র আর আলোচনা হয়েছে। সেখানে বাংলা বিভাগের এক অধ্যাপক একটা গল্প বলেছিলেন।
গল্পটা ছিল এমন। একদিন তিনি কলেজ স্ট্রিটে পুরোনো বই দেখছিলেন। এমন সময় পুরোনো বইয়ের মধ্যে হঠাৎ পেলেন এক চকচকে নতুন বই! ব্যাপার কী? বইটা খুলে তিনি দারুণ অবাক হলেন। বইয়ের প্রথম পাতায় লেখা, ‘বিনয়দা-কে।’ নিচে শক্তি চট্টোপাধ্যায় আর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সই। সইয়ের নিচে তারিখ। আর তারিখটা হলো গতকালের! এর মানে হলো, গতকাল সন্ধ্যায় কফি হাউসের আড্ডায় হয়তো বিনয় মজুমদারকে বইটি উপহার দিয়েছিলেন দুই কবি। কফি হাউস থেকে নিচে নেমেই বুঝি কবি সে বই বিক্রি করে দিয়েছিলেন।
তার মানে কি নতুন কবিদের একেবারেই সম্মান করতেন না বিনয় মজুমদার? তাঁর জীবন তো সে কথা বলে না। কবি অনির্বাণ দাস শোনাচ্ছেন অন্য গল্প।
শিমুলপুরে বিনয়দের বাড়ির নাম ছিল ‘বিনোদিনী কুঠি’। মায়ের নামে। ছোট পত্রিকার কবিরা সেই বাড়িতে হানা দিতেন যখন-তখন। আড্ডা হতো, শতরঞ্জি পেতে হতো কবিতা পাঠ। হয়তো বিনয় বলে উঠলেন, ‘আবীর, ওই কবিতাটা পড়ো।’ ‘জাহাজেরা ডোবে না, আত্মহত্যা করে…’। আবীর সিংহের মতো ছোট পত্রিকার কবির কবিতাও কতটা যত্ন নিয়ে পড়তেন বিনয়!
অল্পবয়সী কবিরা তাঁদের ছোট পত্রিকার জন্য কবিতা চাইলে ফেরাতেন না তিনি। একবার তাঁর বাড়িতে ইলেকট্রিকের কাজ চলছে, অন্ধকারে বসে আছেন কবি। ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে নিয়ে অক্ষরবৃত্ত ছন্দে লিখে দিলেন কবিতা! কবিতার কপিও রাখলেন না!
সূত্র: অনিতেশ চক্রবর্তী, বঙ্গদর্শন
কেমন ছিলেন কবি বিনয় মজুমদার, তা নিয়ে রয়েছে নানা কথা। বিনয়কে সবাই চিনেছে তাঁর কবিতায়। ‘ভালোবাসা দিতে পারি, তোমরা কি গ্রহণে সক্ষম?’—কী অসাধারণ উচ্চারণ!
তাঁকে নিয়ে যে গল্পগুলো ছড়িয়ে আছে নানা জায়গায়, তা থেকেই কিছু কথা বলা যাক। তখন শক্তি চট্টোপাধ্যায় আর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘যুগলবন্দী’ বইটি বের হয়েছে। প্রেসিডেন্সি কলেজে বিনয়কে নিয়ে তথ্যচিত্র আর আলোচনা হয়েছে। সেখানে বাংলা বিভাগের এক অধ্যাপক একটা গল্প বলেছিলেন।
গল্পটা ছিল এমন। একদিন তিনি কলেজ স্ট্রিটে পুরোনো বই দেখছিলেন। এমন সময় পুরোনো বইয়ের মধ্যে হঠাৎ পেলেন এক চকচকে নতুন বই! ব্যাপার কী? বইটা খুলে তিনি দারুণ অবাক হলেন। বইয়ের প্রথম পাতায় লেখা, ‘বিনয়দা-কে।’ নিচে শক্তি চট্টোপাধ্যায় আর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সই। সইয়ের নিচে তারিখ। আর তারিখটা হলো গতকালের! এর মানে হলো, গতকাল সন্ধ্যায় কফি হাউসের আড্ডায় হয়তো বিনয় মজুমদারকে বইটি উপহার দিয়েছিলেন দুই কবি। কফি হাউস থেকে নিচে নেমেই বুঝি কবি সে বই বিক্রি করে দিয়েছিলেন।
তার মানে কি নতুন কবিদের একেবারেই সম্মান করতেন না বিনয় মজুমদার? তাঁর জীবন তো সে কথা বলে না। কবি অনির্বাণ দাস শোনাচ্ছেন অন্য গল্প।
শিমুলপুরে বিনয়দের বাড়ির নাম ছিল ‘বিনোদিনী কুঠি’। মায়ের নামে। ছোট পত্রিকার কবিরা সেই বাড়িতে হানা দিতেন যখন-তখন। আড্ডা হতো, শতরঞ্জি পেতে হতো কবিতা পাঠ। হয়তো বিনয় বলে উঠলেন, ‘আবীর, ওই কবিতাটা পড়ো।’ ‘জাহাজেরা ডোবে না, আত্মহত্যা করে…’। আবীর সিংহের মতো ছোট পত্রিকার কবির কবিতাও কতটা যত্ন নিয়ে পড়তেন বিনয়!
অল্পবয়সী কবিরা তাঁদের ছোট পত্রিকার জন্য কবিতা চাইলে ফেরাতেন না তিনি। একবার তাঁর বাড়িতে ইলেকট্রিকের কাজ চলছে, অন্ধকারে বসে আছেন কবি। ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে নিয়ে অক্ষরবৃত্ত ছন্দে লিখে দিলেন কবিতা! কবিতার কপিও রাখলেন না!
সূত্র: অনিতেশ চক্রবর্তী, বঙ্গদর্শন
১৬৫৫ সালে গৌড়ীয় রীতিতে রাজবাড়ির বালিয়াকান্দী উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামে জোড় বাংলা মন্দির ও বিগ্রহ নির্মাণ করেন রাজা সীতারাম রায়। দুটো মন্দির পাশাপাশি নির্মাণ করা হয় বলে এর এমন নাম। স্থানীয়দের মতে, রাজা সীতারাম বেলগাছিতে সোনায় গড়া মূর্তি দিয়ে দুর্গাপূজা করতে...
১৯ ঘণ্টা আগে১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৫ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
১২ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২২ দিন আগে