সম্পাদকীয়
অসাধারণ অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের শৈশব, কৈশোর, যৌবন কেটেছে আমাদের এই ঢাকা শহরে। প্রথমে ভর্তি হয়েছিলেন পোগজ স্কুলে। সেখান থেকে সেন্ট গ্রেগরিজে। হাইস্কুল পাস করে জগন্নাথ কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু, কবি মোহিতলাল মজুমদার, ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, কবি জসীমউদ্দীন, রমেশচন্দ্র মজুমদারদের। সত্যেন বোস খুব স্নেহ করতেন ভানুকে।
ছোটবেলায় ভানুর কণ্ঠস্বর ছিল খুব মিহি। তাই নাটক করতে গেলে পরিচালকেরা তাঁকে দিতেন নারী চরিত্র। তাই ‘সাজাহান’ নাটকে জাহানারা, ‘পথের শেষে’ নাটকে সুখদা, ‘মেবার পতন’-এ মানসী, ‘সরলা’ নাটকের সরলা চরিত্রগুলো ছিল ভানুর। কুন্তী, সীতা চরিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি।
অভিনয় করবেন, এটা তাঁর ভাবনায় ছিল না। একটি ঘটনাই বদলে দিয়েছিল তাঁর ভাবনার জগৎ। খুব ছোট যখন, তখন পাড়ায় বসেছে নাটকের আসর। স্টেজটা মাথাসমান উঁচু। স্টেজের পাটাতন ধরে নাটক দেখছিলেন ভানু। এ সময় একজন অভিনেতা ধাই করে ভানুর মাথায় লাথি কষিয়ে দিল। ভানু পণ করলেন, স্টেজে নামতে হবে।
নারী চরিত্র করতে করতেই একদিন ‘রণবীর’ নাটকের মহড়ায় গেছেন। উদয় সিংহের ভূমিকায় যিনি অভিনয় করছিলেন, তাঁর অভিনয় পছন্দ হচ্ছিল না নির্দেশক খগেন চক্রবর্তী ও আমোদ দাশগুপ্তের। একদিন ভানুকে উদয় সিংহের সংলাপ বলতে বলা হলো। ভানুর অভিনয় দেখে তাঁরা তাঁকেই পছন্দ করলেন। সেই প্রথম পুরুষ চরিত্রে রূপদান।
আরও একটি ঘটনা জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল তাঁর। বারো-তেরো বছর বয়সে ‘সীতা’ নামের সিনেমা দেখলেন। তাতে শিশিরকুমার ভাদুড়ির অভিনয় দেখে অভিভূত হলেন। পাগলের মতো বাবা, মা, দাদা, দিদির কাছে শিশিরকুমারের গল্প বলতে লাগলেন। ছেলের কথা শোনার পর বাবা আস্তে করে বললেন, ‘তোর হিরো শিশিরকুমারের প্রাইভেট টিউটর ছিলাম আমি, অবশ্য কুড়ি-পঁচিশ বছর আগেকার কথা!’
শুনে স্তম্ভিত ভানু। তাঁর আইডল শিশির ভাদুড়ির প্রাইভেট টিউটর ছিলেন বাবা! বাবার ওপর ভানুর শ্রদ্ধা বেড়ে গেল হাজার গুণ।
সূত্র: ভানুসমগ্র
অসাধারণ অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের শৈশব, কৈশোর, যৌবন কেটেছে আমাদের এই ঢাকা শহরে। প্রথমে ভর্তি হয়েছিলেন পোগজ স্কুলে। সেখান থেকে সেন্ট গ্রেগরিজে। হাইস্কুল পাস করে জগন্নাথ কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু, কবি মোহিতলাল মজুমদার, ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, কবি জসীমউদ্দীন, রমেশচন্দ্র মজুমদারদের। সত্যেন বোস খুব স্নেহ করতেন ভানুকে।
ছোটবেলায় ভানুর কণ্ঠস্বর ছিল খুব মিহি। তাই নাটক করতে গেলে পরিচালকেরা তাঁকে দিতেন নারী চরিত্র। তাই ‘সাজাহান’ নাটকে জাহানারা, ‘পথের শেষে’ নাটকে সুখদা, ‘মেবার পতন’-এ মানসী, ‘সরলা’ নাটকের সরলা চরিত্রগুলো ছিল ভানুর। কুন্তী, সীতা চরিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি।
অভিনয় করবেন, এটা তাঁর ভাবনায় ছিল না। একটি ঘটনাই বদলে দিয়েছিল তাঁর ভাবনার জগৎ। খুব ছোট যখন, তখন পাড়ায় বসেছে নাটকের আসর। স্টেজটা মাথাসমান উঁচু। স্টেজের পাটাতন ধরে নাটক দেখছিলেন ভানু। এ সময় একজন অভিনেতা ধাই করে ভানুর মাথায় লাথি কষিয়ে দিল। ভানু পণ করলেন, স্টেজে নামতে হবে।
নারী চরিত্র করতে করতেই একদিন ‘রণবীর’ নাটকের মহড়ায় গেছেন। উদয় সিংহের ভূমিকায় যিনি অভিনয় করছিলেন, তাঁর অভিনয় পছন্দ হচ্ছিল না নির্দেশক খগেন চক্রবর্তী ও আমোদ দাশগুপ্তের। একদিন ভানুকে উদয় সিংহের সংলাপ বলতে বলা হলো। ভানুর অভিনয় দেখে তাঁরা তাঁকেই পছন্দ করলেন। সেই প্রথম পুরুষ চরিত্রে রূপদান।
আরও একটি ঘটনা জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল তাঁর। বারো-তেরো বছর বয়সে ‘সীতা’ নামের সিনেমা দেখলেন। তাতে শিশিরকুমার ভাদুড়ির অভিনয় দেখে অভিভূত হলেন। পাগলের মতো বাবা, মা, দাদা, দিদির কাছে শিশিরকুমারের গল্প বলতে লাগলেন। ছেলের কথা শোনার পর বাবা আস্তে করে বললেন, ‘তোর হিরো শিশিরকুমারের প্রাইভেট টিউটর ছিলাম আমি, অবশ্য কুড়ি-পঁচিশ বছর আগেকার কথা!’
শুনে স্তম্ভিত ভানু। তাঁর আইডল শিশির ভাদুড়ির প্রাইভেট টিউটর ছিলেন বাবা! বাবার ওপর ভানুর শ্রদ্ধা বেড়ে গেল হাজার গুণ।
সূত্র: ভানুসমগ্র
বোঝাই যাচ্ছে ছবিটি একটি নাপিতের দোকানের। এ-ও বুঝতে অসুবিধা হয় না যে এটি ব্রিটিশ আমলে তোলা একটি ছবি। কেননা, দোকানের নামটি স্পষ্ট করে ইংরেজিতে লেখা—‘হানিফ বারবার নম্বর ফিফটি নাইন, হেয়ারকাটার অল হেয়ারি থিংস হিয়ার গট’। আর দোকানটির তালাবদ্ধ প্রবেশদ্বারের পাশের দেয়ালে ঝুলছে কতক পরচুলা, যেগুলোর কোনোটির...
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকার পাঠক ফোরাম পাঠকবন্ধুর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুক্রবার (২ মে) বনশ্রীতে পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয়ে উদ্যাপিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন শাখার বন্ধুরা অংশ নেন।
১ দিন আগেকোকা-কোলার সঙ্গে ইসরায়েরের নানাভাবে সংযোগ থাকতে পারে। তবে এটি মূলত মার্কিন কোম্পানি, যার প্রধান কার্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টা শহরে। ১৮৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত কোকা-কোলা এযাবৎ বহুবার বর্জনের মধ্য দিয়ে গেলেও এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সফট ড্রিংকস কোম্পানি।
১ দিন আগেবাংলাদেশের অ্যাংলিংকান সম্প্রদায় উপাসনার জন্য নির্মাণ করেছিল সেন্ট থমাস ক্যাথেড্রাল চার্চ। ১৮১৯ সালে শেষ হয় এর নির্মাণকাজ। ঢাকা কারাগারের কয়েদিরা নাকি এটির নির্মাণে শ্রম দিয়েছিল। কলকাতার বিশপ রেজিনাল্ড হেবার ১৮২৪ সালের ১০ জুলাই ঢাকায় এসে উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত এই গির্জাটির।
৪ দিন আগে