আজকের পত্রিকা ডেস্ক
সত্তর সালে বিটলস ভেঙে যাওয়াটা ছিল ভক্তকুলের জন্য বজ্রপাতের মতো। এই ভাঙনের জন্য কে দায়ী, তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। কিন্তু সত্য হলো জন লেনন, জর্জ হ্যারিসন, পল ম্যাকার্টনি আর রিঙ্গো স্টারকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছিল না। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হলো, তাঁরা প্রত্যেকেই তখন নিজের মতো করে পারফর্ম করে চলেছেন এবং দর্শক-শ্রোতা তা গ্রহণও করছেন।
এরপর এল ১৯৭১ সাল। রবিশঙ্করের মাথায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বসভায় হাজির করানোর একটা ভাবনা এল। সে সময় জর্জ ছিলেন নিজের ক্যারিয়ার গড়ার প্রচেষ্টায়। রবিশঙ্কর জানালেন, তিনি বাংলাদেশের জন্য তহবিল সংগ্রহে একটি কনসার্টের আয়োজন করার কথা ভাবছেন। তাঁর এই উদ্যোগে তিনি জর্জকে পাশে চান। কারণ, জর্জ যদি এই কনসার্টে অংশ নেওয়ার জন্য বন্ধুদের আহ্বান জানান, তাহলে তাঁরা তাঁর অনুরোধ রাখবেন।
জর্জ ভাবলেন। নিজের রেকর্ডিংকে কিছুদিনের জন্য বিশ্রাম দিলেন। বুঝলেন, এ সময় বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়ানো উচিত। প্রায় এক কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে, কাটাচ্ছে মানবেতর জীবন। তাদের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে।
জর্জ হ্যারিসন তখন পৃথিবীবিখ্যাত শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে লাগলেন। বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, বিলি প্রেস্টন, রিঙ্গো স্টার, লিওন রাসেল সাড়া দিলেন জর্জ হ্যারিসনের আহ্বানে। অন্যদিকে রবিশঙ্করের সঙ্গে থাকলেন ওস্তাদ আলী আকবর খান, ওস্তাদ আল্লা রাখা।
১৯৭১ সালের ১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসন স্কয়ারে যখন ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ শুরু হলো, তখন শুরুতেই মঞ্চে দেখা গেল জর্জ হ্যারিসনকে। হ্যারিসন বলেছিলেন, ‘ভারতীয় সংগীত আমাদের চেয়ে অনেক গভীর।’ এ কথা বলে তিনি রবিশঙ্কর ও তাঁর সহশিল্পীদের সঙ্গে দর্শক-শ্রোতাদের পরিচয় করিয়ে দেন। ‘বাংলার ধুন’ দিয়ে শুরু হয়েছিল সেই কনসার্ট।
হ্যারিসন সে কনসার্টে গান গেয়েছিলেন আটটি। তার মধ্যে একটি ছিল বব ডিলানের সঙ্গে। এখানেই ছিল ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ গানটি।
সূত্র: জর্জ হ্যারিসন সম্পর্কে বিভিন্ন বই ও সংবাদপত্র
সত্তর সালে বিটলস ভেঙে যাওয়াটা ছিল ভক্তকুলের জন্য বজ্রপাতের মতো। এই ভাঙনের জন্য কে দায়ী, তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। কিন্তু সত্য হলো জন লেনন, জর্জ হ্যারিসন, পল ম্যাকার্টনি আর রিঙ্গো স্টারকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছিল না। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হলো, তাঁরা প্রত্যেকেই তখন নিজের মতো করে পারফর্ম করে চলেছেন এবং দর্শক-শ্রোতা তা গ্রহণও করছেন।
এরপর এল ১৯৭১ সাল। রবিশঙ্করের মাথায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বসভায় হাজির করানোর একটা ভাবনা এল। সে সময় জর্জ ছিলেন নিজের ক্যারিয়ার গড়ার প্রচেষ্টায়। রবিশঙ্কর জানালেন, তিনি বাংলাদেশের জন্য তহবিল সংগ্রহে একটি কনসার্টের আয়োজন করার কথা ভাবছেন। তাঁর এই উদ্যোগে তিনি জর্জকে পাশে চান। কারণ, জর্জ যদি এই কনসার্টে অংশ নেওয়ার জন্য বন্ধুদের আহ্বান জানান, তাহলে তাঁরা তাঁর অনুরোধ রাখবেন।
জর্জ ভাবলেন। নিজের রেকর্ডিংকে কিছুদিনের জন্য বিশ্রাম দিলেন। বুঝলেন, এ সময় বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়ানো উচিত। প্রায় এক কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে, কাটাচ্ছে মানবেতর জীবন। তাদের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে।
জর্জ হ্যারিসন তখন পৃথিবীবিখ্যাত শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে লাগলেন। বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, বিলি প্রেস্টন, রিঙ্গো স্টার, লিওন রাসেল সাড়া দিলেন জর্জ হ্যারিসনের আহ্বানে। অন্যদিকে রবিশঙ্করের সঙ্গে থাকলেন ওস্তাদ আলী আকবর খান, ওস্তাদ আল্লা রাখা।
১৯৭১ সালের ১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসন স্কয়ারে যখন ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ শুরু হলো, তখন শুরুতেই মঞ্চে দেখা গেল জর্জ হ্যারিসনকে। হ্যারিসন বলেছিলেন, ‘ভারতীয় সংগীত আমাদের চেয়ে অনেক গভীর।’ এ কথা বলে তিনি রবিশঙ্কর ও তাঁর সহশিল্পীদের সঙ্গে দর্শক-শ্রোতাদের পরিচয় করিয়ে দেন। ‘বাংলার ধুন’ দিয়ে শুরু হয়েছিল সেই কনসার্ট।
হ্যারিসন সে কনসার্টে গান গেয়েছিলেন আটটি। তার মধ্যে একটি ছিল বব ডিলানের সঙ্গে। এখানেই ছিল ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ গানটি।
সূত্র: জর্জ হ্যারিসন সম্পর্কে বিভিন্ন বই ও সংবাদপত্র
১৬৫৫ সালে গৌড়ীয় রীতিতে রাজবাড়ির বালিয়াকান্দী উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামে জোড় বাংলা মন্দির ও বিগ্রহ নির্মাণ করেন রাজা সীতারাম রায়। দুটো মন্দির পাশাপাশি নির্মাণ করা হয় বলে এর এমন নাম। স্থানীয়দের মতে, রাজা সীতারাম বেলগাছিতে সোনায় গড়া মূর্তি দিয়ে দুর্গাপূজা করতে...
২ দিন আগে১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৬ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
১২ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২৩ দিন আগে