সম্পাদকীয়
যখন বিয়ে হয়, তখন কবি জসীমউদ্দীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতেন। বাংলার লেকচারার। মমতাজ তখন পড়ছেন ক্লাস নাইনে। থাকতেন নারায়ণগঞ্জে নানার বাড়িতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক ছিলেন মমতাজদের আত্মীয়। তিনিই একদিন নানার অনুমতি নিয়ে কবিকে নিয়ে আসেন নারায়ণগঞ্জে।
নানা ছিলেন মৌলভী। কিন্তু তিনি গান ভালোবাসতেন। হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান করতেন তিনি। জ্ঞানী-গুণী মানুষের সমাদর করতেন। মেহমান এলে শাহি খাবারের বন্দোবস্ত থাকত।
কবি যেদিন এলেন, সেদিন দুপুরে খাওয়া শেষ করে মমতাজ অপেক্ষা করছিলেন গৃহশিক্ষক অমীয় বাবুর জন্য। অমীয় বাবু এলেন; কিন্তু বললেন, ‘আজ তোমাদের বাড়িতে মেহমান আসবেন, তাই আমি চলে যাচ্ছি।’
সবাইকে কাজ করতে দেখে মমতাজও লেগে গেলেন কাজে। চেয়ার-টেবিল ঠিকঠাক করছেন, এ সময় লম্বা, স্বাস্থ্যবান, শ্যামলা এক সুপুরুষ এসে ঢুকল ঘরে। সম্পূর্ণ অপরিচিত পুরুষ হুট করে ঢুকে পড়ায় একটু হকচকিয়ে গেলেন মমতাজ। ভদ্রলোকের পরনে ধুতি-পাঞ্জাবি। গায়ে একটা চাদর। ভদ্রলোক দুম করে বসে পড়লেন এক চেয়ারে। তারপর বললেন, ‘খুকি, তুমি কবিতা ভালোবাসো?’
‘না।’ বললেন মমতাজ।
‘গান?’
‘না।’
এবার অবশ্য মিথ্যে বললেন মমতাজ। গান তিনি ভালোই করেন। মমতাজ কবির দিকে তাকালেন। দেখলেন, তাঁর সাদা দাঁতের ভেতর দুটি সোনার দাঁত চকচক করছে। ভদ্রলোক বললেন, ‘খুকি, তোমার খাতাটা কি আমি নিতে পারি?’
ভদ্রলোক খাতায় একটি কবিতা আর একটি গান লিখে দিলেন। মমতাজ জসীমউদ্দীনের কবিতাটি মনে রাখতে পেরেছিলেন। ‘আমারে করিও ক্ষমা/ সুন্দরী অনুপমা/ তোমার শান্তির নিভৃত আলয়ে/ হয়তো তোমার খেলার বাসরে/ অপরাধ রবে জমা/ আমারে করিও ক্ষমা...’।
মজার ব্যাপার, মমতাজ তখনো জানতেন না, ইনিই হচ্ছেন কবি জসীমউদ্দীন। তবে মমতাজকে যে কবির পছন্দ হয়েছে, সেটা বোঝা যাচ্ছিল, ঘন ঘন এই বাড়িতে কবির আগমনের কারণে। বিয়ের ব্যাপারটাও দারুণ মজার। সেটা বলা হবে পরে।
সূত্র: জসীমউদ্দীন জন্মশতবর্ষ স্মারকগ্রন্থ, পৃষ্ঠা ১৮-২০
যখন বিয়ে হয়, তখন কবি জসীমউদ্দীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতেন। বাংলার লেকচারার। মমতাজ তখন পড়ছেন ক্লাস নাইনে। থাকতেন নারায়ণগঞ্জে নানার বাড়িতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক ছিলেন মমতাজদের আত্মীয়। তিনিই একদিন নানার অনুমতি নিয়ে কবিকে নিয়ে আসেন নারায়ণগঞ্জে।
নানা ছিলেন মৌলভী। কিন্তু তিনি গান ভালোবাসতেন। হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান করতেন তিনি। জ্ঞানী-গুণী মানুষের সমাদর করতেন। মেহমান এলে শাহি খাবারের বন্দোবস্ত থাকত।
কবি যেদিন এলেন, সেদিন দুপুরে খাওয়া শেষ করে মমতাজ অপেক্ষা করছিলেন গৃহশিক্ষক অমীয় বাবুর জন্য। অমীয় বাবু এলেন; কিন্তু বললেন, ‘আজ তোমাদের বাড়িতে মেহমান আসবেন, তাই আমি চলে যাচ্ছি।’
সবাইকে কাজ করতে দেখে মমতাজও লেগে গেলেন কাজে। চেয়ার-টেবিল ঠিকঠাক করছেন, এ সময় লম্বা, স্বাস্থ্যবান, শ্যামলা এক সুপুরুষ এসে ঢুকল ঘরে। সম্পূর্ণ অপরিচিত পুরুষ হুট করে ঢুকে পড়ায় একটু হকচকিয়ে গেলেন মমতাজ। ভদ্রলোকের পরনে ধুতি-পাঞ্জাবি। গায়ে একটা চাদর। ভদ্রলোক দুম করে বসে পড়লেন এক চেয়ারে। তারপর বললেন, ‘খুকি, তুমি কবিতা ভালোবাসো?’
‘না।’ বললেন মমতাজ।
‘গান?’
‘না।’
এবার অবশ্য মিথ্যে বললেন মমতাজ। গান তিনি ভালোই করেন। মমতাজ কবির দিকে তাকালেন। দেখলেন, তাঁর সাদা দাঁতের ভেতর দুটি সোনার দাঁত চকচক করছে। ভদ্রলোক বললেন, ‘খুকি, তোমার খাতাটা কি আমি নিতে পারি?’
ভদ্রলোক খাতায় একটি কবিতা আর একটি গান লিখে দিলেন। মমতাজ জসীমউদ্দীনের কবিতাটি মনে রাখতে পেরেছিলেন। ‘আমারে করিও ক্ষমা/ সুন্দরী অনুপমা/ তোমার শান্তির নিভৃত আলয়ে/ হয়তো তোমার খেলার বাসরে/ অপরাধ রবে জমা/ আমারে করিও ক্ষমা...’।
মজার ব্যাপার, মমতাজ তখনো জানতেন না, ইনিই হচ্ছেন কবি জসীমউদ্দীন। তবে মমতাজকে যে কবির পছন্দ হয়েছে, সেটা বোঝা যাচ্ছিল, ঘন ঘন এই বাড়িতে কবির আগমনের কারণে। বিয়ের ব্যাপারটাও দারুণ মজার। সেটা বলা হবে পরে।
সূত্র: জসীমউদ্দীন জন্মশতবর্ষ স্মারকগ্রন্থ, পৃষ্ঠা ১৮-২০
১৬৫৫ সালে গৌড়ীয় রীতিতে রাজবাড়ির বালিয়াকান্দী উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামে জোড় বাংলা মন্দির ও বিগ্রহ নির্মাণ করেন রাজা সীতারাম রায়। দুটো মন্দির পাশাপাশি নির্মাণ করা হয় বলে এর এমন নাম। স্থানীয়দের মতে, রাজা সীতারাম বেলগাছিতে সোনায় গড়া মূর্তি দিয়ে দুর্গাপূজা করতে...
১ দিন আগে১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৫ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
১২ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২২ দিন আগে