উত্তরণ
ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন
রাফির (ছদ্মনাম) সঙ্গে আমি ২৩-০২-২০২৪ তারিখে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই। কিন্তু বিয়ের পরপরই তার চরিত্রের বিভিন্ন জঘন্য দিক আমার সামনে চলে আসে। বিয়ের পরে তার সঙ্গে আরও অনেক নারীর সম্পর্কের কথা আমি জানতে পারি। এ ছাড়া কথায় কথায় সে আমার গায়ে হাত তুলত। একপর্যায়ে রাফি আমাকে মৌখিকভাবে তালাক দেয়। এসব সহ্য করতে না পেরে বিয়ের এক মাস না যেতেই আমি তার থেকে সেপারেশনে চলে যাই। পরবর্তী সময়ে আরেকজন নারী আমাকে জানায় যে রাফি আমাকে ডিভোর্স করেছে। আমি প্রমাণ দেখতে চাইলে সে আমাকে একটি অসম্পূর্ণ তালাকনামা পাঠায়। ওই তালাকনামায় আমাদের বিবাহের তারিখ উল্লেখ ছিল না। এমনকি তালাকের তারিখের স্থানে আমাদের বিয়ের তারিখের আগের একটি তারিখ দেওয়া হয়। পরে রাফির সঙ্গে বিয়ের কথা গোপন করে পুনরায় বিয়ে করে ফেলি। যেহেতু আমি ভেবেছিলাম রাফি আমাকে মৌখিকভাবে তালাক দিয়েছে এবং সেই অসম্পূর্ণ তালাকনামাটিও আমার কাছে ছিল। প্রায় এক বছর পর রাফি পুনরায় আমাকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে, যখন আমি আমার বর্তমান স্বামীকে নিয়ে সুখের সংসার করছি। সে আমাকে বিভিন্ন মামলার ভয় দেখাচ্ছে। রাফিকে মেনে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আর আমার বর্তমান স্বামীর কাছে আমি এখন সব জানিয়েছি, তারপরও সে আমাকে মেনে নিয়েছে এবং আমার সঙ্গে সংসার করতে চাচ্ছে। এখন আমার কী করণীয়? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
উত্তর: আপনাকে আমি কিছু বাস্তবসম্মত দিকনির্দেশনা দিচ্ছি। তবে মনে রাখবেন, এগুলো একদম সাধারণ কিছু তথ্য। আপনার নির্দিষ্ট পরিস্থিতির জন্য একজন অভিজ্ঞ পারিবারিক আইনজীবী/আইন সহায়তা সংস্থা/ধর্মীয় আলেম বা কাজির কাছ থেকে সরাসরি পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
আপনার পরিস্থিতির মূল দিকগুলো হচ্ছে, প্রথম স্বামী রাফির সঙ্গে সম্পর্ক, আপনার দ্বিতীয় বিয়ে এবং বর্তমান আইনি ঝুঁকি। মৌখিক তালাক ইসলামে বৈধ হতে পারে, তবে আইনগতভাবে বাংলাদেশে তালাক কার্যকর হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া (কাজির কাছে নোটিশ পাঠানো, ইউনিয়ন পরিষদ/সিটি করপোরেশনে নোটিশ রেজিস্ট্রেশন, ৯০ দিন ইদ্দতকাল ইত্যাদি) অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। আপনি যে অসম্পূর্ণ তালাকনামা পেয়েছেন, সেটি আইনি দৃষ্টিতে বৈধ হবে না, যদি তা সঠিকভাবে নিবন্ধিত না হয়।
আপনার দ্বিতীয় বিয়ে: যদি প্রথম বিয়ের তালাকপ্রক্রিয়া আইনগতভাবে শেষ না হয়, তাহলে দ্বিতীয় বিয়ে বাংলাদেশি আইনে অবৈধ বিবেচিত হতে পারে। তবে আপনি ভুল বুঝেছিলেন যে প্রথম বিয়ে শেষ হয়ে গেছে। আপনার দ্বিতীয় স্বামী বিষয়টি জানার পরও আপনাকে গ্রহণ করেছেন, এটি ইতিবাচক দিক।
বর্তমান আইনি ঝুঁকি
রাফি মামলা করার হুমকি দিচ্ছেন। সাধারণত অভিযোগ হতে পারে দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণে পরকীয়ার মামলা বা বিবাহ প্রতারণা। তবে আপনার কাছে প্রতিরক্ষার যুক্তি আছে। কারণ তিনি নিজে মৌখিকভাবে তালাক দিয়েছেন, অসম্পূর্ণ তালাকনামাও দিয়েছেন এবং তাঁর চরিত্রের কারণে আপনি আলাদা হয়েছেন। এই অবস্থায় আপনি দ্রুত একজন অভিজ্ঞ পারিবারিক/মামলার আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং আইনি পরামর্শ নিন। তিনি বলতে পারবেন রাফির কোনো মামলা টেকসই হবে কি না। স্থানীয় লিগ্যাল এইড অফিস, মহিলা পরিষদ বা ব্র্যাক লিগ্যাল এইড থেকেও বিনা মূল্যে আইনি সহায়তা নিতে পারেন।
ডকুমেন্ট সংগ্রহ করুন
রাফির দেওয়া অসম্পূর্ণ তালাকনামা, মৌখিক তালাকসংক্রান্ত যেকোনো প্রমাণ (মেসেজ, কল রেকর্ড, সাক্ষী) সংরক্ষণ করুন। রাফির সহিংসতা ও বহির্ভূত সম্পর্কের প্রমাণও গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া আপনি আইনি সুরক্ষা চান। যদি তিনি হুমকি দিয়ে থাকেন বা হয়রানি করেন, তাহলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন বা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্টের আওতায় জিডি বা মামলা করতে পারেন।
বর্তমান স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক
প্রয়োজনে আপনার দ্বিতীয় বিয়েকে আইনগতভাবে বৈধ করার পথ খুঁজতে আইনজীবীর সাহায্য নিন। আপনার হাতে সবচেয়ে শক্তিশালী পদক্ষেপ হলো আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী প্রমাণসহ প্রথম বিয়ের তালাক চূড়ান্ত করে নেওয়া এবং দ্বিতীয় বিয়ে বৈধ করার ব্যবস্থা করা। রাফির হুমকিকে ভয় না পেয়ে আইনগত সহায়তা নিন।
পরামর্শ দিয়েছেন: অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
রাফির (ছদ্মনাম) সঙ্গে আমি ২৩-০২-২০২৪ তারিখে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই। কিন্তু বিয়ের পরপরই তার চরিত্রের বিভিন্ন জঘন্য দিক আমার সামনে চলে আসে। বিয়ের পরে তার সঙ্গে আরও অনেক নারীর সম্পর্কের কথা আমি জানতে পারি। এ ছাড়া কথায় কথায় সে আমার গায়ে হাত তুলত। একপর্যায়ে রাফি আমাকে মৌখিকভাবে তালাক দেয়। এসব সহ্য করতে না পেরে বিয়ের এক মাস না যেতেই আমি তার থেকে সেপারেশনে চলে যাই। পরবর্তী সময়ে আরেকজন নারী আমাকে জানায় যে রাফি আমাকে ডিভোর্স করেছে। আমি প্রমাণ দেখতে চাইলে সে আমাকে একটি অসম্পূর্ণ তালাকনামা পাঠায়। ওই তালাকনামায় আমাদের বিবাহের তারিখ উল্লেখ ছিল না। এমনকি তালাকের তারিখের স্থানে আমাদের বিয়ের তারিখের আগের একটি তারিখ দেওয়া হয়। পরে রাফির সঙ্গে বিয়ের কথা গোপন করে পুনরায় বিয়ে করে ফেলি। যেহেতু আমি ভেবেছিলাম রাফি আমাকে মৌখিকভাবে তালাক দিয়েছে এবং সেই অসম্পূর্ণ তালাকনামাটিও আমার কাছে ছিল। প্রায় এক বছর পর রাফি পুনরায় আমাকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে, যখন আমি আমার বর্তমান স্বামীকে নিয়ে সুখের সংসার করছি। সে আমাকে বিভিন্ন মামলার ভয় দেখাচ্ছে। রাফিকে মেনে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আর আমার বর্তমান স্বামীর কাছে আমি এখন সব জানিয়েছি, তারপরও সে আমাকে মেনে নিয়েছে এবং আমার সঙ্গে সংসার করতে চাচ্ছে। এখন আমার কী করণীয়? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
উত্তর: আপনাকে আমি কিছু বাস্তবসম্মত দিকনির্দেশনা দিচ্ছি। তবে মনে রাখবেন, এগুলো একদম সাধারণ কিছু তথ্য। আপনার নির্দিষ্ট পরিস্থিতির জন্য একজন অভিজ্ঞ পারিবারিক আইনজীবী/আইন সহায়তা সংস্থা/ধর্মীয় আলেম বা কাজির কাছ থেকে সরাসরি পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
আপনার পরিস্থিতির মূল দিকগুলো হচ্ছে, প্রথম স্বামী রাফির সঙ্গে সম্পর্ক, আপনার দ্বিতীয় বিয়ে এবং বর্তমান আইনি ঝুঁকি। মৌখিক তালাক ইসলামে বৈধ হতে পারে, তবে আইনগতভাবে বাংলাদেশে তালাক কার্যকর হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া (কাজির কাছে নোটিশ পাঠানো, ইউনিয়ন পরিষদ/সিটি করপোরেশনে নোটিশ রেজিস্ট্রেশন, ৯০ দিন ইদ্দতকাল ইত্যাদি) অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। আপনি যে অসম্পূর্ণ তালাকনামা পেয়েছেন, সেটি আইনি দৃষ্টিতে বৈধ হবে না, যদি তা সঠিকভাবে নিবন্ধিত না হয়।
আপনার দ্বিতীয় বিয়ে: যদি প্রথম বিয়ের তালাকপ্রক্রিয়া আইনগতভাবে শেষ না হয়, তাহলে দ্বিতীয় বিয়ে বাংলাদেশি আইনে অবৈধ বিবেচিত হতে পারে। তবে আপনি ভুল বুঝেছিলেন যে প্রথম বিয়ে শেষ হয়ে গেছে। আপনার দ্বিতীয় স্বামী বিষয়টি জানার পরও আপনাকে গ্রহণ করেছেন, এটি ইতিবাচক দিক।
বর্তমান আইনি ঝুঁকি
রাফি মামলা করার হুমকি দিচ্ছেন। সাধারণত অভিযোগ হতে পারে দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণে পরকীয়ার মামলা বা বিবাহ প্রতারণা। তবে আপনার কাছে প্রতিরক্ষার যুক্তি আছে। কারণ তিনি নিজে মৌখিকভাবে তালাক দিয়েছেন, অসম্পূর্ণ তালাকনামাও দিয়েছেন এবং তাঁর চরিত্রের কারণে আপনি আলাদা হয়েছেন। এই অবস্থায় আপনি দ্রুত একজন অভিজ্ঞ পারিবারিক/মামলার আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং আইনি পরামর্শ নিন। তিনি বলতে পারবেন রাফির কোনো মামলা টেকসই হবে কি না। স্থানীয় লিগ্যাল এইড অফিস, মহিলা পরিষদ বা ব্র্যাক লিগ্যাল এইড থেকেও বিনা মূল্যে আইনি সহায়তা নিতে পারেন।
ডকুমেন্ট সংগ্রহ করুন
রাফির দেওয়া অসম্পূর্ণ তালাকনামা, মৌখিক তালাকসংক্রান্ত যেকোনো প্রমাণ (মেসেজ, কল রেকর্ড, সাক্ষী) সংরক্ষণ করুন। রাফির সহিংসতা ও বহির্ভূত সম্পর্কের প্রমাণও গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া আপনি আইনি সুরক্ষা চান। যদি তিনি হুমকি দিয়ে থাকেন বা হয়রানি করেন, তাহলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন বা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্টের আওতায় জিডি বা মামলা করতে পারেন।
বর্তমান স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক
প্রয়োজনে আপনার দ্বিতীয় বিয়েকে আইনগতভাবে বৈধ করার পথ খুঁজতে আইনজীবীর সাহায্য নিন। আপনার হাতে সবচেয়ে শক্তিশালী পদক্ষেপ হলো আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী প্রমাণসহ প্রথম বিয়ের তালাক চূড়ান্ত করে নেওয়া এবং দ্বিতীয় বিয়ে বৈধ করার ব্যবস্থা করা। রাফির হুমকিকে ভয় না পেয়ে আইনগত সহায়তা নিন।
পরামর্শ দিয়েছেন: অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
মহালয়ার ভোর। চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে মর্ত্যে জানানো হয় আহ্বান। জাগেন উমা। শুরু হয় বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার। দেবী দুর্গার পূজায় দেবী-মাহাত্ম্য বা চণ্ডীপাঠে পাঠ করা হয় ঋগ্বেদের বাকসূক্ত, যা ‘দেবীসূক্ত’ নামে খ্যাত...
২ দিন আগেযেখানে নৃশংসতা কখনো কাম্য নয়, সেখানে নৃশংসতার চিত্র এখন পৌঁছে যাচ্ছে মানুষের ঘরে ঘরে, হাতের মুঠোয়। নৃশংসতার ঘটনাগুলো মানুষকে সমাজের প্রতি ভীত করে তোলে। নৃশংসতার চিত্র ধারণ করে যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, তখন সেই ভয় মানুষকে গভীরভাবে আঘাত করে। সম্প্রতি আর্জেন্টিনায় ১৫ বছরের এক কিশোরী...
২ দিন আগেতৃণমূলে সাংগঠনিক কার্যক্রম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তরুণদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টায় অনুষ্ঠিত এক আয়োজনে এ কথা বলেন তিনি।
২ দিন আগেনারীরা অবৈতনিক গৃহস্থালির কাজের ভার বহন করছেন। পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রেও পুরুষদের ছাপিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রকৃত উন্নয়ন তখনই উদ্যাপন করা যায়, যখন নারীদের উভয় অবদান যথাযথভাবে স্বীকৃতি পায়। গত সোমবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।
৩ দিন আগে