কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
উনপঞ্চাশ বছর হয়ে গেল। কয়েকটা দিন বেশি অবশ্য। সেটা হিসাবে ধরা হলো না।
১৯৭৫ সালের মে মাসের ১৬ তারিখ। এ বছরের মতো সেদিনও মাউন্ট এভারেস্টের চূড়া ছুঁয়ে দেখতে গিয়েছিলেন অভিযাত্রীরা। পৃথিবীর উচ্চতম সেই শৃঙ্গের শিখরে বরফের স্তর এক ইঞ্চি না বাড়লেও সে দিনটা ইতিহাসে খানিক ভিন্নই ছিল মনে হয়। কারণ, সেদিন বেসক্যাম্পে পৃথিবীর সেরা আর দক্ষ পুরুষ অভিযাত্রীদের সঙ্গে ছিলেন জুনকো তাবেই—জাপানের এক গৃহবধূ। কী অপূর্ব স্পর্ধা!
অবশ্য তাবেই যেদিন এভারেস্ট সামিটে সফল হন, এর মাত্র ১১ দিন পর, ২৭ তারিখ এভারেস্টে পৌঁছান আরেক নারী, মিসেস ফান্টোগ। মানে প্রায় কাছাকাছি সময়ে পৃথিবীর দুই প্রান্তের দুই নারী রোমাঞ্চের স্বাদ পেতে চেয়েছিলেন, পেয়েছেনও। এরপর একে একে অনেক নারী পৃথিবীর উচ্চতম সেই পাহাড়চূড়া জয় করেছেন। সেই ইতিহাসে লেখা আছে আমাদের দেশেরও দুজন নারীর নাম—নিশাত মজুমদার আর ওয়াসফিয়া নাজরীন।
অ্যালানারনেট নামের একটি ব্লগে ‘এভারেস্ট বাই নাম্বার্স: ২০২৪’ শিরোনামের একটি লেখা পাওয়া যায়। সে লেখা থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত এভারেস্ট চূড়ায় আরোহনের জন্য প্রায় ১২ হাজার অভিযান চালানো হয়। নেপাল ও তিব্বত এ দুটি রুটে ৬ হাজার ৬৬৪ জন এই সময়ের মধ্যে সামিট করেন। অন্যদিকে দ্য হিমালয়ান ডেটাবেজ জানাচ্ছে, এভারেস্টে এ পর্যন্ত অভিযান চালানো হয় ১১ হাজার ১০০ বারের বেশি। আর অভিযাত্রী ছিলেন ৮৫ হাজার ৩০০ জনের বেশি।
আমরা জানি, সামিটের সংখ্যাটা এখন বেড়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮৮৩ জন নারী এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন। তাঁদের কেউ ছিলেন গৃহিণী, কেউ শিক্ষার্থী, কেউ প্রকৌশলী, কেউ সার্জন, কেউ সাংবাদিক, লেখক, বক্তা, ব্যাংকার, বিমানবালা, নার্স, ফিজিশিয়ান আবার কেউবা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা কিংবা পরিচালক। বিভিন্ন পেশা আর বিভিন্ন বয়সের নারীরা আরোহণ করেন পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু মাউন্ট পর্বতচূড়া মাউন্ট এভারেস্টে। তাঁদের নাম জড়িয়ে আছে এভারেস্ট আরোহণ আর জয়ের ইতিহাসের সঙ্গে।
একেকজন আরোহীর এভারেস্ট জয়ের গল্প একেক রকম। সে গল্পগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নারীদের আত্মবিশ্বাস, সংগ্রাম আর অর্জনের না-বলা অনেক কথা। জুনকো তাবেইর পর সারা বিশ্ব থেকে পর্বতপ্রেমী নারীরা ছুটে গেছেন হিমালয়ে। চেষ্টা করেছেন এভারেস্ট জয়ের। সাফল্য পেয়েছেন, উড়িয়েছেন নিজেদের দেশের পতাকা। আবার কখনো ব্যর্থও হয়েছেন। ভারতীয় নারী সন্তোষ যাদব প্রথম নারী হিসেবে দুবার এভারেস্ট জয় করেন। এরপর রেকর্ড বাড়তেই থাকে। সময়ের সঙ্গে এ ক্ষেত্রে নারীদের আগ্রহ আরও বেড়েছে। আলতাই নেটওয়ার্কের একটি প্রতিষ্ঠান কান্ডু অ্যাডভেঞ্চার্সের তথ্যমতে, ২০২২ সালে নেপালের পর্যটন বিভাগের কাছে সামিটের অনুমতি চাওয়া মোট আবেদনকারীর মধ্যে নারীর সংখ্যা ছিল ২৩ শতাংশ। অঙ্কের হিসাবে এটি এখনো কম মনে হয় বটে; কিন্তু সংখ্যাটি এটাও প্রমাণ করে, সারা বিশ্বে নারীরা আগের চেয়ে আরও কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং কাজের দিকে এগিয়ে চলেছেন।
লাকপা শেরপা নামের নেপালি এক নারী ২০২২ সাল পর্যন্ত ১০ বার এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন। অপ্রতিরোধ্য এই নারী ৮ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আরোহণ করেছিলেন এভারেস্টে! আবার সন্তান জন্মের ৮ সপ্তাহ পর পুনরায় গিয়েছিলেন এভারেস্টের কাছে। ১৯৯৫ সালে অক্সিজেন সিলিন্ডার সঙ্গে না নিয়ে সফলভাবে এভারেস্ট সামিট করা প্রথম নারী অ্যালিসন হার্জরেভেস। ছুরিম শেরপা প্রথম নারী, যিনি ২০১২ সালে এক মৌসুমে দুবার এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছিলেন।
পাহাড় ডিঙাতে শুধু যে শারীরিক সুস্থতা দরকার, তা নয়। এর পাশাপাশি একজন আরোহীর মনোবল থাকতে হয় দৃঢ়। তার প্রমাণ দিয়েছেন ভারতের উত্তর প্রদেশের মেয়ে অরুণিমা সিনহা। ভারতীয় এই ভলিবল খেলোয়াড় একটি রেল দুর্ঘটনায় পা হারান। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই সিদ্ধান্ত নেন, জয় করবেন মাউন্ট এভারেস্ট। ২০১৩ সালের ২১ মে ১৭ ঘণ্টার কঠিন পরিশ্রমের পর সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে এভারেস্ট জয় করেন অরুণিমা। বয়সও কখনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি নারী আরোহীদের সামনে। ১৩ বছর বয়সী ভারতের মালাভাথ পূর্ণা ও ১৫ বছর বয়সী নেপালের মিং কিপাসহ বেশ কিছু কিশোরী এভারেস্ট চূড়ায় আরোহণের রেকর্ড গড়েছে। আবার জাপানের নাগরিক তামায়ে ওয়াতানাবে ৭৩ বছর বয়সে আরোহণ করেন এভারেস্টের চূড়া! এই জয়ের ইতিহাসে ২০১২ সালে নিজের নাম যুক্ত করেছেন নিশাত মজুমদার। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে তাঁর সঙ্গেই দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন ওয়াসফিয়া নাজরীন।
বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়া আরোহণের স্বপ্নপূরণের জন্য আরোহীরা নিজের মনোবল ও সাহসকে সর্বোচ্চ বিন্দুতে নিয়ে যান। এভারেস্টে আরোহণের গল্পে যেমন অনুপ্রেরণা আছে, তেমনি আছে ট্র্যাজেডি। এই পর্বতের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে অনেক আরোহীই মারা গেছেন, অনেকে চিরতরে হারিয়ে গেছেন সাদা তুষারের বিজন প্রান্তরে। তেমনই একজন নারী যুক্তরাষ্ট্রের পর্বতারোহী ফ্র্যান্সিস আর্সেন্তিয়েভ। তাঁকে বলা হয় ‘স্লিপিং বিউটি অব মাউন্ট এভারেস্ট’। ১৯৯৮ সালে এভারেস্টে একটি অভিযানে যাওয়ার সময় মারা যান তিনি।
এসব নাম ও তথ্য নিছক গল্প নয়; প্রেরণা। জীবন ঘষে আগুন জ্বালানোর প্রেরণা। মাউন্ট এভারেস্ট সেখানে উপলক্ষ মাত্র।
উনপঞ্চাশ বছর হয়ে গেল। কয়েকটা দিন বেশি অবশ্য। সেটা হিসাবে ধরা হলো না।
১৯৭৫ সালের মে মাসের ১৬ তারিখ। এ বছরের মতো সেদিনও মাউন্ট এভারেস্টের চূড়া ছুঁয়ে দেখতে গিয়েছিলেন অভিযাত্রীরা। পৃথিবীর উচ্চতম সেই শৃঙ্গের শিখরে বরফের স্তর এক ইঞ্চি না বাড়লেও সে দিনটা ইতিহাসে খানিক ভিন্নই ছিল মনে হয়। কারণ, সেদিন বেসক্যাম্পে পৃথিবীর সেরা আর দক্ষ পুরুষ অভিযাত্রীদের সঙ্গে ছিলেন জুনকো তাবেই—জাপানের এক গৃহবধূ। কী অপূর্ব স্পর্ধা!
অবশ্য তাবেই যেদিন এভারেস্ট সামিটে সফল হন, এর মাত্র ১১ দিন পর, ২৭ তারিখ এভারেস্টে পৌঁছান আরেক নারী, মিসেস ফান্টোগ। মানে প্রায় কাছাকাছি সময়ে পৃথিবীর দুই প্রান্তের দুই নারী রোমাঞ্চের স্বাদ পেতে চেয়েছিলেন, পেয়েছেনও। এরপর একে একে অনেক নারী পৃথিবীর উচ্চতম সেই পাহাড়চূড়া জয় করেছেন। সেই ইতিহাসে লেখা আছে আমাদের দেশেরও দুজন নারীর নাম—নিশাত মজুমদার আর ওয়াসফিয়া নাজরীন।
অ্যালানারনেট নামের একটি ব্লগে ‘এভারেস্ট বাই নাম্বার্স: ২০২৪’ শিরোনামের একটি লেখা পাওয়া যায়। সে লেখা থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত এভারেস্ট চূড়ায় আরোহনের জন্য প্রায় ১২ হাজার অভিযান চালানো হয়। নেপাল ও তিব্বত এ দুটি রুটে ৬ হাজার ৬৬৪ জন এই সময়ের মধ্যে সামিট করেন। অন্যদিকে দ্য হিমালয়ান ডেটাবেজ জানাচ্ছে, এভারেস্টে এ পর্যন্ত অভিযান চালানো হয় ১১ হাজার ১০০ বারের বেশি। আর অভিযাত্রী ছিলেন ৮৫ হাজার ৩০০ জনের বেশি।
আমরা জানি, সামিটের সংখ্যাটা এখন বেড়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮৮৩ জন নারী এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন। তাঁদের কেউ ছিলেন গৃহিণী, কেউ শিক্ষার্থী, কেউ প্রকৌশলী, কেউ সার্জন, কেউ সাংবাদিক, লেখক, বক্তা, ব্যাংকার, বিমানবালা, নার্স, ফিজিশিয়ান আবার কেউবা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা কিংবা পরিচালক। বিভিন্ন পেশা আর বিভিন্ন বয়সের নারীরা আরোহণ করেন পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু মাউন্ট পর্বতচূড়া মাউন্ট এভারেস্টে। তাঁদের নাম জড়িয়ে আছে এভারেস্ট আরোহণ আর জয়ের ইতিহাসের সঙ্গে।
একেকজন আরোহীর এভারেস্ট জয়ের গল্প একেক রকম। সে গল্পগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নারীদের আত্মবিশ্বাস, সংগ্রাম আর অর্জনের না-বলা অনেক কথা। জুনকো তাবেইর পর সারা বিশ্ব থেকে পর্বতপ্রেমী নারীরা ছুটে গেছেন হিমালয়ে। চেষ্টা করেছেন এভারেস্ট জয়ের। সাফল্য পেয়েছেন, উড়িয়েছেন নিজেদের দেশের পতাকা। আবার কখনো ব্যর্থও হয়েছেন। ভারতীয় নারী সন্তোষ যাদব প্রথম নারী হিসেবে দুবার এভারেস্ট জয় করেন। এরপর রেকর্ড বাড়তেই থাকে। সময়ের সঙ্গে এ ক্ষেত্রে নারীদের আগ্রহ আরও বেড়েছে। আলতাই নেটওয়ার্কের একটি প্রতিষ্ঠান কান্ডু অ্যাডভেঞ্চার্সের তথ্যমতে, ২০২২ সালে নেপালের পর্যটন বিভাগের কাছে সামিটের অনুমতি চাওয়া মোট আবেদনকারীর মধ্যে নারীর সংখ্যা ছিল ২৩ শতাংশ। অঙ্কের হিসাবে এটি এখনো কম মনে হয় বটে; কিন্তু সংখ্যাটি এটাও প্রমাণ করে, সারা বিশ্বে নারীরা আগের চেয়ে আরও কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং কাজের দিকে এগিয়ে চলেছেন।
লাকপা শেরপা নামের নেপালি এক নারী ২০২২ সাল পর্যন্ত ১০ বার এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন। অপ্রতিরোধ্য এই নারী ৮ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আরোহণ করেছিলেন এভারেস্টে! আবার সন্তান জন্মের ৮ সপ্তাহ পর পুনরায় গিয়েছিলেন এভারেস্টের কাছে। ১৯৯৫ সালে অক্সিজেন সিলিন্ডার সঙ্গে না নিয়ে সফলভাবে এভারেস্ট সামিট করা প্রথম নারী অ্যালিসন হার্জরেভেস। ছুরিম শেরপা প্রথম নারী, যিনি ২০১২ সালে এক মৌসুমে দুবার এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছিলেন।
পাহাড় ডিঙাতে শুধু যে শারীরিক সুস্থতা দরকার, তা নয়। এর পাশাপাশি একজন আরোহীর মনোবল থাকতে হয় দৃঢ়। তার প্রমাণ দিয়েছেন ভারতের উত্তর প্রদেশের মেয়ে অরুণিমা সিনহা। ভারতীয় এই ভলিবল খেলোয়াড় একটি রেল দুর্ঘটনায় পা হারান। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই সিদ্ধান্ত নেন, জয় করবেন মাউন্ট এভারেস্ট। ২০১৩ সালের ২১ মে ১৭ ঘণ্টার কঠিন পরিশ্রমের পর সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে এভারেস্ট জয় করেন অরুণিমা। বয়সও কখনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি নারী আরোহীদের সামনে। ১৩ বছর বয়সী ভারতের মালাভাথ পূর্ণা ও ১৫ বছর বয়সী নেপালের মিং কিপাসহ বেশ কিছু কিশোরী এভারেস্ট চূড়ায় আরোহণের রেকর্ড গড়েছে। আবার জাপানের নাগরিক তামায়ে ওয়াতানাবে ৭৩ বছর বয়সে আরোহণ করেন এভারেস্টের চূড়া! এই জয়ের ইতিহাসে ২০১২ সালে নিজের নাম যুক্ত করেছেন নিশাত মজুমদার। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে তাঁর সঙ্গেই দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন ওয়াসফিয়া নাজরীন।
বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়া আরোহণের স্বপ্নপূরণের জন্য আরোহীরা নিজের মনোবল ও সাহসকে সর্বোচ্চ বিন্দুতে নিয়ে যান। এভারেস্টে আরোহণের গল্পে যেমন অনুপ্রেরণা আছে, তেমনি আছে ট্র্যাজেডি। এই পর্বতের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে অনেক আরোহীই মারা গেছেন, অনেকে চিরতরে হারিয়ে গেছেন সাদা তুষারের বিজন প্রান্তরে। তেমনই একজন নারী যুক্তরাষ্ট্রের পর্বতারোহী ফ্র্যান্সিস আর্সেন্তিয়েভ। তাঁকে বলা হয় ‘স্লিপিং বিউটি অব মাউন্ট এভারেস্ট’। ১৯৯৮ সালে এভারেস্টে একটি অভিযানে যাওয়ার সময় মারা যান তিনি।
এসব নাম ও তথ্য নিছক গল্প নয়; প্রেরণা। জীবন ঘষে আগুন জ্বালানোর প্রেরণা। মাউন্ট এভারেস্ট সেখানে উপলক্ষ মাত্র।
মানুষ স্বপ্নবাজ প্রাণী। যুদ্ধ ও সংঘাতময় পৃথিবীতে ভিটে চ্যুত মানুষও স্বপ্ন দেখে। এই স্বার্থ আর সংঘাতময় পৃথিবীতে মানুষ তার জীবনের চেয়েও বড়। নইলে বেঁচে থাকে কীভাবে! বিশ্ব শরণার্থী দিবসে তেমনি কিছু নারীর গল্প রইল, যাঁরা উদ্বাস্তু জীবনেও স্বপ্ন দেখেছেন জীবনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।
৩ দিন আগেকারও কোলে শিশুসন্তান, কেউ অন্তঃসত্ত্বা, কারও হাতে স্যালাইনের ক্যানুলা। চাকরি বাঁচাতে এই অবস্থায় ২১ দিন ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছেন তাঁরা। করবেন নাই-বা কেন, তাঁদের কেউ সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, কারও বেতনের টাকায় চলছে পরিবারের অসুস্থ সদস্যের চিকিৎসা; কেউ আবার বেতনের টাকায় সন্তানের জন্য...
৬ দিন আগেযুদ্ধের কারণে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা এবং দৈনন্দিন আতঙ্ক ইসরায়েলি নারীদের গভীরভাবে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে এমন তথ্যের আভাস পাওয়া গেছে।
৬ দিন আগেঅনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় মাত্র ২০ হাজার টাকায় বোরকার ব্যবসা শুরু করেন। ডিজাইন, কাপড় সংগ্রহ, ডেলিভারি—সবই এক হাতে সামলাতেন তিনি। বর্তমানে ঢাকায় তাঁর দুটি শোরুম রয়েছে। বিনিয়োগের পরিমাণ বহু আগেই কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আমেরিকা, কানাডা, জাপান, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে...
৬ দিন আগে