মাহফুজা খানম
যুদ্ধের প্রতিটি মুহূর্ত ছিল মৃত্যুর সঙ্গে আলিঙ্গন করার মতো অবস্থা। সে সময় বেঁচে থাকাটা ছিল পরম সৌভাগ্যের বিষয়। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে কাগজপত্র আসত।
আমি সেগুলি সাইক্লোস্টাইল করতাম। আমি পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হওয়ার সুবাদে পদার্থবিজ্ঞানের রুমে বসে এ কাজ করতাম। আমাকে বাইরে থেকে তালা দিয়ে রাখা হতো। এ ছাড়া আমরা ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ঢাকায় বিভিন্ন ধরনের অপারেশনের সঙ্গে যুক্ত হই। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অপারেশন ছিল পুরানা পল্টনের ইউএসএস লাইব্রেরি আর মতিঝিলের টিভি টাওয়ারে অপারেশন। আমাদের বাড়িতে অস্ত্র রাখা হতো। আবার সেই অস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ওষুধ, অর্থ, কাপড়চোপড় সংগ্রহ করে সুফিয়া কামালের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতাম। এভাবে ৯ মাস পার হয়ে যায়।
যে আকাঙ্ক্ষার জায়গা থেকে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সে আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়েছিল ১৯৭২-এর সংবিধানে। সেই সংবিধান থেকে জাতি অনেক দূর সরে গেছে। যোজন যোজন দূরে এখন আমাদের অবস্থান। এই জাতির চরিত্র হয়েছে গণতান্ত্রিক। বাঙালি জাতীয়তাবাদের জায়গায় বদল এসেছে অনেক। সমাজতন্ত্র তো দূরের কথা।যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল, সেই রাজাকারদের আমরা রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলাম। যুদ্ধাপরাধীদের নিষিদ্ধ না করে বরং তাদের চলার পথকে এ জাতি সুগম করে দিয়েছিল। আর এই যুদ্ধাপরাধীরা নারীদের চলার পথে প্রতিনিয়ত বাধা সৃষ্টি করছে।
মুক্তিযুদ্ধে নারীরা যদি অংশ না নিত, তাহলে মুক্তিযুদ্ধ সফল হতো কি না সেটা ভাবার বিষয়। মুক্তিযোদ্ধাদের খবরাখবরসহ থাকার ব্যবস্থা নারীরা করেছেন। ৩০ লাখ নারী বিভিন্নভাবে নিপীড়ন ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে পুরুষেরা রাজাকার হয়েছেন। কিন্তু নারীদের সে উদাহরণ নেই। বর্তমানে নারীদের ঘরে রাখার বিভিন্ন রকমের চেষ্টা হয়। এখানেই নারীরা পিছিয়ে পড়ছে। নারীদের প্রাপ্য সম্মান দিতে না পারলে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হবে না।
যুদ্ধের প্রতিটি মুহূর্ত ছিল মৃত্যুর সঙ্গে আলিঙ্গন করার মতো অবস্থা। সে সময় বেঁচে থাকাটা ছিল পরম সৌভাগ্যের বিষয়। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে কাগজপত্র আসত।
আমি সেগুলি সাইক্লোস্টাইল করতাম। আমি পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হওয়ার সুবাদে পদার্থবিজ্ঞানের রুমে বসে এ কাজ করতাম। আমাকে বাইরে থেকে তালা দিয়ে রাখা হতো। এ ছাড়া আমরা ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ঢাকায় বিভিন্ন ধরনের অপারেশনের সঙ্গে যুক্ত হই। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অপারেশন ছিল পুরানা পল্টনের ইউএসএস লাইব্রেরি আর মতিঝিলের টিভি টাওয়ারে অপারেশন। আমাদের বাড়িতে অস্ত্র রাখা হতো। আবার সেই অস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ওষুধ, অর্থ, কাপড়চোপড় সংগ্রহ করে সুফিয়া কামালের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতাম। এভাবে ৯ মাস পার হয়ে যায়।
যে আকাঙ্ক্ষার জায়গা থেকে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সে আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়েছিল ১৯৭২-এর সংবিধানে। সেই সংবিধান থেকে জাতি অনেক দূর সরে গেছে। যোজন যোজন দূরে এখন আমাদের অবস্থান। এই জাতির চরিত্র হয়েছে গণতান্ত্রিক। বাঙালি জাতীয়তাবাদের জায়গায় বদল এসেছে অনেক। সমাজতন্ত্র তো দূরের কথা।যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল, সেই রাজাকারদের আমরা রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলাম। যুদ্ধাপরাধীদের নিষিদ্ধ না করে বরং তাদের চলার পথকে এ জাতি সুগম করে দিয়েছিল। আর এই যুদ্ধাপরাধীরা নারীদের চলার পথে প্রতিনিয়ত বাধা সৃষ্টি করছে।
মুক্তিযুদ্ধে নারীরা যদি অংশ না নিত, তাহলে মুক্তিযুদ্ধ সফল হতো কি না সেটা ভাবার বিষয়। মুক্তিযোদ্ধাদের খবরাখবরসহ থাকার ব্যবস্থা নারীরা করেছেন। ৩০ লাখ নারী বিভিন্নভাবে নিপীড়ন ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে পুরুষেরা রাজাকার হয়েছেন। কিন্তু নারীদের সে উদাহরণ নেই। বর্তমানে নারীদের ঘরে রাখার বিভিন্ন রকমের চেষ্টা হয়। এখানেই নারীরা পিছিয়ে পড়ছে। নারীদের প্রাপ্য সম্মান দিতে না পারলে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে গ্রাফিক ডিজাইনে পড়ার সময়ের কথা। অনেকটা শখের বশে শুরু করেন শরদিন্দু নামে একটি শপ। বিক্রি করেছেন হাতে আঁকা টি-শার্ট। ক্রেতা ছিলেন তাঁরই পরিচিত লোকজন। এরই মধ্যে চারুকলায় পড়াশোনা শেষ হলে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি ফর দ্য ক্রিয়েটিভ আর্টসে স্নাতকোত্তর করতে পাড়ি জমান। তত দিনে
২ ঘণ্টা আগেকথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালালবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী জাহানারা ইমাম। ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি ১০১ সদস্যবিশিষ্ট একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হয় তাঁর নেতৃত্বে। জাহানারা ইমামের জন্ম ১৯২৯ সালের ৩ মে।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১২ মে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। তবে যুক্তরাষ্ট্র ৬ মে থেকে ১২ মে পর্যন্ত পালন করে জাতীয় নার্স সপ্তাহ। সপ্তাহ কিংবা দিবস—যা-ই হোক না কেন, এর মূল লক্ষ্য হলো নার্সদের কঠোর পরিশ্রম, মানবিকতা ও স্বাস্থ্যসেবায় অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া। এই সময় দেশগুলো নার্সিং পেশাজীবীদের সম্মা
২ ঘণ্টা আগেফ্রান্সের একটি বিদ্যুৎ কোম্পানির একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ছিলেন ডমিনিক পেলিকট। তিনি ১৯৭৩ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন গিসেল নামের এক নারীর সঙ্গে। ৫০ বছরের সংসারজীবনে তাঁরা তিনটি সন্তানের জনক-জননী হন। সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের নিয়ে যদিও ছবির মতো নিখুঁত একটি পারিবারিক জীবন ছিল তাঁদের।
২ ঘণ্টা আগে