কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
বেশ নরমসরম ছোট্ট একটা বান। মাঝ বরাবর চিরে তাতে দেওয়া হয়েছে আলু, একটু গার্লিক আর সামান্য চিলি সস। নাম পটেটো র্যাবিটো। ছোটদের কথা বিবেচনায় রেখে বানানো হয়েছে মজার এই খাবার। বড়দের জন্যও আছে বিভিন্ন স্বাদের ফ্রেশ ক্রিম ব্রেড, চকলেট ব্রাউনি, বিভিন্ন স্বাদের ওয়াফেল, লেবানিজ হুমুস পিটা ব্রেড, কিসমিসে ভরা টার্কিশ সিমিট ব্রেড, চিকেন পাফ, নানান ধরনের চা ও কফি, গোয়ানিজ ড্রিংস গোয়া লেমন, আইস টি, মিন্ট লেমোনেডসহ বিভিন্ন ধরনের পানীয়। আদাবর ১২ নম্বর রোডের একটি বাড়ির গ্যারেজে গড়ে ওঠা এই ক্যাফেতে শুধু দারুণ খাবারই পাওয়া যায় না, সেখানে অক্লান্ত আড্ডাও দেওয়া যায়। ক্যাফের মালিক চান, এই আত্মকেন্দ্রিক শহরের মানুষ তাঁর ক্যাফেতে বসে প্রাণ খুলে কথা বলুক। এখন বেলা ৩টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত খোলা থাকে ক্যাফেটি। তবে আগামী মাসে ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত খোলা থাকবে এটি।
ক্যাফের ইন্টেরিয়র দৃষ্টিনন্দন। দেয়ালের রং থেকে শুরু করে সিলিংয়ে ঝুলে থাকা লাইট সাজানো হয়েছে মার্জিতভাবে। এখানে ঢুকতেই পাওয়া যাবে উঁচু চারটি কাঠের বেঞ্চ। আশপাশের গাছের ছায়া আর বাতাসের কারণে এখানে বসে কিংবা দাঁড়িয়েও আরাম পাওয়া যায়। একধাপ ওপরে উঠেই শুরুতে লম্বা কাউন্টার। সেখানে রাখা একটি ছোট্ট অ্যাকুরিয়াম। পাশেই কফি মেকার আর বিভিন্ন আকারের কাপ। কাউন্টারের ভেতরের দিকে সারিবদ্ধভাবে সাজানো কুকিজ, ব্রেড আর বিভিন্ন পানীয় তৈরির উপকরণ। কাউন্টার টেবিলের সঙ্গে উঁচু কয়েকটি টুল রাখা আছে সারিবদ্ধভাবে। পুরো ক্যাফেতে তিনটি টেবিল। প্রতিটি টেবিলের সঙ্গে রাখা চারটি করে চেয়ার।
ক্যাফেটির নাম ‘চা বেলা’। স্বপ্না সুলতানা নামে এক স্বপ্নবাজ নারী এর মালিক। ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যাওয়া সুলতানা বরাবরই জড়িত ছিলেন কোনো না কোনো কাজের সঙ্গে। বাড়িতে গান, ছবি আঁকা নিয়ে ভালো থাকতে চাওয়া সুলতানাকে বিয়ের কারণে বদলে যেতে হয়েছিল অনেকখানি। একেবারে কম বয়সে বিয়ে হওয়ার মনঃকষ্ট এখনো আছে তাঁর। সেই কষ্টই তাঁকে শক্তি জুগিয়েছে সারা জীবন। রাজশাহীতে জন্ম নেওয়া সুলতানা বড় হয়েছেন দিনাজপুরে। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে থেকেছেন লিবিয়া, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে। তুরস্কে লেখাপড়া করেছেন খানিক। আর দেশে স্থায়ী হন ১৯৯৪ সালের দিকে। ১৯৯৬ সালে ‘উত্তরীয়’ নামে একটি বুটিক হাউস খোলেন। ২০০৩ সালের দিকে ইন্টেরিয়র ডিজাইনিংয়ের ওপর কোর্স করানো শুরু করেন একটি প্রতিষ্ঠানে। ২০১০ সাল পর্যন্ত সেখানে কাজ করেন সুলতানা। এরপর ‘গাঙ্গ হাওরের মাছ’ আর ‘মায়ের হেঁশেল’ নামে দুটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে মাছ ও খাবারের ব্যবসা করতেন তিনি। ‘গাঙ্গ হাওরের মাছ’ নামের পেজটি থেকে বিক্রি করতেন রেডি টু কুক হাওরের মাছ। এ পেজ দুটি থেকে পণ্য বিক্রির অর্থ তিনি দিতেন দাতব্য কাজে।
মা আর নানির হাতের রান্না খেয়ে বড় হয়েছেন সুলতানা। দেশের বাইরেও খেয়েছেন বিস্তর। রান্না শিখেছেন বাড়ি আর কলোনির ভাবিদের কাছে, কিছু বিদেশে। সেই সব অভিজ্ঞতা দিয়ে নিজের বাড়িতে ২০২০ সালে শুরু করেন চা বেলা নামের ক্যাফেটি। তবে শুরুতে ক্যাফেতে রান্না করতেন একজন পেশাদার রাঁধুনি। কিছুদিন চলার পর সুলতানার মনে হয়, জায়গাটা বাড়ানো উচিত। তিনি ছোট ছেলে স্থপতি তাওহীদ মুস্তাফা সজীবকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাফের নকশা করে ফেলেন। শুরু করেন নতুন যাত্রা। সেই যাত্রায় শুধু ক্যাফের সাজসজ্জাতেই নয়, নতুনত্ব আনেন খাবারের আইটেমেও। এখানে এখন প্রতিদিন নিজেদের রেসিপিতে তৈরি খাবার বিক্রি করেন সুলতানা। তাঁর হেঁশেলে এখন পাওয়া যায় মেডিটেরিয়ান ডিস থেকে টার্কিশ খাবার, ইউরোপিয়ান, চায়নিজ, ভারতীয় বিভিন্ন প্রদেশের খাবার, শ্রীলঙ্কা, নেপালসহ দেশি খাবারসহ বিভিন্ন ধরনের মোগলাই খাবার।
প্রতিদিন একটু একটু করে জমা হয় জীবনের গল্প। বিভিন্ন চরিত্রের সঙ্গে সেগুলো লিখে রাখেন ডায়েরিতে। যেদিন বিশেষ কিছু রাঁধেন, সেই রান্নার রেসিপিও লিখে রাখেন। শুধু চা বেলা আর লেখার ডায়েরিই যে সুলতানার সঙ্গী, তা নয়। বাড়ির ছাদ আর বেলকনিতে দেশি-বিদেশি হরেক রকম গাছও তাঁর পরিচর্যায় বেড়ে উঠছে। এই গাছগুলো তাঁর বড় আদরের। দেশের বাইরে থেকে আনা বিদেশি গাছের বেশ বড় সংগ্রহ আছে তাঁর।
চা বেলাকে শুধু ক্যাফে হিসেবে দেখেন না সুলতানা। এই নাভিশ্বাস ওঠা শহরে এটিকে তিনি নিশ্বাস ফেলার জায়গা করে তুলতে চান। আত্মকেন্দ্রিকতা ভুলে সেখানে বিভিন্ন বয়সের মানুষ বসুক, কথা বলুক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে, সেটাই চান স্বপ্না সুলতানা।
বেশ নরমসরম ছোট্ট একটা বান। মাঝ বরাবর চিরে তাতে দেওয়া হয়েছে আলু, একটু গার্লিক আর সামান্য চিলি সস। নাম পটেটো র্যাবিটো। ছোটদের কথা বিবেচনায় রেখে বানানো হয়েছে মজার এই খাবার। বড়দের জন্যও আছে বিভিন্ন স্বাদের ফ্রেশ ক্রিম ব্রেড, চকলেট ব্রাউনি, বিভিন্ন স্বাদের ওয়াফেল, লেবানিজ হুমুস পিটা ব্রেড, কিসমিসে ভরা টার্কিশ সিমিট ব্রেড, চিকেন পাফ, নানান ধরনের চা ও কফি, গোয়ানিজ ড্রিংস গোয়া লেমন, আইস টি, মিন্ট লেমোনেডসহ বিভিন্ন ধরনের পানীয়। আদাবর ১২ নম্বর রোডের একটি বাড়ির গ্যারেজে গড়ে ওঠা এই ক্যাফেতে শুধু দারুণ খাবারই পাওয়া যায় না, সেখানে অক্লান্ত আড্ডাও দেওয়া যায়। ক্যাফের মালিক চান, এই আত্মকেন্দ্রিক শহরের মানুষ তাঁর ক্যাফেতে বসে প্রাণ খুলে কথা বলুক। এখন বেলা ৩টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত খোলা থাকে ক্যাফেটি। তবে আগামী মাসে ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত খোলা থাকবে এটি।
ক্যাফের ইন্টেরিয়র দৃষ্টিনন্দন। দেয়ালের রং থেকে শুরু করে সিলিংয়ে ঝুলে থাকা লাইট সাজানো হয়েছে মার্জিতভাবে। এখানে ঢুকতেই পাওয়া যাবে উঁচু চারটি কাঠের বেঞ্চ। আশপাশের গাছের ছায়া আর বাতাসের কারণে এখানে বসে কিংবা দাঁড়িয়েও আরাম পাওয়া যায়। একধাপ ওপরে উঠেই শুরুতে লম্বা কাউন্টার। সেখানে রাখা একটি ছোট্ট অ্যাকুরিয়াম। পাশেই কফি মেকার আর বিভিন্ন আকারের কাপ। কাউন্টারের ভেতরের দিকে সারিবদ্ধভাবে সাজানো কুকিজ, ব্রেড আর বিভিন্ন পানীয় তৈরির উপকরণ। কাউন্টার টেবিলের সঙ্গে উঁচু কয়েকটি টুল রাখা আছে সারিবদ্ধভাবে। পুরো ক্যাফেতে তিনটি টেবিল। প্রতিটি টেবিলের সঙ্গে রাখা চারটি করে চেয়ার।
ক্যাফেটির নাম ‘চা বেলা’। স্বপ্না সুলতানা নামে এক স্বপ্নবাজ নারী এর মালিক। ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যাওয়া সুলতানা বরাবরই জড়িত ছিলেন কোনো না কোনো কাজের সঙ্গে। বাড়িতে গান, ছবি আঁকা নিয়ে ভালো থাকতে চাওয়া সুলতানাকে বিয়ের কারণে বদলে যেতে হয়েছিল অনেকখানি। একেবারে কম বয়সে বিয়ে হওয়ার মনঃকষ্ট এখনো আছে তাঁর। সেই কষ্টই তাঁকে শক্তি জুগিয়েছে সারা জীবন। রাজশাহীতে জন্ম নেওয়া সুলতানা বড় হয়েছেন দিনাজপুরে। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে থেকেছেন লিবিয়া, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে। তুরস্কে লেখাপড়া করেছেন খানিক। আর দেশে স্থায়ী হন ১৯৯৪ সালের দিকে। ১৯৯৬ সালে ‘উত্তরীয়’ নামে একটি বুটিক হাউস খোলেন। ২০০৩ সালের দিকে ইন্টেরিয়র ডিজাইনিংয়ের ওপর কোর্স করানো শুরু করেন একটি প্রতিষ্ঠানে। ২০১০ সাল পর্যন্ত সেখানে কাজ করেন সুলতানা। এরপর ‘গাঙ্গ হাওরের মাছ’ আর ‘মায়ের হেঁশেল’ নামে দুটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে মাছ ও খাবারের ব্যবসা করতেন তিনি। ‘গাঙ্গ হাওরের মাছ’ নামের পেজটি থেকে বিক্রি করতেন রেডি টু কুক হাওরের মাছ। এ পেজ দুটি থেকে পণ্য বিক্রির অর্থ তিনি দিতেন দাতব্য কাজে।
মা আর নানির হাতের রান্না খেয়ে বড় হয়েছেন সুলতানা। দেশের বাইরেও খেয়েছেন বিস্তর। রান্না শিখেছেন বাড়ি আর কলোনির ভাবিদের কাছে, কিছু বিদেশে। সেই সব অভিজ্ঞতা দিয়ে নিজের বাড়িতে ২০২০ সালে শুরু করেন চা বেলা নামের ক্যাফেটি। তবে শুরুতে ক্যাফেতে রান্না করতেন একজন পেশাদার রাঁধুনি। কিছুদিন চলার পর সুলতানার মনে হয়, জায়গাটা বাড়ানো উচিত। তিনি ছোট ছেলে স্থপতি তাওহীদ মুস্তাফা সজীবকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাফের নকশা করে ফেলেন। শুরু করেন নতুন যাত্রা। সেই যাত্রায় শুধু ক্যাফের সাজসজ্জাতেই নয়, নতুনত্ব আনেন খাবারের আইটেমেও। এখানে এখন প্রতিদিন নিজেদের রেসিপিতে তৈরি খাবার বিক্রি করেন সুলতানা। তাঁর হেঁশেলে এখন পাওয়া যায় মেডিটেরিয়ান ডিস থেকে টার্কিশ খাবার, ইউরোপিয়ান, চায়নিজ, ভারতীয় বিভিন্ন প্রদেশের খাবার, শ্রীলঙ্কা, নেপালসহ দেশি খাবারসহ বিভিন্ন ধরনের মোগলাই খাবার।
প্রতিদিন একটু একটু করে জমা হয় জীবনের গল্প। বিভিন্ন চরিত্রের সঙ্গে সেগুলো লিখে রাখেন ডায়েরিতে। যেদিন বিশেষ কিছু রাঁধেন, সেই রান্নার রেসিপিও লিখে রাখেন। শুধু চা বেলা আর লেখার ডায়েরিই যে সুলতানার সঙ্গী, তা নয়। বাড়ির ছাদ আর বেলকনিতে দেশি-বিদেশি হরেক রকম গাছও তাঁর পরিচর্যায় বেড়ে উঠছে। এই গাছগুলো তাঁর বড় আদরের। দেশের বাইরে থেকে আনা বিদেশি গাছের বেশ বড় সংগ্রহ আছে তাঁর।
চা বেলাকে শুধু ক্যাফে হিসেবে দেখেন না সুলতানা। এই নাভিশ্বাস ওঠা শহরে এটিকে তিনি নিশ্বাস ফেলার জায়গা করে তুলতে চান। আত্মকেন্দ্রিকতা ভুলে সেখানে বিভিন্ন বয়সের মানুষ বসুক, কথা বলুক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে, সেটাই চান স্বপ্না সুলতানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে গ্রাফিক ডিজাইনে পড়ার সময়ের কথা। অনেকটা শখের বশে শুরু করেন শরদিন্দু নামে একটি শপ। বিক্রি করেছেন হাতে আঁকা টি-শার্ট। ক্রেতা ছিলেন তাঁরই পরিচিত লোকজন। এরই মধ্যে চারুকলায় পড়াশোনা শেষ হলে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি ফর দ্য ক্রিয়েটিভ আর্টসে স্নাতকোত্তর করতে পাড়ি জমান। তত দিনে
৫ দিন আগেকথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালালবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী জাহানারা ইমাম। ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি ১০১ সদস্যবিশিষ্ট একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হয় তাঁর নেতৃত্বে। জাহানারা ইমামের জন্ম ১৯২৯ সালের ৩ মে।
৫ দিন আগেবিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১২ মে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। তবে যুক্তরাষ্ট্র ৬ মে থেকে ১২ মে পর্যন্ত পালন করে জাতীয় নার্স সপ্তাহ। সপ্তাহ কিংবা দিবস—যা-ই হোক না কেন, এর মূল লক্ষ্য হলো নার্সদের কঠোর পরিশ্রম, মানবিকতা ও স্বাস্থ্যসেবায় অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া। এই সময় দেশগুলো নার্সিং পেশাজীবীদের সম্মা
৫ দিন আগেফ্রান্সের একটি বিদ্যুৎ কোম্পানির একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ছিলেন ডমিনিক পেলিকট। তিনি ১৯৭৩ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন গিসেল নামের এক নারীর সঙ্গে। ৫০ বছরের সংসারজীবনে তাঁরা তিনটি সন্তানের জনক-জননী হন। সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের নিয়ে যদিও ছবির মতো নিখুঁত একটি পারিবারিক জীবন ছিল তাঁদের।
৫ দিন আগে