আন্তর্জাতিক নারী
ফিচার ডেস্ক
আরব অঞ্চলের দেশগুলোর ঐতিহ্যবাহী খেলা উটের দৌড়। একসময় আমাদের দেশে যেমন ঘোড়দৌড় হতো, বিষয়টি তেমনই। সেখানে শুধু ঘোড়ার বদলে থাকে উট। সে উট যাঁরা চালনা করেন, তাঁরা হলেন জকি। এত দিন জকি হিসেবে সৌদি আরবে ছিল পুরুষদের দাপট। দেশটিতে সেই প্রচলিত প্রথা অবশ্য ভেঙেছে ২০২২ সালে। আর এ বছর নারীদের জন্য আয়োজিত উটের দৌড় প্রতিযোগিতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, ওমান ও বাহরাইনের নারীদের হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন সৌদি আরবের রিমা আল হারবি।
সময়ের সঙ্গে চলতে গেলে নাকি সময়কে ধারণ করতে হয়। সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজস্ব সংস্কৃতি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার উদাহরণ টানলে সৌদি আরবের নাম উঠে আসছে বারবার। পর্যটন কিংবা সংগীতে দেশটির গত কয়েক বছরের উত্থান আমরা দেখছি। সেই ধারাবাহিকতারই ফল সফল জকি রিমা আল হারবি।
আরব নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিমা বলেন, ‘আমাদের স্বপ্ন ছিল, নারী উট জকি হিসেবে নিজেদের বিশ্বের সামনে তুলে ধরা। সেটি শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে।’
কিন্তু তার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে রিমা ও তাঁর দেশকে। কিং আবদুল আজিজ উট ফেস্টিভ্যালের ষষ্ঠ সংস্করণের প্রথম রাউন্ডে ৩৮ জন সৌদি নারীকে নিয়ে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল ২০২২ সালে। সে দৌড়ের ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ছিল ৩২ বর্গকিলোমিটার। সেখান থেকে ১০ জন নারী পেয়েছিলেন চূড়ান্ত পর্বে খেলার ছাড়পত্র। সেখানে চূড়ান্ত পর্বে খেলার অনুমতি পেয়েছিলেন রিমা।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রথমবারের মতো শুধু নারীদের নিয়ে সৌদি আরবে আয়োজন করা হয় আল-উলা উট শিরোপা। দেশটির আল-উলা শহরে হয়েছিল এই আয়োজন। সেখানেই মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের প্রতিযোগীদের হারিয়ে শিরোপা জেতেন রিমা। তবে এই আল-উলাতেই গত বছর তিনি সৌদি আরবের পুরুষ প্রতিযোগীদের সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন উটের দৌড়ে। আর এ বছর বিজয়ের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে সেই স্মৃতি টেনেছেন রিমা। বলেছেন, ‘গত বছর আমিই একমাত্র নারী হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় পুরুষদের সঙ্গে অংশ নিয়েছিলাম। এবার আমি শিরোপা জিতলেও লক্ষ করেছি অন্যান্য প্রতিযোগীও ছিলেন বেশ উদ্যমী।’
সৌদি আরবের মদিনা শহরে বেড়ে ওঠেন রিমা আল হারবি। এখন তাঁর বয়স ২২। ছোটবেলায় বাবা আর দাদাকে উটের জকি হিসেবে মাঠে নামতে দেখেছেন তিনি। তখন থেকে উট ও উটের দৌড় খেলার প্রতি ভালোবাসা গড়ে ওঠে রিমার।
এখন রিমা আল হারবি নিজেই স্থানীয়ভাবে উটের দৌড়ের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। তাঁর স্বপ্ন, একদিন বিশ্বের সেরা নারী জকি হিসেবে শীর্ষ নামটি থাকবে সৌদি আরবের কোনো নারীর। তিনি বলেন, ‘এই খেলার প্রতি আমার ভালোবাসা ছোট থেকে, যা আমাকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। আমিও চাই, আমার মাধ্যমে যেন সৌদির অন্য নারীরা এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে পারেন। আর এই কাজ পুরোটা আমার ইচ্ছা ও ভালোবাসা থেকে করি। এর জন্য কোনো অর্থ নিই না।’
সূত্র: আরব নিউজ
আরব অঞ্চলের দেশগুলোর ঐতিহ্যবাহী খেলা উটের দৌড়। একসময় আমাদের দেশে যেমন ঘোড়দৌড় হতো, বিষয়টি তেমনই। সেখানে শুধু ঘোড়ার বদলে থাকে উট। সে উট যাঁরা চালনা করেন, তাঁরা হলেন জকি। এত দিন জকি হিসেবে সৌদি আরবে ছিল পুরুষদের দাপট। দেশটিতে সেই প্রচলিত প্রথা অবশ্য ভেঙেছে ২০২২ সালে। আর এ বছর নারীদের জন্য আয়োজিত উটের দৌড় প্রতিযোগিতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, ওমান ও বাহরাইনের নারীদের হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন সৌদি আরবের রিমা আল হারবি।
সময়ের সঙ্গে চলতে গেলে নাকি সময়কে ধারণ করতে হয়। সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজস্ব সংস্কৃতি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার উদাহরণ টানলে সৌদি আরবের নাম উঠে আসছে বারবার। পর্যটন কিংবা সংগীতে দেশটির গত কয়েক বছরের উত্থান আমরা দেখছি। সেই ধারাবাহিকতারই ফল সফল জকি রিমা আল হারবি।
আরব নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিমা বলেন, ‘আমাদের স্বপ্ন ছিল, নারী উট জকি হিসেবে নিজেদের বিশ্বের সামনে তুলে ধরা। সেটি শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে।’
কিন্তু তার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে রিমা ও তাঁর দেশকে। কিং আবদুল আজিজ উট ফেস্টিভ্যালের ষষ্ঠ সংস্করণের প্রথম রাউন্ডে ৩৮ জন সৌদি নারীকে নিয়ে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল ২০২২ সালে। সে দৌড়ের ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ছিল ৩২ বর্গকিলোমিটার। সেখান থেকে ১০ জন নারী পেয়েছিলেন চূড়ান্ত পর্বে খেলার ছাড়পত্র। সেখানে চূড়ান্ত পর্বে খেলার অনুমতি পেয়েছিলেন রিমা।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রথমবারের মতো শুধু নারীদের নিয়ে সৌদি আরবে আয়োজন করা হয় আল-উলা উট শিরোপা। দেশটির আল-উলা শহরে হয়েছিল এই আয়োজন। সেখানেই মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের প্রতিযোগীদের হারিয়ে শিরোপা জেতেন রিমা। তবে এই আল-উলাতেই গত বছর তিনি সৌদি আরবের পুরুষ প্রতিযোগীদের সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন উটের দৌড়ে। আর এ বছর বিজয়ের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে সেই স্মৃতি টেনেছেন রিমা। বলেছেন, ‘গত বছর আমিই একমাত্র নারী হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় পুরুষদের সঙ্গে অংশ নিয়েছিলাম। এবার আমি শিরোপা জিতলেও লক্ষ করেছি অন্যান্য প্রতিযোগীও ছিলেন বেশ উদ্যমী।’
সৌদি আরবের মদিনা শহরে বেড়ে ওঠেন রিমা আল হারবি। এখন তাঁর বয়স ২২। ছোটবেলায় বাবা আর দাদাকে উটের জকি হিসেবে মাঠে নামতে দেখেছেন তিনি। তখন থেকে উট ও উটের দৌড় খেলার প্রতি ভালোবাসা গড়ে ওঠে রিমার।
এখন রিমা আল হারবি নিজেই স্থানীয়ভাবে উটের দৌড়ের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। তাঁর স্বপ্ন, একদিন বিশ্বের সেরা নারী জকি হিসেবে শীর্ষ নামটি থাকবে সৌদি আরবের কোনো নারীর। তিনি বলেন, ‘এই খেলার প্রতি আমার ভালোবাসা ছোট থেকে, যা আমাকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। আমিও চাই, আমার মাধ্যমে যেন সৌদির অন্য নারীরা এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে পারেন। আর এই কাজ পুরোটা আমার ইচ্ছা ও ভালোবাসা থেকে করি। এর জন্য কোনো অর্থ নিই না।’
সূত্র: আরব নিউজ
গত বছর আমার বিয়ে হয় ছেলের ইচ্ছার বিরুদ্ধে। বিয়ের কয়েক দিন পরে সে আমাকে ছেড়ে চলে যায়। আর কখনো খোঁজখবর নেয়নি। তখন আমাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছিল। কিন্তু তখন আমার স্বামীর বয়স কম ছিল। তার বিরুদ্ধে আমি মামলা করতে চাইলে কাজি সাহেব আমাদের বিয়ের কাবিলনামা অস্বীকার করেন। তখন আমি আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আই
৫ দিন আগেগ্রহ-নক্ষত্র আর মহাবিশ্বের মতিগতি বোঝার জন্য রাজপরিবারে একজন জ্যোতির্বিদ থাকবেন না, তা কি হয়? সে কারণে প্রায় ৩৫০ বছর আগে, ১৬৭৫ সালে রাজা দ্বিতীয় চার্লস ব্রিটিশ রাজপরিবারে একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানীকে নিয়োগ দেন। এই মর্যাদাপূর্ণ পদকে বলা হয় ‘অ্যাস্ট্রোনমার রয়্যাল’।
৫ দিন আগেচাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ জান্নাতুল মাওয়া। তাঁকে অনেকে চেনে অনলাইনে চাঁদপুরের ইলিশ ও নদীর সুস্বাদু তাজা মাছ বিক্রির জন্য। এখন তিনি ‘ইলিশ রানি’ নামে বেশ পরিচিত। জীবন তাঁকে টেনে এনেছে এখানে।
৫ দিন আগেচলতি বছরের জুলাই মাসে ২৩৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে ৮৬ জন কন্যা ও ১৪৯ জন নারী। মহিলা পরিষদের দেওয়া মাসিক প্রতিবেদনের তথ্য পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৭৯০ জন নারী ও কন্যাশিশু সহিংসতা...
৫ দিন আগে