আয়শা সিদ্দিকা আকাশী, মাদারীপুর
মাদারীপুরের শকুনি লেকপাড়ে ঘুরতে গেলে আপনার কানে আসতে পারে বাঁশির সুর। দেখবেন, সেখানে খেলনা বিক্রি করছেন পারভিন বেগম। তাঁর পাশেই হয়তো এক অন্ধ বাজিয়ে চলেছেন বাঁশিটি। এটিই তাঁদের সংসার চালানোর একমাত্র অবলম্বন। এমন গল্প হয়তো আরও আছে। কিন্তু পারভিন এই অন্ধ মানুষটিকেই ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন আজ থেকে প্রায় ২১ বছর আগে। তারপর টেনে নিয়ে চলেছেন নিজেদের সংসার।
বৈবাহিক সূত্রে মাদারীপুরে থাকলেও লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জের আবদুল জব্বারের মেয়ে পারভিন বেগম। তখন তিনি ঢাকায় মামা-মামির কাছে থাকতেন। সেখানেই পরিচয় হয় মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আন্ডারচর গ্রামের ফজলুর রহমান সরদারের ছেলে সরদার আশিকুর রহমানের সঙ্গে। তারপর প্রেম ও বিয়ে। ২০০৩ সালে বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে মাদারীপুরে চলে আসেন পারভিন। শহরের চৌরাস্তায় বাসা ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। পারভিন ও আশিকুর দম্পতির একমাত্র কন্যাসন্তান আফিয়া আক্তার আঁখির বিয়ে হয়ে গেছে।
বিয়ের পর অন্ধ স্বামীকে নিয়ে শুরু হয় পারভিনের জীবনযুদ্ধ। হাতে টাকা প্রায় নেই বললেই চলে। অতি সামান্য টাকা নিয়ে লেকপাড়ে বস্তা বিছিয়ে খেলনা বিক্রি করতে শুরু করেন পারভিন। তারপর কখন যে প্রায় ১৫ বছর কেটে গেছে, টের পাননি তিনি। এই ১৫ বছরে ধীরে ধীরে হাতে কিছু টাকা জমতে শুরু করে। পারভিনও রাস্তার ওপর বিছানো বস্তা গুটিয়ে লেকপাড়ে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে খেলনার দোকান সাজান। এখন প্রতিদিন দুই হাজার টাকার মতো খেলনা বিক্রি হয়। সেই আয়ের টাকায় চলে তাঁদের সংসার।
সরদার আশিকুর রহমান বলেছেন, ‘জীবনযুদ্ধে হারার মতো মানুষ আমি নই।’ সে জন্যই স্ত্রীকে নিয়ে শুরু করেছিলেন নতুন জীবন, নতুন যুদ্ধ মাদারীপুর শহরের লেকপাড়ে। বাঁশি বাজাতে পারতেন আশিকুর। ঘুরতে আসা লোকজন তাঁর বাঁশির সুরে মুগ্ধ হয়ে যেতে লাগল। সুরের টানে হোক আর পারভিনের ব্যবহারের কারণে, লেকপাড়ে ঘুরতে আসা ছোট ছোট ছেলেমেয়ে তাঁদের কাছ থেকে খেলনা কিনতে পছন্দ করত। একপর্যায়ে দুজনের চেষ্টায় সেটাই হয়ে গেল সংসার চালানোর অবলম্বন।
পারভিন আর আশিকুরের জীবনের রসায়নে কার ভূমিকা বেশি, সে প্রশ্ন তোলা অবান্তর। কিন্তু এটা সত্য, এগিয়ে এসেছিলেন পারভিন। লেকপাড়ে সে প্রশ্ন তুলতে সলজ্জ মুখে বললেন, ‘ও অন্ধ জেনেই ভালোবেসে বিয়ে করেছি।’ কিন্তু বাঁচতে হলে তো কিছু করতে হবে। তখনই শুরু হলো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলা। দুজনে মিলে খেলনা আর বাঁশি বিক্রি শুরু করলেন তাঁরা।
লেকপাড়ে ঘুরতে আসা মানুষের অনেকে পারভিন আর আশিকুরের গল্প জানেন। কেউ জানেন না। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তাঁদের কাছ থেকেই খেলনা কেনেন। তেমনি একজন ফাইজা সিমি। ঘুরতে এসে এখান থেকেই খেলনা কেনেন তিনি, সে কথাই জানালেন। বললেন, ‘তাঁদের ব্যবহার অনেক ভালো। জিনিসের দামও কম রাখে।’
লেকপাড়ে অন্ধ স্বামীকে নিয়ে পারভিনের সংগ্রাম দীর্ঘদিন ধরে দেখছেন মাদারীপুরের নারী উন্নয়ন সংস্থা নকশিকাঁথার সদস্য ফারজানা আক্তার মুন্নি। কারও কাছে হাত না পেতে পারভিন খেলনা বিক্রি করে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন, এ কাজ তাঁকে ভীষণ আলোড়িত করে।
মাদারীপুরের শকুনি লেকপাড়ে ঘুরতে গেলে আপনার কানে আসতে পারে বাঁশির সুর। দেখবেন, সেখানে খেলনা বিক্রি করছেন পারভিন বেগম। তাঁর পাশেই হয়তো এক অন্ধ বাজিয়ে চলেছেন বাঁশিটি। এটিই তাঁদের সংসার চালানোর একমাত্র অবলম্বন। এমন গল্প হয়তো আরও আছে। কিন্তু পারভিন এই অন্ধ মানুষটিকেই ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন আজ থেকে প্রায় ২১ বছর আগে। তারপর টেনে নিয়ে চলেছেন নিজেদের সংসার।
বৈবাহিক সূত্রে মাদারীপুরে থাকলেও লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জের আবদুল জব্বারের মেয়ে পারভিন বেগম। তখন তিনি ঢাকায় মামা-মামির কাছে থাকতেন। সেখানেই পরিচয় হয় মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আন্ডারচর গ্রামের ফজলুর রহমান সরদারের ছেলে সরদার আশিকুর রহমানের সঙ্গে। তারপর প্রেম ও বিয়ে। ২০০৩ সালে বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে মাদারীপুরে চলে আসেন পারভিন। শহরের চৌরাস্তায় বাসা ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। পারভিন ও আশিকুর দম্পতির একমাত্র কন্যাসন্তান আফিয়া আক্তার আঁখির বিয়ে হয়ে গেছে।
বিয়ের পর অন্ধ স্বামীকে নিয়ে শুরু হয় পারভিনের জীবনযুদ্ধ। হাতে টাকা প্রায় নেই বললেই চলে। অতি সামান্য টাকা নিয়ে লেকপাড়ে বস্তা বিছিয়ে খেলনা বিক্রি করতে শুরু করেন পারভিন। তারপর কখন যে প্রায় ১৫ বছর কেটে গেছে, টের পাননি তিনি। এই ১৫ বছরে ধীরে ধীরে হাতে কিছু টাকা জমতে শুরু করে। পারভিনও রাস্তার ওপর বিছানো বস্তা গুটিয়ে লেকপাড়ে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে খেলনার দোকান সাজান। এখন প্রতিদিন দুই হাজার টাকার মতো খেলনা বিক্রি হয়। সেই আয়ের টাকায় চলে তাঁদের সংসার।
সরদার আশিকুর রহমান বলেছেন, ‘জীবনযুদ্ধে হারার মতো মানুষ আমি নই।’ সে জন্যই স্ত্রীকে নিয়ে শুরু করেছিলেন নতুন জীবন, নতুন যুদ্ধ মাদারীপুর শহরের লেকপাড়ে। বাঁশি বাজাতে পারতেন আশিকুর। ঘুরতে আসা লোকজন তাঁর বাঁশির সুরে মুগ্ধ হয়ে যেতে লাগল। সুরের টানে হোক আর পারভিনের ব্যবহারের কারণে, লেকপাড়ে ঘুরতে আসা ছোট ছোট ছেলেমেয়ে তাঁদের কাছ থেকে খেলনা কিনতে পছন্দ করত। একপর্যায়ে দুজনের চেষ্টায় সেটাই হয়ে গেল সংসার চালানোর অবলম্বন।
পারভিন আর আশিকুরের জীবনের রসায়নে কার ভূমিকা বেশি, সে প্রশ্ন তোলা অবান্তর। কিন্তু এটা সত্য, এগিয়ে এসেছিলেন পারভিন। লেকপাড়ে সে প্রশ্ন তুলতে সলজ্জ মুখে বললেন, ‘ও অন্ধ জেনেই ভালোবেসে বিয়ে করেছি।’ কিন্তু বাঁচতে হলে তো কিছু করতে হবে। তখনই শুরু হলো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলা। দুজনে মিলে খেলনা আর বাঁশি বিক্রি শুরু করলেন তাঁরা।
লেকপাড়ে ঘুরতে আসা মানুষের অনেকে পারভিন আর আশিকুরের গল্প জানেন। কেউ জানেন না। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তাঁদের কাছ থেকেই খেলনা কেনেন। তেমনি একজন ফাইজা সিমি। ঘুরতে এসে এখান থেকেই খেলনা কেনেন তিনি, সে কথাই জানালেন। বললেন, ‘তাঁদের ব্যবহার অনেক ভালো। জিনিসের দামও কম রাখে।’
লেকপাড়ে অন্ধ স্বামীকে নিয়ে পারভিনের সংগ্রাম দীর্ঘদিন ধরে দেখছেন মাদারীপুরের নারী উন্নয়ন সংস্থা নকশিকাঁথার সদস্য ফারজানা আক্তার মুন্নি। কারও কাছে হাত না পেতে পারভিন খেলনা বিক্রি করে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন, এ কাজ তাঁকে ভীষণ আলোড়িত করে।
দেশে সবকিছু নিয়ে একটি পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু নারীদের নিরাপত্তা, তাঁদের অধিকার, তাঁদের সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে অংশগ্রহণের বিষয়গুলো নিয়ে কতটুকু কথা হচ্ছে? নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে কথা হচ্ছে। এর মধ্যে নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি কতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে? রাজনৈতিক দলগুলোতে নারী নেতৃত্বের...
১ দিন আগে১২ আগস্ট মঙ্গলবার, সকালেই এক গভীর শূন্যতা নেমে এল চারপাশে। অধ্যাপক মাহফুজা খানম আর নেই! বুকের ভেতর যেন এক অপার শূন্যতার ঢেউ আছড়ে পড়ল। মানুষ চলে গেলে পৃথিবী তো থেমে যায় না, আকাশের রংও বদলায় না, রাস্তাঘাটে মানুষের ভিড় থাকে। কিন্তু আমাদের ভেতরের পৃথিবী থেমে যায়। আমার কাছে তিনি শুধু একজন খ্যাতিমান..
১ দিন আগেযুদ্ধের উত্তাপে জর্জরিত গাজায় প্রতিটি মুহূর্তে মৃত্যুর ছায়া ঘোরে। তবু সেখানে নতুন প্রাণের আশা যেন এক অনন্য বিজয়। গাজার আসসাহাবা মেডিকেল কমপ্লেক্সের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক, নার্স আর ইন্টার্নরা এই জীবন ও মৃত্যুর এক অপরিহার্য সম্পর্কের সাক্ষী হয়ে ওঠেন প্রতিনিয়ত। সেখানে অনিশ্চিত নিকষ কালো..
১ দিন আগেআমি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি। একটি ছেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল কলেজজীবন থেকে। সে এখন একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। আমাদের কথা বন্ধ হয়ে যায় এক বছর আগে তার ইচ্ছাতেই। এ ঘটনায় আমি খুবই বিষণ্ন হয়ে যাই। পরে তা কাটিয়ে উঠি। কিছুদিন আগে সে আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে আনব্লক করে, স্টোরি দেখে...
২ দিন আগে