কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
আগামীকাল ২৬ জুন। জাতিসংঘ তারিখটিকে আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু আমরা আশ্চর্য হয়ে দেখছি, শুধু নারী বা শিশু নয়, পৃথিবীময় বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের সংখ্যা বেড়ে চলেছে এবং এর বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠছে জটিল।
নারী, শিশু, জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু, ভিন্নমতাবলম্বী; নির্যাতনের ক্ষেত্রে উন্নত বা তৃতীয় কোনো বিশ্বে কেউ বাদ যাচ্ছে না। যুদ্ধ ও দাঙ্গাকবলিত দেশ বা অঞ্চলগুলোতে বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে নির্যাতনের ভয়ংকর রূপ দেখা যায়। এর ফলে মানুষের অধিকার দিন দিন কমছে। কিন্তু এ বিষয়ে পৃথিবীর যেন মাথাব্যথা নেই।
নির্যাতনের মাত্রায় বাংলাদেশের চিত্র
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশে নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয় ১ হাজার ৩৫২ জন। তাদের মধ্যে নির্যাতনের ঘটনা বেশি ঘটে গত মার্চে। এই সময়ে ৪৪২ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়। গত এপ্রিল ও মে মাসে যথাক্রমে ৩৩২ ও ২৮৭ জন নারী ও কন্যাশিশুকে নির্যাতন করা হয়। জানুয়ারিতে ১ হাজার ৪৪০টি নারী-শিশু নির্যাতন মামলা করা হয় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। মার্চে মামলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৪৫টিতে।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষ চার মাসে দেশে নারী-শিশু নির্যাতনের ঘটনা ছিল ৫ হাজার ৭৯৫টি। এ বছরের প্রথম চার মাসে তা বেড়ে হয় ৭ হাজার ১৩টি। অর্থাৎ প্রথম চার মাসে নির্যাতনের সংখ্যা ১ হাজার ২১৮টি বেশি! তবে এটাই বাস্তব চিত্র কি না, তা বলা কঠিন।
নারীর প্রতি নির্যাতনের বৈশ্বিক চিত্র
১৯৮৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক অথবা মর্যাদাহানিকর আচরণ বা শাস্তির বিরুদ্ধে কনভেনশন গ্রহণ করে। সেটি ১৯৮৭ সালের ২৬ জুন কার্যকর হয়। ১৯৯৮ সালের মে মাস পর্যন্ত বিশ্বের ১০৫টি দেশ এই কনভেনশনে স্বাক্ষর করে। স্বাক্ষর করা প্রতিটি রাষ্ট্র তাদের জাতীয় আইনে নির্যাতনকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে সম্মত হয়। জাতিসংঘ ২৬ জুন তারিখটিকে আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস ঘোষণা করে।
অথচ বিশ্বব্যাপী মানুষ দেখছে নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র। ‘১২ দিনের যুদ্ধ’ বলে বিখ্যাত হয়ে যাওয়া ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ বিষয়ে ‘দ্য গার্ডিয়ান’ একটি মতামতভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তাতে বলা হয়, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের নারী দমন এবং মাহসা আমিনির ঘটনার উদাহরণ টেনে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের যৌক্তিকতা তৈরির চেষ্টা করছেন। এটি নারীর অধিকারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের দৃষ্টান্ত বলা যায়। ইরান সরকার ইসরায়েলি হামলায় বেসামরিক কয়েক শ নাগরিক নিহতের কথা জানিয়েছে। আলাদা করে উল্লেখ না করলেও বোঝা যায়, নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ছিল নারী ও শিশু। মোটকথা, ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুরা অন্যতম প্রধান ভুক্তভোগী।
যুদ্ধের প্রভাবে নির্যাতনের হার
ইউএন উইমেন ২০২৪ সালের অক্টোবরের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত বেসামরিক ব্যক্তিদের মধ্যে ৪০ শতাংশ নারী। এ সংখ্যা ২০২২ সালের দ্বিগুণ। যুদ্ধসম্পর্কিত যৌন সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে ৫০ শতাংশ। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের একটি দল দাবি করেছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে ‘অতিরিক্ত সহিংসতা’ চালিয়েছে। ইউএনের তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজায় নারী ও শিশু নির্যাতন এখন ‘যুদ্ধের কৌশল’, যা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ। গাজায় প্রজনন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ধ্বংস, খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ। এসব চূড়ান্ত সামাজিক ও স্বাস্থ্যগত বঞ্চনার প্রতিফলন। সেখানে আইভিএফ ক্লিনিক এবং মেটারনিটি ইউনিট ধ্বংসের কারণে সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি নারীর প্রজননব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গাজায় যুদ্ধের কারণে লক্ষাধিক নারী বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এই নারীরা খাদ্যসংকট ও আশ্রয়হীনতার কারণে পারিবারিক সহিংসতা ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ২০২৪ সালে প্রকাশিত জেনেভা প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩ হাজার ৬৮৮টি যৌন সহিংসতার ঘটনার মধ্যে ৯৫ শতাংশ ভুক্তভোগী নারী বা কিশোরী।
সিরিয়ায় যুদ্ধ থেমে গেছে বাশার আল-আসাদের পালিয়ে যাওয়ার পর। কিন্তু সেখানে অস্থিরতা এখনো কমেনি। পুরুষের সংখ্যা কমে যাওয়া সেই দেশটি এখনো ভুগছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার বেড়াজালে। এ কারণেও সেখানে বাড়ছে নির্যাতনের হার। সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিম ও উত্তরের প্রদেশগুলোতে প্রায় ১১ লাখ মানুষ স্থানান্তরিত হয়েছে, যার প্রায় অর্ধেকই ছিল নারী। এ সময় নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার অভাব বেড়ে যাওয়ায় ধর্ষণ, জোর করে বিয়ে এবং মানব পাচারের ঘটনা প্রবলভাবে বাড়তে থাকে। দেশটিতে এখনো রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে নারী সুরক্ষা কেন্দ্র, আইনি সহায়তা ও নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রের অভাবে গৃহ নির্যাতন, যৌন নির্যাতন আর বাল্যবিবাহের মাত্রা বেড়েছে।
এসব পরিসংখ্যান দিয়ে নির্যাতনের ঘটনাগুলোর একটা ধারণা পাওয়া যায় মাত্র। প্রকৃত সংখ্যা পাওয়া সম্ভব নয়। নির্যাতনের ঘটনা সামনে এলেই আমরা
তা বন্ধ করার জন্য প্রার্থনা করছি! বিশ্বব্যাপী মানুষের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবসে আমরা কি শুধু প্রার্থনাই করে যাব?
আগামীকাল ২৬ জুন। জাতিসংঘ তারিখটিকে আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু আমরা আশ্চর্য হয়ে দেখছি, শুধু নারী বা শিশু নয়, পৃথিবীময় বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের সংখ্যা বেড়ে চলেছে এবং এর বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠছে জটিল।
নারী, শিশু, জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু, ভিন্নমতাবলম্বী; নির্যাতনের ক্ষেত্রে উন্নত বা তৃতীয় কোনো বিশ্বে কেউ বাদ যাচ্ছে না। যুদ্ধ ও দাঙ্গাকবলিত দেশ বা অঞ্চলগুলোতে বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে নির্যাতনের ভয়ংকর রূপ দেখা যায়। এর ফলে মানুষের অধিকার দিন দিন কমছে। কিন্তু এ বিষয়ে পৃথিবীর যেন মাথাব্যথা নেই।
নির্যাতনের মাত্রায় বাংলাদেশের চিত্র
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশে নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয় ১ হাজার ৩৫২ জন। তাদের মধ্যে নির্যাতনের ঘটনা বেশি ঘটে গত মার্চে। এই সময়ে ৪৪২ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়। গত এপ্রিল ও মে মাসে যথাক্রমে ৩৩২ ও ২৮৭ জন নারী ও কন্যাশিশুকে নির্যাতন করা হয়। জানুয়ারিতে ১ হাজার ৪৪০টি নারী-শিশু নির্যাতন মামলা করা হয় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। মার্চে মামলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৪৫টিতে।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষ চার মাসে দেশে নারী-শিশু নির্যাতনের ঘটনা ছিল ৫ হাজার ৭৯৫টি। এ বছরের প্রথম চার মাসে তা বেড়ে হয় ৭ হাজার ১৩টি। অর্থাৎ প্রথম চার মাসে নির্যাতনের সংখ্যা ১ হাজার ২১৮টি বেশি! তবে এটাই বাস্তব চিত্র কি না, তা বলা কঠিন।
নারীর প্রতি নির্যাতনের বৈশ্বিক চিত্র
১৯৮৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক অথবা মর্যাদাহানিকর আচরণ বা শাস্তির বিরুদ্ধে কনভেনশন গ্রহণ করে। সেটি ১৯৮৭ সালের ২৬ জুন কার্যকর হয়। ১৯৯৮ সালের মে মাস পর্যন্ত বিশ্বের ১০৫টি দেশ এই কনভেনশনে স্বাক্ষর করে। স্বাক্ষর করা প্রতিটি রাষ্ট্র তাদের জাতীয় আইনে নির্যাতনকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে সম্মত হয়। জাতিসংঘ ২৬ জুন তারিখটিকে আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস ঘোষণা করে।
অথচ বিশ্বব্যাপী মানুষ দেখছে নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র। ‘১২ দিনের যুদ্ধ’ বলে বিখ্যাত হয়ে যাওয়া ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ বিষয়ে ‘দ্য গার্ডিয়ান’ একটি মতামতভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তাতে বলা হয়, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের নারী দমন এবং মাহসা আমিনির ঘটনার উদাহরণ টেনে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের যৌক্তিকতা তৈরির চেষ্টা করছেন। এটি নারীর অধিকারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের দৃষ্টান্ত বলা যায়। ইরান সরকার ইসরায়েলি হামলায় বেসামরিক কয়েক শ নাগরিক নিহতের কথা জানিয়েছে। আলাদা করে উল্লেখ না করলেও বোঝা যায়, নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ছিল নারী ও শিশু। মোটকথা, ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুরা অন্যতম প্রধান ভুক্তভোগী।
যুদ্ধের প্রভাবে নির্যাতনের হার
ইউএন উইমেন ২০২৪ সালের অক্টোবরের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত বেসামরিক ব্যক্তিদের মধ্যে ৪০ শতাংশ নারী। এ সংখ্যা ২০২২ সালের দ্বিগুণ। যুদ্ধসম্পর্কিত যৌন সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে ৫০ শতাংশ। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের একটি দল দাবি করেছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে ‘অতিরিক্ত সহিংসতা’ চালিয়েছে। ইউএনের তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজায় নারী ও শিশু নির্যাতন এখন ‘যুদ্ধের কৌশল’, যা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ। গাজায় প্রজনন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ধ্বংস, খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ। এসব চূড়ান্ত সামাজিক ও স্বাস্থ্যগত বঞ্চনার প্রতিফলন। সেখানে আইভিএফ ক্লিনিক এবং মেটারনিটি ইউনিট ধ্বংসের কারণে সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি নারীর প্রজননব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গাজায় যুদ্ধের কারণে লক্ষাধিক নারী বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এই নারীরা খাদ্যসংকট ও আশ্রয়হীনতার কারণে পারিবারিক সহিংসতা ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ২০২৪ সালে প্রকাশিত জেনেভা প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩ হাজার ৬৮৮টি যৌন সহিংসতার ঘটনার মধ্যে ৯৫ শতাংশ ভুক্তভোগী নারী বা কিশোরী।
সিরিয়ায় যুদ্ধ থেমে গেছে বাশার আল-আসাদের পালিয়ে যাওয়ার পর। কিন্তু সেখানে অস্থিরতা এখনো কমেনি। পুরুষের সংখ্যা কমে যাওয়া সেই দেশটি এখনো ভুগছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার বেড়াজালে। এ কারণেও সেখানে বাড়ছে নির্যাতনের হার। সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিম ও উত্তরের প্রদেশগুলোতে প্রায় ১১ লাখ মানুষ স্থানান্তরিত হয়েছে, যার প্রায় অর্ধেকই ছিল নারী। এ সময় নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার অভাব বেড়ে যাওয়ায় ধর্ষণ, জোর করে বিয়ে এবং মানব পাচারের ঘটনা প্রবলভাবে বাড়তে থাকে। দেশটিতে এখনো রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে নারী সুরক্ষা কেন্দ্র, আইনি সহায়তা ও নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রের অভাবে গৃহ নির্যাতন, যৌন নির্যাতন আর বাল্যবিবাহের মাত্রা বেড়েছে।
এসব পরিসংখ্যান দিয়ে নির্যাতনের ঘটনাগুলোর একটা ধারণা পাওয়া যায় মাত্র। প্রকৃত সংখ্যা পাওয়া সম্ভব নয়। নির্যাতনের ঘটনা সামনে এলেই আমরা
তা বন্ধ করার জন্য প্রার্থনা করছি! বিশ্বব্যাপী মানুষের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবসে আমরা কি শুধু প্রার্থনাই করে যাব?
২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ক্রিস্ট্রুন মজল ফ্রস্টাডোত্তির। ৩৬ বছর বয়সে তিনি আইসল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এদিকে নিজের দেশ থেকে নির্বাসিত হয়ে দেশে ফিরে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন নামিবিয়ার সাবেক
৩ দিন আগেআমি এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আমার বাবা-মা প্রায় চার বছর ধরে আলাদা থাকছেন। বাবা একাধিক নারীতে আসক্ত ছিলেন। সে কারণে মাকে মারধর করতেন। শেষমেশ মা বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন। এর পর থেকে বাবা আমার খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেন। তবে কখনো কখনো পারিবারিক চাপের কারণে কিছু দেন, আবার বন্ধ করে দেন।
৩ দিন আগেতার কোনো সাম্রাজ্য নেই, রাজপ্রাসাদ নেই। কখনো স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন বানানো, কখনো বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি, কখনো ইভ টিজিং, বাল্যবিবাহ, যৌতুক প্রথা বন্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে সতর্কতা গড়ে তোলাতেই তার আগ্রহ বেশি। মেয়েটির নাম মীনা। আমরা জানি না মীনার বয়স কত, তার বাড়ি কোথায়। কোথায় সেই
৪ দিন আগেদক্ষিণ আফ্রিকার সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ ও বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামের নেত্রী উইনি ম্যান্ডেলা। তিনি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যবিরোধী সংগ্রামের এক কিংবদন্তি চরিত্র। তিনি নেলসন ম্যান্ডেলার দ্বিতীয় স্ত্রী। যখন ম্যান্ডেলা প্রায় ২৭ বছর কারাবন্দী ছিলেন, তখন উইনি বাইরে থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
৪ দিন আগে