নারী শ্রমশক্তির ভূগোল
ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা নারী। ফলে এই পৃথিবীর উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ কোনো বিশেষ সুবিধা বা কোটার বিষয় নয়। এটি তাদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু এই জায়গায় পৃথিবীর সব দেশ সমান নয়। কোনো কোনো দেশে নারীদের সমাজের অংশই মনে করা হয় না। এই জায়গাতেই তৈরি হয়েছে এক বিরাট বৈষম্য।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এ বছর একটি জরিপে প্রকাশ করেছে নারীদের কর্মসংস্থানের হার বেশি এমন ৩০টি দেশের তালিকা। জরিপটি ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী নারীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি হয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী নারীদের কেউ কাজ করছেন আবার কাজ খুঁজছেন। এই তথ্যগুলো বিশ্লেষণে দেখা গেছে, খুব গরিব অথবা খুব ধনী দেশগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থানের হার বেশি। কিন্তু মাঝারি আয়ের দেশে তা তুলনামূলক কম। যেমন আইসল্যান্ড উচ্চ আয়ের দেশ আর মাদাগাস্কার নিম্ন আয়ের দেশ। দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটের দেশ হয়েও নারীদের কর্মসংস্থান হারের দিক থেকে দেশ দুটি প্রায় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে।
স্বাবলম্বী নারীদের মহাদেশ আফ্রিকা
আফ্রিকান দেশগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থানের হার তুলনামূলক বেশি। দেশগুলোর নারী শ্রমশক্তি মূলত কৃষিনির্ভর। মাদাগাস্কার, তানজানিয়া, নাইজেরিয়া প্রভৃতি দেশে নারীরা চা-বাগান, মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ, ক্ষুদ্র ব্যবসা ও হস্তশিল্পের বিপণনে সক্রিয়। যদিও এসব কাজের অনেকটাই আনুষ্ঠানিক খাতের বাইরে। তারপরও পরিবার ও অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মাদাগাস্কারে ৮৪ শতাংশ নারী বিভিন্ন কাজ করে। তাদের মধ্যে বেশি নারী চায়ের খামারে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত। বুরুন্ডি মূলত কৃষিভিত্তিক সমাজ। সেখানে ৮১ শতাংশ নারী কাজ করে; বিশেষ করে ফসল উৎপাদনের কাজে জড়িত। তানজানিয়ার ৮২ শতাংশ নারী কাজ করে। তারা মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিকাজে নিয়োজিত। নাইজেরিয়াতেও কর্মজীবী নারীর সংখ্যা তানজানিয়ার মতো। তবে সেই দেশে নারীরা হস্তশিল্প, পটারি এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মোজাম্বিকে ৭৮ শতাংশ নারী কর্মজীবী। নানা ধরনের ইভেন্টে নারী মডেল ও উদ্যোক্তার উপস্থিতি দেখা যায় দেশটিতে। উগান্ডায় ৭৮ শতাংশ নারী কর্মজীবী। সেখানে ক্ষুদ্র পোশাক ব্যবসায় নারীদের অংশগ্রহণ বেশি। বেনিনে ৭৬ শতাংশ নারী কর্মজীবী। যারা খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও হস্তশিল্পের কাজের সঙ্গে জড়িত। ইরিত্রিয়ায় কর্মজীবী নারী ৭৫ শতাংশ। তারাও বেশির ভাগ কৃষিকাজে নিয়োজিত। যদিও এগুলো অধিকাংশ আনুষ্ঠানিক চাকরি নয়, তবে পরিবার ও অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে নারীরা এসব কাজে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে চলেছে।
উচ্চ ও নিম্ন আয়ের চরম চিত্র এশিয়ায়
এশিয়ার চিত্র কিছুটা জটিল। এই মহাদেশে উত্তর কোরিয়ায় নারী শ্রমশক্তির হার সর্বোচ্চ। দেশটির ৮৭ শতাংশ নারী কর্মজীবী। কম্বোডিয়া বা কাজাখস্তানের মতো দেশে নারীরা যুক্ত পোশাক ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে। অন্যদিকে, জাপানের মতো উন্নত অর্থনীতিতে নারীরা ধীরে ধীরে প্রযুক্তিনির্ভর কাজে এগিয়ে যাচ্ছে।
এশিয়ার উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশগুলোতে নারীদের ভূমিকা আলাদা। উন্নত এশীয় দেশগুলোতে নারীরা প্রযুক্তিনির্ভর কাজ করলেও দরিদ্র দেশে তারা পোশাক, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও হস্তশিল্পের কাজের সঙ্গে যুক্ত। যেমন উত্তর কোরিয়ায় নারী শ্রমশক্তির হার সর্বোচ্চ। তারপরেই আছে কম্বোডিয়ার মতো দেশ। সেখানে ৭৯ শতাংশ নারী কর্মজীবী। সেই নারীরা প্রধানত পোশাক কারখানায় কাজ করে। জাপানের ৭৭ শতাংশ কর্মজীবী নারীর বেশির ভাগই প্রযুক্তি ও উৎপাদন শিল্পে অংশগ্রহণে আগ্রহী। কাজাখস্তানে কর্মজীবী নারীর হার ৭৬ শতাংশ। দেশটিতে নারীরা মূলত খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের সঙ্গে জড়িত।
সমতা ও সচেতনতায় এগিয়ে ইউরোপ
ইউরোপীয় দেশগুলো নারীদের কর্মসংস্থানের দিক থেকে উদাহরণ হওয়ার মতো। আইসল্যান্ড, সুইডেন, নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলোতে কর্মক্ষেত্রে সমতা, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। ইউরোপের নারীরা গবেষণা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন ও প্রযুক্তিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। সে মহাদেশের নারীরা বেশির ভাগ আনুষ্ঠানিক খাতে যুক্ত। ইউরোপীয় দেশগুলোতে নারীদের কাজের পরিবেশ তুলনামূলকভাবে উন্নত ও সমতাভিত্তিক।
আইসল্যান্ডে ৮৪ শতাংশ কর্মজীবী নারীর বেশির ভাগ মৎস্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে জড়িত। সুইডেনে কর্মজীবী নারীর হার ৮২ শতাংশ। তাদের বেশির ভাগ গবেষণা ও প্রযুক্তিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। একই অবস্থানে আছে নেদারল্যান্ডস। সেখানে খেলাধুলা ও প্রযুক্তি খাতে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে নারীরা। ফিনল্যান্ড ৮০ শতাংশ নারী কর্মজীবীর দেশ। সেখানে বেশির ভাগ নারী হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ক্যাটারিং সেক্টরে কাজ করে। ডেনমার্কে পাবলিক সেক্টরে নারীর সংখ্যা বেশি। নরওয়েতে সংস্কৃতি ও হেরিটেজ সংরক্ষণে নারী কর্মীদের ভূমিকা বেশি। লিথুয়ানিয়ার বেশির ভাগ নারী বিউটি ও হেলথ সেক্টরে সক্রিয়। জার্মানিতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সমাজসেবায় নারীরা অগ্রণী। পর্তুগাল, বেলারুশ, সাইপ্রাস, এস্তোনিয়ার মতো দেশে নারীরা নিয়োজিত কৃষি, উৎপাদন ও হস্তশিল্পের কাজে।
কর্মক্ষম ও দক্ষ নারীশক্তিতে অস্ট্রেলিয়া, ওশেনিয়া
এই অঞ্চলের দেশগুলোতে কৃষিনির্ভর খাত ও উদ্যোগে নারীদের সম্পৃক্ততার হার বেড়েছে। তারা পেশাদার ও দক্ষ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। সলোমন দ্বীপপুঞ্জের ৮৪ শতাংশ নারী কর্মজীবী। সেখানে হস্তশিল্পে নারীদের সক্রিয়তা বেশি। অস্ট্রেলিয়ার ৭৭ শতাংশ নারী কর্মীর বেশির ভাগ কৃষিকাজে প্রশিক্ষিত। নিউজিল্যান্ড খামার ব্যবস্থাপনায় নারীদের অংশগ্রহণ বেশি। ওই অঞ্চলের দেশগুলোতে কৃষিনির্ভর উদ্যোক্তা হিসেবে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। তারা পেশাদার ও দক্ষ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। সেখানে দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের মিলনে গড়ে উঠছে নারীশক্তি। সেই অঞ্চলে নারীরা কৃষি, খামার ব্যবস্থাপনা ও হস্তশিল্পে দক্ষ শ্রমিক হিসেবে যুক্ত। তারা শুধু শ্রমিক নয়, উদ্যোক্তাও বটে।
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার শহুরে জীবনে নারীর উপস্থিতি
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার নারীরা তুলনামূলকভাবে হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও প্রক্রিয়াজাত শিল্পে বেশি সক্রিয়। যদিও এই অংশগ্রহণের হার ইউরোপ বা আফ্রিকার তুলনায় কম। তবু বাহামাসের মতো দেশে নারীরা হসপিটালিটি এবং উৎপাদন খাতে নিজেদের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলছে। সেখানে ৭৬ শতাংশ নারী কর্মজীবী।
সূত্র: ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট, আইএলও
পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা নারী। ফলে এই পৃথিবীর উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ কোনো বিশেষ সুবিধা বা কোটার বিষয় নয়। এটি তাদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু এই জায়গায় পৃথিবীর সব দেশ সমান নয়। কোনো কোনো দেশে নারীদের সমাজের অংশই মনে করা হয় না। এই জায়গাতেই তৈরি হয়েছে এক বিরাট বৈষম্য।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এ বছর একটি জরিপে প্রকাশ করেছে নারীদের কর্মসংস্থানের হার বেশি এমন ৩০টি দেশের তালিকা। জরিপটি ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী নারীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি হয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী নারীদের কেউ কাজ করছেন আবার কাজ খুঁজছেন। এই তথ্যগুলো বিশ্লেষণে দেখা গেছে, খুব গরিব অথবা খুব ধনী দেশগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থানের হার বেশি। কিন্তু মাঝারি আয়ের দেশে তা তুলনামূলক কম। যেমন আইসল্যান্ড উচ্চ আয়ের দেশ আর মাদাগাস্কার নিম্ন আয়ের দেশ। দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটের দেশ হয়েও নারীদের কর্মসংস্থান হারের দিক থেকে দেশ দুটি প্রায় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে।
স্বাবলম্বী নারীদের মহাদেশ আফ্রিকা
আফ্রিকান দেশগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থানের হার তুলনামূলক বেশি। দেশগুলোর নারী শ্রমশক্তি মূলত কৃষিনির্ভর। মাদাগাস্কার, তানজানিয়া, নাইজেরিয়া প্রভৃতি দেশে নারীরা চা-বাগান, মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ, ক্ষুদ্র ব্যবসা ও হস্তশিল্পের বিপণনে সক্রিয়। যদিও এসব কাজের অনেকটাই আনুষ্ঠানিক খাতের বাইরে। তারপরও পরিবার ও অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মাদাগাস্কারে ৮৪ শতাংশ নারী বিভিন্ন কাজ করে। তাদের মধ্যে বেশি নারী চায়ের খামারে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত। বুরুন্ডি মূলত কৃষিভিত্তিক সমাজ। সেখানে ৮১ শতাংশ নারী কাজ করে; বিশেষ করে ফসল উৎপাদনের কাজে জড়িত। তানজানিয়ার ৮২ শতাংশ নারী কাজ করে। তারা মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিকাজে নিয়োজিত। নাইজেরিয়াতেও কর্মজীবী নারীর সংখ্যা তানজানিয়ার মতো। তবে সেই দেশে নারীরা হস্তশিল্প, পটারি এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মোজাম্বিকে ৭৮ শতাংশ নারী কর্মজীবী। নানা ধরনের ইভেন্টে নারী মডেল ও উদ্যোক্তার উপস্থিতি দেখা যায় দেশটিতে। উগান্ডায় ৭৮ শতাংশ নারী কর্মজীবী। সেখানে ক্ষুদ্র পোশাক ব্যবসায় নারীদের অংশগ্রহণ বেশি। বেনিনে ৭৬ শতাংশ নারী কর্মজীবী। যারা খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও হস্তশিল্পের কাজের সঙ্গে জড়িত। ইরিত্রিয়ায় কর্মজীবী নারী ৭৫ শতাংশ। তারাও বেশির ভাগ কৃষিকাজে নিয়োজিত। যদিও এগুলো অধিকাংশ আনুষ্ঠানিক চাকরি নয়, তবে পরিবার ও অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে নারীরা এসব কাজে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে চলেছে।
উচ্চ ও নিম্ন আয়ের চরম চিত্র এশিয়ায়
এশিয়ার চিত্র কিছুটা জটিল। এই মহাদেশে উত্তর কোরিয়ায় নারী শ্রমশক্তির হার সর্বোচ্চ। দেশটির ৮৭ শতাংশ নারী কর্মজীবী। কম্বোডিয়া বা কাজাখস্তানের মতো দেশে নারীরা যুক্ত পোশাক ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে। অন্যদিকে, জাপানের মতো উন্নত অর্থনীতিতে নারীরা ধীরে ধীরে প্রযুক্তিনির্ভর কাজে এগিয়ে যাচ্ছে।
এশিয়ার উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশগুলোতে নারীদের ভূমিকা আলাদা। উন্নত এশীয় দেশগুলোতে নারীরা প্রযুক্তিনির্ভর কাজ করলেও দরিদ্র দেশে তারা পোশাক, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও হস্তশিল্পের কাজের সঙ্গে যুক্ত। যেমন উত্তর কোরিয়ায় নারী শ্রমশক্তির হার সর্বোচ্চ। তারপরেই আছে কম্বোডিয়ার মতো দেশ। সেখানে ৭৯ শতাংশ নারী কর্মজীবী। সেই নারীরা প্রধানত পোশাক কারখানায় কাজ করে। জাপানের ৭৭ শতাংশ কর্মজীবী নারীর বেশির ভাগই প্রযুক্তি ও উৎপাদন শিল্পে অংশগ্রহণে আগ্রহী। কাজাখস্তানে কর্মজীবী নারীর হার ৭৬ শতাংশ। দেশটিতে নারীরা মূলত খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের সঙ্গে জড়িত।
সমতা ও সচেতনতায় এগিয়ে ইউরোপ
ইউরোপীয় দেশগুলো নারীদের কর্মসংস্থানের দিক থেকে উদাহরণ হওয়ার মতো। আইসল্যান্ড, সুইডেন, নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলোতে কর্মক্ষেত্রে সমতা, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। ইউরোপের নারীরা গবেষণা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন ও প্রযুক্তিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। সে মহাদেশের নারীরা বেশির ভাগ আনুষ্ঠানিক খাতে যুক্ত। ইউরোপীয় দেশগুলোতে নারীদের কাজের পরিবেশ তুলনামূলকভাবে উন্নত ও সমতাভিত্তিক।
আইসল্যান্ডে ৮৪ শতাংশ কর্মজীবী নারীর বেশির ভাগ মৎস্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে জড়িত। সুইডেনে কর্মজীবী নারীর হার ৮২ শতাংশ। তাদের বেশির ভাগ গবেষণা ও প্রযুক্তিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। একই অবস্থানে আছে নেদারল্যান্ডস। সেখানে খেলাধুলা ও প্রযুক্তি খাতে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে নারীরা। ফিনল্যান্ড ৮০ শতাংশ নারী কর্মজীবীর দেশ। সেখানে বেশির ভাগ নারী হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ক্যাটারিং সেক্টরে কাজ করে। ডেনমার্কে পাবলিক সেক্টরে নারীর সংখ্যা বেশি। নরওয়েতে সংস্কৃতি ও হেরিটেজ সংরক্ষণে নারী কর্মীদের ভূমিকা বেশি। লিথুয়ানিয়ার বেশির ভাগ নারী বিউটি ও হেলথ সেক্টরে সক্রিয়। জার্মানিতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সমাজসেবায় নারীরা অগ্রণী। পর্তুগাল, বেলারুশ, সাইপ্রাস, এস্তোনিয়ার মতো দেশে নারীরা নিয়োজিত কৃষি, উৎপাদন ও হস্তশিল্পের কাজে।
কর্মক্ষম ও দক্ষ নারীশক্তিতে অস্ট্রেলিয়া, ওশেনিয়া
এই অঞ্চলের দেশগুলোতে কৃষিনির্ভর খাত ও উদ্যোগে নারীদের সম্পৃক্ততার হার বেড়েছে। তারা পেশাদার ও দক্ষ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। সলোমন দ্বীপপুঞ্জের ৮৪ শতাংশ নারী কর্মজীবী। সেখানে হস্তশিল্পে নারীদের সক্রিয়তা বেশি। অস্ট্রেলিয়ার ৭৭ শতাংশ নারী কর্মীর বেশির ভাগ কৃষিকাজে প্রশিক্ষিত। নিউজিল্যান্ড খামার ব্যবস্থাপনায় নারীদের অংশগ্রহণ বেশি। ওই অঞ্চলের দেশগুলোতে কৃষিনির্ভর উদ্যোক্তা হিসেবে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। তারা পেশাদার ও দক্ষ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। সেখানে দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের মিলনে গড়ে উঠছে নারীশক্তি। সেই অঞ্চলে নারীরা কৃষি, খামার ব্যবস্থাপনা ও হস্তশিল্পে দক্ষ শ্রমিক হিসেবে যুক্ত। তারা শুধু শ্রমিক নয়, উদ্যোক্তাও বটে।
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার শহুরে জীবনে নারীর উপস্থিতি
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার নারীরা তুলনামূলকভাবে হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও প্রক্রিয়াজাত শিল্পে বেশি সক্রিয়। যদিও এই অংশগ্রহণের হার ইউরোপ বা আফ্রিকার তুলনায় কম। তবু বাহামাসের মতো দেশে নারীরা হসপিটালিটি এবং উৎপাদন খাতে নিজেদের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলছে। সেখানে ৭৬ শতাংশ নারী কর্মজীবী।
সূত্র: ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট, আইএলও
চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও উদ্যোক্তা পারভীন মাহমুদ পেয়েছেন সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টস (সাফা) প্রদত্ত লাইফটাইম উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫। গতকাল মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে হোটেল সিনামন লাইফে আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে তাঁকে এই মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা দেওয়া হয়।
৫ দিন আগেবাইরে থেকে ঘরে ফিরে হাতের কাছে পাওয়া ঠান্ডা পানি কিংবা সুস্বাদু তৈরি খাবার; বাড়ি গিয়ে কী খাব—কাজে গিয়ে এমন ভাবনার মুখোমুখি না হওয়া; অথবা সারা দিনের ক্লান্তির পর শান্তিতে ঘুমানোর জন্য পাওয়া গোছানো ঘর! এই যে তৈরি খাবার, গোছানো ঘর কিংবা এক গ্লাস পানি—সবকিছুর পেছনে থাকে একজন মানুষের শ্রম। কিন্তু জমা-খরচ
৬ দিন আগেকরোনার সময় চারদিক অচল হয়ে পড়ে। সেই সময় বগুড়ার মাসুমা ইসলাম নামের ছাব্বিশ বছরের এই গৃহিণী ঘরে বসে শুরু করলেন এক নতুন উদ্যোগ। এর মধ্যে চাকরি হারালেন তাঁর স্বামী, থমকে গেল সংসার। কিন্তু হাল ছাড়লেন না মাসুমা। মাত্র ৩০০ টাকা মূলধন দিয়ে শুরু করে এখন তিনি হয়ে উঠেছেন সফল উদ্যোক্তা।
৬ দিন আগেআমার ছবি ও নাম ব্যবহার করে ফেসবুকে কেউ একজন ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলেছে। আমার পরিচিত সবাইকে ফ্রেন্ডস রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছে। সবাই আমাকে ভেবে অ্যাকসেপ্ট করছে। সবার কাছে আমার নামে খারাপ খারাপ কথা বলছে এবং টাকা ধার চাচ্ছে। আমার কয়েক বন্ধু অ্যাকাউন্টে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদেরও অনেক বাজে কথা বলছে। আমার কাছের
৬ দিন আগে