নারী শ্রমশক্তির ভূগোল
ফিচার ডেস্ক, ঢাকা

পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা নারী। ফলে এই পৃথিবীর উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ কোনো বিশেষ সুবিধা বা কোটার বিষয় নয়। এটি তাদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু এই জায়গায় পৃথিবীর সব দেশ সমান নয়। কোনো কোনো দেশে নারীদের সমাজের অংশই মনে করা হয় না। এই জায়গাতেই তৈরি হয়েছে এক বিরাট বৈষম্য।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এ বছর একটি জরিপে প্রকাশ করেছে নারীদের কর্মসংস্থানের হার বেশি এমন ৩০টি দেশের তালিকা। জরিপটি ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী নারীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি হয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী নারীদের কেউ কাজ করছেন আবার কাজ খুঁজছেন। এই তথ্যগুলো বিশ্লেষণে দেখা গেছে, খুব গরিব অথবা খুব ধনী দেশগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থানের হার বেশি। কিন্তু মাঝারি আয়ের দেশে তা তুলনামূলক কম। যেমন আইসল্যান্ড উচ্চ আয়ের দেশ আর মাদাগাস্কার নিম্ন আয়ের দেশ। দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটের দেশ হয়েও নারীদের কর্মসংস্থান হারের দিক থেকে দেশ দুটি প্রায় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে।
স্বাবলম্বী নারীদের মহাদেশ আফ্রিকা
আফ্রিকান দেশগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থানের হার তুলনামূলক বেশি। দেশগুলোর নারী শ্রমশক্তি মূলত কৃষিনির্ভর। মাদাগাস্কার, তানজানিয়া, নাইজেরিয়া প্রভৃতি দেশে নারীরা চা-বাগান, মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ, ক্ষুদ্র ব্যবসা ও হস্তশিল্পের বিপণনে সক্রিয়। যদিও এসব কাজের অনেকটাই আনুষ্ঠানিক খাতের বাইরে। তারপরও পরিবার ও অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

মাদাগাস্কারে ৮৪ শতাংশ নারী বিভিন্ন কাজ করে। তাদের মধ্যে বেশি নারী চায়ের খামারে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত। বুরুন্ডি মূলত কৃষিভিত্তিক সমাজ। সেখানে ৮১ শতাংশ নারী কাজ করে; বিশেষ করে ফসল উৎপাদনের কাজে জড়িত। তানজানিয়ার ৮২ শতাংশ নারী কাজ করে। তারা মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিকাজে নিয়োজিত। নাইজেরিয়াতেও কর্মজীবী নারীর সংখ্যা তানজানিয়ার মতো। তবে সেই দেশে নারীরা হস্তশিল্প, পটারি এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মোজাম্বিকে ৭৮ শতাংশ নারী কর্মজীবী। নানা ধরনের ইভেন্টে নারী মডেল ও উদ্যোক্তার উপস্থিতি দেখা যায় দেশটিতে। উগান্ডায় ৭৮ শতাংশ নারী কর্মজীবী। সেখানে ক্ষুদ্র পোশাক ব্যবসায় নারীদের অংশগ্রহণ বেশি। বেনিনে ৭৬ শতাংশ নারী কর্মজীবী। যারা খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও হস্তশিল্পের কাজের সঙ্গে জড়িত। ইরিত্রিয়ায় কর্মজীবী নারী ৭৫ শতাংশ। তারাও বেশির ভাগ কৃষিকাজে নিয়োজিত। যদিও এগুলো অধিকাংশ আনুষ্ঠানিক চাকরি নয়, তবে পরিবার ও অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে নারীরা এসব কাজে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে চলেছে।
উচ্চ ও নিম্ন আয়ের চরম চিত্র এশিয়ায়

এশিয়ার চিত্র কিছুটা জটিল। এই মহাদেশে উত্তর কোরিয়ায় নারী শ্রমশক্তির হার সর্বোচ্চ। দেশটির ৮৭ শতাংশ নারী কর্মজীবী। কম্বোডিয়া বা কাজাখস্তানের মতো দেশে নারীরা যুক্ত পোশাক ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে। অন্যদিকে, জাপানের মতো উন্নত অর্থনীতিতে নারীরা ধীরে ধীরে প্রযুক্তিনির্ভর কাজে এগিয়ে যাচ্ছে।
এশিয়ার উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশগুলোতে নারীদের ভূমিকা আলাদা। উন্নত এশীয় দেশগুলোতে নারীরা প্রযুক্তিনির্ভর কাজ করলেও দরিদ্র দেশে তারা পোশাক, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও হস্তশিল্পের কাজের সঙ্গে যুক্ত। যেমন উত্তর কোরিয়ায় নারী শ্রমশক্তির হার সর্বোচ্চ। তারপরেই আছে কম্বোডিয়ার মতো দেশ। সেখানে ৭৯ শতাংশ নারী কর্মজীবী। সেই নারীরা প্রধানত পোশাক কারখানায় কাজ করে। জাপানের ৭৭ শতাংশ কর্মজীবী নারীর বেশির ভাগই প্রযুক্তি ও উৎপাদন শিল্পে অংশগ্রহণে আগ্রহী। কাজাখস্তানে কর্মজীবী নারীর হার ৭৬ শতাংশ। দেশটিতে নারীরা মূলত খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের সঙ্গে জড়িত।
সমতা ও সচেতনতায় এগিয়ে ইউরোপ

ইউরোপীয় দেশগুলো নারীদের কর্মসংস্থানের দিক থেকে উদাহরণ হওয়ার মতো। আইসল্যান্ড, সুইডেন, নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলোতে কর্মক্ষেত্রে সমতা, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। ইউরোপের নারীরা গবেষণা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন ও প্রযুক্তিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। সে মহাদেশের নারীরা বেশির ভাগ আনুষ্ঠানিক খাতে যুক্ত। ইউরোপীয় দেশগুলোতে নারীদের কাজের পরিবেশ তুলনামূলকভাবে উন্নত ও সমতাভিত্তিক।
আইসল্যান্ডে ৮৪ শতাংশ কর্মজীবী নারীর বেশির ভাগ মৎস্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে জড়িত। সুইডেনে কর্মজীবী নারীর হার ৮২ শতাংশ। তাদের বেশির ভাগ গবেষণা ও প্রযুক্তিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। একই অবস্থানে আছে নেদারল্যান্ডস। সেখানে খেলাধুলা ও প্রযুক্তি খাতে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে নারীরা। ফিনল্যান্ড ৮০ শতাংশ নারী কর্মজীবীর দেশ। সেখানে বেশির ভাগ নারী হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ক্যাটারিং সেক্টরে কাজ করে। ডেনমার্কে পাবলিক সেক্টরে নারীর সংখ্যা বেশি। নরওয়েতে সংস্কৃতি ও হেরিটেজ সংরক্ষণে নারী কর্মীদের ভূমিকা বেশি। লিথুয়ানিয়ার বেশির ভাগ নারী বিউটি ও হেলথ সেক্টরে সক্রিয়। জার্মানিতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সমাজসেবায় নারীরা অগ্রণী। পর্তুগাল, বেলারুশ, সাইপ্রাস, এস্তোনিয়ার মতো দেশে নারীরা নিয়োজিত কৃষি, উৎপাদন ও হস্তশিল্পের কাজে।
কর্মক্ষম ও দক্ষ নারীশক্তিতে অস্ট্রেলিয়া, ওশেনিয়া
এই অঞ্চলের দেশগুলোতে কৃষিনির্ভর খাত ও উদ্যোগে নারীদের সম্পৃক্ততার হার বেড়েছে। তারা পেশাদার ও দক্ষ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। সলোমন দ্বীপপুঞ্জের ৮৪ শতাংশ নারী কর্মজীবী। সেখানে হস্তশিল্পে নারীদের সক্রিয়তা বেশি। অস্ট্রেলিয়ার ৭৭ শতাংশ নারী কর্মীর বেশির ভাগ কৃষিকাজে প্রশিক্ষিত। নিউজিল্যান্ড খামার ব্যবস্থাপনায় নারীদের অংশগ্রহণ বেশি। ওই অঞ্চলের দেশগুলোতে কৃষিনির্ভর উদ্যোক্তা হিসেবে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। তারা পেশাদার ও দক্ষ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। সেখানে দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের মিলনে গড়ে উঠছে নারীশক্তি। সেই অঞ্চলে নারীরা কৃষি, খামার ব্যবস্থাপনা ও হস্তশিল্পে দক্ষ শ্রমিক হিসেবে যুক্ত। তারা শুধু শ্রমিক নয়, উদ্যোক্তাও বটে।
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার শহুরে জীবনে নারীর উপস্থিতি
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার নারীরা তুলনামূলকভাবে হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও প্রক্রিয়াজাত শিল্পে বেশি সক্রিয়। যদিও এই অংশগ্রহণের হার ইউরোপ বা আফ্রিকার তুলনায় কম। তবু বাহামাসের মতো দেশে নারীরা হসপিটালিটি এবং উৎপাদন খাতে নিজেদের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলছে। সেখানে ৭৬ শতাংশ নারী কর্মজীবী।
সূত্র: ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট, আইএলও

পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা নারী। ফলে এই পৃথিবীর উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ কোনো বিশেষ সুবিধা বা কোটার বিষয় নয়। এটি তাদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু এই জায়গায় পৃথিবীর সব দেশ সমান নয়। কোনো কোনো দেশে নারীদের সমাজের অংশই মনে করা হয় না। এই জায়গাতেই তৈরি হয়েছে এক বিরাট বৈষম্য।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এ বছর একটি জরিপে প্রকাশ করেছে নারীদের কর্মসংস্থানের হার বেশি এমন ৩০টি দেশের তালিকা। জরিপটি ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী নারীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি হয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী নারীদের কেউ কাজ করছেন আবার কাজ খুঁজছেন। এই তথ্যগুলো বিশ্লেষণে দেখা গেছে, খুব গরিব অথবা খুব ধনী দেশগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থানের হার বেশি। কিন্তু মাঝারি আয়ের দেশে তা তুলনামূলক কম। যেমন আইসল্যান্ড উচ্চ আয়ের দেশ আর মাদাগাস্কার নিম্ন আয়ের দেশ। দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটের দেশ হয়েও নারীদের কর্মসংস্থান হারের দিক থেকে দেশ দুটি প্রায় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে।
স্বাবলম্বী নারীদের মহাদেশ আফ্রিকা
আফ্রিকান দেশগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থানের হার তুলনামূলক বেশি। দেশগুলোর নারী শ্রমশক্তি মূলত কৃষিনির্ভর। মাদাগাস্কার, তানজানিয়া, নাইজেরিয়া প্রভৃতি দেশে নারীরা চা-বাগান, মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ, ক্ষুদ্র ব্যবসা ও হস্তশিল্পের বিপণনে সক্রিয়। যদিও এসব কাজের অনেকটাই আনুষ্ঠানিক খাতের বাইরে। তারপরও পরিবার ও অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

মাদাগাস্কারে ৮৪ শতাংশ নারী বিভিন্ন কাজ করে। তাদের মধ্যে বেশি নারী চায়ের খামারে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত। বুরুন্ডি মূলত কৃষিভিত্তিক সমাজ। সেখানে ৮১ শতাংশ নারী কাজ করে; বিশেষ করে ফসল উৎপাদনের কাজে জড়িত। তানজানিয়ার ৮২ শতাংশ নারী কাজ করে। তারা মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিকাজে নিয়োজিত। নাইজেরিয়াতেও কর্মজীবী নারীর সংখ্যা তানজানিয়ার মতো। তবে সেই দেশে নারীরা হস্তশিল্প, পটারি এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মোজাম্বিকে ৭৮ শতাংশ নারী কর্মজীবী। নানা ধরনের ইভেন্টে নারী মডেল ও উদ্যোক্তার উপস্থিতি দেখা যায় দেশটিতে। উগান্ডায় ৭৮ শতাংশ নারী কর্মজীবী। সেখানে ক্ষুদ্র পোশাক ব্যবসায় নারীদের অংশগ্রহণ বেশি। বেনিনে ৭৬ শতাংশ নারী কর্মজীবী। যারা খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও হস্তশিল্পের কাজের সঙ্গে জড়িত। ইরিত্রিয়ায় কর্মজীবী নারী ৭৫ শতাংশ। তারাও বেশির ভাগ কৃষিকাজে নিয়োজিত। যদিও এগুলো অধিকাংশ আনুষ্ঠানিক চাকরি নয়, তবে পরিবার ও অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে নারীরা এসব কাজে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে চলেছে।
উচ্চ ও নিম্ন আয়ের চরম চিত্র এশিয়ায়

এশিয়ার চিত্র কিছুটা জটিল। এই মহাদেশে উত্তর কোরিয়ায় নারী শ্রমশক্তির হার সর্বোচ্চ। দেশটির ৮৭ শতাংশ নারী কর্মজীবী। কম্বোডিয়া বা কাজাখস্তানের মতো দেশে নারীরা যুক্ত পোশাক ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে। অন্যদিকে, জাপানের মতো উন্নত অর্থনীতিতে নারীরা ধীরে ধীরে প্রযুক্তিনির্ভর কাজে এগিয়ে যাচ্ছে।
এশিয়ার উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশগুলোতে নারীদের ভূমিকা আলাদা। উন্নত এশীয় দেশগুলোতে নারীরা প্রযুক্তিনির্ভর কাজ করলেও দরিদ্র দেশে তারা পোশাক, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও হস্তশিল্পের কাজের সঙ্গে যুক্ত। যেমন উত্তর কোরিয়ায় নারী শ্রমশক্তির হার সর্বোচ্চ। তারপরেই আছে কম্বোডিয়ার মতো দেশ। সেখানে ৭৯ শতাংশ নারী কর্মজীবী। সেই নারীরা প্রধানত পোশাক কারখানায় কাজ করে। জাপানের ৭৭ শতাংশ কর্মজীবী নারীর বেশির ভাগই প্রযুক্তি ও উৎপাদন শিল্পে অংশগ্রহণে আগ্রহী। কাজাখস্তানে কর্মজীবী নারীর হার ৭৬ শতাংশ। দেশটিতে নারীরা মূলত খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের সঙ্গে জড়িত।
সমতা ও সচেতনতায় এগিয়ে ইউরোপ

ইউরোপীয় দেশগুলো নারীদের কর্মসংস্থানের দিক থেকে উদাহরণ হওয়ার মতো। আইসল্যান্ড, সুইডেন, নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলোতে কর্মক্ষেত্রে সমতা, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। ইউরোপের নারীরা গবেষণা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন ও প্রযুক্তিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। সে মহাদেশের নারীরা বেশির ভাগ আনুষ্ঠানিক খাতে যুক্ত। ইউরোপীয় দেশগুলোতে নারীদের কাজের পরিবেশ তুলনামূলকভাবে উন্নত ও সমতাভিত্তিক।
আইসল্যান্ডে ৮৪ শতাংশ কর্মজীবী নারীর বেশির ভাগ মৎস্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে জড়িত। সুইডেনে কর্মজীবী নারীর হার ৮২ শতাংশ। তাদের বেশির ভাগ গবেষণা ও প্রযুক্তিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। একই অবস্থানে আছে নেদারল্যান্ডস। সেখানে খেলাধুলা ও প্রযুক্তি খাতে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে নারীরা। ফিনল্যান্ড ৮০ শতাংশ নারী কর্মজীবীর দেশ। সেখানে বেশির ভাগ নারী হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ক্যাটারিং সেক্টরে কাজ করে। ডেনমার্কে পাবলিক সেক্টরে নারীর সংখ্যা বেশি। নরওয়েতে সংস্কৃতি ও হেরিটেজ সংরক্ষণে নারী কর্মীদের ভূমিকা বেশি। লিথুয়ানিয়ার বেশির ভাগ নারী বিউটি ও হেলথ সেক্টরে সক্রিয়। জার্মানিতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সমাজসেবায় নারীরা অগ্রণী। পর্তুগাল, বেলারুশ, সাইপ্রাস, এস্তোনিয়ার মতো দেশে নারীরা নিয়োজিত কৃষি, উৎপাদন ও হস্তশিল্পের কাজে।
কর্মক্ষম ও দক্ষ নারীশক্তিতে অস্ট্রেলিয়া, ওশেনিয়া
এই অঞ্চলের দেশগুলোতে কৃষিনির্ভর খাত ও উদ্যোগে নারীদের সম্পৃক্ততার হার বেড়েছে। তারা পেশাদার ও দক্ষ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। সলোমন দ্বীপপুঞ্জের ৮৪ শতাংশ নারী কর্মজীবী। সেখানে হস্তশিল্পে নারীদের সক্রিয়তা বেশি। অস্ট্রেলিয়ার ৭৭ শতাংশ নারী কর্মীর বেশির ভাগ কৃষিকাজে প্রশিক্ষিত। নিউজিল্যান্ড খামার ব্যবস্থাপনায় নারীদের অংশগ্রহণ বেশি। ওই অঞ্চলের দেশগুলোতে কৃষিনির্ভর উদ্যোক্তা হিসেবে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। তারা পেশাদার ও দক্ষ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। সেখানে দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের মিলনে গড়ে উঠছে নারীশক্তি। সেই অঞ্চলে নারীরা কৃষি, খামার ব্যবস্থাপনা ও হস্তশিল্পে দক্ষ শ্রমিক হিসেবে যুক্ত। তারা শুধু শ্রমিক নয়, উদ্যোক্তাও বটে।
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার শহুরে জীবনে নারীর উপস্থিতি
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার নারীরা তুলনামূলকভাবে হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও প্রক্রিয়াজাত শিল্পে বেশি সক্রিয়। যদিও এই অংশগ্রহণের হার ইউরোপ বা আফ্রিকার তুলনায় কম। তবু বাহামাসের মতো দেশে নারীরা হসপিটালিটি এবং উৎপাদন খাতে নিজেদের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলছে। সেখানে ৭৬ শতাংশ নারী কর্মজীবী।
সূত্র: ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট, আইএলও
নারী শ্রমশক্তির ভূগোল
ফিচার ডেস্ক, ঢাকা

পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা নারী। ফলে এই পৃথিবীর উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ কোনো বিশেষ সুবিধা বা কোটার বিষয় নয়। এটি তাদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু এই জায়গায় পৃথিবীর সব দেশ সমান নয়। কোনো কোনো দেশে নারীদের সমাজের অংশই মনে করা হয় না। এই জায়গাতেই তৈরি হয়েছে এক বিরাট বৈষম্য।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এ বছর একটি জরিপে প্রকাশ করেছে নারীদের কর্মসংস্থানের হার বেশি এমন ৩০টি দেশের তালিকা। জরিপটি ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী নারীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি হয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী নারীদের কেউ কাজ করছেন আবার কাজ খুঁজছেন। এই তথ্যগুলো বিশ্লেষণে দেখা গেছে, খুব গরিব অথবা খুব ধনী দেশগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থানের হার বেশি। কিন্তু মাঝারি আয়ের দেশে তা তুলনামূলক কম। যেমন আইসল্যান্ড উচ্চ আয়ের দেশ আর মাদাগাস্কার নিম্ন আয়ের দেশ। দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটের দেশ হয়েও নারীদের কর্মসংস্থান হারের দিক থেকে দেশ দুটি প্রায় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে।
স্বাবলম্বী নারীদের মহাদেশ আফ্রিকা
আফ্রিকান দেশগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থানের হার তুলনামূলক বেশি। দেশগুলোর নারী শ্রমশক্তি মূলত কৃষিনির্ভর। মাদাগাস্কার, তানজানিয়া, নাইজেরিয়া প্রভৃতি দেশে নারীরা চা-বাগান, মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ, ক্ষুদ্র ব্যবসা ও হস্তশিল্পের বিপণনে সক্রিয়। যদিও এসব কাজের অনেকটাই আনুষ্ঠানিক খাতের বাইরে। তারপরও পরিবার ও অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

মাদাগাস্কারে ৮৪ শতাংশ নারী বিভিন্ন কাজ করে। তাদের মধ্যে বেশি নারী চায়ের খামারে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত। বুরুন্ডি মূলত কৃষিভিত্তিক সমাজ। সেখানে ৮১ শতাংশ নারী কাজ করে; বিশেষ করে ফসল উৎপাদনের কাজে জড়িত। তানজানিয়ার ৮২ শতাংশ নারী কাজ করে। তারা মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিকাজে নিয়োজিত। নাইজেরিয়াতেও কর্মজীবী নারীর সংখ্যা তানজানিয়ার মতো। তবে সেই দেশে নারীরা হস্তশিল্প, পটারি এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মোজাম্বিকে ৭৮ শতাংশ নারী কর্মজীবী। নানা ধরনের ইভেন্টে নারী মডেল ও উদ্যোক্তার উপস্থিতি দেখা যায় দেশটিতে। উগান্ডায় ৭৮ শতাংশ নারী কর্মজীবী। সেখানে ক্ষুদ্র পোশাক ব্যবসায় নারীদের অংশগ্রহণ বেশি। বেনিনে ৭৬ শতাংশ নারী কর্মজীবী। যারা খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও হস্তশিল্পের কাজের সঙ্গে জড়িত। ইরিত্রিয়ায় কর্মজীবী নারী ৭৫ শতাংশ। তারাও বেশির ভাগ কৃষিকাজে নিয়োজিত। যদিও এগুলো অধিকাংশ আনুষ্ঠানিক চাকরি নয়, তবে পরিবার ও অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে নারীরা এসব কাজে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে চলেছে।
উচ্চ ও নিম্ন আয়ের চরম চিত্র এশিয়ায়

এশিয়ার চিত্র কিছুটা জটিল। এই মহাদেশে উত্তর কোরিয়ায় নারী শ্রমশক্তির হার সর্বোচ্চ। দেশটির ৮৭ শতাংশ নারী কর্মজীবী। কম্বোডিয়া বা কাজাখস্তানের মতো দেশে নারীরা যুক্ত পোশাক ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে। অন্যদিকে, জাপানের মতো উন্নত অর্থনীতিতে নারীরা ধীরে ধীরে প্রযুক্তিনির্ভর কাজে এগিয়ে যাচ্ছে।
এশিয়ার উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশগুলোতে নারীদের ভূমিকা আলাদা। উন্নত এশীয় দেশগুলোতে নারীরা প্রযুক্তিনির্ভর কাজ করলেও দরিদ্র দেশে তারা পোশাক, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও হস্তশিল্পের কাজের সঙ্গে যুক্ত। যেমন উত্তর কোরিয়ায় নারী শ্রমশক্তির হার সর্বোচ্চ। তারপরেই আছে কম্বোডিয়ার মতো দেশ। সেখানে ৭৯ শতাংশ নারী কর্মজীবী। সেই নারীরা প্রধানত পোশাক কারখানায় কাজ করে। জাপানের ৭৭ শতাংশ কর্মজীবী নারীর বেশির ভাগই প্রযুক্তি ও উৎপাদন শিল্পে অংশগ্রহণে আগ্রহী। কাজাখস্তানে কর্মজীবী নারীর হার ৭৬ শতাংশ। দেশটিতে নারীরা মূলত খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের সঙ্গে জড়িত।
সমতা ও সচেতনতায় এগিয়ে ইউরোপ

ইউরোপীয় দেশগুলো নারীদের কর্মসংস্থানের দিক থেকে উদাহরণ হওয়ার মতো। আইসল্যান্ড, সুইডেন, নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলোতে কর্মক্ষেত্রে সমতা, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। ইউরোপের নারীরা গবেষণা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন ও প্রযুক্তিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। সে মহাদেশের নারীরা বেশির ভাগ আনুষ্ঠানিক খাতে যুক্ত। ইউরোপীয় দেশগুলোতে নারীদের কাজের পরিবেশ তুলনামূলকভাবে উন্নত ও সমতাভিত্তিক।
আইসল্যান্ডে ৮৪ শতাংশ কর্মজীবী নারীর বেশির ভাগ মৎস্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে জড়িত। সুইডেনে কর্মজীবী নারীর হার ৮২ শতাংশ। তাদের বেশির ভাগ গবেষণা ও প্রযুক্তিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। একই অবস্থানে আছে নেদারল্যান্ডস। সেখানে খেলাধুলা ও প্রযুক্তি খাতে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে নারীরা। ফিনল্যান্ড ৮০ শতাংশ নারী কর্মজীবীর দেশ। সেখানে বেশির ভাগ নারী হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ক্যাটারিং সেক্টরে কাজ করে। ডেনমার্কে পাবলিক সেক্টরে নারীর সংখ্যা বেশি। নরওয়েতে সংস্কৃতি ও হেরিটেজ সংরক্ষণে নারী কর্মীদের ভূমিকা বেশি। লিথুয়ানিয়ার বেশির ভাগ নারী বিউটি ও হেলথ সেক্টরে সক্রিয়। জার্মানিতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সমাজসেবায় নারীরা অগ্রণী। পর্তুগাল, বেলারুশ, সাইপ্রাস, এস্তোনিয়ার মতো দেশে নারীরা নিয়োজিত কৃষি, উৎপাদন ও হস্তশিল্পের কাজে।
কর্মক্ষম ও দক্ষ নারীশক্তিতে অস্ট্রেলিয়া, ওশেনিয়া
এই অঞ্চলের দেশগুলোতে কৃষিনির্ভর খাত ও উদ্যোগে নারীদের সম্পৃক্ততার হার বেড়েছে। তারা পেশাদার ও দক্ষ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। সলোমন দ্বীপপুঞ্জের ৮৪ শতাংশ নারী কর্মজীবী। সেখানে হস্তশিল্পে নারীদের সক্রিয়তা বেশি। অস্ট্রেলিয়ার ৭৭ শতাংশ নারী কর্মীর বেশির ভাগ কৃষিকাজে প্রশিক্ষিত। নিউজিল্যান্ড খামার ব্যবস্থাপনায় নারীদের অংশগ্রহণ বেশি। ওই অঞ্চলের দেশগুলোতে কৃষিনির্ভর উদ্যোক্তা হিসেবে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। তারা পেশাদার ও দক্ষ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। সেখানে দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের মিলনে গড়ে উঠছে নারীশক্তি। সেই অঞ্চলে নারীরা কৃষি, খামার ব্যবস্থাপনা ও হস্তশিল্পে দক্ষ শ্রমিক হিসেবে যুক্ত। তারা শুধু শ্রমিক নয়, উদ্যোক্তাও বটে।
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার শহুরে জীবনে নারীর উপস্থিতি
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার নারীরা তুলনামূলকভাবে হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও প্রক্রিয়াজাত শিল্পে বেশি সক্রিয়। যদিও এই অংশগ্রহণের হার ইউরোপ বা আফ্রিকার তুলনায় কম। তবু বাহামাসের মতো দেশে নারীরা হসপিটালিটি এবং উৎপাদন খাতে নিজেদের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলছে। সেখানে ৭৬ শতাংশ নারী কর্মজীবী।
সূত্র: ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট, আইএলও

পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা নারী। ফলে এই পৃথিবীর উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ কোনো বিশেষ সুবিধা বা কোটার বিষয় নয়। এটি তাদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু এই জায়গায় পৃথিবীর সব দেশ সমান নয়। কোনো কোনো দেশে নারীদের সমাজের অংশই মনে করা হয় না। এই জায়গাতেই তৈরি হয়েছে এক বিরাট বৈষম্য।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এ বছর একটি জরিপে প্রকাশ করেছে নারীদের কর্মসংস্থানের হার বেশি এমন ৩০টি দেশের তালিকা। জরিপটি ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী নারীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি হয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী নারীদের কেউ কাজ করছেন আবার কাজ খুঁজছেন। এই তথ্যগুলো বিশ্লেষণে দেখা গেছে, খুব গরিব অথবা খুব ধনী দেশগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থানের হার বেশি। কিন্তু মাঝারি আয়ের দেশে তা তুলনামূলক কম। যেমন আইসল্যান্ড উচ্চ আয়ের দেশ আর মাদাগাস্কার নিম্ন আয়ের দেশ। দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটের দেশ হয়েও নারীদের কর্মসংস্থান হারের দিক থেকে দেশ দুটি প্রায় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে।
স্বাবলম্বী নারীদের মহাদেশ আফ্রিকা
আফ্রিকান দেশগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থানের হার তুলনামূলক বেশি। দেশগুলোর নারী শ্রমশক্তি মূলত কৃষিনির্ভর। মাদাগাস্কার, তানজানিয়া, নাইজেরিয়া প্রভৃতি দেশে নারীরা চা-বাগান, মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ, ক্ষুদ্র ব্যবসা ও হস্তশিল্পের বিপণনে সক্রিয়। যদিও এসব কাজের অনেকটাই আনুষ্ঠানিক খাতের বাইরে। তারপরও পরিবার ও অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

মাদাগাস্কারে ৮৪ শতাংশ নারী বিভিন্ন কাজ করে। তাদের মধ্যে বেশি নারী চায়ের খামারে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত। বুরুন্ডি মূলত কৃষিভিত্তিক সমাজ। সেখানে ৮১ শতাংশ নারী কাজ করে; বিশেষ করে ফসল উৎপাদনের কাজে জড়িত। তানজানিয়ার ৮২ শতাংশ নারী কাজ করে। তারা মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিকাজে নিয়োজিত। নাইজেরিয়াতেও কর্মজীবী নারীর সংখ্যা তানজানিয়ার মতো। তবে সেই দেশে নারীরা হস্তশিল্প, পটারি এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মোজাম্বিকে ৭৮ শতাংশ নারী কর্মজীবী। নানা ধরনের ইভেন্টে নারী মডেল ও উদ্যোক্তার উপস্থিতি দেখা যায় দেশটিতে। উগান্ডায় ৭৮ শতাংশ নারী কর্মজীবী। সেখানে ক্ষুদ্র পোশাক ব্যবসায় নারীদের অংশগ্রহণ বেশি। বেনিনে ৭৬ শতাংশ নারী কর্মজীবী। যারা খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও হস্তশিল্পের কাজের সঙ্গে জড়িত। ইরিত্রিয়ায় কর্মজীবী নারী ৭৫ শতাংশ। তারাও বেশির ভাগ কৃষিকাজে নিয়োজিত। যদিও এগুলো অধিকাংশ আনুষ্ঠানিক চাকরি নয়, তবে পরিবার ও অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে নারীরা এসব কাজে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে চলেছে।
উচ্চ ও নিম্ন আয়ের চরম চিত্র এশিয়ায়

এশিয়ার চিত্র কিছুটা জটিল। এই মহাদেশে উত্তর কোরিয়ায় নারী শ্রমশক্তির হার সর্বোচ্চ। দেশটির ৮৭ শতাংশ নারী কর্মজীবী। কম্বোডিয়া বা কাজাখস্তানের মতো দেশে নারীরা যুক্ত পোশাক ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে। অন্যদিকে, জাপানের মতো উন্নত অর্থনীতিতে নারীরা ধীরে ধীরে প্রযুক্তিনির্ভর কাজে এগিয়ে যাচ্ছে।
এশিয়ার উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশগুলোতে নারীদের ভূমিকা আলাদা। উন্নত এশীয় দেশগুলোতে নারীরা প্রযুক্তিনির্ভর কাজ করলেও দরিদ্র দেশে তারা পোশাক, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও হস্তশিল্পের কাজের সঙ্গে যুক্ত। যেমন উত্তর কোরিয়ায় নারী শ্রমশক্তির হার সর্বোচ্চ। তারপরেই আছে কম্বোডিয়ার মতো দেশ। সেখানে ৭৯ শতাংশ নারী কর্মজীবী। সেই নারীরা প্রধানত পোশাক কারখানায় কাজ করে। জাপানের ৭৭ শতাংশ কর্মজীবী নারীর বেশির ভাগই প্রযুক্তি ও উৎপাদন শিল্পে অংশগ্রহণে আগ্রহী। কাজাখস্তানে কর্মজীবী নারীর হার ৭৬ শতাংশ। দেশটিতে নারীরা মূলত খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের সঙ্গে জড়িত।
সমতা ও সচেতনতায় এগিয়ে ইউরোপ

ইউরোপীয় দেশগুলো নারীদের কর্মসংস্থানের দিক থেকে উদাহরণ হওয়ার মতো। আইসল্যান্ড, সুইডেন, নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলোতে কর্মক্ষেত্রে সমতা, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। ইউরোপের নারীরা গবেষণা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন ও প্রযুক্তিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। সে মহাদেশের নারীরা বেশির ভাগ আনুষ্ঠানিক খাতে যুক্ত। ইউরোপীয় দেশগুলোতে নারীদের কাজের পরিবেশ তুলনামূলকভাবে উন্নত ও সমতাভিত্তিক।
আইসল্যান্ডে ৮৪ শতাংশ কর্মজীবী নারীর বেশির ভাগ মৎস্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে জড়িত। সুইডেনে কর্মজীবী নারীর হার ৮২ শতাংশ। তাদের বেশির ভাগ গবেষণা ও প্রযুক্তিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। একই অবস্থানে আছে নেদারল্যান্ডস। সেখানে খেলাধুলা ও প্রযুক্তি খাতে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে নারীরা। ফিনল্যান্ড ৮০ শতাংশ নারী কর্মজীবীর দেশ। সেখানে বেশির ভাগ নারী হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ক্যাটারিং সেক্টরে কাজ করে। ডেনমার্কে পাবলিক সেক্টরে নারীর সংখ্যা বেশি। নরওয়েতে সংস্কৃতি ও হেরিটেজ সংরক্ষণে নারী কর্মীদের ভূমিকা বেশি। লিথুয়ানিয়ার বেশির ভাগ নারী বিউটি ও হেলথ সেক্টরে সক্রিয়। জার্মানিতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সমাজসেবায় নারীরা অগ্রণী। পর্তুগাল, বেলারুশ, সাইপ্রাস, এস্তোনিয়ার মতো দেশে নারীরা নিয়োজিত কৃষি, উৎপাদন ও হস্তশিল্পের কাজে।
কর্মক্ষম ও দক্ষ নারীশক্তিতে অস্ট্রেলিয়া, ওশেনিয়া
এই অঞ্চলের দেশগুলোতে কৃষিনির্ভর খাত ও উদ্যোগে নারীদের সম্পৃক্ততার হার বেড়েছে। তারা পেশাদার ও দক্ষ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। সলোমন দ্বীপপুঞ্জের ৮৪ শতাংশ নারী কর্মজীবী। সেখানে হস্তশিল্পে নারীদের সক্রিয়তা বেশি। অস্ট্রেলিয়ার ৭৭ শতাংশ নারী কর্মীর বেশির ভাগ কৃষিকাজে প্রশিক্ষিত। নিউজিল্যান্ড খামার ব্যবস্থাপনায় নারীদের অংশগ্রহণ বেশি। ওই অঞ্চলের দেশগুলোতে কৃষিনির্ভর উদ্যোক্তা হিসেবে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। তারা পেশাদার ও দক্ষ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। সেখানে দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের মিলনে গড়ে উঠছে নারীশক্তি। সেই অঞ্চলে নারীরা কৃষি, খামার ব্যবস্থাপনা ও হস্তশিল্পে দক্ষ শ্রমিক হিসেবে যুক্ত। তারা শুধু শ্রমিক নয়, উদ্যোক্তাও বটে।
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার শহুরে জীবনে নারীর উপস্থিতি
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার নারীরা তুলনামূলকভাবে হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও প্রক্রিয়াজাত শিল্পে বেশি সক্রিয়। যদিও এই অংশগ্রহণের হার ইউরোপ বা আফ্রিকার তুলনায় কম। তবু বাহামাসের মতো দেশে নারীরা হসপিটালিটি এবং উৎপাদন খাতে নিজেদের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলছে। সেখানে ৭৬ শতাংশ নারী কর্মজীবী।
সূত্র: ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট, আইএলও

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১৫০ আসনে নারী প্রার্থী চান নারী উদ্যোক্তারা। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানায় নারী উদ্যোক্তাদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
২ দিন আগে
দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়।
২ দিন আগে
অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
২ দিন আগে
গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১৫০ আসনে নারী প্রার্থী চান নারী উদ্যোক্তারা। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানায় নারী উদ্যোক্তাদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
সিইসির সঙ্গে বৈঠকের পর উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউর অব বাংলাদেশের (ডব্লিউইএবি) প্রেসিডেন্ট নাসরিন ফাতেমা আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চাই, নারীর সংখ্যা যেন বাড়ে। অ্যাটলিস্ট ১৫০টা সংসদীয় আসন যেন নারীদের দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে আমরা সরকারকেও বলতে চাই যে, নারীরা যে নির্বাচনে আসছেন, তাঁদের ডেফিনেটলি সহায়তা দিতে হবে। আমেরিকাতেও দেখবেন, এ রকম নারীদের সহায়তা দেওয়া হয়। তো নারীদের একটু সাহায্য দেওয়া এবং তাঁরা যেন নির্বাচনটা করতে পারেন, সেই রকম একটা ব্যবস্থা যেন নারীদের জন্য থাকে। নারীরা যেন স্বাচ্ছন্দে ভোট দিতে পারেন, সেটা নিয়েও আমরা কথা বলেছি।’
ফাতেমা আউয়াল বলেন, ‘আমরা চাই যে, অ্যাটলিস্ট ৫০ শতাংশ, আপনার ৩০০টা সিট না, কিন্তু ১৫০টা সিট যেন নারীদের জন্য দেওয়া হয়। নারীরা যেন কনটেস্ট করতে পারেন। সেই জিনিসটা আমরা একটু নিশ্চিত করতে চেয়েছি।’
নির্বাচনী তহবিল নিয়ে ফাতেমা আউয়াল বলেন, ‘নারীদের পক্ষে একটু অসম্ভব, একটু কষ্টকর, একটু না অনেক কষ্টকর। কারণ, সহজে কিন্তু ফ্যামিলি থেকেও নারীদের জন্য ফান্ড পাওয়া যায় না, যেটা পুরুষেরা অহরহ পারেন। আমাদের কথা হলো, নারীদের গভর্নমেন্ট যদি একটু সহায়তা করে, তাহলে অনেক নারীই কিন্তু নির্বাচনে আসতে পারবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে ফাতেমা আউয়াল বলেন, ‘দলগুলোকেও আমরা বলতে চাই, কোথাও দেখা যায় যে, এটা ৫ শতাংশ, কোথাও দেখা যাচ্ছে ৭ শতাংশ—এভাবে মনোনয়ন দিচ্ছে। এভাবে না করে আমার মনে হয়, উনারা যদি বলেন যে এত পারসেন্ট দেবেন, সেভাবে যদি হয়, তাহলে জিনিসটা একটু ব্যালেন্স হবে।’
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ডব্লিউইএবির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মেম্বার সাবেরা আহমেদ কলি, সেকেন্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট মেহেরুন্নেসা খান, মেম্বার আইরিন তালুকদার, এস এম আনজুমানু ফেরদৌস ও ফাহিমা কাউসার।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১৫০ আসনে নারী প্রার্থী চান নারী উদ্যোক্তারা। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানায় নারী উদ্যোক্তাদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
সিইসির সঙ্গে বৈঠকের পর উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউর অব বাংলাদেশের (ডব্লিউইএবি) প্রেসিডেন্ট নাসরিন ফাতেমা আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চাই, নারীর সংখ্যা যেন বাড়ে। অ্যাটলিস্ট ১৫০টা সংসদীয় আসন যেন নারীদের দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে আমরা সরকারকেও বলতে চাই যে, নারীরা যে নির্বাচনে আসছেন, তাঁদের ডেফিনেটলি সহায়তা দিতে হবে। আমেরিকাতেও দেখবেন, এ রকম নারীদের সহায়তা দেওয়া হয়। তো নারীদের একটু সাহায্য দেওয়া এবং তাঁরা যেন নির্বাচনটা করতে পারেন, সেই রকম একটা ব্যবস্থা যেন নারীদের জন্য থাকে। নারীরা যেন স্বাচ্ছন্দে ভোট দিতে পারেন, সেটা নিয়েও আমরা কথা বলেছি।’
ফাতেমা আউয়াল বলেন, ‘আমরা চাই যে, অ্যাটলিস্ট ৫০ শতাংশ, আপনার ৩০০টা সিট না, কিন্তু ১৫০টা সিট যেন নারীদের জন্য দেওয়া হয়। নারীরা যেন কনটেস্ট করতে পারেন। সেই জিনিসটা আমরা একটু নিশ্চিত করতে চেয়েছি।’
নির্বাচনী তহবিল নিয়ে ফাতেমা আউয়াল বলেন, ‘নারীদের পক্ষে একটু অসম্ভব, একটু কষ্টকর, একটু না অনেক কষ্টকর। কারণ, সহজে কিন্তু ফ্যামিলি থেকেও নারীদের জন্য ফান্ড পাওয়া যায় না, যেটা পুরুষেরা অহরহ পারেন। আমাদের কথা হলো, নারীদের গভর্নমেন্ট যদি একটু সহায়তা করে, তাহলে অনেক নারীই কিন্তু নির্বাচনে আসতে পারবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে ফাতেমা আউয়াল বলেন, ‘দলগুলোকেও আমরা বলতে চাই, কোথাও দেখা যায় যে, এটা ৫ শতাংশ, কোথাও দেখা যাচ্ছে ৭ শতাংশ—এভাবে মনোনয়ন দিচ্ছে। এভাবে না করে আমার মনে হয়, উনারা যদি বলেন যে এত পারসেন্ট দেবেন, সেভাবে যদি হয়, তাহলে জিনিসটা একটু ব্যালেন্স হবে।’
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ডব্লিউইএবির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মেম্বার সাবেরা আহমেদ কলি, সেকেন্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট মেহেরুন্নেসা খান, মেম্বার আইরিন তালুকদার, এস এম আনজুমানু ফেরদৌস ও ফাহিমা কাউসার।

খুব গরিব অথবা খুব ধনী দেশগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থানের হার বেশি। কিন্তু মাঝারি আয়ের দেশে তা তুলনামূলক কম। যেমন আইসল্যান্ড উচ্চ আয়ের দেশ আর মাদাগাস্কার নিম্ন আয়ের দেশ। দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটের দেশ হয়েও নারীদের কর্মসংস্থান হারের দিক থেকে দেশ দুটি প্রায় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে।
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়।
২ দিন আগে
অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
২ দিন আগে
গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট
২ দিন আগেব্যারিস্টার ইফফাত আরা গিয়াস

দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়। গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হলে কীভাবে আইনি সহায়তা পেতে পারেন, সে বিষয়ে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইফফাত আরা গিয়াস।
গণপরিবহনে হয়রানি বা সহিংসতার শিকার হলে প্রথম কাজ হবে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
যত দ্রুত সম্ভব ভিড় থেকে দূরে চলে যান, চিৎকার করে আশপাশের লোকদের সচেতন করুন এবং সরাসরি বিপদাপন্ন মনে হলে চালক, কন্ডাক্টর কিংবা শুভানুধ্যায়ীর সাহায্য চান। একই সময়ে মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও বা অডিও রেকর্ড রাখুন, ছবি তুলুন এবং পাশে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীর নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর নোট করে নিন। এগুলো পরে প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগবে।
আইনগত দিক
গণপরিবহনে শারীরিক ভঙ্গি, ছোঁয়া কিংবা আপত্তিকর আচরণ পেনাল কোডের ধার্য শাস্তিযোগ্য অপরাধের মধ্যে পড়ে। যেমন কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নারীর শালীনতা ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে অথবা শালীনতা ক্ষুণ্ন হতে পারে জেনেও উক্ত নারীকে আক্রমণ করে বা তার ওপর অপরাধমূলক বল প্রয়োগ করে, সেটি ধারা ৩৫৪-এর মধ্যে পড়ে। আবার কোনো নারীর শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে কোনো শব্দ ব্যবহার, অঙ্গভঙ্গি অথবা কোনো কাজ করলে তা ধারা ৫০৯ অনুসারে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
এই অপরাধগুলোর ভিত্তিতে মামলা করা যায়। দেশের সংবিধান নাগরিকদের সমতা ও মর্যাদা নিশ্চিত করেছে। তাতে নারীদের পুরুষের সঙ্গে সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা আছে।
কীভাবে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে
ঘটনার পর দ্রুত নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি বা জিডি অথবা গুরুতর হলে এফআইআর/মোকদ্দমা করুন। এ ছাড়া অনলাইন জিডি সার্ভিসও আছে, যেখানে প্রাথমিক অভিযোগ দাখিল করা যায়। পরে পুলিশ আপনাকে তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে সাহায্য করবে। মেডিকেল পরীক্ষার কাগজ এবং মোবাইল ফোনে করা ভিডিও অথবা অডিও প্রমাণ সংরক্ষণ করুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট বা মেসেজের স্ক্রিনশট রাখুন। প্রয়োজনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর অধীন কঠোর ধারাও বিবেচিত হতে পারে।
গণপরিবহনে হয়রানি অথবা সহিংসতার শিকার হলে পেনাল কোড ধারা ৩৫৪, ৫০৯, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, সাংবিধানিক সমতা—এসব আইনি সূত্রের সাহায্যে যে কেউ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।
কটূক্তি বা মৌখিক হয়রানির শিকার হলে করণীয়
হয়রানির ঘটনা ঘটলে কড়া ভাষায় বিরক্তি জানান। আশপাশের মানুষকে ডাকা এবং ঘটনাটি রেকর্ড বা নোট করা গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিকভাবে মামলা কিংবা অভিযোগ আনা গেলে ভুক্তভোগীকে অপমান করা
বা ন্যক্কারজনক ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রবণতা থাকতে পারে। এখানে আইনি প্রক্রিয়া ও প্রমাণই নির্ণায়ক, ব্যক্তিগত কলঙ্ক বা সোশ্যাল মিডিয়ার চাপকে অতিরঞ্জিতভাবে গ্রহণ করবেন না। গবেষণা ও এনজিও সার্ভেতে দেখা গেছে, গণপরিবহনে কটূক্তি ব্যাপক। এ কারণেই ব্যক্তিগত ঘটনা আইনি ও সামাজিকভাবে গুরুত্ব পায়।
মানসিক সহায়তা ও সুরাহা
ন্যক্কারজনক কোনো ঘটনা ঘটে গেলে পরিবার, বন্ধু অথবা স্থানীয় নারী সাহায্য কেন্দ্র কিংবা আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রমাণ জোগাড় না করে দ্রুত সামাজিক মিডিয়ায় নেটিভ স্টোরি ছড়িয়ে দেওয়ার আগে আইনগত পরামর্শ নিন। সমাজে ভুক্তভোগীকে দোষারোপ বন্ধ করতে সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে নিন্দা নয়, সহায়তা বাড়ানোই সমাধান।
গণপরিবহনে হয়রানি অথবা সহিংসতার শিকার হলে পেনাল কোড ধারা ৩৫৪, ৫০৯, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, সাংবিধানিক সমতা—এসব আইনি সূত্রের সাহায্যে যে কেউ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।
জীবিকার প্রয়োজনে কিংবা পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে নারীদের ঘর থেকে বের হতে হয়। এই প্রাত্যহিক কাজে গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হলে নারীদের স্বাভাবিক জীবনযাপন বাধাগ্রস্ত হয়। এটি আইনের চোখে অপরাধ। এ ধরনের অপরাধ বন্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়। গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হলে কীভাবে আইনি সহায়তা পেতে পারেন, সে বিষয়ে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইফফাত আরা গিয়াস।
গণপরিবহনে হয়রানি বা সহিংসতার শিকার হলে প্রথম কাজ হবে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
যত দ্রুত সম্ভব ভিড় থেকে দূরে চলে যান, চিৎকার করে আশপাশের লোকদের সচেতন করুন এবং সরাসরি বিপদাপন্ন মনে হলে চালক, কন্ডাক্টর কিংবা শুভানুধ্যায়ীর সাহায্য চান। একই সময়ে মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও বা অডিও রেকর্ড রাখুন, ছবি তুলুন এবং পাশে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীর নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর নোট করে নিন। এগুলো পরে প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগবে।
আইনগত দিক
গণপরিবহনে শারীরিক ভঙ্গি, ছোঁয়া কিংবা আপত্তিকর আচরণ পেনাল কোডের ধার্য শাস্তিযোগ্য অপরাধের মধ্যে পড়ে। যেমন কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নারীর শালীনতা ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে অথবা শালীনতা ক্ষুণ্ন হতে পারে জেনেও উক্ত নারীকে আক্রমণ করে বা তার ওপর অপরাধমূলক বল প্রয়োগ করে, সেটি ধারা ৩৫৪-এর মধ্যে পড়ে। আবার কোনো নারীর শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে কোনো শব্দ ব্যবহার, অঙ্গভঙ্গি অথবা কোনো কাজ করলে তা ধারা ৫০৯ অনুসারে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
এই অপরাধগুলোর ভিত্তিতে মামলা করা যায়। দেশের সংবিধান নাগরিকদের সমতা ও মর্যাদা নিশ্চিত করেছে। তাতে নারীদের পুরুষের সঙ্গে সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা আছে।
কীভাবে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে
ঘটনার পর দ্রুত নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি বা জিডি অথবা গুরুতর হলে এফআইআর/মোকদ্দমা করুন। এ ছাড়া অনলাইন জিডি সার্ভিসও আছে, যেখানে প্রাথমিক অভিযোগ দাখিল করা যায়। পরে পুলিশ আপনাকে তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে সাহায্য করবে। মেডিকেল পরীক্ষার কাগজ এবং মোবাইল ফোনে করা ভিডিও অথবা অডিও প্রমাণ সংরক্ষণ করুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট বা মেসেজের স্ক্রিনশট রাখুন। প্রয়োজনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর অধীন কঠোর ধারাও বিবেচিত হতে পারে।
গণপরিবহনে হয়রানি অথবা সহিংসতার শিকার হলে পেনাল কোড ধারা ৩৫৪, ৫০৯, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, সাংবিধানিক সমতা—এসব আইনি সূত্রের সাহায্যে যে কেউ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।
কটূক্তি বা মৌখিক হয়রানির শিকার হলে করণীয়
হয়রানির ঘটনা ঘটলে কড়া ভাষায় বিরক্তি জানান। আশপাশের মানুষকে ডাকা এবং ঘটনাটি রেকর্ড বা নোট করা গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিকভাবে মামলা কিংবা অভিযোগ আনা গেলে ভুক্তভোগীকে অপমান করা
বা ন্যক্কারজনক ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রবণতা থাকতে পারে। এখানে আইনি প্রক্রিয়া ও প্রমাণই নির্ণায়ক, ব্যক্তিগত কলঙ্ক বা সোশ্যাল মিডিয়ার চাপকে অতিরঞ্জিতভাবে গ্রহণ করবেন না। গবেষণা ও এনজিও সার্ভেতে দেখা গেছে, গণপরিবহনে কটূক্তি ব্যাপক। এ কারণেই ব্যক্তিগত ঘটনা আইনি ও সামাজিকভাবে গুরুত্ব পায়।
মানসিক সহায়তা ও সুরাহা
ন্যক্কারজনক কোনো ঘটনা ঘটে গেলে পরিবার, বন্ধু অথবা স্থানীয় নারী সাহায্য কেন্দ্র কিংবা আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রমাণ জোগাড় না করে দ্রুত সামাজিক মিডিয়ায় নেটিভ স্টোরি ছড়িয়ে দেওয়ার আগে আইনগত পরামর্শ নিন। সমাজে ভুক্তভোগীকে দোষারোপ বন্ধ করতে সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে নিন্দা নয়, সহায়তা বাড়ানোই সমাধান।
গণপরিবহনে হয়রানি অথবা সহিংসতার শিকার হলে পেনাল কোড ধারা ৩৫৪, ৫০৯, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, সাংবিধানিক সমতা—এসব আইনি সূত্রের সাহায্যে যে কেউ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।
জীবিকার প্রয়োজনে কিংবা পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে নারীদের ঘর থেকে বের হতে হয়। এই প্রাত্যহিক কাজে গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হলে নারীদের স্বাভাবিক জীবনযাপন বাধাগ্রস্ত হয়। এটি আইনের চোখে অপরাধ। এ ধরনের অপরাধ বন্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

খুব গরিব অথবা খুব ধনী দেশগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থানের হার বেশি। কিন্তু মাঝারি আয়ের দেশে তা তুলনামূলক কম। যেমন আইসল্যান্ড উচ্চ আয়ের দেশ আর মাদাগাস্কার নিম্ন আয়ের দেশ। দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটের দেশ হয়েও নারীদের কর্মসংস্থান হারের দিক থেকে দেশ দুটি প্রায় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে।
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১৫০ আসনে নারী প্রার্থী চান নারী উদ্যোক্তারা। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানায় নারী উদ্যোক্তাদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
২ দিন আগে
অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
২ দিন আগে
গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট
২ দিন আগেবাংলাদেশ মহিলা পরিষদ
নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। অক্টোবরে বেশিসংখ্যক নারী ও কন্যাশিশু হত্যার শিকার হয়েছে। এ ঘটনার শিকার হওয়া ৫৩ জনের মধ্যে ৪৬ নারী ও ৭ জন কন্যাশিশু। ১৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদ এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নির্যাতনের শিকার হওয়া ২৩১ নারী ও কন্যাশিশুর মধ্যে ৩৪ কন্যাসহ ৪৪ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১০ কন্যাসহ ১৩ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ২ কন্যাসহ ৫ জন। এ ছাড়া ১০ কন্যাসহ ১৩ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া সহিংসতার ঘটনার মধ্যে ১০১ কন্যাশিশু, আর ১৩০ জন নারী সহিংসতার শিকার হয়েছে।
বিভিন্ন কারণে ৭ কন্যা এবং ৪৬ জন নারী হত্যার শিকার হয়েছে। হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছে ১ কন্যা ও ২ জন নারী। ৯ কন্যা, ১৭ নারীসহ ২৬ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
২ কন্যা, ৫ নারীসহ ৭ জন আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে ১ জন।
যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে ৬ কন্যা, ৬ নারীসহ মোট ১২ জন। এর মধ্যে ৫ কন্যাসহ ১১ জন যৌন নিপীড়নের শিকার এবং ১ কন্যা উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে।
অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ৪ জন নারী। সে কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ জন নারীর। ১ জন নারী গৃহকর্মীকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে।
৭ কন্যা অপহরণের শিকার হয়েছে। পাচারের শিকার হয়েছে ৬ কন্যাসহ ১০ জন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ কন্যাসহ ১৯ জন। বাল্যবিবাহের চেষ্টা হয়েছে ২ জন কন্যার। যৌতুকের ঘটনা ঘটেছে ৭টি। এর মধ্যে যৌতুকের জন্য নির্যাতনে ২ এবং যৌতুকের কারণে হত্যার শিকার ৫ জন নারী। এ ছাড়া ৫ জন নারী বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। অক্টোবরে বেশিসংখ্যক নারী ও কন্যাশিশু হত্যার শিকার হয়েছে। এ ঘটনার শিকার হওয়া ৫৩ জনের মধ্যে ৪৬ নারী ও ৭ জন কন্যাশিশু। ১৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদ এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নির্যাতনের শিকার হওয়া ২৩১ নারী ও কন্যাশিশুর মধ্যে ৩৪ কন্যাসহ ৪৪ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১০ কন্যাসহ ১৩ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ২ কন্যাসহ ৫ জন। এ ছাড়া ১০ কন্যাসহ ১৩ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া সহিংসতার ঘটনার মধ্যে ১০১ কন্যাশিশু, আর ১৩০ জন নারী সহিংসতার শিকার হয়েছে।
বিভিন্ন কারণে ৭ কন্যা এবং ৪৬ জন নারী হত্যার শিকার হয়েছে। হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছে ১ কন্যা ও ২ জন নারী। ৯ কন্যা, ১৭ নারীসহ ২৬ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
২ কন্যা, ৫ নারীসহ ৭ জন আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে ১ জন।
যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে ৬ কন্যা, ৬ নারীসহ মোট ১২ জন। এর মধ্যে ৫ কন্যাসহ ১১ জন যৌন নিপীড়নের শিকার এবং ১ কন্যা উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে।
অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ৪ জন নারী। সে কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ জন নারীর। ১ জন নারী গৃহকর্মীকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে।
৭ কন্যা অপহরণের শিকার হয়েছে। পাচারের শিকার হয়েছে ৬ কন্যাসহ ১০ জন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ কন্যাসহ ১৯ জন। বাল্যবিবাহের চেষ্টা হয়েছে ২ জন কন্যার। যৌতুকের ঘটনা ঘটেছে ৭টি। এর মধ্যে যৌতুকের জন্য নির্যাতনে ২ এবং যৌতুকের কারণে হত্যার শিকার ৫ জন নারী। এ ছাড়া ৫ জন নারী বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

খুব গরিব অথবা খুব ধনী দেশগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থানের হার বেশি। কিন্তু মাঝারি আয়ের দেশে তা তুলনামূলক কম। যেমন আইসল্যান্ড উচ্চ আয়ের দেশ আর মাদাগাস্কার নিম্ন আয়ের দেশ। দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটের দেশ হয়েও নারীদের কর্মসংস্থান হারের দিক থেকে দেশ দুটি প্রায় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে।
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১৫০ আসনে নারী প্রার্থী চান নারী উদ্যোক্তারা। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানায় নারী উদ্যোক্তাদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
২ দিন আগে
দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়।
২ দিন আগে
গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট
২ দিন আগেফিচার ডেস্ক

গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট পর আরএসএফ চেকপয়েন্ট। ট্রাক থামিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছিল জোর করে। পথে খাবার আর পানির দাম আকাশছোঁয়া। অনেক প্রতিকূলতার পর সেই নারী ও তাঁর স্বামী দক্ষিণ সুদানের সীমান্ত শহর আবেই-এ পৌঁছান। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে সেখানেও টেকা কঠিন হয়ে পড়ে তাঁদের। অবশেষে, তাঁরা এন নাহুদ থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবা হয়ে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় পৌঁছান।
গত ২৮ আগস্ট বিবিসি, সুদানের এমনই একটি গল্প শুনিয়েছে আমাদের। নিরাপত্তার কারণে প্রতিবেদনে ওই নারী এবং তাঁর স্বামীর নাম ব্যবহার করা হয়নি।
সুদানের সেনাবাহিনী এসএএফ, অন্যদিকে শক্তিশালী আধা সামরিক গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস বা আরএসএফ। সোনার খনি ও ক্ষমতার দখল নিয়ে এই দুই দলের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই শুরু হয়। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সে লড়াই গড়ায় গৃহযুদ্ধের দিকে। এর ফলে দুর্ভিক্ষ ও পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চরম অত্যাচার চলছে সেখানে। আরএসএফ সম্প্রতি আল-ফাশের শহরটি দখল করার পর সেখানকার বাসিন্দাদের নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে।
এই গৃহযুদ্ধে নৃশংসতার মাত্রা ব্যাপক। পুড়িয়ে দেওয়া ঘরবাড়ি, বিকৃত মৃতদেহ এবং গণকবরের প্রমাণ মিলেছে স্যাটেলাইট ও ভিডিওর মাধ্যমে। কিন্তু যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় এসব বিষয় যাচাই করা এবং মানবিক সহায়তা প্রচেষ্টাকে ক্রমাগত বাধাগ্রস্ত করছে। নারী ও মেয়েদের হত্যা, ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, যৌন দাসত্ব, জোর করে বিয়ে এবং অপহরণের ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন। স্থানীয় মেডিকেল নেটওয়ার্ক ও সুদান ডক্টরস ইউনিয়নের তথ্য অনুসারে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে নারী, কিশোরীসহ ২ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। ৩০ অক্টোবর সৌদি ম্যাটারনিটি হসপিটালে হামলার সময় প্রায় ৫০০ রোগী এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা স্বজনেরা নিহত হন বলে জানা যায়। এই হাসপাতালে অনেক নারী নিরাপত্তা ও চিকিৎসার জন্য আশ্রয় নিয়েছিলেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলারও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর আক্রমণ নারীদের মাতৃ ও প্রজননস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে নারী ও মেয়েদের কাছে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছতে পারছে না। চলতি বছরের জুন মাসে একটি হাসপাতালে বিমান হামলায় ৫৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রসবকক্ষে থাকা নারীরাও ছিলেন। এ ছাড়া জেন্ডার ইন হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের একটি প্রতিবেদনে সুদানের নারীদের স্বাস্থ্য নিয়ে ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। স্বাস্থ্যসুবিধাগুলো ধ্বংস হওয়ার কারণে বেঁচে যাওয়া নারীরা ধর্ষণ-পরবর্তী স্বাস্থ্য পরিচর্যা থেকে বঞ্চিত।
এপ্রিলে প্রকাশিত জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুদান সীমান্তের ভেতরে কমপক্ষে ৫৮ লাখ নারী ও কিশোরী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সুদান
এবং এর বাইরে বাস্তুচ্যুত হওয়া ১ কোটি ২০ লাখ মানুষের অর্ধেকের বেশি নারী। দুই বছরের কম সময়ে, লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকিতে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণের বেশি। ২০২৪ সালে লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার পরিষেবার
চাহিদা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় বেড়েছিল ২৮৮ শতাংশ। ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মে মাসের মধ্যে সুদানে ২ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ
তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার শিকার হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সুদান কান্ট্রি ডিরেক্টর এতিজাজ ইউসিফ এই সংকটকে পুরোপুরিভাবে মানবসৃষ্ট বলে উল্লেখ করেছেন।
যুদ্ধ যে মাত্রারই হোক না কেন, তাতে নারীদের ভিকটিম হওয়ার হার থাকে সবচেয়ে বেশি। সুদানের নারীদের ওপর এখন চলছে ভয়াবহ নির্যাতন। কবে যে দেশটিতে সুদিন ফিরে আসবে, তার কোনো নিশ্চয়তা এই মুহূর্তে কোথাও থেকে পাওয়া যাচ্ছে না।
সূত্র: ইউএন উইমেন, রিলিফওয়েব, বিবিসি

গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট পর আরএসএফ চেকপয়েন্ট। ট্রাক থামিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছিল জোর করে। পথে খাবার আর পানির দাম আকাশছোঁয়া। অনেক প্রতিকূলতার পর সেই নারী ও তাঁর স্বামী দক্ষিণ সুদানের সীমান্ত শহর আবেই-এ পৌঁছান। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে সেখানেও টেকা কঠিন হয়ে পড়ে তাঁদের। অবশেষে, তাঁরা এন নাহুদ থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবা হয়ে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় পৌঁছান।
গত ২৮ আগস্ট বিবিসি, সুদানের এমনই একটি গল্প শুনিয়েছে আমাদের। নিরাপত্তার কারণে প্রতিবেদনে ওই নারী এবং তাঁর স্বামীর নাম ব্যবহার করা হয়নি।
সুদানের সেনাবাহিনী এসএএফ, অন্যদিকে শক্তিশালী আধা সামরিক গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস বা আরএসএফ। সোনার খনি ও ক্ষমতার দখল নিয়ে এই দুই দলের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই শুরু হয়। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সে লড়াই গড়ায় গৃহযুদ্ধের দিকে। এর ফলে দুর্ভিক্ষ ও পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চরম অত্যাচার চলছে সেখানে। আরএসএফ সম্প্রতি আল-ফাশের শহরটি দখল করার পর সেখানকার বাসিন্দাদের নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে।
এই গৃহযুদ্ধে নৃশংসতার মাত্রা ব্যাপক। পুড়িয়ে দেওয়া ঘরবাড়ি, বিকৃত মৃতদেহ এবং গণকবরের প্রমাণ মিলেছে স্যাটেলাইট ও ভিডিওর মাধ্যমে। কিন্তু যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় এসব বিষয় যাচাই করা এবং মানবিক সহায়তা প্রচেষ্টাকে ক্রমাগত বাধাগ্রস্ত করছে। নারী ও মেয়েদের হত্যা, ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, যৌন দাসত্ব, জোর করে বিয়ে এবং অপহরণের ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন। স্থানীয় মেডিকেল নেটওয়ার্ক ও সুদান ডক্টরস ইউনিয়নের তথ্য অনুসারে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে নারী, কিশোরীসহ ২ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। ৩০ অক্টোবর সৌদি ম্যাটারনিটি হসপিটালে হামলার সময় প্রায় ৫০০ রোগী এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা স্বজনেরা নিহত হন বলে জানা যায়। এই হাসপাতালে অনেক নারী নিরাপত্তা ও চিকিৎসার জন্য আশ্রয় নিয়েছিলেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলারও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর আক্রমণ নারীদের মাতৃ ও প্রজননস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে নারী ও মেয়েদের কাছে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছতে পারছে না। চলতি বছরের জুন মাসে একটি হাসপাতালে বিমান হামলায় ৫৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রসবকক্ষে থাকা নারীরাও ছিলেন। এ ছাড়া জেন্ডার ইন হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের একটি প্রতিবেদনে সুদানের নারীদের স্বাস্থ্য নিয়ে ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। স্বাস্থ্যসুবিধাগুলো ধ্বংস হওয়ার কারণে বেঁচে যাওয়া নারীরা ধর্ষণ-পরবর্তী স্বাস্থ্য পরিচর্যা থেকে বঞ্চিত।
এপ্রিলে প্রকাশিত জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুদান সীমান্তের ভেতরে কমপক্ষে ৫৮ লাখ নারী ও কিশোরী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সুদান
এবং এর বাইরে বাস্তুচ্যুত হওয়া ১ কোটি ২০ লাখ মানুষের অর্ধেকের বেশি নারী। দুই বছরের কম সময়ে, লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকিতে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণের বেশি। ২০২৪ সালে লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার পরিষেবার
চাহিদা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় বেড়েছিল ২৮৮ শতাংশ। ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মে মাসের মধ্যে সুদানে ২ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ
তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার শিকার হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সুদান কান্ট্রি ডিরেক্টর এতিজাজ ইউসিফ এই সংকটকে পুরোপুরিভাবে মানবসৃষ্ট বলে উল্লেখ করেছেন।
যুদ্ধ যে মাত্রারই হোক না কেন, তাতে নারীদের ভিকটিম হওয়ার হার থাকে সবচেয়ে বেশি। সুদানের নারীদের ওপর এখন চলছে ভয়াবহ নির্যাতন। কবে যে দেশটিতে সুদিন ফিরে আসবে, তার কোনো নিশ্চয়তা এই মুহূর্তে কোথাও থেকে পাওয়া যাচ্ছে না।
সূত্র: ইউএন উইমেন, রিলিফওয়েব, বিবিসি

খুব গরিব অথবা খুব ধনী দেশগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থানের হার বেশি। কিন্তু মাঝারি আয়ের দেশে তা তুলনামূলক কম। যেমন আইসল্যান্ড উচ্চ আয়ের দেশ আর মাদাগাস্কার নিম্ন আয়ের দেশ। দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটের দেশ হয়েও নারীদের কর্মসংস্থান হারের দিক থেকে দেশ দুটি প্রায় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে।
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১৫০ আসনে নারী প্রার্থী চান নারী উদ্যোক্তারা। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানায় নারী উদ্যোক্তাদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
২ দিন আগে
দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়।
২ দিন আগে
অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
২ দিন আগে