আন্তর্জাতিক নারী
ফিচার ডেস্ক
তিন মিটার গভীর একটি কংক্রিটের ট্যাংকে আছে পানি। দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে সেই পানি সংগ্রহ করছে নারীরা। কাঠফাটা রোদে গাধার পিঠে রশিতে বাঁধা জেরিক্যান। একটি কঙ্কালসার একাশিয়াগাছের ছায়ায় কয়েকজন নারী বসে অপেক্ষা করছেন তাঁদের পালার জন্য। আশপাশে কোনো পুরুষ নেই। খুব সাবধানে সেখানে পানি তোলেন নারীরা। সব ক্যান ভর্তি হলে সেগুলো আবার গাধার পিঠে বেঁধে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ফিরতে হয় বাড়ির পথে।
শুধু তা-ই নয়, এরই মধ্যে খরাপ্রবণ বিভিন্ন এলাকায় অপুষ্টি আর পানির অভাবে মরে যাচ্ছে গবাদিপশু। জমি হয়ে উঠেছে পুরোপুরি বন্ধ্যা।
এমনই পানিশূন্যতায় কঠিন সময় পার করছে কেনিয়ার উত্তর অংশের মানুষ। এই সংকটে ভয়াবহ হয়ে উঠেছে নারীদের জীবন। উত্তর কেনিয়ার শুষ্ক সমতলে, কালো আগ্নেয় পাথরের মধ্যে নারীদের জীবন আগে থেকেই ছিল অনিরাপদ। খরার কারণে তা হয়ে উঠেছে ভয়াবহ। এ পরিস্থিতি নারীদের ফেলে দিয়েছে কঠিন সংগ্রামে।
এই কঠিন সময়ে উত্তর কেনিয়ার পরিবারগুলো জীবনধারণের সংস্থান করছে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে। সেই অঞ্চলে মেয়ের বিয়ে দিলে পণ হিসেবে পাওয়া যায় ছাগল বা উট। এগুলো দিয়ে পুরো জীবন না হলেও কিছুদিন ভালো থাকা যায়। এই সংক্ষিপ্ত সময় ভালো থাকার ব্যবস্থাই বেছে নিচ্ছে উত্তর কেনিয়ার খরাপীড়িত এলাকার মানুষ। যদিও তারা জানে, যে মানুষের সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছে, সে তাকে প্রায় ‘যৌনদাসী’ করে রাখবে আজীবন। তারা এটাও জানে, খরার কারণে যৌতুক হিসেবে পাওয়া ঘোড়া কিংবা উট মরে যেতে পারে যেকোনো সময়। এর কোনো কিছুই তাদের বিবেচনায় নেই। তাই নারী হয়ে ওঠার আগেই এই অঞ্চলের কন্যাশিশুদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। এরপর সন্তান জন্ম নিলে তাদের পালন, রক্ষণাবেক্ষণ—সবকিছুর দায় মায়ের একার। মাকে তখন পেটের দায়ে উট কিংবা খচ্চর চরাতে যেতে হবে দূরের মাঠে। গাধার পিঠে জেরিক্যান বেঁধে হাঁটতে হবে মাইলের পর মাইল পথ, কুয়ার পাশে নিজের পালা আসার জন্য অপেক্ষা করতে হবে কয়েক ঘণ্টা। সব শেষে হয়তো কয়েক লিটার পানি জোগাড় করতে পারবে সে, নিশ্চিন্ত হতে পারবে কেবল সেই সপ্তাহটুকুর জন্য।
উত্তর কেনিয়ার আঞ্চলিক রাজধানী মারসাবিটের উত্তরে, ইথিওপিয়া সীমানার কাছাকাছি মরুভূমির ভাঙাচোরা, প্রায় অচল পথের ধারের প্রতিটি গ্রাম কিংবা যাযাবরদের তাঁবুর পেছনে লুকিয়ে আছে এই দুঃখগাথা।
কেনিয়ায় শিশুবিবাহের হার বিশেষ করে এমন জায়গাগুলোতে বেড়েছে, যেখানে টানা ৯ মাস ধরে একফোঁটাও বৃষ্টি হয়নি। সহায়তাকারী সংস্থাগুলোর মতে, জলবায়ু পরিবর্তন শুধু খরাকেই আরও বিধ্বংসী করে তুলছে না; বরং এটি সূক্ষ্মভাবে বৈষম্যকেও গভীর করে তুলছে। স্থানীয় একটি সংস্থা ইনডিজেনাস রেসকিউ ম্যানেজমেন্ট অর্গানাইজেশন জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মারসাবিট কাউন্টিতে ধর্ষণ এবং যৌন সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে। খরায় গাছপালা কমে যাওয়ার কারণে নারীদের আরও দূরবর্তী অঞ্চলে পশু চরাতে যেতে হয়। সেখানে তারা যৌন সহিংসতার শিকার হয়। অনেকে বাধ্য হয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ নিয়ে অভিবাসী হতে বাধ্য হচ্ছে। সেখানে তাদের জীবন ও স্বাস্থ্যের ঝুঁকি অনেক বেশি।
বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারীরা। জলবায়ুর প্রভাব এবং প্রতিকার নিয়ে প্রতিবছর সারা বিশ্বে নানা আলোচনা ও সমাধান খোঁজার আয়োজন করা হয়। তবু এর করাল গ্রাস থেকে নারীদের কোনোভাবে উদ্ধার করতে সক্ষম হচ্ছে না কেউ। যেন নারীদের এই ক্ষতির দায় কারও নয়, শুধুই প্রকৃতির।
সূত্র: আল জাজিরা
তিন মিটার গভীর একটি কংক্রিটের ট্যাংকে আছে পানি। দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে সেই পানি সংগ্রহ করছে নারীরা। কাঠফাটা রোদে গাধার পিঠে রশিতে বাঁধা জেরিক্যান। একটি কঙ্কালসার একাশিয়াগাছের ছায়ায় কয়েকজন নারী বসে অপেক্ষা করছেন তাঁদের পালার জন্য। আশপাশে কোনো পুরুষ নেই। খুব সাবধানে সেখানে পানি তোলেন নারীরা। সব ক্যান ভর্তি হলে সেগুলো আবার গাধার পিঠে বেঁধে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ফিরতে হয় বাড়ির পথে।
শুধু তা-ই নয়, এরই মধ্যে খরাপ্রবণ বিভিন্ন এলাকায় অপুষ্টি আর পানির অভাবে মরে যাচ্ছে গবাদিপশু। জমি হয়ে উঠেছে পুরোপুরি বন্ধ্যা।
এমনই পানিশূন্যতায় কঠিন সময় পার করছে কেনিয়ার উত্তর অংশের মানুষ। এই সংকটে ভয়াবহ হয়ে উঠেছে নারীদের জীবন। উত্তর কেনিয়ার শুষ্ক সমতলে, কালো আগ্নেয় পাথরের মধ্যে নারীদের জীবন আগে থেকেই ছিল অনিরাপদ। খরার কারণে তা হয়ে উঠেছে ভয়াবহ। এ পরিস্থিতি নারীদের ফেলে দিয়েছে কঠিন সংগ্রামে।
এই কঠিন সময়ে উত্তর কেনিয়ার পরিবারগুলো জীবনধারণের সংস্থান করছে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে। সেই অঞ্চলে মেয়ের বিয়ে দিলে পণ হিসেবে পাওয়া যায় ছাগল বা উট। এগুলো দিয়ে পুরো জীবন না হলেও কিছুদিন ভালো থাকা যায়। এই সংক্ষিপ্ত সময় ভালো থাকার ব্যবস্থাই বেছে নিচ্ছে উত্তর কেনিয়ার খরাপীড়িত এলাকার মানুষ। যদিও তারা জানে, যে মানুষের সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছে, সে তাকে প্রায় ‘যৌনদাসী’ করে রাখবে আজীবন। তারা এটাও জানে, খরার কারণে যৌতুক হিসেবে পাওয়া ঘোড়া কিংবা উট মরে যেতে পারে যেকোনো সময়। এর কোনো কিছুই তাদের বিবেচনায় নেই। তাই নারী হয়ে ওঠার আগেই এই অঞ্চলের কন্যাশিশুদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। এরপর সন্তান জন্ম নিলে তাদের পালন, রক্ষণাবেক্ষণ—সবকিছুর দায় মায়ের একার। মাকে তখন পেটের দায়ে উট কিংবা খচ্চর চরাতে যেতে হবে দূরের মাঠে। গাধার পিঠে জেরিক্যান বেঁধে হাঁটতে হবে মাইলের পর মাইল পথ, কুয়ার পাশে নিজের পালা আসার জন্য অপেক্ষা করতে হবে কয়েক ঘণ্টা। সব শেষে হয়তো কয়েক লিটার পানি জোগাড় করতে পারবে সে, নিশ্চিন্ত হতে পারবে কেবল সেই সপ্তাহটুকুর জন্য।
উত্তর কেনিয়ার আঞ্চলিক রাজধানী মারসাবিটের উত্তরে, ইথিওপিয়া সীমানার কাছাকাছি মরুভূমির ভাঙাচোরা, প্রায় অচল পথের ধারের প্রতিটি গ্রাম কিংবা যাযাবরদের তাঁবুর পেছনে লুকিয়ে আছে এই দুঃখগাথা।
কেনিয়ায় শিশুবিবাহের হার বিশেষ করে এমন জায়গাগুলোতে বেড়েছে, যেখানে টানা ৯ মাস ধরে একফোঁটাও বৃষ্টি হয়নি। সহায়তাকারী সংস্থাগুলোর মতে, জলবায়ু পরিবর্তন শুধু খরাকেই আরও বিধ্বংসী করে তুলছে না; বরং এটি সূক্ষ্মভাবে বৈষম্যকেও গভীর করে তুলছে। স্থানীয় একটি সংস্থা ইনডিজেনাস রেসকিউ ম্যানেজমেন্ট অর্গানাইজেশন জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মারসাবিট কাউন্টিতে ধর্ষণ এবং যৌন সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে। খরায় গাছপালা কমে যাওয়ার কারণে নারীদের আরও দূরবর্তী অঞ্চলে পশু চরাতে যেতে হয়। সেখানে তারা যৌন সহিংসতার শিকার হয়। অনেকে বাধ্য হয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ নিয়ে অভিবাসী হতে বাধ্য হচ্ছে। সেখানে তাদের জীবন ও স্বাস্থ্যের ঝুঁকি অনেক বেশি।
বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারীরা। জলবায়ুর প্রভাব এবং প্রতিকার নিয়ে প্রতিবছর সারা বিশ্বে নানা আলোচনা ও সমাধান খোঁজার আয়োজন করা হয়। তবু এর করাল গ্রাস থেকে নারীদের কোনোভাবে উদ্ধার করতে সক্ষম হচ্ছে না কেউ। যেন নারীদের এই ক্ষতির দায় কারও নয়, শুধুই প্রকৃতির।
সূত্র: আল জাজিরা
২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ক্রিস্ট্রুন মজল ফ্রস্টাডোত্তির। ৩৬ বছর বয়সে তিনি আইসল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এদিকে নিজের দেশ থেকে নির্বাসিত হয়ে দেশে ফিরে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন নামিবিয়ার সাবেক
২ দিন আগেআমি এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আমার বাবা-মা প্রায় চার বছর ধরে আলাদা থাকছেন। বাবা একাধিক নারীতে আসক্ত ছিলেন। সে কারণে মাকে মারধর করতেন। শেষমেশ মা বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন। এর পর থেকে বাবা আমার খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেন। তবে কখনো কখনো পারিবারিক চাপের কারণে কিছু দেন, আবার বন্ধ করে দেন।
৩ দিন আগেতার কোনো সাম্রাজ্য নেই, রাজপ্রাসাদ নেই। কখনো স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন বানানো, কখনো বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি, কখনো ইভ টিজিং, বাল্যবিবাহ, যৌতুক প্রথা বন্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে সতর্কতা গড়ে তোলাতেই তার আগ্রহ বেশি। মেয়েটির নাম মীনা। আমরা জানি না মীনার বয়স কত, তার বাড়ি কোথায়। কোথায় সেই
৩ দিন আগেদক্ষিণ আফ্রিকার সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ ও বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামের নেত্রী উইনি ম্যান্ডেলা। তিনি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যবিরোধী সংগ্রামের এক কিংবদন্তি চরিত্র। তিনি নেলসন ম্যান্ডেলার দ্বিতীয় স্ত্রী। যখন ম্যান্ডেলা প্রায় ২৭ বছর কারাবন্দী ছিলেন, তখন উইনি বাইরে থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
৩ দিন আগে