স্পেনীয় অভিযাত্রী হুয়ান রদ্রিগেজ ক্যাবরিলো এই দিনে অর্থাৎ ১৫৪২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সান দিয়েগো উপসাগরে পৌঁছান। এর মাধ্যমে প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে পরবর্তী সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নাম পাওয়া দেশটির পশ্চিম উপকূলে পা রাখেন। ওই হিসাবে ক্যাবরিলোকে ক্যালিফোর্নিয়ার আবিষ্কারক গণ্য করা হয়।
রদ্রিগেজ অ্যানিয়ান প্রণালি নামে পরিচিত উত্তর আমেরিকার মাঝখান দিয়ে চলে যাওয়া একটি নৌরুটের খোঁজ করছিলেন। বহু বছর ধরেই এ ধরনের একটি পথের কথা প্রচলিত ছিল অভিযাত্রীদের মধ্যে। মহাদেশটির মধ্য দিয়ে এমন একটি নৌপথের খোঁজে অভিযানে যাওয়া ক্যাবরিলোই প্রথম নন, তেমনি তিনি শেষ ব্যক্তিও নন।
কলম্বাসের সমুদ্রযাত্রার পর থেকেই ইউরোপীয়রা প্রাচ্য অর্থাৎ এশিয়ায় যাওয়ার একটি সংক্ষিপ্ত বাণিজ্যপথের খোঁজ করছিল। একপর্যায়ে অভিযাত্রীরা বুঝতে পারে, কলম্বাসের ধারণা ভুল, উত্তর আমেরিকা মোটেই প্রাচ্য নয়, বরং নতুন একটি মহাদেশ। তখন উত্তর আমেরিকার জন্য একটি আদর্শ জলপথের খোঁজ শুরু হয়।
ষোলো ও সতেরো শতকের অভিযাত্রীরা বিশ্বাস করতেন এ ধরনের একটি রুট অ্যানিয়ান প্রণালি। কোনো কোনো অভিযাত্রী দাবি করতেন, এটি প্রশান্ত মহাসাগরকে মেক্সিকো উপসাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে।
১৫৪২ সালের জুনে ক্যাবরিলো মেক্সিকোর পশ্চিম উপকূল থেকে যাত্রা শুরু করেন। প্রশান্ত মহাসাগরের জটিল উপকূলরেখা অনুসন্ধান করতে উত্তর দিকে যাত্রা করেন তিনি। কাঙ্ক্ষিত প্রণালিটি হওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন কোনো খাঁড়ি পেলেই পূর্ব দিকে বাঁক নিচ্ছিলেন। এভাবে ক্যাবরিলো প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের অনেক উপসাগর ও খাঁড়ি ঘুরে দেখেন।
মজার ঘটনা, কিংবদন্তির সেই অ্যানিয়ান প্রণালির খোঁজ না পেলেও সান দিয়েগো উপসাগরসহ আশপাশের বেশির ভাগ খাঁড়িতে অনুসন্ধান চালান ক্যাবরিলো। এভাবে ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোর অনেকগুলোই আবিষ্কার করে বসেন। ২৮ সেপ্টেম্বর তাঁর সান দিয়েগোতে পৌঁছানোর দিনটিকে তাই অনেকেই ক্যালিফোর্নিয়া আবিষ্কারের দিন হিসেবে চিহ্নিত করে।
তবে ক্যাবরিলো ব্যর্থ হলেও অন্য অভিযাত্রীরা অ্যানিয়ান প্রণালির খোঁজ চালিয়ে যান। কিন্তু তাঁরাও সফলতা পাননি। ১৯০৫ সালে অভিযাত্রী রোল্ড অ্যামুন্ডসেন প্রথম ব্যক্তি হিসেবে জলপথে গোটা উত্তর আমেরিকা ভ্রমণ করেন। তবে অ্যামুন্ডসেনের একেবারে উত্তরের শীতল ও বিপৎসংকুল সেই পথ মোটেই ক্যাবরিলো কিংবা অন্য অভিযাত্রীদের খোঁজা সেই সংক্ষিপ্ত পথ ছিল না।
সূত্র: হিস্ট্রি ডট কম, ব্রিটানিকা
স্পেনীয় অভিযাত্রী হুয়ান রদ্রিগেজ ক্যাবরিলো এই দিনে অর্থাৎ ১৫৪২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সান দিয়েগো উপসাগরে পৌঁছান। এর মাধ্যমে প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে পরবর্তী সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নাম পাওয়া দেশটির পশ্চিম উপকূলে পা রাখেন। ওই হিসাবে ক্যাবরিলোকে ক্যালিফোর্নিয়ার আবিষ্কারক গণ্য করা হয়।
রদ্রিগেজ অ্যানিয়ান প্রণালি নামে পরিচিত উত্তর আমেরিকার মাঝখান দিয়ে চলে যাওয়া একটি নৌরুটের খোঁজ করছিলেন। বহু বছর ধরেই এ ধরনের একটি পথের কথা প্রচলিত ছিল অভিযাত্রীদের মধ্যে। মহাদেশটির মধ্য দিয়ে এমন একটি নৌপথের খোঁজে অভিযানে যাওয়া ক্যাবরিলোই প্রথম নন, তেমনি তিনি শেষ ব্যক্তিও নন।
কলম্বাসের সমুদ্রযাত্রার পর থেকেই ইউরোপীয়রা প্রাচ্য অর্থাৎ এশিয়ায় যাওয়ার একটি সংক্ষিপ্ত বাণিজ্যপথের খোঁজ করছিল। একপর্যায়ে অভিযাত্রীরা বুঝতে পারে, কলম্বাসের ধারণা ভুল, উত্তর আমেরিকা মোটেই প্রাচ্য নয়, বরং নতুন একটি মহাদেশ। তখন উত্তর আমেরিকার জন্য একটি আদর্শ জলপথের খোঁজ শুরু হয়।
ষোলো ও সতেরো শতকের অভিযাত্রীরা বিশ্বাস করতেন এ ধরনের একটি রুট অ্যানিয়ান প্রণালি। কোনো কোনো অভিযাত্রী দাবি করতেন, এটি প্রশান্ত মহাসাগরকে মেক্সিকো উপসাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে।
১৫৪২ সালের জুনে ক্যাবরিলো মেক্সিকোর পশ্চিম উপকূল থেকে যাত্রা শুরু করেন। প্রশান্ত মহাসাগরের জটিল উপকূলরেখা অনুসন্ধান করতে উত্তর দিকে যাত্রা করেন তিনি। কাঙ্ক্ষিত প্রণালিটি হওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন কোনো খাঁড়ি পেলেই পূর্ব দিকে বাঁক নিচ্ছিলেন। এভাবে ক্যাবরিলো প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের অনেক উপসাগর ও খাঁড়ি ঘুরে দেখেন।
মজার ঘটনা, কিংবদন্তির সেই অ্যানিয়ান প্রণালির খোঁজ না পেলেও সান দিয়েগো উপসাগরসহ আশপাশের বেশির ভাগ খাঁড়িতে অনুসন্ধান চালান ক্যাবরিলো। এভাবে ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোর অনেকগুলোই আবিষ্কার করে বসেন। ২৮ সেপ্টেম্বর তাঁর সান দিয়েগোতে পৌঁছানোর দিনটিকে তাই অনেকেই ক্যালিফোর্নিয়া আবিষ্কারের দিন হিসেবে চিহ্নিত করে।
তবে ক্যাবরিলো ব্যর্থ হলেও অন্য অভিযাত্রীরা অ্যানিয়ান প্রণালির খোঁজ চালিয়ে যান। কিন্তু তাঁরাও সফলতা পাননি। ১৯০৫ সালে অভিযাত্রী রোল্ড অ্যামুন্ডসেন প্রথম ব্যক্তি হিসেবে জলপথে গোটা উত্তর আমেরিকা ভ্রমণ করেন। তবে অ্যামুন্ডসেনের একেবারে উত্তরের শীতল ও বিপৎসংকুল সেই পথ মোটেই ক্যাবরিলো কিংবা অন্য অভিযাত্রীদের খোঁজা সেই সংক্ষিপ্ত পথ ছিল না।
সূত্র: হিস্ট্রি ডট কম, ব্রিটানিকা
বিশ্বের সবচেয়ে বড় হা বা ‘সবচেয়ে বড় মুখ খোলার’ রেকর্ড নিজের দখলে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার তরুণ আইজ্যাক জনসন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মুখ খোলা অবস্থায় তাঁর ওপরের দাঁত থেকে নিচের দাঁত পর্যন্ত দূরত্ব ১০ দশমিক ১৯৬ সেন্টিমিটার বা ৪ দশমিক ০১৪ ইঞ্চি, যা একটি বেসবলের...
১ দিন আগেফ্রান্সের হাউত-ভোজ এলাকায় কয়েকজন কৃষক নিজেদের জমিতে অবৈধভাবে বসতি গড়ে তোলা স্কোয়াটারদের (যাযাবর গোষ্ঠী) তাড়াতে এক অদ্ভুত ও তীব্র পন্থা গ্রহণ করেছেন। তাঁরা ট্র্যাক্টরের সাহায্যে মল ও পানি মিশিয়ে একধরনের তরল বর্জ্য স্কোয়াটারদের ক্যারাভ্যানের (গাড়ির বহর) ওপর ছিটিয়ে দিয়েছেন। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক...
২ দিন আগেএই ঘটনার জেরে চীনের পূর্বাঞ্চলীয় জিয়াংসু প্রদেশের পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে অশ্লীল ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে তদন্ত চলছে। সিস্টার হংয়ের ঘটনা সামনে আসতেই চীনা নেটিজেনদের একাংশের মধ্যে আলোচনায় আসে ২০১৬ সালের আরেক প্রতারণার কাহিনি।
৫ দিন আগেঅনেকের কাছেই মদের বোতলে ডুবে থাকা সাপ, মোটেই রুচিকর বা মনোহর দৃশ্য নয়। তবে এশিয়ার কিছু অঞ্চলে এই ছবি আশার প্রতীক, স্বাস্থ্য ভালো রাখার প্রতিশ্রুতি। এই ব্যতিক্রমী পানীয়টির নাম ‘স্নেক ওয়াইন’ বা সাপের ওয়াইন। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এটি পান করা হয়ে আসছে এই অঞ্চলে। অনেকেরই বিশ্বাস, এতে রয়েছে ওষধিগুণ।
৬ দিন আগে