ইশতিয়াক হাসান

বাদুড়ের চেহারাটাই এমন যে একে দেখে সাধারণ মানুষের ভালো লাগার কোনো কারণ নেই। তারপর আবার কল্পকাহিনিতে ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে বাদুড়ের যোগ, আর ইদানীং নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব—সব মিলিয়ে একে ঘিরে রীতিমতো একটা ভীতি কাজ করে অনেকের মনেই। তবে আশ্চর্য হলেও সত্যি, অনেকেই আবার ভালোবেসে এই প্রাণীটির আদর-যত্ন করেন, অসুস্থ হলে সেবা করেন। এ ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়ার টোলগা ব্যাট হসপিটাল।
অস্ট্রেলিয়ার আথার্টনে এই হাসপাতাল। সেখানে গেলে আপনি বুঝতে পারবেন বিড়াল-কুকুরসহ বিভিন্ন পোষা প্রাণীর বাচ্চাদের মতো বাদুড়ের ছানারাও অনেক আদুরে।
ফ্রুট ব্যাট বা ফলখেকো বাদুড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির বাদুড়ের বাচ্চাদের হাসপাতালটিতে আনা হয় যখন পরজীবী কীট আঁটুলিতে আক্রান্ত হয়ে এদের শরীরের কিছু অংশ বা গোটা শরীরটাই অবশ হয়ে যায়। আবার মা মারা গিয়েছে অথবা এত অসুস্থ যে খাওয়ানোর অবস্থায় নেই এমন বাচ্চাদেরও আনা হয় এখানে।
হাসপাতালের ভেটেরিনারি চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবীরা এদের চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন এবং আবার বুনো পরিবেশে ফিরিয়ে দেন। আবার চিড়িয়াখানাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ে আসা বাদুড়ের একটি অভয়ারণ্য হিসেবেও কাজ করে হাসপাতালটি।
জেনি ম্যাকলিন এই টোলগা বেট হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা। জেনির ইটের দালানটিই সম্প্রসারিত হয়ে একপর্যায়ে পরিণত হয় বাদুড়ের হাসপাতালে। ব্রিসবেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে আথার্টনে এসে ফিজিওথেরাপির একটি ব্যবসা শুরু করেছিলেন জেনি। এ সময়ই আঁটুলিতে আক্রান্ত হয়ে শরীর অবশ হয়ে যাওয়া প্রচুর বাদুড়ের খোঁজ পেতে থাকেন জেনি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০-এর দশকে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বাদুড়দের এই হাসপাতাল। এখন ৬০-এ পা দেওয়া জেনি স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে বাদুড়দের সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুনে অবাক হবেন প্রতি বছর প্রায় ১২০০ বাদুড় নিয়ে কাজ করেন তাঁরা।
হাসপাতালটিতে গেলে দেখবেন কোনো কামরায় হয়তো বাদুড়দের আদর করে দুধ কিংবা কোনো ফলের রস খাওয়ানো হচ্ছে। কোথাও আবার ছোট ছোট কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে বাদুড়ছানাদের।
হাসপাতালে আনা বাদুড়দের প্রতিটিকে এক একটি নাম দেওয়া হয়, যেন এর অবস্থার উন্নতি লিপিবদ্ধ ও নজরদারি করা সহজ হয়। একই সময়ে হাসপাতালে অনেক বাদুড়ছানা থাকে, এভাবে নির্দিষ্ট নাম থাকায় দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবকের কাজটাও অনেক সহজ হয়।
এখানে আনা বেশির ভাগ বাদুড়ের বাচ্চা প্যারালাইসিস টিক বা আঁটুলিতে আক্রান্ত। অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা এই আঁটুলিরা তামাকসহ বিভিন্ন গাছের মাথায় উঠে যেতে পারে। এভাবেই বাদুড়েরা এই আঁটুলিদের সংস্পর্শে আসে। যখন এভাবে আঁটুলি আক্রান্ত কোনো বাদুড়কে গাছ কিংবা ঝোপ-জঙ্গলে আবিষ্কার করা হয় ততক্ষণে এর শরীর অবশ হয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে এদের তখন অ্যান্টি-প্যরালাইসিস ইনজেকশন দেওয়া হয়। তারপর অপেক্ষার পালা। বাদুড়টাকে যদি কোনো ধরনের জুস পান করানো যায় এবং আঁটুলির বিষ ধীরে ধীরে মৃদু হয়ে আসে—বোঝা যাবে এর বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আবার কিছু কিছু বাদুড়ের অঙ্গহানি এমনকি মারাও যায়।
অনেক সময় খুদে লাল বাদুড়েরা এখানে আসে কোনো কাঁটাতারের বেড়ায় জড়িয়ে আহত হয়ে। এখানে আনা কোনো কোনো বাদুড়ের বাচ্চার হাত কিংবা পায়ের আঙুলের হাড়ে সমস্যা থাকে। এ ধরনের বাদুড়দের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওজন বেড়ে যাওয়ায় এরা আর কোনো কিছু আঁকড়ে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। নিচে পড়ে যায়।
এমনিতে একটি-দুটো অসুস্থ বাদুড়কে কোথাও রেখে বড় করলে তার সঙ্গী পাওয়ার সুযোগ থাকে না। কিন্তু এই হাসপাতালে অনেক বাদুড় একসঙ্গে থাকায় এরা আনন্দে থাকে এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। হাসপাতালটিতে প্রতি বছর ১২০০-র মতো বাদুড়ের সেবা ও চিকিৎসা করা হয় কুইন্সল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট অব এনভায়রনমেন্ট থেকে নেওয়া পারমিটের মাধ্যমে। এগুলোর বেশিরভাগকেই সুস্থ অবস্থায় প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
আবার কুইন্সল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফিশারিজ থেকে নেওয়া অপর এক পারমিটের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী বা স্থায়ীভাবে এই হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান করে কিছু বাদুড়। এগুলোর কিছু আসে চিড়িয়াখানা থেকে পাঠিয়ে দেওয়ায়, কিছু আবার প্রকৃতিতে বসবাসের মতো সক্ষমতা না থাকায়।
এখানে মূল কাজটা করেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি বাইরের স্বেচ্ছাসেবীরাও কাজ করতে পারেন এখানে। স্বেচ্ছাসেবা দিতে আগ্রহীদের অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাট লিসাভাইরাসের টিকা ও র্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়া থাকতে হয়। আপনার বয়স ২১-এর কম হলে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এখানে কাজ করার সুযোগ কম। সাধারণত কারও চিকিৎসা, পশু চিকিৎসা কিংবা আইটি ও পরিবেশবিজ্ঞানে ডিগ্রি থাকলে তাঁদের বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়। সাধারণত অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার থেকে আটজন সার্বক্ষণিক বাইরের স্বেচ্ছাসেবী প্রয়োজন হয়। কারণ এ সময় বাদুড়েরা আঁটুলি আক্রান্ত হওয়ার সময়। বছরের বাকি সময়টা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দিয়েই মোটামুটি কাজ চলে।
এখন আপনার মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগছে, এখানে বাদুড়ের চিকিৎসা ও সেবাযত্নে যে অর্থ ব্যয় হয়, তা আসছে কীভাবে? আসলে বিভিন্ন সংস্থা, সাধারণ মানুষ, বিজ্ঞানীদের থেকে পাওয়া অনুদান, পরিদর্শনে আসা মানুষের থেকে পাওয়া অর্থ—সবকিছু মিলিয়েই চলে এই বাদুড়রাজ্য।
কাজেই অস্ট্রেলিয়ায় বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ হলে কুইন্সল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাদুড়ের হাসপাতালটিতে একটি চক্কর দিয়ে আসতে পারেন। হাতে সময় থাকলে এবং বাদুড় পছন্দ করলে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও কয়েকটি দিন কাটাতে পারেন সেখানে।
সূত্র: টোলগা ব্যাট হসপিটাল ডট অরগ, বোরড পানডা, অস্ট্রেলিয়ান জিওগ্রাফিক ডট কম

বাদুড়ের চেহারাটাই এমন যে একে দেখে সাধারণ মানুষের ভালো লাগার কোনো কারণ নেই। তারপর আবার কল্পকাহিনিতে ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে বাদুড়ের যোগ, আর ইদানীং নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব—সব মিলিয়ে একে ঘিরে রীতিমতো একটা ভীতি কাজ করে অনেকের মনেই। তবে আশ্চর্য হলেও সত্যি, অনেকেই আবার ভালোবেসে এই প্রাণীটির আদর-যত্ন করেন, অসুস্থ হলে সেবা করেন। এ ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়ার টোলগা ব্যাট হসপিটাল।
অস্ট্রেলিয়ার আথার্টনে এই হাসপাতাল। সেখানে গেলে আপনি বুঝতে পারবেন বিড়াল-কুকুরসহ বিভিন্ন পোষা প্রাণীর বাচ্চাদের মতো বাদুড়ের ছানারাও অনেক আদুরে।
ফ্রুট ব্যাট বা ফলখেকো বাদুড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির বাদুড়ের বাচ্চাদের হাসপাতালটিতে আনা হয় যখন পরজীবী কীট আঁটুলিতে আক্রান্ত হয়ে এদের শরীরের কিছু অংশ বা গোটা শরীরটাই অবশ হয়ে যায়। আবার মা মারা গিয়েছে অথবা এত অসুস্থ যে খাওয়ানোর অবস্থায় নেই এমন বাচ্চাদেরও আনা হয় এখানে।
হাসপাতালের ভেটেরিনারি চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবীরা এদের চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন এবং আবার বুনো পরিবেশে ফিরিয়ে দেন। আবার চিড়িয়াখানাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ে আসা বাদুড়ের একটি অভয়ারণ্য হিসেবেও কাজ করে হাসপাতালটি।
জেনি ম্যাকলিন এই টোলগা বেট হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা। জেনির ইটের দালানটিই সম্প্রসারিত হয়ে একপর্যায়ে পরিণত হয় বাদুড়ের হাসপাতালে। ব্রিসবেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে আথার্টনে এসে ফিজিওথেরাপির একটি ব্যবসা শুরু করেছিলেন জেনি। এ সময়ই আঁটুলিতে আক্রান্ত হয়ে শরীর অবশ হয়ে যাওয়া প্রচুর বাদুড়ের খোঁজ পেতে থাকেন জেনি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০-এর দশকে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বাদুড়দের এই হাসপাতাল। এখন ৬০-এ পা দেওয়া জেনি স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে বাদুড়দের সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুনে অবাক হবেন প্রতি বছর প্রায় ১২০০ বাদুড় নিয়ে কাজ করেন তাঁরা।
হাসপাতালটিতে গেলে দেখবেন কোনো কামরায় হয়তো বাদুড়দের আদর করে দুধ কিংবা কোনো ফলের রস খাওয়ানো হচ্ছে। কোথাও আবার ছোট ছোট কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে বাদুড়ছানাদের।
হাসপাতালে আনা বাদুড়দের প্রতিটিকে এক একটি নাম দেওয়া হয়, যেন এর অবস্থার উন্নতি লিপিবদ্ধ ও নজরদারি করা সহজ হয়। একই সময়ে হাসপাতালে অনেক বাদুড়ছানা থাকে, এভাবে নির্দিষ্ট নাম থাকায় দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবকের কাজটাও অনেক সহজ হয়।
এখানে আনা বেশির ভাগ বাদুড়ের বাচ্চা প্যারালাইসিস টিক বা আঁটুলিতে আক্রান্ত। অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা এই আঁটুলিরা তামাকসহ বিভিন্ন গাছের মাথায় উঠে যেতে পারে। এভাবেই বাদুড়েরা এই আঁটুলিদের সংস্পর্শে আসে। যখন এভাবে আঁটুলি আক্রান্ত কোনো বাদুড়কে গাছ কিংবা ঝোপ-জঙ্গলে আবিষ্কার করা হয় ততক্ষণে এর শরীর অবশ হয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে এদের তখন অ্যান্টি-প্যরালাইসিস ইনজেকশন দেওয়া হয়। তারপর অপেক্ষার পালা। বাদুড়টাকে যদি কোনো ধরনের জুস পান করানো যায় এবং আঁটুলির বিষ ধীরে ধীরে মৃদু হয়ে আসে—বোঝা যাবে এর বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আবার কিছু কিছু বাদুড়ের অঙ্গহানি এমনকি মারাও যায়।
অনেক সময় খুদে লাল বাদুড়েরা এখানে আসে কোনো কাঁটাতারের বেড়ায় জড়িয়ে আহত হয়ে। এখানে আনা কোনো কোনো বাদুড়ের বাচ্চার হাত কিংবা পায়ের আঙুলের হাড়ে সমস্যা থাকে। এ ধরনের বাদুড়দের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওজন বেড়ে যাওয়ায় এরা আর কোনো কিছু আঁকড়ে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। নিচে পড়ে যায়।
এমনিতে একটি-দুটো অসুস্থ বাদুড়কে কোথাও রেখে বড় করলে তার সঙ্গী পাওয়ার সুযোগ থাকে না। কিন্তু এই হাসপাতালে অনেক বাদুড় একসঙ্গে থাকায় এরা আনন্দে থাকে এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। হাসপাতালটিতে প্রতি বছর ১২০০-র মতো বাদুড়ের সেবা ও চিকিৎসা করা হয় কুইন্সল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট অব এনভায়রনমেন্ট থেকে নেওয়া পারমিটের মাধ্যমে। এগুলোর বেশিরভাগকেই সুস্থ অবস্থায় প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
আবার কুইন্সল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফিশারিজ থেকে নেওয়া অপর এক পারমিটের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী বা স্থায়ীভাবে এই হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান করে কিছু বাদুড়। এগুলোর কিছু আসে চিড়িয়াখানা থেকে পাঠিয়ে দেওয়ায়, কিছু আবার প্রকৃতিতে বসবাসের মতো সক্ষমতা না থাকায়।
এখানে মূল কাজটা করেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি বাইরের স্বেচ্ছাসেবীরাও কাজ করতে পারেন এখানে। স্বেচ্ছাসেবা দিতে আগ্রহীদের অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাট লিসাভাইরাসের টিকা ও র্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়া থাকতে হয়। আপনার বয়স ২১-এর কম হলে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এখানে কাজ করার সুযোগ কম। সাধারণত কারও চিকিৎসা, পশু চিকিৎসা কিংবা আইটি ও পরিবেশবিজ্ঞানে ডিগ্রি থাকলে তাঁদের বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়। সাধারণত অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার থেকে আটজন সার্বক্ষণিক বাইরের স্বেচ্ছাসেবী প্রয়োজন হয়। কারণ এ সময় বাদুড়েরা আঁটুলি আক্রান্ত হওয়ার সময়। বছরের বাকি সময়টা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দিয়েই মোটামুটি কাজ চলে।
এখন আপনার মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগছে, এখানে বাদুড়ের চিকিৎসা ও সেবাযত্নে যে অর্থ ব্যয় হয়, তা আসছে কীভাবে? আসলে বিভিন্ন সংস্থা, সাধারণ মানুষ, বিজ্ঞানীদের থেকে পাওয়া অনুদান, পরিদর্শনে আসা মানুষের থেকে পাওয়া অর্থ—সবকিছু মিলিয়েই চলে এই বাদুড়রাজ্য।
কাজেই অস্ট্রেলিয়ায় বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ হলে কুইন্সল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাদুড়ের হাসপাতালটিতে একটি চক্কর দিয়ে আসতে পারেন। হাতে সময় থাকলে এবং বাদুড় পছন্দ করলে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও কয়েকটি দিন কাটাতে পারেন সেখানে।
সূত্র: টোলগা ব্যাট হসপিটাল ডট অরগ, বোরড পানডা, অস্ট্রেলিয়ান জিওগ্রাফিক ডট কম
ইশতিয়াক হাসান

বাদুড়ের চেহারাটাই এমন যে একে দেখে সাধারণ মানুষের ভালো লাগার কোনো কারণ নেই। তারপর আবার কল্পকাহিনিতে ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে বাদুড়ের যোগ, আর ইদানীং নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব—সব মিলিয়ে একে ঘিরে রীতিমতো একটা ভীতি কাজ করে অনেকের মনেই। তবে আশ্চর্য হলেও সত্যি, অনেকেই আবার ভালোবেসে এই প্রাণীটির আদর-যত্ন করেন, অসুস্থ হলে সেবা করেন। এ ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়ার টোলগা ব্যাট হসপিটাল।
অস্ট্রেলিয়ার আথার্টনে এই হাসপাতাল। সেখানে গেলে আপনি বুঝতে পারবেন বিড়াল-কুকুরসহ বিভিন্ন পোষা প্রাণীর বাচ্চাদের মতো বাদুড়ের ছানারাও অনেক আদুরে।
ফ্রুট ব্যাট বা ফলখেকো বাদুড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির বাদুড়ের বাচ্চাদের হাসপাতালটিতে আনা হয় যখন পরজীবী কীট আঁটুলিতে আক্রান্ত হয়ে এদের শরীরের কিছু অংশ বা গোটা শরীরটাই অবশ হয়ে যায়। আবার মা মারা গিয়েছে অথবা এত অসুস্থ যে খাওয়ানোর অবস্থায় নেই এমন বাচ্চাদেরও আনা হয় এখানে।
হাসপাতালের ভেটেরিনারি চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবীরা এদের চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন এবং আবার বুনো পরিবেশে ফিরিয়ে দেন। আবার চিড়িয়াখানাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ে আসা বাদুড়ের একটি অভয়ারণ্য হিসেবেও কাজ করে হাসপাতালটি।
জেনি ম্যাকলিন এই টোলগা বেট হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা। জেনির ইটের দালানটিই সম্প্রসারিত হয়ে একপর্যায়ে পরিণত হয় বাদুড়ের হাসপাতালে। ব্রিসবেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে আথার্টনে এসে ফিজিওথেরাপির একটি ব্যবসা শুরু করেছিলেন জেনি। এ সময়ই আঁটুলিতে আক্রান্ত হয়ে শরীর অবশ হয়ে যাওয়া প্রচুর বাদুড়ের খোঁজ পেতে থাকেন জেনি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০-এর দশকে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বাদুড়দের এই হাসপাতাল। এখন ৬০-এ পা দেওয়া জেনি স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে বাদুড়দের সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুনে অবাক হবেন প্রতি বছর প্রায় ১২০০ বাদুড় নিয়ে কাজ করেন তাঁরা।
হাসপাতালটিতে গেলে দেখবেন কোনো কামরায় হয়তো বাদুড়দের আদর করে দুধ কিংবা কোনো ফলের রস খাওয়ানো হচ্ছে। কোথাও আবার ছোট ছোট কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে বাদুড়ছানাদের।
হাসপাতালে আনা বাদুড়দের প্রতিটিকে এক একটি নাম দেওয়া হয়, যেন এর অবস্থার উন্নতি লিপিবদ্ধ ও নজরদারি করা সহজ হয়। একই সময়ে হাসপাতালে অনেক বাদুড়ছানা থাকে, এভাবে নির্দিষ্ট নাম থাকায় দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবকের কাজটাও অনেক সহজ হয়।
এখানে আনা বেশির ভাগ বাদুড়ের বাচ্চা প্যারালাইসিস টিক বা আঁটুলিতে আক্রান্ত। অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা এই আঁটুলিরা তামাকসহ বিভিন্ন গাছের মাথায় উঠে যেতে পারে। এভাবেই বাদুড়েরা এই আঁটুলিদের সংস্পর্শে আসে। যখন এভাবে আঁটুলি আক্রান্ত কোনো বাদুড়কে গাছ কিংবা ঝোপ-জঙ্গলে আবিষ্কার করা হয় ততক্ষণে এর শরীর অবশ হয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে এদের তখন অ্যান্টি-প্যরালাইসিস ইনজেকশন দেওয়া হয়। তারপর অপেক্ষার পালা। বাদুড়টাকে যদি কোনো ধরনের জুস পান করানো যায় এবং আঁটুলির বিষ ধীরে ধীরে মৃদু হয়ে আসে—বোঝা যাবে এর বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আবার কিছু কিছু বাদুড়ের অঙ্গহানি এমনকি মারাও যায়।
অনেক সময় খুদে লাল বাদুড়েরা এখানে আসে কোনো কাঁটাতারের বেড়ায় জড়িয়ে আহত হয়ে। এখানে আনা কোনো কোনো বাদুড়ের বাচ্চার হাত কিংবা পায়ের আঙুলের হাড়ে সমস্যা থাকে। এ ধরনের বাদুড়দের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওজন বেড়ে যাওয়ায় এরা আর কোনো কিছু আঁকড়ে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। নিচে পড়ে যায়।
এমনিতে একটি-দুটো অসুস্থ বাদুড়কে কোথাও রেখে বড় করলে তার সঙ্গী পাওয়ার সুযোগ থাকে না। কিন্তু এই হাসপাতালে অনেক বাদুড় একসঙ্গে থাকায় এরা আনন্দে থাকে এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। হাসপাতালটিতে প্রতি বছর ১২০০-র মতো বাদুড়ের সেবা ও চিকিৎসা করা হয় কুইন্সল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট অব এনভায়রনমেন্ট থেকে নেওয়া পারমিটের মাধ্যমে। এগুলোর বেশিরভাগকেই সুস্থ অবস্থায় প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
আবার কুইন্সল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফিশারিজ থেকে নেওয়া অপর এক পারমিটের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী বা স্থায়ীভাবে এই হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান করে কিছু বাদুড়। এগুলোর কিছু আসে চিড়িয়াখানা থেকে পাঠিয়ে দেওয়ায়, কিছু আবার প্রকৃতিতে বসবাসের মতো সক্ষমতা না থাকায়।
এখানে মূল কাজটা করেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি বাইরের স্বেচ্ছাসেবীরাও কাজ করতে পারেন এখানে। স্বেচ্ছাসেবা দিতে আগ্রহীদের অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাট লিসাভাইরাসের টিকা ও র্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়া থাকতে হয়। আপনার বয়স ২১-এর কম হলে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এখানে কাজ করার সুযোগ কম। সাধারণত কারও চিকিৎসা, পশু চিকিৎসা কিংবা আইটি ও পরিবেশবিজ্ঞানে ডিগ্রি থাকলে তাঁদের বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়। সাধারণত অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার থেকে আটজন সার্বক্ষণিক বাইরের স্বেচ্ছাসেবী প্রয়োজন হয়। কারণ এ সময় বাদুড়েরা আঁটুলি আক্রান্ত হওয়ার সময়। বছরের বাকি সময়টা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দিয়েই মোটামুটি কাজ চলে।
এখন আপনার মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগছে, এখানে বাদুড়ের চিকিৎসা ও সেবাযত্নে যে অর্থ ব্যয় হয়, তা আসছে কীভাবে? আসলে বিভিন্ন সংস্থা, সাধারণ মানুষ, বিজ্ঞানীদের থেকে পাওয়া অনুদান, পরিদর্শনে আসা মানুষের থেকে পাওয়া অর্থ—সবকিছু মিলিয়েই চলে এই বাদুড়রাজ্য।
কাজেই অস্ট্রেলিয়ায় বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ হলে কুইন্সল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাদুড়ের হাসপাতালটিতে একটি চক্কর দিয়ে আসতে পারেন। হাতে সময় থাকলে এবং বাদুড় পছন্দ করলে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও কয়েকটি দিন কাটাতে পারেন সেখানে।
সূত্র: টোলগা ব্যাট হসপিটাল ডট অরগ, বোরড পানডা, অস্ট্রেলিয়ান জিওগ্রাফিক ডট কম

বাদুড়ের চেহারাটাই এমন যে একে দেখে সাধারণ মানুষের ভালো লাগার কোনো কারণ নেই। তারপর আবার কল্পকাহিনিতে ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে বাদুড়ের যোগ, আর ইদানীং নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব—সব মিলিয়ে একে ঘিরে রীতিমতো একটা ভীতি কাজ করে অনেকের মনেই। তবে আশ্চর্য হলেও সত্যি, অনেকেই আবার ভালোবেসে এই প্রাণীটির আদর-যত্ন করেন, অসুস্থ হলে সেবা করেন। এ ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়ার টোলগা ব্যাট হসপিটাল।
অস্ট্রেলিয়ার আথার্টনে এই হাসপাতাল। সেখানে গেলে আপনি বুঝতে পারবেন বিড়াল-কুকুরসহ বিভিন্ন পোষা প্রাণীর বাচ্চাদের মতো বাদুড়ের ছানারাও অনেক আদুরে।
ফ্রুট ব্যাট বা ফলখেকো বাদুড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির বাদুড়ের বাচ্চাদের হাসপাতালটিতে আনা হয় যখন পরজীবী কীট আঁটুলিতে আক্রান্ত হয়ে এদের শরীরের কিছু অংশ বা গোটা শরীরটাই অবশ হয়ে যায়। আবার মা মারা গিয়েছে অথবা এত অসুস্থ যে খাওয়ানোর অবস্থায় নেই এমন বাচ্চাদেরও আনা হয় এখানে।
হাসপাতালের ভেটেরিনারি চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবীরা এদের চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন এবং আবার বুনো পরিবেশে ফিরিয়ে দেন। আবার চিড়িয়াখানাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ে আসা বাদুড়ের একটি অভয়ারণ্য হিসেবেও কাজ করে হাসপাতালটি।
জেনি ম্যাকলিন এই টোলগা বেট হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা। জেনির ইটের দালানটিই সম্প্রসারিত হয়ে একপর্যায়ে পরিণত হয় বাদুড়ের হাসপাতালে। ব্রিসবেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে আথার্টনে এসে ফিজিওথেরাপির একটি ব্যবসা শুরু করেছিলেন জেনি। এ সময়ই আঁটুলিতে আক্রান্ত হয়ে শরীর অবশ হয়ে যাওয়া প্রচুর বাদুড়ের খোঁজ পেতে থাকেন জেনি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০-এর দশকে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বাদুড়দের এই হাসপাতাল। এখন ৬০-এ পা দেওয়া জেনি স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে বাদুড়দের সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুনে অবাক হবেন প্রতি বছর প্রায় ১২০০ বাদুড় নিয়ে কাজ করেন তাঁরা।
হাসপাতালটিতে গেলে দেখবেন কোনো কামরায় হয়তো বাদুড়দের আদর করে দুধ কিংবা কোনো ফলের রস খাওয়ানো হচ্ছে। কোথাও আবার ছোট ছোট কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে বাদুড়ছানাদের।
হাসপাতালে আনা বাদুড়দের প্রতিটিকে এক একটি নাম দেওয়া হয়, যেন এর অবস্থার উন্নতি লিপিবদ্ধ ও নজরদারি করা সহজ হয়। একই সময়ে হাসপাতালে অনেক বাদুড়ছানা থাকে, এভাবে নির্দিষ্ট নাম থাকায় দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবকের কাজটাও অনেক সহজ হয়।
এখানে আনা বেশির ভাগ বাদুড়ের বাচ্চা প্যারালাইসিস টিক বা আঁটুলিতে আক্রান্ত। অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা এই আঁটুলিরা তামাকসহ বিভিন্ন গাছের মাথায় উঠে যেতে পারে। এভাবেই বাদুড়েরা এই আঁটুলিদের সংস্পর্শে আসে। যখন এভাবে আঁটুলি আক্রান্ত কোনো বাদুড়কে গাছ কিংবা ঝোপ-জঙ্গলে আবিষ্কার করা হয় ততক্ষণে এর শরীর অবশ হয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে এদের তখন অ্যান্টি-প্যরালাইসিস ইনজেকশন দেওয়া হয়। তারপর অপেক্ষার পালা। বাদুড়টাকে যদি কোনো ধরনের জুস পান করানো যায় এবং আঁটুলির বিষ ধীরে ধীরে মৃদু হয়ে আসে—বোঝা যাবে এর বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আবার কিছু কিছু বাদুড়ের অঙ্গহানি এমনকি মারাও যায়।
অনেক সময় খুদে লাল বাদুড়েরা এখানে আসে কোনো কাঁটাতারের বেড়ায় জড়িয়ে আহত হয়ে। এখানে আনা কোনো কোনো বাদুড়ের বাচ্চার হাত কিংবা পায়ের আঙুলের হাড়ে সমস্যা থাকে। এ ধরনের বাদুড়দের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওজন বেড়ে যাওয়ায় এরা আর কোনো কিছু আঁকড়ে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। নিচে পড়ে যায়।
এমনিতে একটি-দুটো অসুস্থ বাদুড়কে কোথাও রেখে বড় করলে তার সঙ্গী পাওয়ার সুযোগ থাকে না। কিন্তু এই হাসপাতালে অনেক বাদুড় একসঙ্গে থাকায় এরা আনন্দে থাকে এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। হাসপাতালটিতে প্রতি বছর ১২০০-র মতো বাদুড়ের সেবা ও চিকিৎসা করা হয় কুইন্সল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট অব এনভায়রনমেন্ট থেকে নেওয়া পারমিটের মাধ্যমে। এগুলোর বেশিরভাগকেই সুস্থ অবস্থায় প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
আবার কুইন্সল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফিশারিজ থেকে নেওয়া অপর এক পারমিটের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী বা স্থায়ীভাবে এই হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান করে কিছু বাদুড়। এগুলোর কিছু আসে চিড়িয়াখানা থেকে পাঠিয়ে দেওয়ায়, কিছু আবার প্রকৃতিতে বসবাসের মতো সক্ষমতা না থাকায়।
এখানে মূল কাজটা করেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি বাইরের স্বেচ্ছাসেবীরাও কাজ করতে পারেন এখানে। স্বেচ্ছাসেবা দিতে আগ্রহীদের অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাট লিসাভাইরাসের টিকা ও র্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়া থাকতে হয়। আপনার বয়স ২১-এর কম হলে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এখানে কাজ করার সুযোগ কম। সাধারণত কারও চিকিৎসা, পশু চিকিৎসা কিংবা আইটি ও পরিবেশবিজ্ঞানে ডিগ্রি থাকলে তাঁদের বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়। সাধারণত অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার থেকে আটজন সার্বক্ষণিক বাইরের স্বেচ্ছাসেবী প্রয়োজন হয়। কারণ এ সময় বাদুড়েরা আঁটুলি আক্রান্ত হওয়ার সময়। বছরের বাকি সময়টা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দিয়েই মোটামুটি কাজ চলে।
এখন আপনার মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগছে, এখানে বাদুড়ের চিকিৎসা ও সেবাযত্নে যে অর্থ ব্যয় হয়, তা আসছে কীভাবে? আসলে বিভিন্ন সংস্থা, সাধারণ মানুষ, বিজ্ঞানীদের থেকে পাওয়া অনুদান, পরিদর্শনে আসা মানুষের থেকে পাওয়া অর্থ—সবকিছু মিলিয়েই চলে এই বাদুড়রাজ্য।
কাজেই অস্ট্রেলিয়ায় বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ হলে কুইন্সল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাদুড়ের হাসপাতালটিতে একটি চক্কর দিয়ে আসতে পারেন। হাতে সময় থাকলে এবং বাদুড় পছন্দ করলে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও কয়েকটি দিন কাটাতে পারেন সেখানে।
সূত্র: টোলগা ব্যাট হসপিটাল ডট অরগ, বোরড পানডা, অস্ট্রেলিয়ান জিওগ্রাফিক ডট কম

পা ব্যথার কথা বলে নিয়েছিলেন ছুটি। অফিস দেখল ছুটি নিয়ে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কদম! ব্যস সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই! তারপর কর্মী মামলা করে দিলেন অফিসের নামে। জিতলেনও। এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে।
৬ ঘণ্টা আগে
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
২ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৯ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পা ব্যথার কথা বলে নিয়েছিলেন ছুটি। অফিস দেখল ছুটি নিয়ে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কদম! ব্যস সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই! তারপর কর্মী মামলা করে দিলেন অফিসের নামে। জিতলেনও। এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে জানা যায়, চেন নামের ওই ব্যক্তি জিয়াংসুর এক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে চেন দুইবার অসুস্থতাজনিত ছুটির আবেদন করেন। প্রথমবারে কর্মস্থলে পিঠে টান লাগার কারণে ছুটি চান তিনি। প্রেসক্রিপশন জমা দিয়ে ছুটির অনুমোদনও পান।
এক মাস বিশ্রামের পর কাজে ফিরে অর্ধবেলা না পেরোতেই আবার অসুস্থতাজনিত ছুটির আবেদন করলেন। এবার কারণ হিসেবে বললেন ডান পায়ে ব্যথা। চিকিৎসক তাঁকে এক সপ্তাহ বিশ্রাম নিতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
পরে ধরা পড়ে তাঁর গোড়ালির হাড় বৃদ্ধি (heel spur) হয়েছে। এ কারণ দেখিয়ে চেন কয়েক দিন আরও ছুটি বাড়ান।
দীর্ঘদিন কাজে অনুপস্থিত থাকায় অফিস কর্তৃপক্ষ চেনকে হাসপাতালের নথি জমা দিতে বলে। কিন্তু তিনি অফিসে আসলে নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেন। কয়েক দিন পর কোম্পানিটি অনুপস্থিতির অভিযোগে তাঁকে বরখাস্ত করে। অভিযোগ ছিল, চেন তাঁর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন।
চাকরিচ্যুতির পর চেন শ্রম আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর ছুটি বৈধ এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রমাণও তিনি জমা দিয়েছেন। তদন্ত শেষে কর্তৃপক্ষ চেনের পক্ষে রায় দেন এবং কোম্পানিকে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৭৯ ইউয়ান (প্রায় ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা) ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন।
এরপর কোম্পানি চেনের বিরুদ্ধে আদালতে যায়। তারা আদালতে সিসিটিভি ফুটেজের ভিডিও দেখায়, যেখানে দেখা যায় চেন পা ব্যথার অসুস্থতায় ছুটি নেওয়ার দিনই অফিসে সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে দৌড়ে আসছিলেন। পাশাপাশি, তাঁরা একটি চ্যাট সফটওয়্যারের রেকর্ডও আদালতে তুলে ধরেন যেখানে দেখা যায়, চেন ওই দিন ১৬ হাজারের বেশি কদম হেঁটেছেন।
চেন পাল্টা দাবি করেন, কোম্পানির প্রমাণগুলো ভিত্তিহীন। তিনি সম্পূর্ণ চিকিৎসা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন, যেখানে কোমর ও পায়ের স্ক্যান রিপোর্টও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
শেষ পর্যন্ত আদালত চেনের পক্ষে রায় দেন। আদালতের রায়ে বলা হয়, কোম্পানিটি অবৈধভাবে তাঁকে বরখাস্ত করেছে। ফলে দুই দফায় কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

পা ব্যথার কথা বলে নিয়েছিলেন ছুটি। অফিস দেখল ছুটি নিয়ে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কদম! ব্যস সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই! তারপর কর্মী মামলা করে দিলেন অফিসের নামে। জিতলেনও। এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে জানা যায়, চেন নামের ওই ব্যক্তি জিয়াংসুর এক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে চেন দুইবার অসুস্থতাজনিত ছুটির আবেদন করেন। প্রথমবারে কর্মস্থলে পিঠে টান লাগার কারণে ছুটি চান তিনি। প্রেসক্রিপশন জমা দিয়ে ছুটির অনুমোদনও পান।
এক মাস বিশ্রামের পর কাজে ফিরে অর্ধবেলা না পেরোতেই আবার অসুস্থতাজনিত ছুটির আবেদন করলেন। এবার কারণ হিসেবে বললেন ডান পায়ে ব্যথা। চিকিৎসক তাঁকে এক সপ্তাহ বিশ্রাম নিতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
পরে ধরা পড়ে তাঁর গোড়ালির হাড় বৃদ্ধি (heel spur) হয়েছে। এ কারণ দেখিয়ে চেন কয়েক দিন আরও ছুটি বাড়ান।
দীর্ঘদিন কাজে অনুপস্থিত থাকায় অফিস কর্তৃপক্ষ চেনকে হাসপাতালের নথি জমা দিতে বলে। কিন্তু তিনি অফিসে আসলে নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেন। কয়েক দিন পর কোম্পানিটি অনুপস্থিতির অভিযোগে তাঁকে বরখাস্ত করে। অভিযোগ ছিল, চেন তাঁর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন।
চাকরিচ্যুতির পর চেন শ্রম আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর ছুটি বৈধ এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রমাণও তিনি জমা দিয়েছেন। তদন্ত শেষে কর্তৃপক্ষ চেনের পক্ষে রায় দেন এবং কোম্পানিকে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৭৯ ইউয়ান (প্রায় ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা) ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন।
এরপর কোম্পানি চেনের বিরুদ্ধে আদালতে যায়। তারা আদালতে সিসিটিভি ফুটেজের ভিডিও দেখায়, যেখানে দেখা যায় চেন পা ব্যথার অসুস্থতায় ছুটি নেওয়ার দিনই অফিসে সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে দৌড়ে আসছিলেন। পাশাপাশি, তাঁরা একটি চ্যাট সফটওয়্যারের রেকর্ডও আদালতে তুলে ধরেন যেখানে দেখা যায়, চেন ওই দিন ১৬ হাজারের বেশি কদম হেঁটেছেন।
চেন পাল্টা দাবি করেন, কোম্পানির প্রমাণগুলো ভিত্তিহীন। তিনি সম্পূর্ণ চিকিৎসা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন, যেখানে কোমর ও পায়ের স্ক্যান রিপোর্টও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
শেষ পর্যন্ত আদালত চেনের পক্ষে রায় দেন। আদালতের রায়ে বলা হয়, কোম্পানিটি অবৈধভাবে তাঁকে বরখাস্ত করেছে। ফলে দুই দফায় কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

বাদুড়ের চেহারাটাই এমন যে একে দেখে সাধারণ মানুষের ভালো লাগার কোনো কারণ নেই। তারপর আবার কল্পকাহিনিতে ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে বাদুড়ের যোগ, আর ইদানীং নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সব মিলিয়ে একে ঘিরে রীতিমতো একটা ভীতি কাজ করে অনেকের মনেই। তবে আশ্চর্য হলেও সত্যি অনেকেই আবার ভালোবেসে এই প্রাণীটির আদর-যত্ন করেন, অস
৩০ মার্চ ২০২৩
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
২ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৯ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

বাদুড়ের চেহারাটাই এমন যে একে দেখে সাধারণ মানুষের ভালো লাগার কোনো কারণ নেই। তারপর আবার কল্পকাহিনিতে ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে বাদুড়ের যোগ, আর ইদানীং নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সব মিলিয়ে একে ঘিরে রীতিমতো একটা ভীতি কাজ করে অনেকের মনেই। তবে আশ্চর্য হলেও সত্যি অনেকেই আবার ভালোবেসে এই প্রাণীটির আদর-যত্ন করেন, অস
৩০ মার্চ ২০২৩
পা ব্যথার কথা বলে নিয়েছিলেন ছুটি। অফিস দেখল ছুটি নিয়ে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কদম! ব্যস সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই! তারপর কর্মী মামলা করে দিলেন অফিসের নামে। জিতলেনও। এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে।
৬ ঘণ্টা আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৯ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

বাদুড়ের চেহারাটাই এমন যে একে দেখে সাধারণ মানুষের ভালো লাগার কোনো কারণ নেই। তারপর আবার কল্পকাহিনিতে ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে বাদুড়ের যোগ, আর ইদানীং নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সব মিলিয়ে একে ঘিরে রীতিমতো একটা ভীতি কাজ করে অনেকের মনেই। তবে আশ্চর্য হলেও সত্যি অনেকেই আবার ভালোবেসে এই প্রাণীটির আদর-যত্ন করেন, অস
৩০ মার্চ ২০২৩
পা ব্যথার কথা বলে নিয়েছিলেন ছুটি। অফিস দেখল ছুটি নিয়ে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কদম! ব্যস সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই! তারপর কর্মী মামলা করে দিলেন অফিসের নামে। জিতলেনও। এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে।
৬ ঘণ্টা আগে
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
২ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

বাদুড়ের চেহারাটাই এমন যে একে দেখে সাধারণ মানুষের ভালো লাগার কোনো কারণ নেই। তারপর আবার কল্পকাহিনিতে ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে বাদুড়ের যোগ, আর ইদানীং নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সব মিলিয়ে একে ঘিরে রীতিমতো একটা ভীতি কাজ করে অনেকের মনেই। তবে আশ্চর্য হলেও সত্যি অনেকেই আবার ভালোবেসে এই প্রাণীটির আদর-যত্ন করেন, অস
৩০ মার্চ ২০২৩
পা ব্যথার কথা বলে নিয়েছিলেন ছুটি। অফিস দেখল ছুটি নিয়ে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কদম! ব্যস সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই! তারপর কর্মী মামলা করে দিলেন অফিসের নামে। জিতলেনও। এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে।
৬ ঘণ্টা আগে
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
২ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৯ দিন আগে