ফজলুল কবির

কিছুদিন ধরেই মাথায় কেবল ‘পদ’ ঘুরছে। এ নিয়ে মনে মনে বিড়ম্বনাও কম নয়। কারণ, পদ নিয়ে বিপদের তো শেষ নেই। এ এক বিরাট আপদ বলা যায়। ভাবুন না, পদধারীদের কত তটস্থ থাকতে হয় পদ হারানোর ভয়ে। পান থেকে চুন খসলেই উঠে যেতে পারে পদত্যাগের দাবি। কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কায় যেমনটা হলো। দেশে দেশে এমনটা তো প্রায়ই হয়। আবার পদপ্রত্যাশীদের থাকতে হয় দুর্ভাবনায়—পাব তো?
পদ কই না থাকে। দেহ বস্তুটি পরিবহনের একমাত্র দায় এই পদ বা পায়ের। আবার খাবার টেবিলেও আছ সে মহাসমারোহে হরেক রকম পদ হয়ে। এমনকি এই যে বাক্যটি লেখা হলো—সেখানেও আছে পদ। ঘরে বা বাইরে হাজারটা সংকট তো বিপদ হয়েই আসে, যেমনটা আসে জঙ্গলে শ্বাপদের ভয়ে। আবার অনাহূত অনেকেই তো মাঝেমধ্যেই ‘আপদ’ শব্দের অর্থ বুঝিয়ে দেয় নিজ গুণে। পদ সত্যিই...।
তা এই পদের অর্থ কী? হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’-এ বলছেন, ‘পদ’ অর্থ চরণ বা পা। তাহলে? হ্যাঁ, এর পর এই শব্দের অর্থের হাজারটা বিস্তৃতি হয়েছে। কিছু উদাহরণ তো আগেই দেওয়া হলো।
কিন্তু এর ধাতুমূলে গেলে অর্থ কী দাঁড়ায়? ‘পদ’ শব্দের ধাতুমূল ‘পদ্’, যার অর্থ—গতি, প্রাপ্তি। আচ্ছা পদ্ অর্থ তবে প্রাপ্তিও! এ কারণেই কি কারও সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে পদক দেওয়া হয়? হতে পারে।
পদ নিয়ে আলাপে তো মাথা ঘুরে যাওয়ার জোগাড় দেখা যাচ্ছে। এর থেকে কত শব্দ যে তৈরি হয়েছে, কোনোটার অর্থ ইতি, তো কোনোটা নেতি। পত্রিকার পাতা খুলে যেমন ‘পদস্থ’ কর্মকর্তাদের বিবৃতি, উদ্ধৃতিতে চোখ আটকায়, তেমনি বিরাট অগণন জনতার পদে পদে ‘অপদস্থ’ হওয়ার খবরও তো কম মেলে না। এই যেমন পদস্থরা সিদ্ধান্ত নিলেন, জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা কমানোর সুফল যাত্রী সাধারণের পাওয়া উচিত। ফলে তাঁরা সড়কে প্রতি কিলোমিটারে ৫ পয়সা, আর নৌপথে আরও বড় সুবিধা দিয়ে প্রতি কিলোমিটারে ১৫ পয়সা করে ভাড়া কমালেন। এর মাধ্যমে পদস্থরা কাকে ঠিক অপদস্থ করলেন, ঠিক বোঝা গেল না।
সে যাক। আবার পদে ফেরা যাক। পদ অর্থ চারণ, যা গতি আনে। আর গতিহীনের তো প্রাপ্তি নাই। ফলে পদসঞ্চালন ছাড়া আর গতি কি? ঠিকঠাক ‘পদক্ষেপ’ নিলে জীবন-খাতায় ‘সম্পদ’-এর সংযোজন হয় জানিয়ে কতজনই তো শত পরামর্শ দিয়ে গেলেন। সেসব শুনে কতজন তার দেখা পেল, তার অবশ্য কোনো হিসাব রাখা হয়নি।
এদিকে আবার চোখ রাঙিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শত সতর্কবার্তা। পাহাড়ের ঢাল থেকে পা হড়কালো তো গেল সব। আবার অনেক গুরু ও নমস্য ব্যক্তির ‘পদস্খলন’ বলে দেয়, পা হড়কানো সব সময় পা হড়কানোও নয়, গোটা মানুষটারই হড়কে যাওয়া। সঙ্গে বড় আয়োজনে বা ভূমিকম্পে বা কনসার্টে কিংবা ফি-বছর ধনাঢ্য ব্যক্তিদের জাকাত বা দান-খয়রাতের আয়োজনে পদদলনের ভয় তো আছেই। পা নিয়ে তাই তটস্থ না থেকে উপায় থাকে না।
আবার আছে পাপের ভয়ও। সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় ‘লোটাকম্বল’-এ লিখছেন—পা থেকেই পাপের শুরু। পরে অবশ্য জানা গিয়েছিল ওটা ছিল প্রেমেরও শুরু। কৈশোরে পড়া সে বই প্রেম প্রশ্নে তাই রীতিমতো ধন্ধে ফেলে দিয়েছিল।
পদ নিয়ে টিটকারি বা তির্যক মন্তব্যও কম করা হয় না। ‘পা-চাটা’ বা আরও ভদ্রভাব আনতে ‘পদলেহী’ বলা হলে সেখানে পদের মান থাকে কই। যদিও পদলেহীগণ যুগে যুগে ‘সম্মানিত’ পদস্থদেরই পদলেহন করে এসেছেন। আবার এই পদ-এর সঙ্গে যখন সেবা যোগ করা হয়, তখন কেমন একটা ভক্তিভাব জাগ্রত হয়। এই ভক্তি থেকেই গুরুজনের পদধূলি নেওয়া। দেবতার অর্ঘ্যও তো পায়েই নিবেদন করা হয়। সেখানেই আশ্রয় নেয় ভক্ত। রামপ্রসাদ যেমন শ্যামাসংগীতে বলছেন—পদের মতো পদ পাই তো সে পদ লয়ে বিপদ সারি।
যদি এই পদ আসে ব্যাকরণের আঙিনায়, তবে কারও কারও আবার গা-হিম হয়ে আসে। কারণ, চেনা শব্দগুলো বাক্যে ঢুকে ‘পদ’ নাম নিয়ে কেমন যেন মুখ ভ্যাংচাতে থাকে। কত ধরনের পদ যে আছে—বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া। এই সব পদ সম্পর্কে সম্যক ধারণা নিয়ে যখন কবি বসেন কবিতা লিখতে, তখন তো তিনি নাকি আবার ‘পদ’-ই রচনা করেন। বাংলার প্রাচীন গ্রন্থ চর্যা তো এই পদেরই সমষ্টি। আর যখন আসে শিশুতোষের প্রশ্ন, তখন পদে পদে মিল না দিলে কি আর হয়!
আবার ‘পদ’-যুক্ত একই ধাঁচের শব্দ কত ভিন্ন অর্থ নির্দেশ করে। এই যেমন পদব্রজে কেউ যাচ্ছে শুনলে মনে হয় অনন্ত একটা পথ যেন সামনে। সেখানে কেন, কী, ইত্যাদি প্রশ্ন মাথায় আসে কম। অথচ পদযাত্রা শুনলে মনে হয়, কোনো ঘেরাও-টেরাওয়ের বিষয় আছে নিশ্চয়। প্রশ্ন আসে—কেন পদযাত্রা, কে করছে, কার বিরুদ্ধে। সঙ্গে একটা ঔৎসুক্যও কাজ করে যে, এই পদযাত্রাদল কোথায় গিয়ে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হবে।
তাই এই ‘পদ’ নিয়ে বিপদেই আছে বাঙালি। এই পদকে সে কোথায় রাখবে, তা নিয়ে তার যেন অস্বস্তির সীমা নেই। ‘দেখা হলো ভালোবাসা, বেদনায়’ কবিতায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নিজের বয়ঃসন্ধিকালের বর্ণনা দিতে গিয়ে লিখছেন, ‘এইসব দেখে, শুনে, দৌড়িয়ে, জিরিয়ে।/আমার কণ্ঠস্বর ভাঙে, হাফপ্যান্টের নীচে বেরিয়ে থাকে/একজোড়া বিসদৃশ ঠ্যাং’। নিজের পদযুগল নিয়ে বয়ঃসন্ধির সুনীলের অস্বস্তিটা দৃশ্যমান। বাঙালি যেন বুঝেই পাচ্ছে না, এই পদকে সে কোথায় রাখবে। নিজের পদই যেন তার আপদ হয়ে দেখা দিয়েছে। একে কখনো আদর-কদর করে, তো কখনো ধুর-ছাই করে, যেন সে অস্পৃশ্য। অথচ পদত্যাগ নিয়ে কত আপত্তি, ওজোর, দ্বিপক্ষীয় আলোচনা, আন্দোলন। অথচ পদ আঁকড়ে থাকায় কত জানবাজি। দলে বা প্রশাসনে পদোন্নতির জন্য পদপ্রার্থীদের উচ্চপদস্থদের কত পদসেবা, কখনো কখনো পদলেহন করতে দেখা যায়। কখনো স্বপদে বহাল থাকতেও এমন মহাজাগতিক পদলেহন করতে হয়। তারও দেখা মেলে খবরের ভাঁজে ভাঁজে। সে কথা আর না বলি।
এদিকে পদের পরিধেয় হওয়ার দরুন একই ভাগ্য জুটেছে জুতার কপালে। এই যুগে মোটামুটি সামর্থ্য থাকলেই কেউ জুতার কথা না ভেবে পারে না। শুধু ভাবনা কেন, পরতেও হয়। অথচ কাউকে অপমান করার জন্য জুতাই যেন তার শেষ অবলম্বন হয়ে ওঠে। জুনিয়র বুশের দিকে ছুড়ে দেওয়া জুতার কথা তো মনে আছে? এই দেখে-শুনে বা খবরের কাগজে এর ছবি ও খবর দেখে-পড়ে একেবারে মহাজাগতিক ঢি ঢি পড়ে গেল। সে কথা তো ভুলবার নয়। এই অপমান ও অপমান-উদ্ভূত কষ্ট দুইই তো পায়ের পরিধেয় হওয়ার কারণেই। জুতার মর্যাদা তো গেল শুধু পায়ে স্থান হওয়ার কারণেই।
এই তো কয়েক দিন আগে এই রাজধানীতেই শুরু হওয়া এক শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে গিয়ে এক শিল্পকর্মে জুতার স্থান দেখে চমকে যেতে দেখা গেল কত কত বোদ্ধাদের। অথচ তাঁরা কেউ খালি পায়ে ছিলেন না। কেউ কেউ জুতার প্রতি বেশ যত্নশীল, সেও বোঝা গেল। শিল্পকর্মটা ছিল একটা গোল আয়না ঘিরে বেশ কিছু ছোট-বড় জুতা দিয়ে তৈরি মালার। একটা লকেটের মতোও ছিল। বলা যায়, একটা ফটোফ্রেম। ‘নভেরার খোঁজে’ শীর্ষক সেই প্রদর্শনীতে দীপ্তি দওর এই কাজ যেন অন্য সব সুন্দর-পেলব কাজের মাঝখানে অনাহূত ঢুকে পড়েছে। নভেরাকে খুঁজতে হলে এমন কাজই তো থাকার কথা। কিন্তু ছিল না আর। আর হ্যাঁ ছিলেন শিল্পী প্রিমা, যিনি চমকে দিয়েছিলেন। প্রশ্ন জেগেছিল—সপ্রশ্ন দৃষ্টি ও দৃশ্যায়ন নিয়ে কেন আর কেউ নেই? এককালের ব্রাত্য, দ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত এবং অভিমানে দেশত্যাগ করা নভেরাও কি তবে একটা উপলক্ষ হয়ে উঠছেন শুধু? অর্ঘ্য দেওয়ার ছলে তিনিও তবে বন্দী হচ্ছেন একটু একটু করে বেদির চৌহদ্দিতে? সে যাক এসব অন্য বিষয়। কথা হলো সেই জুতা-সাঁটানো শিল্পকর্মের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিতেই শুরু হলো আরেক ক্রিয়া। বোঝা গেল, অন্যায় হয়ে গেছে। প্রশ্ন জাগল—যতজন এবার আহত বোধ করলেন, ততজন কি ওই শিক্ষকের গলায় জুতার মালা দেখে আহত হয়েছিলেন, প্রতিবাদ করেছিলেন, নাকি জুতার বদলে যদি-কিন্তুর মালা গেঁথেছেন?
এসব আলাপে কাজ নেই, আমরা বরং পদ নিয়ে থাকি।

কিছুদিন ধরেই মাথায় কেবল ‘পদ’ ঘুরছে। এ নিয়ে মনে মনে বিড়ম্বনাও কম নয়। কারণ, পদ নিয়ে বিপদের তো শেষ নেই। এ এক বিরাট আপদ বলা যায়। ভাবুন না, পদধারীদের কত তটস্থ থাকতে হয় পদ হারানোর ভয়ে। পান থেকে চুন খসলেই উঠে যেতে পারে পদত্যাগের দাবি। কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কায় যেমনটা হলো। দেশে দেশে এমনটা তো প্রায়ই হয়। আবার পদপ্রত্যাশীদের থাকতে হয় দুর্ভাবনায়—পাব তো?
পদ কই না থাকে। দেহ বস্তুটি পরিবহনের একমাত্র দায় এই পদ বা পায়ের। আবার খাবার টেবিলেও আছ সে মহাসমারোহে হরেক রকম পদ হয়ে। এমনকি এই যে বাক্যটি লেখা হলো—সেখানেও আছে পদ। ঘরে বা বাইরে হাজারটা সংকট তো বিপদ হয়েই আসে, যেমনটা আসে জঙ্গলে শ্বাপদের ভয়ে। আবার অনাহূত অনেকেই তো মাঝেমধ্যেই ‘আপদ’ শব্দের অর্থ বুঝিয়ে দেয় নিজ গুণে। পদ সত্যিই...।
তা এই পদের অর্থ কী? হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’-এ বলছেন, ‘পদ’ অর্থ চরণ বা পা। তাহলে? হ্যাঁ, এর পর এই শব্দের অর্থের হাজারটা বিস্তৃতি হয়েছে। কিছু উদাহরণ তো আগেই দেওয়া হলো।
কিন্তু এর ধাতুমূলে গেলে অর্থ কী দাঁড়ায়? ‘পদ’ শব্দের ধাতুমূল ‘পদ্’, যার অর্থ—গতি, প্রাপ্তি। আচ্ছা পদ্ অর্থ তবে প্রাপ্তিও! এ কারণেই কি কারও সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে পদক দেওয়া হয়? হতে পারে।
পদ নিয়ে আলাপে তো মাথা ঘুরে যাওয়ার জোগাড় দেখা যাচ্ছে। এর থেকে কত শব্দ যে তৈরি হয়েছে, কোনোটার অর্থ ইতি, তো কোনোটা নেতি। পত্রিকার পাতা খুলে যেমন ‘পদস্থ’ কর্মকর্তাদের বিবৃতি, উদ্ধৃতিতে চোখ আটকায়, তেমনি বিরাট অগণন জনতার পদে পদে ‘অপদস্থ’ হওয়ার খবরও তো কম মেলে না। এই যেমন পদস্থরা সিদ্ধান্ত নিলেন, জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা কমানোর সুফল যাত্রী সাধারণের পাওয়া উচিত। ফলে তাঁরা সড়কে প্রতি কিলোমিটারে ৫ পয়সা, আর নৌপথে আরও বড় সুবিধা দিয়ে প্রতি কিলোমিটারে ১৫ পয়সা করে ভাড়া কমালেন। এর মাধ্যমে পদস্থরা কাকে ঠিক অপদস্থ করলেন, ঠিক বোঝা গেল না।
সে যাক। আবার পদে ফেরা যাক। পদ অর্থ চারণ, যা গতি আনে। আর গতিহীনের তো প্রাপ্তি নাই। ফলে পদসঞ্চালন ছাড়া আর গতি কি? ঠিকঠাক ‘পদক্ষেপ’ নিলে জীবন-খাতায় ‘সম্পদ’-এর সংযোজন হয় জানিয়ে কতজনই তো শত পরামর্শ দিয়ে গেলেন। সেসব শুনে কতজন তার দেখা পেল, তার অবশ্য কোনো হিসাব রাখা হয়নি।
এদিকে আবার চোখ রাঙিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শত সতর্কবার্তা। পাহাড়ের ঢাল থেকে পা হড়কালো তো গেল সব। আবার অনেক গুরু ও নমস্য ব্যক্তির ‘পদস্খলন’ বলে দেয়, পা হড়কানো সব সময় পা হড়কানোও নয়, গোটা মানুষটারই হড়কে যাওয়া। সঙ্গে বড় আয়োজনে বা ভূমিকম্পে বা কনসার্টে কিংবা ফি-বছর ধনাঢ্য ব্যক্তিদের জাকাত বা দান-খয়রাতের আয়োজনে পদদলনের ভয় তো আছেই। পা নিয়ে তাই তটস্থ না থেকে উপায় থাকে না।
আবার আছে পাপের ভয়ও। সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় ‘লোটাকম্বল’-এ লিখছেন—পা থেকেই পাপের শুরু। পরে অবশ্য জানা গিয়েছিল ওটা ছিল প্রেমেরও শুরু। কৈশোরে পড়া সে বই প্রেম প্রশ্নে তাই রীতিমতো ধন্ধে ফেলে দিয়েছিল।
পদ নিয়ে টিটকারি বা তির্যক মন্তব্যও কম করা হয় না। ‘পা-চাটা’ বা আরও ভদ্রভাব আনতে ‘পদলেহী’ বলা হলে সেখানে পদের মান থাকে কই। যদিও পদলেহীগণ যুগে যুগে ‘সম্মানিত’ পদস্থদেরই পদলেহন করে এসেছেন। আবার এই পদ-এর সঙ্গে যখন সেবা যোগ করা হয়, তখন কেমন একটা ভক্তিভাব জাগ্রত হয়। এই ভক্তি থেকেই গুরুজনের পদধূলি নেওয়া। দেবতার অর্ঘ্যও তো পায়েই নিবেদন করা হয়। সেখানেই আশ্রয় নেয় ভক্ত। রামপ্রসাদ যেমন শ্যামাসংগীতে বলছেন—পদের মতো পদ পাই তো সে পদ লয়ে বিপদ সারি।
যদি এই পদ আসে ব্যাকরণের আঙিনায়, তবে কারও কারও আবার গা-হিম হয়ে আসে। কারণ, চেনা শব্দগুলো বাক্যে ঢুকে ‘পদ’ নাম নিয়ে কেমন যেন মুখ ভ্যাংচাতে থাকে। কত ধরনের পদ যে আছে—বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া। এই সব পদ সম্পর্কে সম্যক ধারণা নিয়ে যখন কবি বসেন কবিতা লিখতে, তখন তো তিনি নাকি আবার ‘পদ’-ই রচনা করেন। বাংলার প্রাচীন গ্রন্থ চর্যা তো এই পদেরই সমষ্টি। আর যখন আসে শিশুতোষের প্রশ্ন, তখন পদে পদে মিল না দিলে কি আর হয়!
আবার ‘পদ’-যুক্ত একই ধাঁচের শব্দ কত ভিন্ন অর্থ নির্দেশ করে। এই যেমন পদব্রজে কেউ যাচ্ছে শুনলে মনে হয় অনন্ত একটা পথ যেন সামনে। সেখানে কেন, কী, ইত্যাদি প্রশ্ন মাথায় আসে কম। অথচ পদযাত্রা শুনলে মনে হয়, কোনো ঘেরাও-টেরাওয়ের বিষয় আছে নিশ্চয়। প্রশ্ন আসে—কেন পদযাত্রা, কে করছে, কার বিরুদ্ধে। সঙ্গে একটা ঔৎসুক্যও কাজ করে যে, এই পদযাত্রাদল কোথায় গিয়ে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হবে।
তাই এই ‘পদ’ নিয়ে বিপদেই আছে বাঙালি। এই পদকে সে কোথায় রাখবে, তা নিয়ে তার যেন অস্বস্তির সীমা নেই। ‘দেখা হলো ভালোবাসা, বেদনায়’ কবিতায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নিজের বয়ঃসন্ধিকালের বর্ণনা দিতে গিয়ে লিখছেন, ‘এইসব দেখে, শুনে, দৌড়িয়ে, জিরিয়ে।/আমার কণ্ঠস্বর ভাঙে, হাফপ্যান্টের নীচে বেরিয়ে থাকে/একজোড়া বিসদৃশ ঠ্যাং’। নিজের পদযুগল নিয়ে বয়ঃসন্ধির সুনীলের অস্বস্তিটা দৃশ্যমান। বাঙালি যেন বুঝেই পাচ্ছে না, এই পদকে সে কোথায় রাখবে। নিজের পদই যেন তার আপদ হয়ে দেখা দিয়েছে। একে কখনো আদর-কদর করে, তো কখনো ধুর-ছাই করে, যেন সে অস্পৃশ্য। অথচ পদত্যাগ নিয়ে কত আপত্তি, ওজোর, দ্বিপক্ষীয় আলোচনা, আন্দোলন। অথচ পদ আঁকড়ে থাকায় কত জানবাজি। দলে বা প্রশাসনে পদোন্নতির জন্য পদপ্রার্থীদের উচ্চপদস্থদের কত পদসেবা, কখনো কখনো পদলেহন করতে দেখা যায়। কখনো স্বপদে বহাল থাকতেও এমন মহাজাগতিক পদলেহন করতে হয়। তারও দেখা মেলে খবরের ভাঁজে ভাঁজে। সে কথা আর না বলি।
এদিকে পদের পরিধেয় হওয়ার দরুন একই ভাগ্য জুটেছে জুতার কপালে। এই যুগে মোটামুটি সামর্থ্য থাকলেই কেউ জুতার কথা না ভেবে পারে না। শুধু ভাবনা কেন, পরতেও হয়। অথচ কাউকে অপমান করার জন্য জুতাই যেন তার শেষ অবলম্বন হয়ে ওঠে। জুনিয়র বুশের দিকে ছুড়ে দেওয়া জুতার কথা তো মনে আছে? এই দেখে-শুনে বা খবরের কাগজে এর ছবি ও খবর দেখে-পড়ে একেবারে মহাজাগতিক ঢি ঢি পড়ে গেল। সে কথা তো ভুলবার নয়। এই অপমান ও অপমান-উদ্ভূত কষ্ট দুইই তো পায়ের পরিধেয় হওয়ার কারণেই। জুতার মর্যাদা তো গেল শুধু পায়ে স্থান হওয়ার কারণেই।
এই তো কয়েক দিন আগে এই রাজধানীতেই শুরু হওয়া এক শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে গিয়ে এক শিল্পকর্মে জুতার স্থান দেখে চমকে যেতে দেখা গেল কত কত বোদ্ধাদের। অথচ তাঁরা কেউ খালি পায়ে ছিলেন না। কেউ কেউ জুতার প্রতি বেশ যত্নশীল, সেও বোঝা গেল। শিল্পকর্মটা ছিল একটা গোল আয়না ঘিরে বেশ কিছু ছোট-বড় জুতা দিয়ে তৈরি মালার। একটা লকেটের মতোও ছিল। বলা যায়, একটা ফটোফ্রেম। ‘নভেরার খোঁজে’ শীর্ষক সেই প্রদর্শনীতে দীপ্তি দওর এই কাজ যেন অন্য সব সুন্দর-পেলব কাজের মাঝখানে অনাহূত ঢুকে পড়েছে। নভেরাকে খুঁজতে হলে এমন কাজই তো থাকার কথা। কিন্তু ছিল না আর। আর হ্যাঁ ছিলেন শিল্পী প্রিমা, যিনি চমকে দিয়েছিলেন। প্রশ্ন জেগেছিল—সপ্রশ্ন দৃষ্টি ও দৃশ্যায়ন নিয়ে কেন আর কেউ নেই? এককালের ব্রাত্য, দ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত এবং অভিমানে দেশত্যাগ করা নভেরাও কি তবে একটা উপলক্ষ হয়ে উঠছেন শুধু? অর্ঘ্য দেওয়ার ছলে তিনিও তবে বন্দী হচ্ছেন একটু একটু করে বেদির চৌহদ্দিতে? সে যাক এসব অন্য বিষয়। কথা হলো সেই জুতা-সাঁটানো শিল্পকর্মের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিতেই শুরু হলো আরেক ক্রিয়া। বোঝা গেল, অন্যায় হয়ে গেছে। প্রশ্ন জাগল—যতজন এবার আহত বোধ করলেন, ততজন কি ওই শিক্ষকের গলায় জুতার মালা দেখে আহত হয়েছিলেন, প্রতিবাদ করেছিলেন, নাকি জুতার বদলে যদি-কিন্তুর মালা গেঁথেছেন?
এসব আলাপে কাজ নেই, আমরা বরং পদ নিয়ে থাকি।

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

কিছুদিন ধরেই মাথায় কেবল ‘পদ’ ঘুরছে। এ নিয়ে মনে মনে বিড়ম্বনাও কম নয়। কারণ, পদ নিয়ে বিপদের তো শেষ নেই কোনো। এ এক বিরাট আপদ বলা যায়। ভাবুন না, পদধারীদের কত তটস্থ থাকতে হয় পদ হারানোর ভয়ে। পান থেকে চুন খসলেই উঠে যেতে পারে পদত্যাগের দাবি। কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কায় যেমনটা হলো। দেশে দেশে এমনটা তো প্রায়ই হয়। আব
০২ সেপ্টেম্বর ২০২২
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

কিছুদিন ধরেই মাথায় কেবল ‘পদ’ ঘুরছে। এ নিয়ে মনে মনে বিড়ম্বনাও কম নয়। কারণ, পদ নিয়ে বিপদের তো শেষ নেই কোনো। এ এক বিরাট আপদ বলা যায়। ভাবুন না, পদধারীদের কত তটস্থ থাকতে হয় পদ হারানোর ভয়ে। পান থেকে চুন খসলেই উঠে যেতে পারে পদত্যাগের দাবি। কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কায় যেমনটা হলো। দেশে দেশে এমনটা তো প্রায়ই হয়। আব
০২ সেপ্টেম্বর ২০২২
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

কিছুদিন ধরেই মাথায় কেবল ‘পদ’ ঘুরছে। এ নিয়ে মনে মনে বিড়ম্বনাও কম নয়। কারণ, পদ নিয়ে বিপদের তো শেষ নেই কোনো। এ এক বিরাট আপদ বলা যায়। ভাবুন না, পদধারীদের কত তটস্থ থাকতে হয় পদ হারানোর ভয়ে। পান থেকে চুন খসলেই উঠে যেতে পারে পদত্যাগের দাবি। কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কায় যেমনটা হলো। দেশে দেশে এমনটা তো প্রায়ই হয়। আব
০২ সেপ্টেম্বর ২০২২
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

কিছুদিন ধরেই মাথায় কেবল ‘পদ’ ঘুরছে। এ নিয়ে মনে মনে বিড়ম্বনাও কম নয়। কারণ, পদ নিয়ে বিপদের তো শেষ নেই কোনো। এ এক বিরাট আপদ বলা যায়। ভাবুন না, পদধারীদের কত তটস্থ থাকতে হয় পদ হারানোর ভয়ে। পান থেকে চুন খসলেই উঠে যেতে পারে পদত্যাগের দাবি। কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কায় যেমনটা হলো। দেশে দেশে এমনটা তো প্রায়ই হয়। আব
০২ সেপ্টেম্বর ২০২২
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে