জাহীদ রেজা নূর

আজ আমরা রসিকতা করতে গিয়ে কোনো রাজনৈতিক কটাক্ষ করব না। কোনো গোয়েন্দাকেও ডেকে আনব না আমাদের আসরে। আজকের আলাপ নিষ্পাপ শিশুদের নিয়ে।
রাশিয়ার কৌতুক জগতে ভোভাচ্কা একটি অত্যন্ত প্রিয় নাম। এই ভোভাচ্কাকে নিয়ে একের পর এক কৌতুক তৈরি হচ্ছে বছরের পর বছর। এই কৌতুকগুলো কখনো কখনো শ্লীলতার গণ্ডি পার হয়নি, এ কথা কেউ হলফ করে বলতে পারবে না। বরং অশ্লীল ইঙ্গিত যে কৌতুকগুলোয় আছে, সেগুলোই জনপ্রিয় হয়েছে।
আমাদের দেশে সেই কৌতুকগুলো পরিবেশন করা হলে বিশুদ্ধবাদীরা ক্ষেপে উঠবে। বলবে, পাঠকদের আমরা বিপথে ঠেলে দিচ্ছি! তাই ইচ্ছা না থাকলেও অতিকষ্টে সেই রসিকতা উপহার দেওয়ার চিন্তা সংবরণ করলাম। এখানে ভোভাচ্কাকে নিয়ে কিছু নিষ্পাপ কৌতুকই থাকবে।
ভোভাচ্কা নামে যে ছেলেটির কথা বলা হচ্ছে, তার মূল নাম ভ্লাদিমির। অর্থাৎ, পুরো রুশ দেশে কিংবা সে দেশের বাইরে যত ভ্লাদিমির আছে, তাদের সবাই ছোটবেলায় ভোভাচ্কা নামেই পরিচিত ছিল। তার মানে ভ্লাদিমির ইলিচ বা লেনিন নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ছোটবেলায় ছিলেন ভোভাচ্কা, ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ বা মায়াকোভ্স্কি নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ভোভাচ্কা! ভোভাচ্কা বা ভোভা। ডাকার সুবিধার জন্য এভাবেই ছোট করে দেওয়া হয় নাম।
মারিয়া ইভানোভ্না ভোভাচ্কার শ্রেণিশিক্ষক। যেদিন থেকে ভোভাকে নিয়ে কৌতুক শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই তিনি ভোভাচ্কার শ্রেণিশিক্ষক। তাঁরও বয়স বাড়ে না, ভোভাচ্কারও বয়স বাড়ে না। তাদের নিয়ে ‘নিষ্পাপ’ কৌতুকগুলোর কয়েকটি শুনে রাখুন—
১.
ছোট্ট ভোভাচ্কা ওর বন্ধু ওলিয়াকে ওর পোষা বিড়ালটা দেখাচ্ছে। সেটা দেখে ওলিয়া বলল, ‘কী সুন্দর বিড়াল! তুই কি বিড়ালটা একদিন ধার দিবি? আমাদের বাড়িতে হাজার হাজার ইঁদুর!’
ভোভাচ্কা বলল, ‘না, ধার দিতে পারব না। তুই বরং তোর ইঁদুরগুলোকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আয়!’
২.
ভোভা বলল, ‘বাবা, তুমি কি আমাকে অঙ্কগুলো করে দেবে?’
-না না, সেটা ঠিক হবে না।
-অঙ্ক ঠিক হলো কি না হলো, সে তো পরের ব্যাপার। তুমি আগে চেষ্টা তো করো!
৩.
ভোভাচ্কা ওর শিক্ষককে ফোন করল, ‘মারিয়া ইভানোভ্না, আমি হারিয়ে গেছি। থিয়েটারে যাচ্ছি, কিন্তু বুঝতে পারছি না, থিয়েটারটা কোথায়!’
-কী বলছিস, ভোভা! তুই তো আমাকে বললি, থিয়েটারের পথটা তোর মুখস্থ!
-থিয়েটারের পথটা তো আমার মুখস্থ। কিন্তু আমি এখন কোথায় আছি, সেটাই তো জানি না!
৪.
ভোভাচ্কা মাকে জিজ্ঞেস করল, ‘মা, যে কাজটি আমি করিনি, সে কাজের জন্য কি আমাকে শাস্তি দেওয়া ঠিক হবে?’
-একেবারেই ঠিক হবে না!
-যাক বাবা! বাঁচা গেল। আমি পড়া তৈরি করিনি!
৫.
মুখ গোমড়া করে থাকা ভোভাচকা আর ওলিয়ার দিকে তাকিয়ে শিক্ষক বললেন, ‘বাচ্চারা! তোমরা মুখ গোমড়া করে বসে আছ কেন? খেলতে যাও!’
-এটাই আমাদের খেলা!
-এ আবার কী রকম খেলা?
-আমরা বুড়োবুড়ি খেলছি।
৬.
‘ভোভাচ্কা, কাল সন্ধ্যায় ফ্রিজে দু’টুকরো কেক ছিল। আজ সকালে দেখি, একটা আছে। তুই কি বলতে পারিস, বাকি কেকটা কোথায় গেছে?’
বিগলিত ভোভা বলল, ‘কী বলছ মা! ফ্রিজের ভিতরে ল্যাম্পটা নষ্ট। তাই ফ্রিজের ভেতরটা অন্ধকার। আমি দ্বিতীয় কেকটা দেখতেই পাইনি!’
৭.
মন খারাপ করে ক্লাসটিচার মারিয়া ইভানোভ্না বললেন, ‘ভোভাচ্কা, তোর পড়াশোনার যদি এই হাল হয়, তাহলে তোর বাবার সবগুলো চুল একদিনেই পেকে যাবে!’
ভোভা শিক্ষককে সান্ত্বনা দিয়ে বলল, ‘সে বিষয়ে চিন্তা করবেন না, মারিয়া ইভানোভ্না! আমার বাবা টাকমাথা। তার চুল সাদা হবে না!’
৮.
-হ্যালো, মারিয়া ইভানোভ্না বলছেন? শুনুন, আজ ভোভাচ্কা স্কুলে যাবে না, ওর অসুখ হয়েছে।
-ঠিক আছে। তবে বলুন, আপনি কে বলছেন?
-আমি আমার বাবা বলছি।
৯.
-ভোভাচ্কা, তুই বলতে পারিস, ভোলগা আর মিসিসিপির মধ্যে কোন নদীটা বেশি দীর্ঘ?
-খুব সহজ, মারিয়া ইভানোভ্না, অবশ্যই মিসিসিপি।
-সাব্বাস! কিন্তু তুই কী করে বুঝলি?
-খুব সহজ! ভোলগা তিন অক্ষর দিয়ে লিখি। মিসিসিপি চার অক্ষর।
১০.
ভোভাচ্কা ওর বাবাকে বলল, ‘বাবা, আমাকে একটা ঢোল কিনে দাও!’
বাবা রেগে গিয়ে বললেন, ‘ভোভাচ্কা, আমাকে একটু শান্তিতে থাকতে দে। অফিসে যে চিৎকার-চ্যাঁচামেচি লেগে আছে সারা দিন, তাতে নতুন করে ঢোলের আওয়াজ আমাকে পাগল করে দেবে।’
-না বাবা, তোমার কোনো অসুবিধাই হবে না। তুমি ঘুমিয়ে গেলে আমি ঢোল বাজাব।
১১.
মারিয়া ইভানোভ্না ভোভাচ্কাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘কে বেশি বুদ্ধিমান? মানুষ না পশু?’
-পশু।
-কেন?
-কারণ, আমি যখন আমার কুকুরছানার সঙ্গে কথা বলি, ও সব বুঝতে পারে। আর ও যখন কথা বলে, আমি কিছুই বুঝতে পারি না।
কয়েকটি ফাউ
১২.
মা ভোভাচ্কাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আজকের পরীক্ষায় কটা অঙ্ক ছিল?’
-পনেরোটা।
-কয়টা অঙ্ক ভুল করেছিস?
-মাত্র একটা।
-তার মানে অন্যগুলোর ঠিক উত্তর দিয়েছিস?
-না। ওই একটা অঙ্ক নিয়েই এত ব্যস্ত ছিলাম যে অন্যগুলো দেখারও সময় পাইনি!
১৩.
সাহিত্যের ক্লাসে শিক্ষক ভোভাচ্কাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘ভোভাচ্কা, এটা কি তোর লেখা? সত্যি করে বল তো পুশকিন নিয়ে এই রচনাটা কে লিখে দিয়েছে?’
-বিশ্বাস করুন, আমি জানি না। আমি সকাল সকাল ঘুমিয়ে পড়েছিলাম!
১৪.
মারিয়া ইভানোভ্না জিজ্ঞেস করছেন, ‘তোকে এ রকম সাদা সাদা বিবর্ণ লাগছে কেন ভোভাচ্কা? তোর কি অসুখ করেছে?’
-না, মারিয়া ইভানোভ্না! বহুদিন পর মা আমাকে বাগে পেয়েছিল। আচ্ছাসে দলাইমলাই করে আমাকে পরিষ্কার করে দিয়েছে!
১৫.
মা অবাক হয়ে বললেন, ‘ভোভাচ্কা, তুই কেন একে একে সাতবার দাঁত ব্রাশ করছিস?’
-তুমি যেন সপ্তাহের অন্য ছয় দিন দাঁত পরিষ্কার করার জন্য আমাকে না জ্বালাও, তাই একদিনেই সাত দিনের কাজ করে নিচ্ছি!
১৬.
মারিয়া ইভানোভনা ঘুরছিলেন পার্কে, একটু দূরে দেখলেন, মন খারাপ করে একটা বেঞ্চিতে বসে আছে ভোভাচ্কা।
-ভোভাচ্কা, তোর মন খারাপ কেন?
-আমার পাশে বসুন, মারিয়া ইভানোভ্না। বলছি।
মারিয়া ইভানোভ্না বসলেন ভোভাচ্কার পাশে।
ভোভাচ্কা তখন বলল, ‘এই বেঞ্চিটায় রং করা হয়েছে, মারিয়া ইভানোভ্না। কাঁচা রং!’
১৭.
অঙ্কের ক্লাস। ‘ভোভাচ্কা, ১০০ থেকে ১ নিলে কত থাকে?’
কিছুক্ষণ ভেবে ভোভাচ্কা বলল, ‘শুধু দুটো শূন্য থাকে।’

আজ আমরা রসিকতা করতে গিয়ে কোনো রাজনৈতিক কটাক্ষ করব না। কোনো গোয়েন্দাকেও ডেকে আনব না আমাদের আসরে। আজকের আলাপ নিষ্পাপ শিশুদের নিয়ে।
রাশিয়ার কৌতুক জগতে ভোভাচ্কা একটি অত্যন্ত প্রিয় নাম। এই ভোভাচ্কাকে নিয়ে একের পর এক কৌতুক তৈরি হচ্ছে বছরের পর বছর। এই কৌতুকগুলো কখনো কখনো শ্লীলতার গণ্ডি পার হয়নি, এ কথা কেউ হলফ করে বলতে পারবে না। বরং অশ্লীল ইঙ্গিত যে কৌতুকগুলোয় আছে, সেগুলোই জনপ্রিয় হয়েছে।
আমাদের দেশে সেই কৌতুকগুলো পরিবেশন করা হলে বিশুদ্ধবাদীরা ক্ষেপে উঠবে। বলবে, পাঠকদের আমরা বিপথে ঠেলে দিচ্ছি! তাই ইচ্ছা না থাকলেও অতিকষ্টে সেই রসিকতা উপহার দেওয়ার চিন্তা সংবরণ করলাম। এখানে ভোভাচ্কাকে নিয়ে কিছু নিষ্পাপ কৌতুকই থাকবে।
ভোভাচ্কা নামে যে ছেলেটির কথা বলা হচ্ছে, তার মূল নাম ভ্লাদিমির। অর্থাৎ, পুরো রুশ দেশে কিংবা সে দেশের বাইরে যত ভ্লাদিমির আছে, তাদের সবাই ছোটবেলায় ভোভাচ্কা নামেই পরিচিত ছিল। তার মানে ভ্লাদিমির ইলিচ বা লেনিন নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ছোটবেলায় ছিলেন ভোভাচ্কা, ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ বা মায়াকোভ্স্কি নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ভোভাচ্কা! ভোভাচ্কা বা ভোভা। ডাকার সুবিধার জন্য এভাবেই ছোট করে দেওয়া হয় নাম।
মারিয়া ইভানোভ্না ভোভাচ্কার শ্রেণিশিক্ষক। যেদিন থেকে ভোভাকে নিয়ে কৌতুক শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই তিনি ভোভাচ্কার শ্রেণিশিক্ষক। তাঁরও বয়স বাড়ে না, ভোভাচ্কারও বয়স বাড়ে না। তাদের নিয়ে ‘নিষ্পাপ’ কৌতুকগুলোর কয়েকটি শুনে রাখুন—
১.
ছোট্ট ভোভাচ্কা ওর বন্ধু ওলিয়াকে ওর পোষা বিড়ালটা দেখাচ্ছে। সেটা দেখে ওলিয়া বলল, ‘কী সুন্দর বিড়াল! তুই কি বিড়ালটা একদিন ধার দিবি? আমাদের বাড়িতে হাজার হাজার ইঁদুর!’
ভোভাচ্কা বলল, ‘না, ধার দিতে পারব না। তুই বরং তোর ইঁদুরগুলোকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আয়!’
২.
ভোভা বলল, ‘বাবা, তুমি কি আমাকে অঙ্কগুলো করে দেবে?’
-না না, সেটা ঠিক হবে না।
-অঙ্ক ঠিক হলো কি না হলো, সে তো পরের ব্যাপার। তুমি আগে চেষ্টা তো করো!
৩.
ভোভাচ্কা ওর শিক্ষককে ফোন করল, ‘মারিয়া ইভানোভ্না, আমি হারিয়ে গেছি। থিয়েটারে যাচ্ছি, কিন্তু বুঝতে পারছি না, থিয়েটারটা কোথায়!’
-কী বলছিস, ভোভা! তুই তো আমাকে বললি, থিয়েটারের পথটা তোর মুখস্থ!
-থিয়েটারের পথটা তো আমার মুখস্থ। কিন্তু আমি এখন কোথায় আছি, সেটাই তো জানি না!
৪.
ভোভাচ্কা মাকে জিজ্ঞেস করল, ‘মা, যে কাজটি আমি করিনি, সে কাজের জন্য কি আমাকে শাস্তি দেওয়া ঠিক হবে?’
-একেবারেই ঠিক হবে না!
-যাক বাবা! বাঁচা গেল। আমি পড়া তৈরি করিনি!
৫.
মুখ গোমড়া করে থাকা ভোভাচকা আর ওলিয়ার দিকে তাকিয়ে শিক্ষক বললেন, ‘বাচ্চারা! তোমরা মুখ গোমড়া করে বসে আছ কেন? খেলতে যাও!’
-এটাই আমাদের খেলা!
-এ আবার কী রকম খেলা?
-আমরা বুড়োবুড়ি খেলছি।
৬.
‘ভোভাচ্কা, কাল সন্ধ্যায় ফ্রিজে দু’টুকরো কেক ছিল। আজ সকালে দেখি, একটা আছে। তুই কি বলতে পারিস, বাকি কেকটা কোথায় গেছে?’
বিগলিত ভোভা বলল, ‘কী বলছ মা! ফ্রিজের ভিতরে ল্যাম্পটা নষ্ট। তাই ফ্রিজের ভেতরটা অন্ধকার। আমি দ্বিতীয় কেকটা দেখতেই পাইনি!’
৭.
মন খারাপ করে ক্লাসটিচার মারিয়া ইভানোভ্না বললেন, ‘ভোভাচ্কা, তোর পড়াশোনার যদি এই হাল হয়, তাহলে তোর বাবার সবগুলো চুল একদিনেই পেকে যাবে!’
ভোভা শিক্ষককে সান্ত্বনা দিয়ে বলল, ‘সে বিষয়ে চিন্তা করবেন না, মারিয়া ইভানোভ্না! আমার বাবা টাকমাথা। তার চুল সাদা হবে না!’
৮.
-হ্যালো, মারিয়া ইভানোভ্না বলছেন? শুনুন, আজ ভোভাচ্কা স্কুলে যাবে না, ওর অসুখ হয়েছে।
-ঠিক আছে। তবে বলুন, আপনি কে বলছেন?
-আমি আমার বাবা বলছি।
৯.
-ভোভাচ্কা, তুই বলতে পারিস, ভোলগা আর মিসিসিপির মধ্যে কোন নদীটা বেশি দীর্ঘ?
-খুব সহজ, মারিয়া ইভানোভ্না, অবশ্যই মিসিসিপি।
-সাব্বাস! কিন্তু তুই কী করে বুঝলি?
-খুব সহজ! ভোলগা তিন অক্ষর দিয়ে লিখি। মিসিসিপি চার অক্ষর।
১০.
ভোভাচ্কা ওর বাবাকে বলল, ‘বাবা, আমাকে একটা ঢোল কিনে দাও!’
বাবা রেগে গিয়ে বললেন, ‘ভোভাচ্কা, আমাকে একটু শান্তিতে থাকতে দে। অফিসে যে চিৎকার-চ্যাঁচামেচি লেগে আছে সারা দিন, তাতে নতুন করে ঢোলের আওয়াজ আমাকে পাগল করে দেবে।’
-না বাবা, তোমার কোনো অসুবিধাই হবে না। তুমি ঘুমিয়ে গেলে আমি ঢোল বাজাব।
১১.
মারিয়া ইভানোভ্না ভোভাচ্কাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘কে বেশি বুদ্ধিমান? মানুষ না পশু?’
-পশু।
-কেন?
-কারণ, আমি যখন আমার কুকুরছানার সঙ্গে কথা বলি, ও সব বুঝতে পারে। আর ও যখন কথা বলে, আমি কিছুই বুঝতে পারি না।
কয়েকটি ফাউ
১২.
মা ভোভাচ্কাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আজকের পরীক্ষায় কটা অঙ্ক ছিল?’
-পনেরোটা।
-কয়টা অঙ্ক ভুল করেছিস?
-মাত্র একটা।
-তার মানে অন্যগুলোর ঠিক উত্তর দিয়েছিস?
-না। ওই একটা অঙ্ক নিয়েই এত ব্যস্ত ছিলাম যে অন্যগুলো দেখারও সময় পাইনি!
১৩.
সাহিত্যের ক্লাসে শিক্ষক ভোভাচ্কাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘ভোভাচ্কা, এটা কি তোর লেখা? সত্যি করে বল তো পুশকিন নিয়ে এই রচনাটা কে লিখে দিয়েছে?’
-বিশ্বাস করুন, আমি জানি না। আমি সকাল সকাল ঘুমিয়ে পড়েছিলাম!
১৪.
মারিয়া ইভানোভ্না জিজ্ঞেস করছেন, ‘তোকে এ রকম সাদা সাদা বিবর্ণ লাগছে কেন ভোভাচ্কা? তোর কি অসুখ করেছে?’
-না, মারিয়া ইভানোভ্না! বহুদিন পর মা আমাকে বাগে পেয়েছিল। আচ্ছাসে দলাইমলাই করে আমাকে পরিষ্কার করে দিয়েছে!
১৫.
মা অবাক হয়ে বললেন, ‘ভোভাচ্কা, তুই কেন একে একে সাতবার দাঁত ব্রাশ করছিস?’
-তুমি যেন সপ্তাহের অন্য ছয় দিন দাঁত পরিষ্কার করার জন্য আমাকে না জ্বালাও, তাই একদিনেই সাত দিনের কাজ করে নিচ্ছি!
১৬.
মারিয়া ইভানোভনা ঘুরছিলেন পার্কে, একটু দূরে দেখলেন, মন খারাপ করে একটা বেঞ্চিতে বসে আছে ভোভাচ্কা।
-ভোভাচ্কা, তোর মন খারাপ কেন?
-আমার পাশে বসুন, মারিয়া ইভানোভ্না। বলছি।
মারিয়া ইভানোভ্না বসলেন ভোভাচ্কার পাশে।
ভোভাচ্কা তখন বলল, ‘এই বেঞ্চিটায় রং করা হয়েছে, মারিয়া ইভানোভ্না। কাঁচা রং!’
১৭.
অঙ্কের ক্লাস। ‘ভোভাচ্কা, ১০০ থেকে ১ নিলে কত থাকে?’
কিছুক্ষণ ভেবে ভোভাচ্কা বলল, ‘শুধু দুটো শূন্য থাকে।’
জাহীদ রেজা নূর

আজ আমরা রসিকতা করতে গিয়ে কোনো রাজনৈতিক কটাক্ষ করব না। কোনো গোয়েন্দাকেও ডেকে আনব না আমাদের আসরে। আজকের আলাপ নিষ্পাপ শিশুদের নিয়ে।
রাশিয়ার কৌতুক জগতে ভোভাচ্কা একটি অত্যন্ত প্রিয় নাম। এই ভোভাচ্কাকে নিয়ে একের পর এক কৌতুক তৈরি হচ্ছে বছরের পর বছর। এই কৌতুকগুলো কখনো কখনো শ্লীলতার গণ্ডি পার হয়নি, এ কথা কেউ হলফ করে বলতে পারবে না। বরং অশ্লীল ইঙ্গিত যে কৌতুকগুলোয় আছে, সেগুলোই জনপ্রিয় হয়েছে।
আমাদের দেশে সেই কৌতুকগুলো পরিবেশন করা হলে বিশুদ্ধবাদীরা ক্ষেপে উঠবে। বলবে, পাঠকদের আমরা বিপথে ঠেলে দিচ্ছি! তাই ইচ্ছা না থাকলেও অতিকষ্টে সেই রসিকতা উপহার দেওয়ার চিন্তা সংবরণ করলাম। এখানে ভোভাচ্কাকে নিয়ে কিছু নিষ্পাপ কৌতুকই থাকবে।
ভোভাচ্কা নামে যে ছেলেটির কথা বলা হচ্ছে, তার মূল নাম ভ্লাদিমির। অর্থাৎ, পুরো রুশ দেশে কিংবা সে দেশের বাইরে যত ভ্লাদিমির আছে, তাদের সবাই ছোটবেলায় ভোভাচ্কা নামেই পরিচিত ছিল। তার মানে ভ্লাদিমির ইলিচ বা লেনিন নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ছোটবেলায় ছিলেন ভোভাচ্কা, ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ বা মায়াকোভ্স্কি নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ভোভাচ্কা! ভোভাচ্কা বা ভোভা। ডাকার সুবিধার জন্য এভাবেই ছোট করে দেওয়া হয় নাম।
মারিয়া ইভানোভ্না ভোভাচ্কার শ্রেণিশিক্ষক। যেদিন থেকে ভোভাকে নিয়ে কৌতুক শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই তিনি ভোভাচ্কার শ্রেণিশিক্ষক। তাঁরও বয়স বাড়ে না, ভোভাচ্কারও বয়স বাড়ে না। তাদের নিয়ে ‘নিষ্পাপ’ কৌতুকগুলোর কয়েকটি শুনে রাখুন—
১.
ছোট্ট ভোভাচ্কা ওর বন্ধু ওলিয়াকে ওর পোষা বিড়ালটা দেখাচ্ছে। সেটা দেখে ওলিয়া বলল, ‘কী সুন্দর বিড়াল! তুই কি বিড়ালটা একদিন ধার দিবি? আমাদের বাড়িতে হাজার হাজার ইঁদুর!’
ভোভাচ্কা বলল, ‘না, ধার দিতে পারব না। তুই বরং তোর ইঁদুরগুলোকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আয়!’
২.
ভোভা বলল, ‘বাবা, তুমি কি আমাকে অঙ্কগুলো করে দেবে?’
-না না, সেটা ঠিক হবে না।
-অঙ্ক ঠিক হলো কি না হলো, সে তো পরের ব্যাপার। তুমি আগে চেষ্টা তো করো!
৩.
ভোভাচ্কা ওর শিক্ষককে ফোন করল, ‘মারিয়া ইভানোভ্না, আমি হারিয়ে গেছি। থিয়েটারে যাচ্ছি, কিন্তু বুঝতে পারছি না, থিয়েটারটা কোথায়!’
-কী বলছিস, ভোভা! তুই তো আমাকে বললি, থিয়েটারের পথটা তোর মুখস্থ!
-থিয়েটারের পথটা তো আমার মুখস্থ। কিন্তু আমি এখন কোথায় আছি, সেটাই তো জানি না!
৪.
ভোভাচ্কা মাকে জিজ্ঞেস করল, ‘মা, যে কাজটি আমি করিনি, সে কাজের জন্য কি আমাকে শাস্তি দেওয়া ঠিক হবে?’
-একেবারেই ঠিক হবে না!
-যাক বাবা! বাঁচা গেল। আমি পড়া তৈরি করিনি!
৫.
মুখ গোমড়া করে থাকা ভোভাচকা আর ওলিয়ার দিকে তাকিয়ে শিক্ষক বললেন, ‘বাচ্চারা! তোমরা মুখ গোমড়া করে বসে আছ কেন? খেলতে যাও!’
-এটাই আমাদের খেলা!
-এ আবার কী রকম খেলা?
-আমরা বুড়োবুড়ি খেলছি।
৬.
‘ভোভাচ্কা, কাল সন্ধ্যায় ফ্রিজে দু’টুকরো কেক ছিল। আজ সকালে দেখি, একটা আছে। তুই কি বলতে পারিস, বাকি কেকটা কোথায় গেছে?’
বিগলিত ভোভা বলল, ‘কী বলছ মা! ফ্রিজের ভিতরে ল্যাম্পটা নষ্ট। তাই ফ্রিজের ভেতরটা অন্ধকার। আমি দ্বিতীয় কেকটা দেখতেই পাইনি!’
৭.
মন খারাপ করে ক্লাসটিচার মারিয়া ইভানোভ্না বললেন, ‘ভোভাচ্কা, তোর পড়াশোনার যদি এই হাল হয়, তাহলে তোর বাবার সবগুলো চুল একদিনেই পেকে যাবে!’
ভোভা শিক্ষককে সান্ত্বনা দিয়ে বলল, ‘সে বিষয়ে চিন্তা করবেন না, মারিয়া ইভানোভ্না! আমার বাবা টাকমাথা। তার চুল সাদা হবে না!’
৮.
-হ্যালো, মারিয়া ইভানোভ্না বলছেন? শুনুন, আজ ভোভাচ্কা স্কুলে যাবে না, ওর অসুখ হয়েছে।
-ঠিক আছে। তবে বলুন, আপনি কে বলছেন?
-আমি আমার বাবা বলছি।
৯.
-ভোভাচ্কা, তুই বলতে পারিস, ভোলগা আর মিসিসিপির মধ্যে কোন নদীটা বেশি দীর্ঘ?
-খুব সহজ, মারিয়া ইভানোভ্না, অবশ্যই মিসিসিপি।
-সাব্বাস! কিন্তু তুই কী করে বুঝলি?
-খুব সহজ! ভোলগা তিন অক্ষর দিয়ে লিখি। মিসিসিপি চার অক্ষর।
১০.
ভোভাচ্কা ওর বাবাকে বলল, ‘বাবা, আমাকে একটা ঢোল কিনে দাও!’
বাবা রেগে গিয়ে বললেন, ‘ভোভাচ্কা, আমাকে একটু শান্তিতে থাকতে দে। অফিসে যে চিৎকার-চ্যাঁচামেচি লেগে আছে সারা দিন, তাতে নতুন করে ঢোলের আওয়াজ আমাকে পাগল করে দেবে।’
-না বাবা, তোমার কোনো অসুবিধাই হবে না। তুমি ঘুমিয়ে গেলে আমি ঢোল বাজাব।
১১.
মারিয়া ইভানোভ্না ভোভাচ্কাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘কে বেশি বুদ্ধিমান? মানুষ না পশু?’
-পশু।
-কেন?
-কারণ, আমি যখন আমার কুকুরছানার সঙ্গে কথা বলি, ও সব বুঝতে পারে। আর ও যখন কথা বলে, আমি কিছুই বুঝতে পারি না।
কয়েকটি ফাউ
১২.
মা ভোভাচ্কাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আজকের পরীক্ষায় কটা অঙ্ক ছিল?’
-পনেরোটা।
-কয়টা অঙ্ক ভুল করেছিস?
-মাত্র একটা।
-তার মানে অন্যগুলোর ঠিক উত্তর দিয়েছিস?
-না। ওই একটা অঙ্ক নিয়েই এত ব্যস্ত ছিলাম যে অন্যগুলো দেখারও সময় পাইনি!
১৩.
সাহিত্যের ক্লাসে শিক্ষক ভোভাচ্কাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘ভোভাচ্কা, এটা কি তোর লেখা? সত্যি করে বল তো পুশকিন নিয়ে এই রচনাটা কে লিখে দিয়েছে?’
-বিশ্বাস করুন, আমি জানি না। আমি সকাল সকাল ঘুমিয়ে পড়েছিলাম!
১৪.
মারিয়া ইভানোভ্না জিজ্ঞেস করছেন, ‘তোকে এ রকম সাদা সাদা বিবর্ণ লাগছে কেন ভোভাচ্কা? তোর কি অসুখ করেছে?’
-না, মারিয়া ইভানোভ্না! বহুদিন পর মা আমাকে বাগে পেয়েছিল। আচ্ছাসে দলাইমলাই করে আমাকে পরিষ্কার করে দিয়েছে!
১৫.
মা অবাক হয়ে বললেন, ‘ভোভাচ্কা, তুই কেন একে একে সাতবার দাঁত ব্রাশ করছিস?’
-তুমি যেন সপ্তাহের অন্য ছয় দিন দাঁত পরিষ্কার করার জন্য আমাকে না জ্বালাও, তাই একদিনেই সাত দিনের কাজ করে নিচ্ছি!
১৬.
মারিয়া ইভানোভনা ঘুরছিলেন পার্কে, একটু দূরে দেখলেন, মন খারাপ করে একটা বেঞ্চিতে বসে আছে ভোভাচ্কা।
-ভোভাচ্কা, তোর মন খারাপ কেন?
-আমার পাশে বসুন, মারিয়া ইভানোভ্না। বলছি।
মারিয়া ইভানোভ্না বসলেন ভোভাচ্কার পাশে।
ভোভাচ্কা তখন বলল, ‘এই বেঞ্চিটায় রং করা হয়েছে, মারিয়া ইভানোভ্না। কাঁচা রং!’
১৭.
অঙ্কের ক্লাস। ‘ভোভাচ্কা, ১০০ থেকে ১ নিলে কত থাকে?’
কিছুক্ষণ ভেবে ভোভাচ্কা বলল, ‘শুধু দুটো শূন্য থাকে।’

আজ আমরা রসিকতা করতে গিয়ে কোনো রাজনৈতিক কটাক্ষ করব না। কোনো গোয়েন্দাকেও ডেকে আনব না আমাদের আসরে। আজকের আলাপ নিষ্পাপ শিশুদের নিয়ে।
রাশিয়ার কৌতুক জগতে ভোভাচ্কা একটি অত্যন্ত প্রিয় নাম। এই ভোভাচ্কাকে নিয়ে একের পর এক কৌতুক তৈরি হচ্ছে বছরের পর বছর। এই কৌতুকগুলো কখনো কখনো শ্লীলতার গণ্ডি পার হয়নি, এ কথা কেউ হলফ করে বলতে পারবে না। বরং অশ্লীল ইঙ্গিত যে কৌতুকগুলোয় আছে, সেগুলোই জনপ্রিয় হয়েছে।
আমাদের দেশে সেই কৌতুকগুলো পরিবেশন করা হলে বিশুদ্ধবাদীরা ক্ষেপে উঠবে। বলবে, পাঠকদের আমরা বিপথে ঠেলে দিচ্ছি! তাই ইচ্ছা না থাকলেও অতিকষ্টে সেই রসিকতা উপহার দেওয়ার চিন্তা সংবরণ করলাম। এখানে ভোভাচ্কাকে নিয়ে কিছু নিষ্পাপ কৌতুকই থাকবে।
ভোভাচ্কা নামে যে ছেলেটির কথা বলা হচ্ছে, তার মূল নাম ভ্লাদিমির। অর্থাৎ, পুরো রুশ দেশে কিংবা সে দেশের বাইরে যত ভ্লাদিমির আছে, তাদের সবাই ছোটবেলায় ভোভাচ্কা নামেই পরিচিত ছিল। তার মানে ভ্লাদিমির ইলিচ বা লেনিন নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ছোটবেলায় ছিলেন ভোভাচ্কা, ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ বা মায়াকোভ্স্কি নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ভোভাচ্কা! ভোভাচ্কা বা ভোভা। ডাকার সুবিধার জন্য এভাবেই ছোট করে দেওয়া হয় নাম।
মারিয়া ইভানোভ্না ভোভাচ্কার শ্রেণিশিক্ষক। যেদিন থেকে ভোভাকে নিয়ে কৌতুক শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই তিনি ভোভাচ্কার শ্রেণিশিক্ষক। তাঁরও বয়স বাড়ে না, ভোভাচ্কারও বয়স বাড়ে না। তাদের নিয়ে ‘নিষ্পাপ’ কৌতুকগুলোর কয়েকটি শুনে রাখুন—
১.
ছোট্ট ভোভাচ্কা ওর বন্ধু ওলিয়াকে ওর পোষা বিড়ালটা দেখাচ্ছে। সেটা দেখে ওলিয়া বলল, ‘কী সুন্দর বিড়াল! তুই কি বিড়ালটা একদিন ধার দিবি? আমাদের বাড়িতে হাজার হাজার ইঁদুর!’
ভোভাচ্কা বলল, ‘না, ধার দিতে পারব না। তুই বরং তোর ইঁদুরগুলোকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আয়!’
২.
ভোভা বলল, ‘বাবা, তুমি কি আমাকে অঙ্কগুলো করে দেবে?’
-না না, সেটা ঠিক হবে না।
-অঙ্ক ঠিক হলো কি না হলো, সে তো পরের ব্যাপার। তুমি আগে চেষ্টা তো করো!
৩.
ভোভাচ্কা ওর শিক্ষককে ফোন করল, ‘মারিয়া ইভানোভ্না, আমি হারিয়ে গেছি। থিয়েটারে যাচ্ছি, কিন্তু বুঝতে পারছি না, থিয়েটারটা কোথায়!’
-কী বলছিস, ভোভা! তুই তো আমাকে বললি, থিয়েটারের পথটা তোর মুখস্থ!
-থিয়েটারের পথটা তো আমার মুখস্থ। কিন্তু আমি এখন কোথায় আছি, সেটাই তো জানি না!
৪.
ভোভাচ্কা মাকে জিজ্ঞেস করল, ‘মা, যে কাজটি আমি করিনি, সে কাজের জন্য কি আমাকে শাস্তি দেওয়া ঠিক হবে?’
-একেবারেই ঠিক হবে না!
-যাক বাবা! বাঁচা গেল। আমি পড়া তৈরি করিনি!
৫.
মুখ গোমড়া করে থাকা ভোভাচকা আর ওলিয়ার দিকে তাকিয়ে শিক্ষক বললেন, ‘বাচ্চারা! তোমরা মুখ গোমড়া করে বসে আছ কেন? খেলতে যাও!’
-এটাই আমাদের খেলা!
-এ আবার কী রকম খেলা?
-আমরা বুড়োবুড়ি খেলছি।
৬.
‘ভোভাচ্কা, কাল সন্ধ্যায় ফ্রিজে দু’টুকরো কেক ছিল। আজ সকালে দেখি, একটা আছে। তুই কি বলতে পারিস, বাকি কেকটা কোথায় গেছে?’
বিগলিত ভোভা বলল, ‘কী বলছ মা! ফ্রিজের ভিতরে ল্যাম্পটা নষ্ট। তাই ফ্রিজের ভেতরটা অন্ধকার। আমি দ্বিতীয় কেকটা দেখতেই পাইনি!’
৭.
মন খারাপ করে ক্লাসটিচার মারিয়া ইভানোভ্না বললেন, ‘ভোভাচ্কা, তোর পড়াশোনার যদি এই হাল হয়, তাহলে তোর বাবার সবগুলো চুল একদিনেই পেকে যাবে!’
ভোভা শিক্ষককে সান্ত্বনা দিয়ে বলল, ‘সে বিষয়ে চিন্তা করবেন না, মারিয়া ইভানোভ্না! আমার বাবা টাকমাথা। তার চুল সাদা হবে না!’
৮.
-হ্যালো, মারিয়া ইভানোভ্না বলছেন? শুনুন, আজ ভোভাচ্কা স্কুলে যাবে না, ওর অসুখ হয়েছে।
-ঠিক আছে। তবে বলুন, আপনি কে বলছেন?
-আমি আমার বাবা বলছি।
৯.
-ভোভাচ্কা, তুই বলতে পারিস, ভোলগা আর মিসিসিপির মধ্যে কোন নদীটা বেশি দীর্ঘ?
-খুব সহজ, মারিয়া ইভানোভ্না, অবশ্যই মিসিসিপি।
-সাব্বাস! কিন্তু তুই কী করে বুঝলি?
-খুব সহজ! ভোলগা তিন অক্ষর দিয়ে লিখি। মিসিসিপি চার অক্ষর।
১০.
ভোভাচ্কা ওর বাবাকে বলল, ‘বাবা, আমাকে একটা ঢোল কিনে দাও!’
বাবা রেগে গিয়ে বললেন, ‘ভোভাচ্কা, আমাকে একটু শান্তিতে থাকতে দে। অফিসে যে চিৎকার-চ্যাঁচামেচি লেগে আছে সারা দিন, তাতে নতুন করে ঢোলের আওয়াজ আমাকে পাগল করে দেবে।’
-না বাবা, তোমার কোনো অসুবিধাই হবে না। তুমি ঘুমিয়ে গেলে আমি ঢোল বাজাব।
১১.
মারিয়া ইভানোভ্না ভোভাচ্কাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘কে বেশি বুদ্ধিমান? মানুষ না পশু?’
-পশু।
-কেন?
-কারণ, আমি যখন আমার কুকুরছানার সঙ্গে কথা বলি, ও সব বুঝতে পারে। আর ও যখন কথা বলে, আমি কিছুই বুঝতে পারি না।
কয়েকটি ফাউ
১২.
মা ভোভাচ্কাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আজকের পরীক্ষায় কটা অঙ্ক ছিল?’
-পনেরোটা।
-কয়টা অঙ্ক ভুল করেছিস?
-মাত্র একটা।
-তার মানে অন্যগুলোর ঠিক উত্তর দিয়েছিস?
-না। ওই একটা অঙ্ক নিয়েই এত ব্যস্ত ছিলাম যে অন্যগুলো দেখারও সময় পাইনি!
১৩.
সাহিত্যের ক্লাসে শিক্ষক ভোভাচ্কাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘ভোভাচ্কা, এটা কি তোর লেখা? সত্যি করে বল তো পুশকিন নিয়ে এই রচনাটা কে লিখে দিয়েছে?’
-বিশ্বাস করুন, আমি জানি না। আমি সকাল সকাল ঘুমিয়ে পড়েছিলাম!
১৪.
মারিয়া ইভানোভ্না জিজ্ঞেস করছেন, ‘তোকে এ রকম সাদা সাদা বিবর্ণ লাগছে কেন ভোভাচ্কা? তোর কি অসুখ করেছে?’
-না, মারিয়া ইভানোভ্না! বহুদিন পর মা আমাকে বাগে পেয়েছিল। আচ্ছাসে দলাইমলাই করে আমাকে পরিষ্কার করে দিয়েছে!
১৫.
মা অবাক হয়ে বললেন, ‘ভোভাচ্কা, তুই কেন একে একে সাতবার দাঁত ব্রাশ করছিস?’
-তুমি যেন সপ্তাহের অন্য ছয় দিন দাঁত পরিষ্কার করার জন্য আমাকে না জ্বালাও, তাই একদিনেই সাত দিনের কাজ করে নিচ্ছি!
১৬.
মারিয়া ইভানোভনা ঘুরছিলেন পার্কে, একটু দূরে দেখলেন, মন খারাপ করে একটা বেঞ্চিতে বসে আছে ভোভাচ্কা।
-ভোভাচ্কা, তোর মন খারাপ কেন?
-আমার পাশে বসুন, মারিয়া ইভানোভ্না। বলছি।
মারিয়া ইভানোভ্না বসলেন ভোভাচ্কার পাশে।
ভোভাচ্কা তখন বলল, ‘এই বেঞ্চিটায় রং করা হয়েছে, মারিয়া ইভানোভ্না। কাঁচা রং!’
১৭.
অঙ্কের ক্লাস। ‘ভোভাচ্কা, ১০০ থেকে ১ নিলে কত থাকে?’
কিছুক্ষণ ভেবে ভোভাচ্কা বলল, ‘শুধু দুটো শূন্য থাকে।’

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
২০ ঘণ্টা আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
৯ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

ভোভাচ্কা নামে যে ছেলেটির কথা বলা হচ্ছে, তার মূল নাম ভ্লাদিমির। অর্থাৎ, পুরো রুশ দেশে কিংবা সে দেশের বাইরে যত ভ্লাদিমির আছে, তাদের সবাই ছোটবেলায় ভোভাচ্কা নামেই পরিচিত ছিল। তার মানে ভ্লাদিমির ইলিচ বা লেনিন নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ছোটবেলায় ছিলেন ভোভাচ্কা, ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ বা মায়াকোভ্স্কি নামে যি
১২ নভেম্বর ২০২১
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
৯ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

ভোভাচ্কা নামে যে ছেলেটির কথা বলা হচ্ছে, তার মূল নাম ভ্লাদিমির। অর্থাৎ, পুরো রুশ দেশে কিংবা সে দেশের বাইরে যত ভ্লাদিমির আছে, তাদের সবাই ছোটবেলায় ভোভাচ্কা নামেই পরিচিত ছিল। তার মানে ভ্লাদিমির ইলিচ বা লেনিন নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ছোটবেলায় ছিলেন ভোভাচ্কা, ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ বা মায়াকোভ্স্কি নামে যি
১২ নভেম্বর ২০২১
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
২০ ঘণ্টা আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
৯ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

ভোভাচ্কা নামে যে ছেলেটির কথা বলা হচ্ছে, তার মূল নাম ভ্লাদিমির। অর্থাৎ, পুরো রুশ দেশে কিংবা সে দেশের বাইরে যত ভ্লাদিমির আছে, তাদের সবাই ছোটবেলায় ভোভাচ্কা নামেই পরিচিত ছিল। তার মানে ভ্লাদিমির ইলিচ বা লেনিন নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ছোটবেলায় ছিলেন ভোভাচ্কা, ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ বা মায়াকোভ্স্কি নামে যি
১২ নভেম্বর ২০২১
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
২০ ঘণ্টা আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

ভোভাচ্কা নামে যে ছেলেটির কথা বলা হচ্ছে, তার মূল নাম ভ্লাদিমির। অর্থাৎ, পুরো রুশ দেশে কিংবা সে দেশের বাইরে যত ভ্লাদিমির আছে, তাদের সবাই ছোটবেলায় ভোভাচ্কা নামেই পরিচিত ছিল। তার মানে ভ্লাদিমির ইলিচ বা লেনিন নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ছোটবেলায় ছিলেন ভোভাচ্কা, ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ বা মায়াকোভ্স্কি নামে যি
১২ নভেম্বর ২০২১
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
২০ ঘণ্টা আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
৯ দিন আগে