আজকের দিনটি, মানে ২৩ ডিসেম্বর ইতিহাসের মর্মান্তিক এক ঘটনার সাক্ষী হয়ে আছে। ১৮৮৮ সালের এই দিনে বিখ্যাত ডাচ চিত্রশিল্পী ভিনসেন্ট ভ্যান গঘ নিজের কান কেটে ফেলেছিলেন। কিন্তু কেন এ কাজ করেন তিনি?
মজার ঘটনা হলো, পরবর্তী সময়ে সেলফ পোর্ট্রেট ওইথ ব্যান্ডেজড এয়ার নামে এক ছবিতে ভ্যান গঘ তাঁর কাটা কানের বিষয়টি তুলে ধরেন। ঘটনাটি ঘটার সময় ফ্রান্সের আর্লসে বাস করছিলেন তিনি। গুরুতর বিষণ্নতায় ভোগার কারণে একটি ক্ষুর দিয়ে বাঁ কানের নিচের অংশটি কেটে ফেলেন বলে অনুমান করা হয়।
ভ্যান গঘকে বিবেচনা করা হয় বিশ্বের অন্যতম প্রতিভাধর চিত্রশিল্পী হিসেবে। তাঁর মাস্টারপিসগুলো রেকর্ড ভাঙা সব দামে বিক্রি হয়। তাঁর জীবদ্দশায় তিনি মাত্র একটি চিত্রকর্ম বিক্রি করতে পেরেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই বেশ দারিদ্র্যেয় তাঁর জীবন কাটে।
ভিনসেন্ট ভ্যান গঘ ১৮৫৩ সালের ৩০ মার্চ নেদারল্যান্ডসে জন্ম নেন। বিভিন্ন পেশা ও কাজে ব্যর্থ হয়ে ১৮৮০ সালে তিনি একজন শিল্পী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ওই সময়ে তাঁর করা কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো ‘দ্য পটেটো ইটারস’ (১৮৮৫)।
১৮৮৬ সালে ভ্যান গঘ প্যারিসে চলে আসেন। সেখানে তাঁর ছোট ভাই থিও থাকতেন। থিওর সঙ্গে ভ্যান গঘের বেশ চমৎকার বোঝাপড়া ছিল। আর্ট ডিলার থিও ভাইকে আর্থিকভাবে সাহায্য করার পাশাপাশি কয়েকজন চিত্রশিল্পীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তাঁদের একজন পল গগা।
এখানে অন্যান্য চিত্রশিল্পীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ভ্যান গঘের আঁকায় কিছু পরিবর্তন আসে। তিনি চিত্রকর্মে বেশি রং ব্যবহার করতে শুরু করেন।
১৮৮৮ সালে ভ্যান গঘ ফ্রান্সের দক্ষিণে আর্লসে একটি বাড়ি ভাড়া নেন, যেখানে তিনি শিল্পীদের সঙ্গে আরও বেশি যোগাযোগের আশা করেছিলেন। একই সঙ্গে চাইছিলেন ভাইয়ের বোঝা হয়ে না থাকতে। আর্লসে ভ্যান গঘ তার বিখ্যাত সানফ্লাওয়ার সিরিজসহ গ্রামাঞ্চলেরসহ বিভিন্ন ধরনের দৃশ্য আঁকায় ফুটিয়ে তুলতে থাকেন। গগা এখানে ভ্যান গঘের সঙ্গে বাস করতে আসেন। দুজন প্রায় দুই মাস একসঙ্গে কাজ করেছিলেন।
যদ্দুর জানা যায়, এ সময় কোনো কারণে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ভ্যান গঘের সঙ্গে পল গগার। ২৩ ডিসেম্বর ভ্যান গঘ অনেকটা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ সময় একটি ক্ষুর দিয়ে নিজের কানের লতি কেটে ফেলার পাশাপাশি বন্ধুকে হুমকি দেন।
অবশ্য ভ্যান গঘের কান কাটার কারণ নিয়ে বিস্তর মতভেদ আছে। কেউ কেউ বলেন, ভাই বিয়ে করছেন শুনে কান কাটেন ভ্যান গঘ। প্রচলিত আছে, তিনি কানটি মুড়িয়ে পাশের একটি পতিতালয়ের ওই যৌনকর্মীকে দিয়ে আসেন।
ভ্যান গঘ কানের কতটুকু কেটেছিলেন, সেটা নিয়েও আছে ধোঁয়াশা। পরে অবশ্য এই কান কাটার বিষয় নিয়ে কিছু মনে করতে পারেননি তিনি।
সেই ঘটনার পর ভ্যান গঘকে আর্লসের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর সেন্ট-রেমির একটি মানসিক প্রতিষ্ঠানে এক বছরের বেশি থাকেন। সেন্ট-রেমিতে থাকার সময় উন্মাদনা ও সৃজনশীলতার মধ্যে কাটে তাঁর সময়। সেখানে থাকা অবস্থায় তিনি তাঁর কিছু সেরা এবং সর্বাধিক পরিচিত চিত্রকর্ম আঁকেন, যার মধ্যে রয়েছে ‘দ্য স্টারি নাইট’।
১৮৯০ সালের মে মাসে ভ্যান গঘ প্যারিসের কাছে অভেরস-সুর-অয়েজেে চলে যান, যেখানে হতাশা ও একাকিত্বে জর্জরিত হয়ে দিন কাটতে থাকে তাঁর। ওই বছরের ২৭ জুলাই আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে নিজেকে গুলি করেন। এই আঘাতে দুই দিন পর মৃত্যু হয় তাঁর, এ সময় এই শিল্পীর বয়স হয়েছিল ৩৭ বছর। তবে ঘটনা হলো, মৃত্যুর আগে সেভাবে ভ্যান গঘকে বেশি মানুষ চিনত না, মৃত্যুর পরই তারকা খ্যাতি আসে তাঁর এবং বিশ্ববাসী তাঁকে কালজয়ী এক চিত্রকর হিসেবে চিনতে পারে।
সূত্র: হিস্টরি চ্যানেল, ভ্যান গঘ মিউজিয়াম, সিএনএন
আজকের দিনটি, মানে ২৩ ডিসেম্বর ইতিহাসের মর্মান্তিক এক ঘটনার সাক্ষী হয়ে আছে। ১৮৮৮ সালের এই দিনে বিখ্যাত ডাচ চিত্রশিল্পী ভিনসেন্ট ভ্যান গঘ নিজের কান কেটে ফেলেছিলেন। কিন্তু কেন এ কাজ করেন তিনি?
মজার ঘটনা হলো, পরবর্তী সময়ে সেলফ পোর্ট্রেট ওইথ ব্যান্ডেজড এয়ার নামে এক ছবিতে ভ্যান গঘ তাঁর কাটা কানের বিষয়টি তুলে ধরেন। ঘটনাটি ঘটার সময় ফ্রান্সের আর্লসে বাস করছিলেন তিনি। গুরুতর বিষণ্নতায় ভোগার কারণে একটি ক্ষুর দিয়ে বাঁ কানের নিচের অংশটি কেটে ফেলেন বলে অনুমান করা হয়।
ভ্যান গঘকে বিবেচনা করা হয় বিশ্বের অন্যতম প্রতিভাধর চিত্রশিল্পী হিসেবে। তাঁর মাস্টারপিসগুলো রেকর্ড ভাঙা সব দামে বিক্রি হয়। তাঁর জীবদ্দশায় তিনি মাত্র একটি চিত্রকর্ম বিক্রি করতে পেরেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই বেশ দারিদ্র্যেয় তাঁর জীবন কাটে।
ভিনসেন্ট ভ্যান গঘ ১৮৫৩ সালের ৩০ মার্চ নেদারল্যান্ডসে জন্ম নেন। বিভিন্ন পেশা ও কাজে ব্যর্থ হয়ে ১৮৮০ সালে তিনি একজন শিল্পী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ওই সময়ে তাঁর করা কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো ‘দ্য পটেটো ইটারস’ (১৮৮৫)।
১৮৮৬ সালে ভ্যান গঘ প্যারিসে চলে আসেন। সেখানে তাঁর ছোট ভাই থিও থাকতেন। থিওর সঙ্গে ভ্যান গঘের বেশ চমৎকার বোঝাপড়া ছিল। আর্ট ডিলার থিও ভাইকে আর্থিকভাবে সাহায্য করার পাশাপাশি কয়েকজন চিত্রশিল্পীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তাঁদের একজন পল গগা।
এখানে অন্যান্য চিত্রশিল্পীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ভ্যান গঘের আঁকায় কিছু পরিবর্তন আসে। তিনি চিত্রকর্মে বেশি রং ব্যবহার করতে শুরু করেন।
১৮৮৮ সালে ভ্যান গঘ ফ্রান্সের দক্ষিণে আর্লসে একটি বাড়ি ভাড়া নেন, যেখানে তিনি শিল্পীদের সঙ্গে আরও বেশি যোগাযোগের আশা করেছিলেন। একই সঙ্গে চাইছিলেন ভাইয়ের বোঝা হয়ে না থাকতে। আর্লসে ভ্যান গঘ তার বিখ্যাত সানফ্লাওয়ার সিরিজসহ গ্রামাঞ্চলেরসহ বিভিন্ন ধরনের দৃশ্য আঁকায় ফুটিয়ে তুলতে থাকেন। গগা এখানে ভ্যান গঘের সঙ্গে বাস করতে আসেন। দুজন প্রায় দুই মাস একসঙ্গে কাজ করেছিলেন।
যদ্দুর জানা যায়, এ সময় কোনো কারণে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ভ্যান গঘের সঙ্গে পল গগার। ২৩ ডিসেম্বর ভ্যান গঘ অনেকটা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ সময় একটি ক্ষুর দিয়ে নিজের কানের লতি কেটে ফেলার পাশাপাশি বন্ধুকে হুমকি দেন।
অবশ্য ভ্যান গঘের কান কাটার কারণ নিয়ে বিস্তর মতভেদ আছে। কেউ কেউ বলেন, ভাই বিয়ে করছেন শুনে কান কাটেন ভ্যান গঘ। প্রচলিত আছে, তিনি কানটি মুড়িয়ে পাশের একটি পতিতালয়ের ওই যৌনকর্মীকে দিয়ে আসেন।
ভ্যান গঘ কানের কতটুকু কেটেছিলেন, সেটা নিয়েও আছে ধোঁয়াশা। পরে অবশ্য এই কান কাটার বিষয় নিয়ে কিছু মনে করতে পারেননি তিনি।
সেই ঘটনার পর ভ্যান গঘকে আর্লসের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর সেন্ট-রেমির একটি মানসিক প্রতিষ্ঠানে এক বছরের বেশি থাকেন। সেন্ট-রেমিতে থাকার সময় উন্মাদনা ও সৃজনশীলতার মধ্যে কাটে তাঁর সময়। সেখানে থাকা অবস্থায় তিনি তাঁর কিছু সেরা এবং সর্বাধিক পরিচিত চিত্রকর্ম আঁকেন, যার মধ্যে রয়েছে ‘দ্য স্টারি নাইট’।
১৮৯০ সালের মে মাসে ভ্যান গঘ প্যারিসের কাছে অভেরস-সুর-অয়েজেে চলে যান, যেখানে হতাশা ও একাকিত্বে জর্জরিত হয়ে দিন কাটতে থাকে তাঁর। ওই বছরের ২৭ জুলাই আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে নিজেকে গুলি করেন। এই আঘাতে দুই দিন পর মৃত্যু হয় তাঁর, এ সময় এই শিল্পীর বয়স হয়েছিল ৩৭ বছর। তবে ঘটনা হলো, মৃত্যুর আগে সেভাবে ভ্যান গঘকে বেশি মানুষ চিনত না, মৃত্যুর পরই তারকা খ্যাতি আসে তাঁর এবং বিশ্ববাসী তাঁকে কালজয়ী এক চিত্রকর হিসেবে চিনতে পারে।
সূত্র: হিস্টরি চ্যানেল, ভ্যান গঘ মিউজিয়াম, সিএনএন
সময়টা ১৮৫৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরের সকাল। এক সুসজ্জিত ব্যক্তি সান ফ্রান্সিসকোর ‘দ্য সান ফ্রান্সিসকো ইভনিং বুলেটিনের’ কার্যালয়ে প্রবেশ করে একটি ঘোষণাপত্র জমা দেন, যেখানে নিজেকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট’ বলে ঘোষণা করেন। ওই ব্যক্তি ছিলেন জোশুয়া নর্টন।
৮ দিন আগেআজ ফোর টুয়েন্টি (৪২০) দিবস। সংখ্যাটা পড়েই ভাবছেন প্রতারকদের দিবস আজ? না না। এই ফোর টুয়েন্টি সেই ফোর টুয়েন্টি নয়। পশ্চিমা বিশ্বে এই সংখ্যা গাঁজা সংস্কৃতির কোড ভাষা।
১০ দিন আগেসাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপ ও এশিয়ায় বিপুল পরিমাণে পাচার হচ্ছে বড় আকারের লাখ লাখ পিঁপড়া। ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলোতে এসব পিঁপড়া পোষা প্রাণী হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। আফ্রিকার দেশ কেনিয়া থেকে সম্প্রতি হাজার হাজার জীবন্ত পিঁপড়া পাচারকালে ৪ চোরাকারবারিকে আটক করা হয়েছে।
১৪ দিন আগেগত বছর একটি রাতের অনুষ্ঠানে এক ভ্লগারের ক্যামেরায় অপ্রত্যাশিত এবং অশালীন মন্তব্য করে রাতারাতি ভাইরাল হন হেইলি ওয়েলচ। দ্রুতই ‘হক তুয়াহ’ নামে খ্যাতি পান তিনি। সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন এই তরুণী। তিনি জানিয়েছেন, নিজের নামে চালু করা বিতর্কিত ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করে...
১৬ দিন আগে