রজত কান্তি রায়
ইঙ্গিতটা আগেই এসেছিল, কিন্তু করছি-করব বলে এত দিন করা হয়নি। বারবার মনে হচ্ছিল, কী লাভ? চলছে তো। ভেতর থেকে কোনো প্রেরণা পাচ্ছিলাম না। কিন্তু আসন্ন শীতের আগে প্রেরণা ও প্রণোদনা দুটিই পাওয়া গেল। ফলে কোনো কথা না বলে, কাকপক্ষীকে জানতে না দিয়ে, চন্দ্র-সূর্যকে সাক্ষী রেখে নিজের বডি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে নিলাম। এখন বেশ ঝরঝরে লাগছে। দৌড়াচ্ছিও বেশ। বয়স এক ধাক্কায় কমে গেছে প্রায় পাঁচ বছর। ন্যাজের কাছে যে দু-একটা পাকা চুল ছিল, সেগুলো দেখলাম কালো হয়ে গেছে। দাড়ি তো নেই, তবে গোঁফের সাদা অংশ হাপিস। চোখের ম্রিয়মাণ বুদ্ধিদীপ্ত আভা ফিরে এসেছে পুরোপুরি। বুকের কাছের পশমগুলো দেখলাম সেই ছোটবেলার রোঁয়ার মতো, কোমল। অর্থাৎ, পাঁচ বছর কমে গেছে বয়স। তবে একটা জায়গায় খচখচ করছে কিঞ্চিৎ। বলছি একটু পরেই।
এত দিন জাবনা খেয়ে চালাচ্ছিলাম শরীরটা। খারাপ না। ভুসি কমই জুটত। হলদেটে খড় আর ভাতের মাড়ই জুটত বেশি। ঘাস জোটে খুব কম। সেই কবে, যখন ছোট ছিলাম, শীতের সময় তখন ভীষণ বৃষ্টি হতো। বাঁশঝাড়ে প্রচুর সবুজ বাঁশপাতা পড়ে থাকত। সেগুলো খেতাম। এখন আর খাওয়া হয় না। বাঁশঝাড়গুলো চোখের সামনে শেষ হয়ে ভিটেবাড়ি হয়ে গেল। শীতের সময় পুরোনো পাটের তৈরি বস্তা দিয়ে আমাকে ঢেকে দেওয়া হতো। ওটা ছিল বছরান্তের ফ্যাশন শো। গেল পাঁচ বছরে, না, মানে দশ বছরে কত যে ফিল্ডিং মেরেছি ওই চটের বস্তার পোশাক পরে, তার কোনো হিসেব নেই। সেই জামা দেখেই তো পুব পাড়ার অস্ট্রেলিয়ান গাইয়ের বাছুরটা কাছে ভিড়েছিল। তারপর যা হলো! সে যাকগে।
বলছিলাম যে, খড়কুটো খেয়েই তো দিন যাচ্ছিল। তাই আর অন্য কিছু নিয়ে ভাবিনি। কিন্তু কাল যখন আমার মালিক আর মালকিন গভীর রাতে আলাপ করছিল, লম্বা বেগুন ৯২ টাকা কেজি, এক ফালি মিষ্টি কুমড়া ৪৫ টাকা, একমুঠো পালং শাক ৩০ টাকা। শুধু আলুরই দাম কম। তখন সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেলি। বেচারাদের নিজেদেরই যা অবস্থা, কোন দিন ফ্যানটুকুও বন্ধ হয়ে যায়! সে ভয়েই সিদ্ধান্তটা নিতে হলো। সিদ্ধান্তটা হলো, নিজের বডিটাকে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে নেওয়া। কষ্ট হয়েছিল বটে। কিন্তু মালিক সকালবেলা যখন পত্রিকা পড়ছিল তখন শুনেছি, সব সিএনজিচালিত গাড়িঘোড়া নাকি ডিজেলচালিত হয়ে গেছে। ভাবলাম, গাড়ির হাড় জিরজিরে ঘোড়া যদি বডি বদলে ফেলতে পারে, আমি কেন পারব না? আমি কোন দিকে কম আছি ওই হাড় জিরজিরে ঘোড়ার চেয়ে? তাই কোনো কথা না বলে, কাকপক্ষীকে জানতে না দিয়ে, চন্দ্র-সূর্যকে সাক্ষী রেখে ঘোড়ার হাড় জ্বালিয়ে কালা করে দিতে নিজের দশ বছরের বডিটাকে বদলে ফেললাম। তারপর থেকেই ফুরফুরে লাগছে।
কিন্তু ওই যে বললাম, একটি জায়গায় খচখচ করছে। হ্যাঁ, করছে। যখন আমার বাছুরটা হাম্বা করে আমাকে ডাকছে, তখনই মনে হচ্ছে, আমার বয়স হয়েছিল। এতবার চোখের ইশারায় বলেছি, অমন ডাকিসনে। বডি বদলে বয়স কমিয়েছি বলে জনে জনে বলে বেড়াবি? কে শোনে কার কথা!
এখন হাওয়া ঢুকছে ভর ভর করে। মজা লাগছিল আমার। কেমন সুড়সুড়ি অনুভূতি হচ্ছিল। একটু পরেই হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে অনুভূতিকে পুঁতে দিয়েছি। এখন আরও ভালো লাগছে। ফুরফুরে লাগছে। সাদা চুলবিহীন ন্যাজ এখন এমনিতেই নড়ছে। কেন যে লোকে বলে, ল্যাঞ্জা ইজ ভেরি ডিফিকাল্ট টু হাইড—বুঝি না।
ইঙ্গিতটা আগেই এসেছিল, কিন্তু করছি-করব বলে এত দিন করা হয়নি। বারবার মনে হচ্ছিল, কী লাভ? চলছে তো। ভেতর থেকে কোনো প্রেরণা পাচ্ছিলাম না। কিন্তু আসন্ন শীতের আগে প্রেরণা ও প্রণোদনা দুটিই পাওয়া গেল। ফলে কোনো কথা না বলে, কাকপক্ষীকে জানতে না দিয়ে, চন্দ্র-সূর্যকে সাক্ষী রেখে নিজের বডি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে নিলাম। এখন বেশ ঝরঝরে লাগছে। দৌড়াচ্ছিও বেশ। বয়স এক ধাক্কায় কমে গেছে প্রায় পাঁচ বছর। ন্যাজের কাছে যে দু-একটা পাকা চুল ছিল, সেগুলো দেখলাম কালো হয়ে গেছে। দাড়ি তো নেই, তবে গোঁফের সাদা অংশ হাপিস। চোখের ম্রিয়মাণ বুদ্ধিদীপ্ত আভা ফিরে এসেছে পুরোপুরি। বুকের কাছের পশমগুলো দেখলাম সেই ছোটবেলার রোঁয়ার মতো, কোমল। অর্থাৎ, পাঁচ বছর কমে গেছে বয়স। তবে একটা জায়গায় খচখচ করছে কিঞ্চিৎ। বলছি একটু পরেই।
এত দিন জাবনা খেয়ে চালাচ্ছিলাম শরীরটা। খারাপ না। ভুসি কমই জুটত। হলদেটে খড় আর ভাতের মাড়ই জুটত বেশি। ঘাস জোটে খুব কম। সেই কবে, যখন ছোট ছিলাম, শীতের সময় তখন ভীষণ বৃষ্টি হতো। বাঁশঝাড়ে প্রচুর সবুজ বাঁশপাতা পড়ে থাকত। সেগুলো খেতাম। এখন আর খাওয়া হয় না। বাঁশঝাড়গুলো চোখের সামনে শেষ হয়ে ভিটেবাড়ি হয়ে গেল। শীতের সময় পুরোনো পাটের তৈরি বস্তা দিয়ে আমাকে ঢেকে দেওয়া হতো। ওটা ছিল বছরান্তের ফ্যাশন শো। গেল পাঁচ বছরে, না, মানে দশ বছরে কত যে ফিল্ডিং মেরেছি ওই চটের বস্তার পোশাক পরে, তার কোনো হিসেব নেই। সেই জামা দেখেই তো পুব পাড়ার অস্ট্রেলিয়ান গাইয়ের বাছুরটা কাছে ভিড়েছিল। তারপর যা হলো! সে যাকগে।
বলছিলাম যে, খড়কুটো খেয়েই তো দিন যাচ্ছিল। তাই আর অন্য কিছু নিয়ে ভাবিনি। কিন্তু কাল যখন আমার মালিক আর মালকিন গভীর রাতে আলাপ করছিল, লম্বা বেগুন ৯২ টাকা কেজি, এক ফালি মিষ্টি কুমড়া ৪৫ টাকা, একমুঠো পালং শাক ৩০ টাকা। শুধু আলুরই দাম কম। তখন সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেলি। বেচারাদের নিজেদেরই যা অবস্থা, কোন দিন ফ্যানটুকুও বন্ধ হয়ে যায়! সে ভয়েই সিদ্ধান্তটা নিতে হলো। সিদ্ধান্তটা হলো, নিজের বডিটাকে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে নেওয়া। কষ্ট হয়েছিল বটে। কিন্তু মালিক সকালবেলা যখন পত্রিকা পড়ছিল তখন শুনেছি, সব সিএনজিচালিত গাড়িঘোড়া নাকি ডিজেলচালিত হয়ে গেছে। ভাবলাম, গাড়ির হাড় জিরজিরে ঘোড়া যদি বডি বদলে ফেলতে পারে, আমি কেন পারব না? আমি কোন দিকে কম আছি ওই হাড় জিরজিরে ঘোড়ার চেয়ে? তাই কোনো কথা না বলে, কাকপক্ষীকে জানতে না দিয়ে, চন্দ্র-সূর্যকে সাক্ষী রেখে ঘোড়ার হাড় জ্বালিয়ে কালা করে দিতে নিজের দশ বছরের বডিটাকে বদলে ফেললাম। তারপর থেকেই ফুরফুরে লাগছে।
কিন্তু ওই যে বললাম, একটি জায়গায় খচখচ করছে। হ্যাঁ, করছে। যখন আমার বাছুরটা হাম্বা করে আমাকে ডাকছে, তখনই মনে হচ্ছে, আমার বয়স হয়েছিল। এতবার চোখের ইশারায় বলেছি, অমন ডাকিসনে। বডি বদলে বয়স কমিয়েছি বলে জনে জনে বলে বেড়াবি? কে শোনে কার কথা!
এখন হাওয়া ঢুকছে ভর ভর করে। মজা লাগছিল আমার। কেমন সুড়সুড়ি অনুভূতি হচ্ছিল। একটু পরেই হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে অনুভূতিকে পুঁতে দিয়েছি। এখন আরও ভালো লাগছে। ফুরফুরে লাগছে। সাদা চুলবিহীন ন্যাজ এখন এমনিতেই নড়ছে। কেন যে লোকে বলে, ল্যাঞ্জা ইজ ভেরি ডিফিকাল্ট টু হাইড—বুঝি না।
চুরি গেছে গাড়ি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন যুক্তরাজ্যের এক দম্পতি। তথ্যপ্রযুক্তির বদৌলতে গাড়ি কোথায় আছে সে তথ্য বের করে ফেলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ এতটাই ‘ব্যস্ত’ যে, কোথায় আছে গাড়িটি সে তথ্য থাকার পর এ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া সময় বা সুযোগ তাদের নেই। এ অবস্থা দেখে গাড়ি উদ্ধারে নিজেরাই
১২ দিন আগেসাইপ্রাসের লিমাসলের বাসিন্দা লিউবভ সিরিকের (২০) একটি অদ্ভুত খাদ্যাভ্যাস সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচিত হয়েছে। বেশির ভাগ মানুষ চা পান করতে ভালোবাসেন, কিন্তু মার্কেটিং ব্র্যান্ড ম্যানেজার হিসেবে কাজ করা লিউবভ পছন্দ করেন চা-পাতা ও টি-ব্যাগ। তাঁর মতে, এটি ‘সুস্বাদু’ এবং তিনি দিনে দুবার...
১৬ মে ২০২৫সময়টা ১৮৫৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরের সকাল। এক সুসজ্জিত ব্যক্তি সান ফ্রান্সিসকোর ‘দ্য সান ফ্রান্সিসকো ইভনিং বুলেটিনের’ কার্যালয়ে প্রবেশ করে একটি ঘোষণাপত্র জমা দেন, যেখানে নিজেকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট’ বলে ঘোষণা করেন। ওই ব্যক্তি ছিলেন জোশুয়া নর্টন।
২২ এপ্রিল ২০২৫আজ ফোর টুয়েন্টি (৪২০) দিবস। সংখ্যাটা পড়েই ভাবছেন প্রতারকদের দিবস আজ? না না। এই ফোর টুয়েন্টি সেই ফোর টুয়েন্টি নয়। পশ্চিমা বিশ্বে এই সংখ্যা গাঁজা সংস্কৃতির কোড ভাষা।
২০ এপ্রিল ২০২৫