শৈত্যপ্রবাহ

টানা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর কয়েক দিন বিরতি দিয়ে সাত দিন ধরে পঞ্চগড়ে চলছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল বুধবারও তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

দেশজুড়ে তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছে। কমে এসেছে শীতের প্রকোপ। আজ বুধবারও দেশের পাঁচ জেলায় যে শৈত্যপ্রবাহ বইছিল, তা প্রশমিত হওয়ার পাশাপাশি আগামী তিন দিন দেশজুড়ে বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

আবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ও শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুর। গত সোমবার তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও গত ৪৮ঘন্টায় দিনাজপুরের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রোদের দেখা মিললেও আজ বুধবার সকাল থেকেই উত্তরে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট এই তিন বিভাগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিরও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

নীলফামারীতে কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহে বেড়ে গেছে ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু-বৃদ্ধরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ওমেদুল হাসান সম্রাট আজকের পত্রিকাকে জানান, শীতের কারণে হঠাৎ করেই ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ

কুয়াশা নেই। সময়মতোই সূর্য উঠছে। আবার নিয়ম মেনে ডুবছেও। কিন্তু সূর্যের তেমন কোনো তেজ নেই। তাতেই অনুভূত হচ্ছে শীত। সেই শীতকে আরও তীব্র করে তুলছে ঘণ্টায় বয়ে চলা ৯ থেকে ১০ কিলোমিটার গতিবেগের বাতাস।

সময় যত গড়াচ্ছে, মাঘের শীত যেন দেশজুড়ে আরও জেঁকে বসছে। মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে উত্তরবঙ্গসহ দেশের ১১টি জেলার মানুষ কাবু হয়ে পড়েছে। তীব্র শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন

দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা নীলফামারীতে টানা চার দিনের শৈত্যপ্রবাহে বিপাকে পড়েছেন জেলার মানুষ ও গবাদিপশু। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। চাহিদা বাড়ায় বাজারে বৈদ্যুতিক দেখা দিয়েছে রুম হিটারের সংকট। নিম্ন আয়ের মানুষেরা তাঁদের গৃহপালিত পশুগুলোকে চটের বস্তা দিয়ে ঢেক

পঞ্চগড়ে গত তিন দিন ধরে বইছে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ। আজ রোববার তাপমাত্রা আবার কমেছে। সকালে তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ মৌসুমে এটা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

গত দুই দিন ধরে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এতে কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন মানুষ। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষেরা দুর্ভোগে পড়েছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে বইছে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ। আজ শনিবার সকাল ৯টায় লালমনিরহাটে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে রাজারহাট আবহাওয়া অফিস। কুড়িগ্রামেও আজ সকাল ৯টায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে রাজারহাট আবহাওয়া অফিস। 

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ চলায় উপজেলার খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছেন। অনেকে সাধ্য মতে গরম কাপড় কিনতে পারছেন না। এ কারণে ফুটপাত থেকে কমদামের কাপড় কিনে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

মাঘের শীতে এমনিতেই কাহিল মানুষ। এর মধ্যে গত দুই-তিন দিন বৃষ্টির পর দেশজুড়ে আরও জেঁকে বসেছে শীত। গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলা এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শীতের প্রকোপ আরও বাড়তে পারে, কমতে

কুড়িগ্রামে বইছে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ। তবে আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেই তাপমাত্রা বইছে কুড়িগ্রামের বাতাসে। এটিই আজ বাংলাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার...

শীতের ভরা মৌসুমে হঠাৎ বৃষ্টি। বৃষ্টির কবলে পড়ে দুর্ভোগে পড়েছেন রাজধানীবাসী। জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষেরা ঘরে ফিরেছেন কাক ভেজা হয়ে। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে নগরবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বৃষ্টির কারণে যানবাহনের গতি কমেছে।

রাজশাহীতে শৈত্যপ্রবাহ কাটলেও বাড়ে নি তাপমাত্রা। ফলে শীতও কমেনি। দিনের বেশির ভাগ সময়ই রাজশাহীতে সূর্যের দেখা না পাওয়া যায় না। এ কারণে শিগগিরই শীত কমছে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আর কনকনে শীতের কারণে শহরে মানুষের চলাচলও কিছুটা কম

হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় দেশজুড়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। রাজশাহীসহ উত্তরবঙ্গের পাবনা, নওগাঁ ও কুড়িগ্রামে জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এদিকে রংপুর, ময়মনসিংহ...