পেশা

ইদ্রিছ আলীর পেশা ছিল বড়শি দিয়ে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করা। এভাবেই তাঁর সংসার চলত। তবে এই পেশা ছেড়ে সম্প্রতি তিনি সাপ ধরার মতো ভয়ংকর পেশা বেছে নিয়েছেন। এতে আর্থিকভাবে খুব বেশি লাভবান না হলেও খুব আনন্দ পাচ্ছেন তিনি। সেই সঙ্গে এলাকাবাসীকে সাপের ভয় থেকে মুক্তি দেওয়ার আনন্দও রয়েছে এই পেশায়। তবে শুরুটা হয়ে

প্রায় ৫০ বছর ধরে অন্যের জুতা-স্যান্ডেল মেরামত করলেও হয়নি গোপী দাসের ভাগ্যের পরিবর্তন। রাস্তার পাশের ফুটপাতে বছরের পর বছর বাক্স নিয়ে বসে আছেন তিনি। বয়স আশির কোটায়।

নিষেধাজ্ঞার কারণে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ। একদিকে পুনর্বাসনের চাল না পাওয়া, অন্যদিকে বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) সুদসহ ঋণের টাকার চিন্তায় বিপাকে ভোলার জেলেরা। পরিবার নিয়ে অভাব-অনটনে দিন কাটানো জেলেরা বাধ্য হয়ে পেশা পরিবর্তনে ঝুঁকছেন। ইতিমধ্যে অনেকে বিকল্প পেশা খুঁজে নিয়েছেন।

বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলির শহর ঢাকা। হরেক রকমের মানুষের বাস এ শহরে। তাঁদের পেশাও হরেক রকম। আবার কেউ মৌসুমের সঙ্গে পেশাও বদলে ফেলেন। এমনই কয়েকটি পেশার মানুষের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।

পেশায় রংমিস্ত্রির সহকারী ছিলেন আব্দুল করিম। সহকারী হলেও কাজের যন্ত্রপাতি ছিল করিমের। কিন্তু তারপরও মিস্ত্রি মনির তাঁকে কম মজুরি দিত। তাই তাঁর সঙ্গে কাজে যেতে আপত্তি জানায় করিম। আর এতেই প্রাণ দিতে হলো করিমকে।

গৃহকর্মীদের পেশার স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অভিবাসী মহিলা শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশন (বমসা)। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত অ্যাডভোকেসি মিটিং ফর ডোমেস্টিক ওয়ার্কার্স রাইট শীর্ষক কর্মশালায় এ দাবি তোলা হয়। 

নগর-পরিকল্পনায় পেশাজীবী এবং সাংবাদিকদের বলিষ্ঠ ভূমিকার মাধ্যমে টেকসই নগর বিনির্মাণ ও নগর এলাকার নানাবিধ সমস্যার কার্যকর সমাধান সম্ভব। এ ছাড়া ওয়ার্ডভিত্তিক নগর-পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই নগর গড়ে তোলা সম্ভব।

পারিবারিকভাবে বিয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ঘটক। আর এই চরিত্রের কথা উঠলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বয়স্ক একজনের দৃশ্য। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রংপুরের রিদওয়ান নুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয় পাস করে এই যুবক পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন ঘটকের কাজ।

রাস্তার ময়লা আবর্জনা থেকে স্বর্ণ সংগ্রহ করাই পেশা ‘রতন সন্ধানী’ কামাল ব্যাপারীর। ২০ বছর হলো বিচিত্র এ পেশায় যুক্ত করেছেন নিজেকে। তাই তো নিজ জেলার গণ্ডি পেরিয়ে কখনো পাবনা, কখনো সিরাজগঞ্জ, কিংবা কুড়িগ্রামে। এভাবে রাস্তার ময়লা খুঁটে জীবনসংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যতিক্রমী পেশার এ মানুষ। 

১৫ হাজার টাকা বেতনে উত্তরার একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় চাকরি করতেন মোজাম্মেল হোসেন। চালাতেন পাঁচজনের সংসার। কিন্তু মহামারি শুরুর পর লকডাউনের ধাক্কায় বন্ধ হয়ে যায় সব রেস্তোরাঁ। চাকরি চলে যায় মোজাম্মেলেরও।

এক সময় খরস্রোতা নদীতে নৌকা চালানোই ছিল পাটনি সম্প্রদায়ের একমাত্র পেশা। কালের বিবর্তনে মরে যাচ্ছে নদী। তাই জীবিকার তাগিদে পেশা পাল্টাতে বাধ্য হচ্ছেন পাটনি সম্প্রদায়ের লোকেরা।