
‘পানি নাই বলে শুকনা জায়গায় মাটি খুঁড়ে পাট জাগ দিচ্ছি। এই বছর বৃষ্টির কোনো দেহা পালাম না। কষ্ট করে লাগানো ফসল এভাবে নষ্ট হবে ভাবি নাই। এই পাট নিয়ে আমার ছাওয়াল (ছেলে) ও আমি অনেক কষ্ট করতেছি। হাটে বিক্রি করে সেই দাম উঠবে না।’

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই মাঠের পর মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে পাটখেত। পাট কাটার উপযোগী হলেও পানির অভাবে বেশির ভাগ জমির পাট কাটা শুরু হয়নি। বৃষ্টি না হওয়ায় খাল, বিল, ডোবায় পানি জমেনি। রোদে পাট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেকে পাট কেটে জমিতেই রেখে দিচ্ছেন। অপেক্ষা করছেন বৃষ্টির জন্য।

নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের একটি পাটের গুদামে আগুন লেগে পুড়ে গেছে রপ্তানির জন্য রাখা বিপুল পরিমাণ পাট। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে গুদামের ৬/এ সেকশনে আগুন লাগে।

নদী-নালা-খাল-বিলে পানি না থাকায় বিপাকে পড়েছেন জামালপুরের পাটচাষিরা। এ ছাড়া ভরা মৌসুমেও বৃষ্টি না হওয়ায় পাটের ফলন কিছুটা কমে গেছে বলে দাবি তাঁদের। কৃষকেরা জানিয়েছেন, দাবদাহ আর পানির অভাবে খেতেই অনেক পাট পুড়ে গেছে। বাকি যেটুকু আছে সেটুকু খেত থেকে কেটে শ্রমিক আর পরিবহন খরচ মেটাতেই হিমশিম খেতে হবে কৃষকক