নৌরুট

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে পবিত্র ঈদ-উল-আজহা সামনে রেখে রাজধানী ছেড়ে আসা ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের ঘাটে আসা মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে

ঈদকে সামনে রেখে আজ শনিবার সকাল থেকেই ঘরমুখী মানুষের ভিড় বেড়েছে। শিবচরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে।

টানা ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের পর বৃহস্পতিবার ভোর থেকে উভয়মুখী যাত্রী ও যানবাহনের ভিড় বেড়েছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। ভোর থেকেই ঢাকামুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় ও আসন্ন কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে দক্ষিণবঙ্গগামী বাড়ি ফেরা মানুষ ও যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে

কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে আজও ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে মানুষ। মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌরুটে বিআইডব্লিউটিসির ঘোষণা উপেক্ষা করে চতুর্থ দিনে ঘরমুখো মানুষ পদ্মা পার হচ্ছে

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে মানবিক কারণ ছাড়া কোন যাত্রীবাহী যানবাহন ফেরিতে উঠতে দিচ্ছে না ঘাটে দায়িত্বরত থাকা ট্রাফিক পুলিশসহ সংশ্লিষ্টরা। ফলে সাধারণ যাত্রীবাহী প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ ছোট যানবাহন ফেরিতে পারাপার বন্ধ রয়েছে

লঞ্চ বন্ধ থাকায় আজ সকাল থেকেই ফেরিতে রয়েছে যাত্রীদের ভিড়। যাত্রী প্রতি পঁচিশ টাকা করে ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের ফেরিতে ওঠানো হচ্ছে। তবে ঘাটে যানবাহনের তেমন কোনো চাপ নেই। নৌরুটে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। 

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে লঞ্চ এবং বুধবার ভোর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে। তবে ঝড়ের প্রভাব কেটে গেলেও পরবর্তী নির্দেশনা না আসায় এখনো বন্ধ রয়েছে নৌযান চলাচল

সোমবার সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু করায় যাত্রীরা ফেরির পাশাপাশি লঞ্চে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন। ফলে ফেরিতে কমে এসেছে যাত্রী চাপ আর গাদাগাদি অবস্থা। যাত্রীদের বেশির ভাগই লঞ্চে পার হচ্ছে