
রাজশাহীর তানোরে শিশু সাজিদ যে গর্তে পড়ে গিয়েছিল, সেই গর্তের গভীরতা ছিল ৩০-৩৫ ফুট। এমনটা বলা হচ্ছিল এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৪৫ ফুট পর্যন্ত খোঁড়া হয়। তখনো মেলে না সাজিদের সন্ধান। তবে থামেনি উদ্ধারকাজ। অবশেষে রাত ৯টার দিকে তার সন্ধান মেলে।

৩২ ঘণ্টার চেষ্টায় উদ্ধারের পরও রাজশাহীর তানোরে নলকূপের গভীর গর্তে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদ হোসেনকে বাঁচানো গেল না। তানোর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

রাজশাহীর তানোরে নলকূপের গভীর গর্তে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদ হোসেনকে ৩২ ঘণ্টার চেষ্টায় উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উদ্ধারের পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম

রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কছির উদ্দিন সেচের জন্য গভীর নলকূপ বসাতে পরপর তিনটি স্থান খনন করেছিলেন। কিন্তু কোথাও পানি না পেয়ে নলকূপ বসাতে পারেননি। পরিত্যক্ত অবস্থায় গর্তগুলো ফেলে রেখেছিলেন। এর একটিতে পড়ে গেছে ২ বছরের শিশু সাজিদ।