ঝুঁকিপূর্ণ

আগৈলঝাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে নির্মাণ করা হয় ২২টি কমিউনিটি ক্লিনিক। এগুলোর বেশির ভাগ এখন ঝুঁকিপূর্ণ।

ডুমুরিয়ায় ভদ্রা নদীর ওপর নির্মিত শোভনা-ভদ্রদিয়া কাঠের সেতুটি যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এতে যেকোনো সময় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তবে শোভনা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান বলছেন, অতি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে।

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার জলাবাড়ী ইউনিয়নের নাপিতখালি খালের ওপর নির্মিত লোহার সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ কারণে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ ‘সাবধান ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ’ লেখা সংবলিত একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছে।

তারাগঞ্জ উপজেলার উত্তর রহিমাপুর মুক্তিযোদ্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির একমাত্র ভবনের তিনটি কক্ষ জরাজীর্ণ। দেয়ালে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ছাদ ও ভবনের বিমের পলেস্তারা খসে পড়ছে। এমন অবস্থায় ঝুঁকি নিয়েই চলছে পাঠদান। শুধু শিক্ষার্থীরাই নয় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করাতে গিয়ে শিক্ষকেরাও পড়ছেন বিড়ম্বনায়।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে একটি নির্মাণাধীন সেতু ভেঙে বালুবোঝায় ট্রাক নদীতে পড়ে গেছে। গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চিত্রা নদীর চাপরাইল বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকার হাজারো মানুষ। ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা ভাঙা সেতু পারাপার হচ্ছেন।

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই ভবনেই শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করতে হচ্ছে। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ঝালকাঠির সড়ক ও অলিগলিতে বৈদ্যুতিক ও টেলিফোনের খুঁটিতে ডিশ ও ইন্টারনেটের তারের জঞ্জাল। প্রায়ই শর্টসার্কিটে খুঁটিতে আগুন লেগে যায়। ঝুঁকিপূর্ণভাবে প্যাঁচানো তারে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। প্রভাবশালী ডিশ ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা এ বিষয়ে কোথাও অভিযোগ দিতেও সাহস পান না। পৌরসভা

জানা যায়, আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশা নবযুগ গ্রামের জামাল হোসেন বেপারীর দোকান সংলগ্ন শিমুল ভাঙার খালের ওপর ২০০১ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে নির্মিত সেতুটি দশ বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পরে রয়েছে।

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ৪ লক্ষাধিক মানুষের একমাত্র সরকারি চিকিৎসালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের ভবনটি এখন নিজেই রুগ্‌ণ হয়ে পড়েছে। ভবনটির দেওয়াল ও পিলারে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। খসে পড়ছে ছাদের অংশ ও দেওয়ালের পলেস্তারা।

পিরোজপুরের কাউখালীতে কাউখালী-ভিটাবাড়িয়া সংযোগ সড়কের ৫ কিলোমিটারে ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সেগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলাচল করছে এলাকাবাসী।

বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের পশ্চিম মলুহার ও বিশারকান্দি ইউনিয়নের উমারেরপাড় সংযোগ খালে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই ভরসা। বছরের পর বছর ধরে দুই গ্রামের মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এখানে একটি সেতু বানানোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসীর।

জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকির মধ্যে চলছে যশোরের কেশবপুর উপজেলা পোস্ট অফিসের কার্যক্রম। ছাদের ভীমে ফাটল ও পলেস্তারা খসে পড়া একটি কক্ষে পোস্ট মাস্টার, পোস্টাল অপারেটর ও পোস্টম্যানেরা ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছেন। এ অবস্থায় ভবনটির সংস্কার কিংবা পোস্ট অফিসের জন্য নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এখানকার কর্মকর্তা-কর্ম

পাইকগাছার সোলাদানা ইউনিয়নের কুচিয়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি খসে পড়ছে। নদীর লবণপানির কারণেই মূলত সেতুটির প্লাস্টার খসে পড়ছে এবং কঙ্কালসারে পরিণত হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতু দিয়েই প্রতিদিন চার গ্রামের হাজারো মানুষ চলাচল করছে।

বাগেরহাটের শরণখোলায় ফাটল ধরা একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫৩টি শিশুর নিয়মিত পাঠদান চলছে। বিদ্যালয়টির ভবন ঘেঁষে বেড়িবাঁধ করায় মাটির চাপে ফাটল ধরেছে ভবনের বিভিন্ন অংশে। ফাটল ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় তিনটি শ্রেণিকক্ষের একটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

দুই বছর আগে একটি স্ল্যাব ও দুটি গার্ডারে ফাটল ধরে। সেতুতে ভারী যানবাহন উঠলেই কাঁপত। তাই দেড় বছর আগে যান পারাপার বন্ধের জন্য বিপজ্জনক সাইনবোর্ড দেওয়া হয়। তাতেও কাজ হয়নি।

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে একটি মাদ্রাসায় ক্লাস চলাকালে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের পাটকিয়াবাড়ী দাখিল মাদ্রাসায় গত মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। তবে, এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ঘটনার পর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান না করে বাইরে খোলা আকাশে

ছোট ফেনী নদীর এক পারে ফেনী সদরের পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন, অন্য পারে দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন। এই নদী পাড়ি দিয়েই দুই পাশের প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে হয়। নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে এলেও লাভ হচ্ছে না। তাই নদী পার হয়ে জেলা সদরে যাতায়াতে একমা