চাষ

পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের কৃষক আলমগীর গাজী (৫২)। নিজের জমি ছাড়াও অন্যের জমিতে চুক্তিতে পাওয়ার টিলার (ট্রাক্টর) দিয়ে চাষ করে থাকেন। হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় আগের চুক্তিতে নেওয়া জমি চাষ নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। একদিকে জমির মালিক চুক্তির বাইরে অতিরিক্ত টাকা দিতে রাজি হচ্ছে না, অন্যদিকে দ

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় পতিত জমিতে প্রথমবারের মতো পানিকচু চাষে সফল হয়েছেন আলী হোসেন। ৩৫ শতক জমিতে উন্নত জাতের পানিকচু চাষে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। কৃষি বিভাগ জানায়, এই এলাকায় প্রথমবারের মতো পানিকচুর চাষ হয়েছে। এ সফলতা দেখে অন্য চাষিদের কচু চাষে আগ্রহ বেড়েছে।

রংপুরের কাউনিয়ায় জনপ্রিয়তা পায়নি পাটের রিবন রেটিং পদ্ধতি। ফলে সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দেওয়ার প্রচলন রয়ে গেছে এখানে। এতে পরিবেশের ক্ষতি শুধু নয়, মানসম্মত আঁশ উৎপাদন করতে না পেরে দামেও ঠকছেন চাষিরা।

অধিক লাভের আশায় তিন ধরনের সবজি চাষ করছেন তিনি। এ কারণে সাড়ে ছয় বিঘা জমির পাঁচ বিঘাতে ধান চাষ করলেও দেড় বিঘা জমিতে শসা, করলা ও তরমুজের চাষ করছেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে ‘পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য’ এবং ‘খাদ্যনিরাপত্তা’ কর্মসূচির আওতায় এ কাজ করেছেন জয়পুরহাট সদর উপজেলার কোমর গ্রামের কৃষক ওয়ারেছ। একসঙ্গ

পটিয়ার পাহাড়জুড়ে এখন শুধু পেয়ারা আর পেয়ারা! দেশেই নয়, এ পেয়ারার কদর রয়েছে বিদেশেও। কেলিশহরের কাজী পেয়ারা ও কাঞ্চননগরের পেয়ারায় ছেয়ে গেছে বাজার। এই পেয়ারা একটানা পাওয়া যাবে অক্টোবরের শেষে পর্যন্ত। প্রতিদিন শত শত টন পেয়ারা পাড়ার পরও শুধু হিমাগারের অভাবে গাছেই নষ্ট হচ্ছে এর দুই-তৃতীয়াংশ। এ নিয়ে স্থানীয়

গ্রামের প্রাথমিক বিদ্য়ালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন। পরিবারে অভাব আর বাবার অসুস্থতার কারণে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি। সংসারের হাল ধরতে গিয়ে জড়িয়ে পড়েন কৃষিকাজে। এরপর এই কৃষিই তাঁর সব ধ্যানজ্ঞান। কিন্তু কৃষকের মুখে কি আর হাসি থাকে।

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ৩৫ শতক বা এক কানি জমি চাষ করতে এখন থেকে কৃষকদের গুনতে হবে ৬০০ টাকা। কয়েক দিন আগেও ছিল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলার ট্রাক্টর মালিকেরা।

ভাগ্য ফেরাতে ২০০৭ সালে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান মেহেরপুর সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের ডালিম আজাদ। ২০১৮ সালে চলে আসেন দেশে। শুরু করেন নিজ জমিতে ফলের চাষ। কিন্তু তখন দেখা মেলেনি সাফল্যের। পরে ২০২০ সালে শুরু করেন মিশ্র বিদেশি জাতের ফল চাষ।

আমন মৌসুমের শুরুতেই রাজশাহীতে এমওপি (পটাশ) এবং টিএসপি সারের সংকট দেখা দিয়েছে। গেল জুলাইয়ে জেলায় এমওপি সারের ঘাটতি ছিল ১৩৬ মেট্রিক টন। চলতি মাসে তা বেড়েছে আরও ৮০০ মেট্রিক টন। ডিলারের দোকানে দোকানে ঘুরেও চাষিরা সার পাচ্ছেন না। এতে আমন আবাদ নিয়ে তাঁরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

বিস্তৃত ফসলের মাঠ ডুবে আছে পানিতে। জলাবদ্ধতায় আমন চাষ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন মৌলভীবাজারের চাষিরা। ধান রোপণের সময় চলে যাচ্ছে। বেড়ে যাচ্ছে চারার বয়স। কবে ধান রোপণ করতে পারবেন—এ নিয়ে দুই উপজেলার কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

খালে পানি না থাকায় পাটের জাগ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে অনেক কৃষকের কাটা পাট খেতে পড়ে রয়েছে। এতে অতিরিক্ত খরায় খেতের পাট শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে।

শ্রাবণ মাসের শেষার্ধ। ভরা বর্ষাতেও দেখা নেই স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের। এতে আমন ধান চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার চাষিরা। অনেক কৃষক সেচ দিয়ে আমনের চারা রোপণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এতে বিঘাপ্রতি বাড়তি দেড় থেকে দুই হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।

লাউ চাষে লাভবান হয়েছেন মো. মতিয়ার রহমান। ৪৫ শতক জমিতে তিনি লাউ চাষ করেন। লাউ বিক্রির আগ পর্যন্ত তাঁর খরচ হয় ৫ হাজার টাকা। এর পর এক মাসে খেত থেকে লাউ বিক্রি করে লাভ হয়েছে এক লাখ ৮৫ হাজার টাকা। খেতে যে পরিমাণ ফুল ও ছোট লাউ রয়েছে, তাতে আরও অন্তত দেড় লাখ টাকা লাভ হওয়ার আশা করছেন এ কৃষক।

বৃষ্টির অভাবে রোপণ করা যাচ্ছিল না ধানের চারা। জাগও দেওয়া যাচ্ছিল না পাট। তাই বৃষ্টির জন্য আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলেন রাজশাহীর চাষিরা। আষাঢ় চলে গেলেও বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায়নি। এভাবে কেটে যায় শ্রাবণেরও ১৬ দিন। অবশেষে মধ্য শ্রাবণে এসে রাজশাহীতে শুরু হয়েছে আষাঢ়ে বর্ষণ। এতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন চাষিরা।

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় বাদাম চাষ করে দিনবদলের স্বপ্ন দেখেছিলেন যমুনা নদীর চরাঞ্চলের কৃষকেরা। তবে এ বছর একদিকে নদীভাঙন, অন্যদিকে পরিপক্ব হওয়ার আগেই খেত তলিয়ে যাওয়ায় বাদামের ফলন ভালো হয়নি। প্লাবিত চরে আশানুরূপ ফলন না হওয়ায় মাথায় হাত বাদামচাষিদের।

দেশি প্রজাতির পাবদা মাছ চাষ করে ডুমুরিয়া উপজেলার হাসানপুর গ্রামের আলাউদ্দিন জোয়াদ্দার (৩৮) দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য অর্জন করেছেন। তাঁর খামার থেকে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সরাসরি কলকাতার বাজারে যাচ্ছে পাবদা মাছ...

ভরা মৌসুমে অনাবৃষ্টি ও বিদ্যুৎ-সংকটে বিপাকে পড়েছেন টাঙ্গাইলের সখীপুরের কৃষকেরা। চলমান বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে সেচব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে আমন চাষে ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁরা। চাতক পাখির মতো বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।