চাষ

দুই সহপাঠী মাজহারুল কবীর ও মালেক শিকদার। পড়াশোনা করতেন ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। মালেক লেখাপড়ার পাশাপাশি তাঁর গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে ড্রাগন ফলের চাষ করতেন। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মাতলেই প্রায় সময় মালেক নিজের ড্রাগন ফলের বাগানের গল্প শোনাতেন। বন্ধুর মুখে গল্প শুনে ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হন মাজ

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় সরিষা চাষের জন্য বিরাজ করছে অনুকূল আবহাওয়া। এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি তেমন কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এ অবস্থা বহাল থাকলে এবার সরিষার ভালো ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকেরা।

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে মাছ চাষ এবং মুরগি ও গরু পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন মো. আব্দুল মজিদ মণ্ডল। এসব ক্ষেত্র থেকে তাঁর বছরে ১০ লাখ টাকা আয় হচ্ছে। তাঁর খামারে কাজ করে গ্রামের অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে।

সয়াবিন তেলের দাম বাড়ায় মেহেরপুরের গাংনীতে কৃষকেরা ঝুঁকছেন সরিষার চাষে। এ কারণে চলতি বছর উপজেলায় বেড়েছে সরিষা চাষ। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ সাজতে শুরু করেছে হলুদ সরিষা ফুলে। সরিষা ফুলের ম-ম গন্ধে ভরে উঠছে চারদিক।

আমন ধান কাটা এখন শেষ পর্যায়ে। এরই মধ্যে চলছে বোরো আবাদের প্রস্তুতি। বোরো আবাদের জন্য বর্তমানে বীজতলা তৈরিসহ আনুষঙ্গিক কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন নরসিংদীর রায়পুরার চাষিরা।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে ভুট্টা চাষ। চলতি মৌসুমে অষ্টগ্রামের আট ইউনিয়নে ৭০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। ধানের তুলনায় কম খরচ ও নিরাপদে ফসল উত্তোলনের মাধ্যমে লাভের পরিমাণ বেশি হওয়ায় ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন হাওরাঞ্চলের কৃষকেরা।

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় চলতি মৌসুমে সুপারি চাষে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা সুপারির বদলে মিশ্র ফল বাগানের দিকে ঝুঁকছেন বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

খরচ বেশি এবং উৎপাদন কম হওয়ায় কালোজিরা ধান চাষে আগ্রহ হারিয়েছেন কৃষকেরা। একসময় শত শত হেক্টর জমিতে এর চাষ হলেও বর্তমানে কিছু কিছু এলাকায় অল্প জমিতে চাষ করা হচ্ছে। বিক্রির জন্য এই ধান তেমন চোখে পড়ে না।

ফরিদপুরের আলীপুর থেকে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া অনেক দূর। এই আলীপুরে বসেই হাসিবুল হাসান রন্টি দেশ দুটি থেকে ফরমাশ করেছেন ‘ব্ল্যাক রাইস’-এর বীজ। ব্ল্যাক রাইস বা কালো ধান হলো ধানের একজাতীয় বিশেষ ধরনের প্রজাতি।

ফরিদপুর সদরে ঔষধি ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ‘ব্ল্যাক রাইস’ চাষ করে সফল হয়েছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা হাসিবুল হাসান রন্টি। প্রথমবারের মতো এই ধান চাষ করে বাম্পার ফলনের আশা তাঁর। আর মাত্র এক সপ্তাহ পরেই খেত থেকে ধান কেটে ঘরে তুলবেন রন্টি।

আগাম সবজির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার শীতকালীন সবজির চাষ করেছিলেন মেহেরপুরের কৃষকেরা। প্রথম দিকে ভালো দাম পাওয়ার আশা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু প্রতিনিয়তই বাজারে দাম কমায় শঙ্কায় চাষিরা।

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় রেশম উন্নয়ন বোর্ডের (বিএসডিবি) প্রশিক্ষণ নিয়ে রেশম চাষ করছেন ৩১ জন নারী। ২০ বছর ধরে রেশম চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন তাঁরা। তবে এত দিনেও ওই এলাকায় চাষির সংখ্যা বাড়েনি। তুঁতগাছের স্বল্পতা, গুটির স্বল্পমূল্যসহ নানা কারণে রেশম চাষের বিস্তার হচ্ছে না।

‘দেশে উন্নতজাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ করা হচ্ছে। এ জন্য চাষিদের প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। তাই দেশে আর পেঁয়াজের সংকট থাকবে না। আমরা বিদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারব’-বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

চলতি মৌসুমে মেহেরপুরের গাংনীর আমন চাষিরা ধানের ভালো ফলনের আশা করছেন। ইতিমধ্যে অনেকে ধান কাটতে শুরু করেছেন। শত ব্যস্ততা আর ঘরে নতুন ধান তোলার আনন্দে মাতবেন কৃষক-কিষানি।

সদর উপজেলার পিয়নপাড়া, বিলপাড়া, ধন্দোগাঁওসহ বিভিন্ন গ্রামে কেঁচো সার উৎপাদন করছে প্রায় অর্ধ-শতাধিক নারী। স্বল্প পুঁজি ও কম পরিশ্রমে কেঁচো সার উৎপাদন করে পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা এনেছেন তাঁরা।

লোডশেডিংয়ের সময় জেনারেটর ঠিকমতো না চালানো এবং হিমাগারের আলুর বস্তা নিয়মিত ওলট-পালট না করার কারণে আলুতে পচন ধরেছে। ক্ষতিপূরণেরও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

নওগাঁর ধামইরহাটে মালচিং পদ্ধতিতে রঙিন তরমুজ চাষ করছেন কৃষক বাবুল হোসেন। বর্তমানে হাটবাজার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে এ-জাতীয় তরমুজের চাহিদা বেশি। ফলন ভালো হওয়ার পাশাপাশি দামও ভালো এ ধরনের তরমুজের।