সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পিয়নপাড়ার হালিমা বেগম বাড়ির উঠানের এক কোণে ২০টি রিং বসিয়েছেন কেঁচো পালনের জন্য। প্রতি মাসে হালিমার কেঁচোর এই রিং থেকে ১ হাজার কেজিরও বেশি জৈব সার উৎপাদিত হচ্ছে।
খরচ বাদে মাসিক আয় থাকছে ১০ হাজার টাকা। হালিমার পরিবেশবান্ধব এই সার চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। তাঁর দেখাদেখি ওই গ্রামের আরও অনেক নারী এগিয়ে এসেছেন কেঁচো সার উৎপাদনে। এতে করে নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি সংসারে এনেছেন সচ্ছলতা।
জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, রাসায়নিক সারের বিকল্প জৈব সারের ব্যবহার ছড়িয়ে দিতে কাজ করছেন তাঁরা। এতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি বাড়বে ফসল উৎপাদন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার পিয়নপাড়া, বিলপাড়া, ধন্দোগাঁওসহ বিভিন্ন গ্রামে কেঁচো সার উৎপাদন করছেন অর্ধশতাধিক নারী। স্বল্প পুঁজি ও কম পরিশ্রমে কেঁচো সার উৎপাদন করে পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা এনেছেন তাঁরা।
নারগুন ইউনিয়নের পিয়নপাড়া এলাকার বানু বেগম জানান, একটি এনজিও তাদের কেঁচো সার উৎপাদনের পরামর্শ দেয়। রিংয়ের মধ্যে গোবর আর কেঁচো দিয়ে তিনি সার তৈরি করেন। প্রতি কেজি সার বিক্রি করেন ১০ থেকে ১৫ টাকা। মাসে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার ওপরে আয় হয় তাঁর।
এই সার উৎপাদনে ভালো লাভ হয় বলে জানান একই গ্রামের আরেকজন সার উৎপাদনকারী মর্জিনা বেগম। তিনি বলেন, ‘এক বছর ধরে কেঁচো সার উৎপাদন করি আমি। প্রতি মাসে ৫০০ কেজি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করি। ১০ টাকা কেজি হিসেবে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।’
মর্জিনার দিনমজুর স্বামী আজিজুল হক জানান, তিনি নিজেও সার উৎপাদনে স্ত্রীকে সহায়তা করেন। এই টাকা দিয়ে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চালানোর পাশাপাশি কিছু টাকা তাঁরা সঞ্চয়ও করেন।
জৈব সার ব্যবহারকারী কৃষক শাহিনুর আলম বলেন, রাসায়নিক সারের তুলনায় জৈব সারে ফসল উৎপাদন ভালো হয়। সেই সঙ্গে সাশ্রয়ীও। তাই দিনে দিনে কৃষকদের মধ্যে এই সারের চাহিদা বেড়েছে।
অপর কৃষক জামিরুল ইসলাম বলেন, এই সার ব্যবহারে সবজি খেতে উৎপাদন বেশি হয়। স্বাস্থ্যসম্মত সবজিও পাওয়া যায়।
সদর উপজেলার বেগুনবাড়ী এলাকার কৃষি উপপরিদর্শক আলী হোসেন বলেন, জমির উর্বরতা বজায় রাখার জন্য জৈব সার ব্যবহারের প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। সারা বছর সব ধরনের ফসলে যেকোনো সময় এই সার ব্যবহার করা যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. আব্দুল আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কেঁচো সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন নারীরা। তাঁদের এ ধরনের উদ্যোগে বিভিন্ন এনজিওর সহযোগিতার পাশাপাশি কৃষি সম্প্রসারণ থেকেও যাবতীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পিয়নপাড়ার হালিমা বেগম বাড়ির উঠানের এক কোণে ২০টি রিং বসিয়েছেন কেঁচো পালনের জন্য। প্রতি মাসে হালিমার কেঁচোর এই রিং থেকে ১ হাজার কেজিরও বেশি জৈব সার উৎপাদিত হচ্ছে।
খরচ বাদে মাসিক আয় থাকছে ১০ হাজার টাকা। হালিমার পরিবেশবান্ধব এই সার চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। তাঁর দেখাদেখি ওই গ্রামের আরও অনেক নারী এগিয়ে এসেছেন কেঁচো সার উৎপাদনে। এতে করে নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি সংসারে এনেছেন সচ্ছলতা।
জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, রাসায়নিক সারের বিকল্প জৈব সারের ব্যবহার ছড়িয়ে দিতে কাজ করছেন তাঁরা। এতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি বাড়বে ফসল উৎপাদন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার পিয়নপাড়া, বিলপাড়া, ধন্দোগাঁওসহ বিভিন্ন গ্রামে কেঁচো সার উৎপাদন করছেন অর্ধশতাধিক নারী। স্বল্প পুঁজি ও কম পরিশ্রমে কেঁচো সার উৎপাদন করে পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা এনেছেন তাঁরা।
নারগুন ইউনিয়নের পিয়নপাড়া এলাকার বানু বেগম জানান, একটি এনজিও তাদের কেঁচো সার উৎপাদনের পরামর্শ দেয়। রিংয়ের মধ্যে গোবর আর কেঁচো দিয়ে তিনি সার তৈরি করেন। প্রতি কেজি সার বিক্রি করেন ১০ থেকে ১৫ টাকা। মাসে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার ওপরে আয় হয় তাঁর।
এই সার উৎপাদনে ভালো লাভ হয় বলে জানান একই গ্রামের আরেকজন সার উৎপাদনকারী মর্জিনা বেগম। তিনি বলেন, ‘এক বছর ধরে কেঁচো সার উৎপাদন করি আমি। প্রতি মাসে ৫০০ কেজি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করি। ১০ টাকা কেজি হিসেবে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।’
মর্জিনার দিনমজুর স্বামী আজিজুল হক জানান, তিনি নিজেও সার উৎপাদনে স্ত্রীকে সহায়তা করেন। এই টাকা দিয়ে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চালানোর পাশাপাশি কিছু টাকা তাঁরা সঞ্চয়ও করেন।
জৈব সার ব্যবহারকারী কৃষক শাহিনুর আলম বলেন, রাসায়নিক সারের তুলনায় জৈব সারে ফসল উৎপাদন ভালো হয়। সেই সঙ্গে সাশ্রয়ীও। তাই দিনে দিনে কৃষকদের মধ্যে এই সারের চাহিদা বেড়েছে।
অপর কৃষক জামিরুল ইসলাম বলেন, এই সার ব্যবহারে সবজি খেতে উৎপাদন বেশি হয়। স্বাস্থ্যসম্মত সবজিও পাওয়া যায়।
সদর উপজেলার বেগুনবাড়ী এলাকার কৃষি উপপরিদর্শক আলী হোসেন বলেন, জমির উর্বরতা বজায় রাখার জন্য জৈব সার ব্যবহারের প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। সারা বছর সব ধরনের ফসলে যেকোনো সময় এই সার ব্যবহার করা যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. আব্দুল আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কেঁচো সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন নারীরা। তাঁদের এ ধরনের উদ্যোগে বিভিন্ন এনজিওর সহযোগিতার পাশাপাশি কৃষি সম্প্রসারণ থেকেও যাবতীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেতিন পার্বত্য জেলার মধ্যে আগে থেকেই চিকিৎসাসেবায় পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। তার ওপর বছরের পর বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
৬ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান...
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিভে গেছে। এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৮ ঘণ্টা আগে