কবিতা

অনেক অনেক দিন যাই না তোমার কাছে তুমি তো সবুজ ঘাস, ধুলোয় গিয়েছ ঢেকে...

আমি আপনার কাছ থেকে পান করিআপনি পর্বতের ঝরনাধারা,আপনি ফুঁসে উঠে নিচে নেমে আসেন দ্রুত মর্মর প্রস্তর, বাঁক ও শ্যামলিমা ধুয়ে দেন।(আপনার স্বচ্ছপুষ্পমাল্য, আপনার ফেস্টুন! ও সৌর-আভার একটি মুহূর্ত!)

কবি মহাদেব সাহার তেমন বৈষয়িক কোনো প্রত্যাশা নেই, প্রলোভনও নেই। চাইলেই উপার্জন করতে পারতেন বাড়ি-গাড়ি, উচ্চ পদ-পদবি। জীবনে বৈষয়িক তেমন কিছুই করেননি। শুধু কবিতায় সমর্পণ করেছেন নিজেকে। কবিতা নিয়ে একটা জীবন রীতিমতো ছেলেখেলা করেছেন। সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘কবিই আমার একমাত্র পরিচয়। এর বাইরে আমার অন্য কোনো পরি

আবুল হাসান হচ্ছেন সন্ধি আর সমাসের রাজা–এ নিয়েও গবেষণা হতে পারে। উপমা আর চিত্রকল্পে তো তিনি অঘোষিত রাজা হয়েই আছেন। তো, তাঁকে নিয়ে ‘ঝিনুক নীরবে সহো’ কেন আর কীভাবে লিখতে বসলাম—প্রশ্নটা আমাকে একাধিক দিনে একাধিক পরিবেশে জিজ্ঞেস করা হলে আমিও প্রতিবারই নতুনভাবে উত্তর দিতে পারব। কোনো সংস্করণই মিথ্যাভাষণ হবে

যেসব পাখিরা সুখী সঙ্গমের নিজস্ব নিয়মে কবুলবিহীন যারা মিলে যায় ঠোঁটে ও পাখায় তার সেই পাখসাট শূন্যে খসে পড়ার আগেই অনুবাদ করে নিই যথারীতি বাংলা ভাষায়

সদ্য হাঁটা শিখছে—এমন শিশুরমতন হাঁটছ—বিশৃঙ্খল, মেপে। নৌকা ভাসছে—রহস্য কী? দেখি, বৃষ্টি নামছে তোমার শরীর ব্যেপে। যেমন কেরোসিনবিহীন এ চাঁদ ঘণ্টা-মিনিটব্যাপী হচ্ছে ম্লানই, তেমন করে অবিচ্ছিন্নভাবে

আজন্ম লালিত বিষাদ, তুমি নাম দিলে মেঘ। টেনে দিলে সীমানাপ্রাচীর, আর সেই বিজ্ঞপ্তি সাঁটিয়েছো দেয়ালের ওপাশে। আমি প্রতিদিন পড়ি, একই ভাষার নানা ব্যঞ্জনা আমাকে ভাবিয়ে তোলে। মাঝরাতে পাড়ি দিই অভিমানের ঘর। যদিও তখন 

জ্যামে দাঁড়িয়ে থাকা বাসগুলো টানা বিষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে  ভেজা ট্রাফিক পুলিশ যেন রমনার রেইনট্রি ডালে বসে থাকা ভেজা কাক হাতে শীতল বাঁশি...

বাঘের ভয় দেখিয়েঘুম পাড়িয়ে দেয়া সন্ধ্যায় সত্যকেই নেমে আসতে দেখি কুশলী গল্পে মুখর বর্ষণ হারিকেনের আলোয় পিতামহীর টুকটুকে ঠোঁটের ঔজ্জ্বল্যে পরাভূত অন্ধকার ঋষিকেশ দাস লেনের বাড়িটি উঁচু সিলিং আর লম্বা গরাদের

রাগ করেছে সুয্যি মামা মুখ করেছে ভার মামার হাসি কেড়ে নেবে সাধ্যি আছে কার? বর্ষা এসে মামার নাকি দরজা করে লক খুকুর কানে খবর দিলো সাদা ডানার বক। খুকু বলে, বকের কাছে বর্ষা থাকে কই?

হলুদ পাঞ্জাবির দিকে তাকালে অলকানন্দার অভিশাপ উজ্জ্বলতর হয়ে ফোটে। ধরুন তখন আপনি হাঁটছেন— পিছু পিছু সাইলেন্ট বৃষ্টি। আপনি পিছনে তাকালেন না, আপনি হাঁটছেন— কার্যত কদমের কুঁড়ি নাচছে এবং যখন আপনি ভাবলেন থামবেন ততক্ষণে আপনার ব্রেক ফেল করে গেছে। বৃষ্টি শুকাচ্ছে, কষ্ট আত্তি করে যদিও দাঁড়ালেন দ

শান্ত কোমল সৃষ্টি তুমি, বিনাশ নও  মেঘ তো ছিলেই এবার তুমি বৃষ্টি হও

মেঘ কড়মড় হাওয়াই রেল বাজল মেঘের কলিং বেল

এই যে দূরের বাঁকে শুয়ে আছে গোপন কান্নারা সেখানে মিলনফাঁদ গেঁথে থাকে পলির সৌরভে অপেক্ষারা জমে জমে হয়ে ওঠে সুতীব্র পাথর আশায় বসত করি—একদিন হবে, সব হবে।

ক্রৌঞ্চ–মৈথুনের মর্মার্থ বুঝতেন ঋষি বাল্মীকি। সময়ের সাহস কত, সে আমাদের শাসায়! সময় কে? সময় কী? না মানলে সে কিচ্ছু না। সময় যা বলে বলুক, কে শোনে তার কথা? সময়কে বুঝিয়ে বলো– তুমি কোন ছার হে?  স্বর্গকেও তুচ্ছ মানে সঙ্গমের মদিরমুগ্ধতা। 

বিষয়টি জানাজানি হতেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে কড়া সমালোচনা। কেবল কবিতা লেখার জন্য কারও জেল হতে পারে না দাবি করে রাজ্যের বিরোধী দলীয় নেতা দেবব্রত শইকিয়ার বলেছেন, ‘অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে যোরহাট জেলার তিওকতে জেলে বন্দী বর্ষাশ্রী বুরাগোঁহাইকে

তোমাকে তোমার চেয়ে আরও ভালো জানবে মেশিন। কখন কোথায় যাও, কী করো, কী ভাবো, কী পড়ো, কী খাও...